রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম - স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
প্রিয় পাঠক রোজা রাখার উদ্দেশে শেষ রাতে ঊষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা সেহরি হিসেবে পরিচিত। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। তবে স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।
ভূমিকা
রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত।খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের পূর্বে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ রোজা রাখা অবস্থায় মাসিক হলে রোজা হবে কি
সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে
- আপনি যদি একজন ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে স্বপ্নদোষ এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। এটি সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়ে থাকে এতে ছেলেদের কোন হাত থাকে না। তাই হাদিসে রয়েছে যদি কোন ছেলে রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয় সে ক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হবে না। তবে এই সময় আপনার উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া এবং বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা। যেহেতু রমজান মাস চলছে, নিশ্চয়ই এই মাসটি অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতে ভরপুর।
- এই জন্য আপনি যদি আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চান তাহলে আল্লাহ তা'আলা আপনার থেকে কখনো এবং ফিরিয়ে নেবেন না। এই মাসটি হাজারো বরকতে ভরপুর একটি মাস এই মাসের উসিলায় আল্লাহ তা'আলা আপনার পিছে সমস্ত গুনাহকে মাফ করে দিবেন। আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে। এই জন্য আমাদের উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা তসবি তেলাওয়াত করা কুরআন তেলাওয়াত করা এবং রোজা রাখার সাথেই নামাজ কায়েম করা।
- রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমানো মানা নেই তবে যদি ঘুমের মধ্যে আপনার স্বপ্নদোষ হয় এক্ষেত্রে দ্রুত আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। তবে হ্যাঁ আপনি যদি ঘুমানোর আগে কিংবা মনে মনে স্বপ্ন দোষের মত কোন চিত্র কিংবা ছবি কল্পনা করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ রোজা থাকা অবস্থায় এমন কোন কিছু কল্পনা করা যাবে না কিংবা ভাবা যাবে না। স্বপ্নদোষ এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া তবে যদি আপনি মনে মনে এমন কিছু কল্পনা করে থাকেন। তাহলে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
- স্বপ্নদোষ কোন দোষ না কিংবা পাপ নয় তবে আপনি যদি এমন কোন কিছু কল্পনা করেন কিংবা ভাবেন তাহলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় আমাদের উচিত এমন জিনিস কল্পনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বেশি বেশি দোয়া পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে কারণ এই মাসের উসিলাতে আপনি আপনার সমস্ত গুনাহকে মুছে ফেলতে পারবেন। আর যেহেতু রমজান মাস চলছে এই সময়ে মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তা'আলা মিথ্যাবাদীদের পছন্দ করে না। সাথে আপনি যদি রমজান মাসে মিথ্যা কথা বলেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
- প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে নাকি। সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কিংবা বেঁচে থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা অবশ্যই হবে কিন্তু সে অবস্থাতে আপনাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং দোয়া পাঠ করতে হবে। আর হ্যাঁ যদি আপনি মনে মনে এমন কিছু কল্পনা করেন কিংবা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে। আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় এই সমস্ত প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খায় আসলে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না। স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণে আপনি যদি মনে করেন আপনার রোজা ভেঙ্গে গেছে এবং আপনি কিছু খেয়ে নিয়েন তাহলে কিন্তু আপনাকে কাফফারা করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে এই একটা রোজার জন্য আরও ষাটটি রোজা করতে হবে।
রমজান মাসে রোজা থাকা অবস্থায় অনেক সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে দুপুরবেলা ঘুমালে যদি আপনার স্বপ্নদোষ হয় তাহলে আপনি মনে করবেন না যে আপনার রোজা ভেঙ্গে গেছে। দুপুরবেলা ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে সেটার কারণে রোজা নষ্ট হয় না তবে স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরজ হয়ে যায়। হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ তায়ালা ছিলেন সত্যের ।
- বিষয়ে নিঃসঙ্কোচ।তিনি জিজ্ঞেস করেন কোন নারী যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে কি তার ওপর গোসল ফরজ হয়ে যায? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বলেছিলেন, "হ্যাঁ" তবে সে যদি পানি বা ভেজা দেখতে পান।
- (সহিহ বুখারী ১/৪২)এটা থেকে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এই হাদিসে বোঝা যায়, যে মেয়েদের ও ছেলেদের মত স্বপ্নদোষ হয় আর স্বপ্নদোষ হলে উভয়েরই ছেলে ও মেয়ে গোসল করা ফরজ হয়ে যাবে।
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম
প্রিয় পাঠক ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কিংবা সেহরি খাবার বা স্বপ্নদোষ হলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায় না তবে এই অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এবার আমরা আলোচনা করব রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি।
কারণ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হয় এ ক্ষেত্রে গোসলের নিয়ম কি? অর্থাৎ রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কিভাবে গোসল করতে হবে?
প্রথমে কুলি
- রোজা অবস্থায় নিজের অজান্তে স্বপ্নদোষ হলে এক্ষেত্রে নিচের স্টেপস গুলো অনুসরণ করুন। রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে প্রথমে কুলি করতে হবে।
- গড়গড়া করে গুলি করতে হবে তবে হ্যাঁ খেয়াল রাখবেন যেন গড়গড়া করার সময় আপনার গলার মধ্যে কোন পানি প্রবেশ না করে। তবে আপনি চাইলে রোজা থাকা অবস্থায় গড়গড় কুলি থেকে বিরত থাকতে পারেন। আপনি ওযুর সময় যেভাবে কুলি করেন সেভাবে তিনবার কুলি করবেন।
নাকে পানি
- কুলি করা শেষ হলে নাকে পানি দিতে হবে। নাকে তিনবার পানি দিতে হবে নাকের ভেতরের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত ভেতরে পানি প্রবেশ করানো যাবে না যেহেতু নাকের নারীর সাথে গলার নালীর সম্পর্ক রয়েছে।
- এক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি প্রবেশ করান সে ক্ষেত্রে পানিটি আপনার গলা পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। এই জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ব্যবহার করা যাবে না। নাকে হালকাভাবে তিনবার পানি দিবেন।
শরীরে পানি
- তারপর নাকে পানি দেওয়ার শেষ হলে শরীরে পানি দিতে হবে ডান কাঁধে প্রথমে তিনবার পানি দিবেন তারপর বাম কাঁধে তিনবার পানি দিবেন তারপর মাথার ওপর থেকে পানি দেওয়া শুরু করবেন। লক্ষ্য রাখবেন শরীরের প্রতিটি অংশ যেন সম্পূর্ণরূপে ভিজে যায় কোন অংশ যেন বাদ না পরে। আমাদের অনেক সময় রোজা থাকা অবস্থাতে স্বপ্নদোষ হয় এক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি না কি করব এবং আমরা চিন্তায় থাকি যে আমাদের রোজা ভেঙে গেল নাকি।
- তবে ওপর এর আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে স্বপ্ন দেশের সাথে রোজা ভাঙ্গার কোন সম্পর্ক নেই। স্বপ্নদোষ এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া অর্থাৎ এটি আমাদের ইচ্ছার বাইরে হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় যখন আমরা এমন কিছু কল্পনা করতে থাকি কিংবা বারবার ভেবে থাকি তখন স্বপ্নদোষ ঘটে। এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখনো এমন কিছু কল্পনা করা যাবে না কিংবা ভাবা যাবে না এতে আপনার রোজা ভেঙে যেতে পারে।
- পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি। আপনার যদি ঘুমের মাঝে কখনো স্বপ্নদোষ হয় সে ক্ষেত্রে উপরের এই নিয়মের মাধ্যমে গোসল সম্পন্ন করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে আর বেশি বেশি দোয়া পড়তে হবে রমজান মাসটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পেশাল। এই মাসটির উসিলাতে আমরা আমাদের পিছের সমস্ত গুনাহকে মুছে ফেলতে পারব।
- তাই আমাদের উচিত এই মাসটিতে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কিভাবে গোসল করতে হবে এবং সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে নাকি। এবার চলুন তাহলে আমরা ঝট পট জেনে আসি স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয় নাকি।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
- প্রিয় পাঠক ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে নাকি। এবং স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয় নাকি। এবার আমরা জানব রোজা ভঙ্গের কিছু কারণ।
- যেহেতু আমাদের রোজা চলছে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি। কারণ আমরা যদি আমাদের প্রত্যেকটি রোজাকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের আসব জানা আবশ্যক।
- আমাদের প্রত্যেক মুসলিমদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা। তবে আমাদের ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে অনেক সময় আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায় এবং আমরা সেই বিষয়ে জানতেও পারি না যার কারণে আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।
- আপনি যদি নিজের এই কারণগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার রোজা সম্পূর্ণরূপে সঠিক হবে। তাহলে চলুন ঝটপট জেনে নেই রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।
মিথ্যা কথা এবং গীবত
- বেঁচে থাকা অবস্থায় আপনি যদি মিথ্যা কথা বলেন এবং কারণ আমি গীবত করেন তাহলে সেখানে আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থাতে কখনই মিথ্যা কথা বলবেন না এবং কারো নামে কখনো গীবত করবেন না এই দুটো জিনিস খুবই খারাপ আল্লাহ তায়ালা গীবত কারিকে কখনো পছন্দ করেন না সাথেই মিথ্যাবাদীদের অপছন্দ করেন। আর শুধু রোজা বাঁচানোর জন্যই নয় বরং সবসময় চেষ্টা করবেন মিথ্যা কথা এবং জীবন থেকে এড়িয়ে চলার।
- কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় আমরা বিভিন্ন কারণে অকারণে এবং প্রয়োজনে একে অপরকে মিথ্যা কথা বলে থাকি এবং আর একজনের অনুপস্থিতিতে তার নামে গীবত করি। ইসলামের শরীরে বিধি-বিধানের দেওয়া রয়েছে যে ব্যাক্তি রোজা তো অবস্থাতে মিথ্যা কথা বলবে এবং কারো নামে গীবত করবে তার রোজা সেখানেই ভঙ্গ হবে সাথেই তার পাপ হবে আর যেহেতু এটি রমজান মাস এক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন রমজান মাসে এই দুটি জিনিস এগিয়ে চলার। রমজান মাস অর্থাৎ রহমতের মাস।
- এই মাসটিতে আমাদের উচিত বেশি বেশি আমল করার আর মিথ্যা কথা গীবত এসব থেকে দূরে থাকার। এই পবিত্র রমজান মাসের উসিলাতে আমাদের উচিত আমাদের পিছের সমস্ত পাপকে মুছে ফেলার এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার। নিশ্চয়ই এই মাসটি অন্যান্য সমস্ত মাসে তুলনায় অনেক বেশি বরকতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদেরকে রমজান মাসে বেশি বেশি আমল করতে হবে রোজা রাখতে হবে নামাজ কায়েম করতে হবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইতে হবে।
ধূমপান করা
- রোজা থাকা অবস্থাতে আপনি যদি ধূমপান করেন কিংবা মদ্যপানে লিপ্ত হন তাহলে আপনার রোজাটি সেখানে নষ্ট হবে এজন্য রোজা থাকা অবস্থাতে সবসময় ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলবেন বর্তমান সময়ে ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত ধূমপান করে।
- আমরা প্রত্যেকেই ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি ধূমপান আমাদের স্বাস্থ্য জনক কতটা ক্ষতিকর ধূমপান করার ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে আমরা এত কিছু জানার পরেও আজ ধূমপানে আকৃষ্ট। আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করছি।
- চেষ্টা করবেন সবসময় ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে এড়িয়ে চলার। বিশেষ করে রমজান মাসে কখনোই ধূমপান করবেন না কারণ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
- তোমার সময় দেখা যায় বেশিরভাগ ছেলেরাই ইফতারের পর ধুমপান করে অর্থাৎ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের পর তারা যেয়ে ধূমপানে লিপ্ত হয়। এতে রোজা হালকা হয়ে যায় এই জন্য চেষ্টা করবেন রমজান মাসটিতে সম্পূর্ণভাবে ধূমপান থেকে বিরত থাকার।
শারীরিক মিলন
- রোজা থাকা অবস্থাতে শারীরিক মিলন করার ফলে রোজা ভেঙ্গে যায়। রোজা থাকা অবস্থাতে কখনো শারীরিক মিলন করা যাবে না। চেষ্টা করবেন ইফতারের পর কিংবা সেহরির আগে শারীরিক মিলনের।
- কারণ রোজা থাকা অবস্থাতে আপনি যদি শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন তাহলে সেখানে আপনার রোজাটি নষ্ট হবে। হাদিসের সম্পূর্ণ পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে রোজা থাকা অবস্থাতে যদি কেউ শারীরিক মিলন অথবা যৌন মিলনের লিপ্ত হয় এক্ষেত্রে তার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে।
নাকে অথবা কানে ড্রপ ব্যবহার
- আমাদের নাকের এবং কানের নালীর সাথে গলার নালীর সম্পর্ক রয়েছে যার কারণে আপনি যদি নাকে অথবা কানের ড্রপ কিংবা তরল পদার্থ ব্যবহার করেন এক্ষেত্রে সেটি আপনার গলা পর্যন্ত প্রবেশ করবে এই জন্য হাদিসে দেওয়া রয়েছে, রোজা থাকা অবস্থাতে নাকে অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না ।
- এতে রোজা ভেঙে যাবে কারণ যখন আপনি রোজা থাকা অবস্থাতে আপনার নাকে অথবা কানের ড্রপ কিংবা তরল পদার্থ ব্যবহার করবেন, এতে সেটি আপনার গলা পর্যন্ত প্রবেশ করবে।
- যার কারণে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে। এজন্য রোজা থাকা অবস্থাতে নাকে অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে।এই জন্য চেষ্টা করবেন ইফতারের পর কিংবা সেহরির আগে নাকে অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করার।
- তবে আপনার ড্রপ যদি খুব বেশি জরুরী হয়, এক্ষেত্রে আপনি চাইলে সেই দিন রোজা বাদ দিতে পারেন। তবে রোজা থাকা অবস্থাতে নাকে অথবা কানে কখনোই কোনো প্রকার তরল পদার্থ অথবা ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।
উপসংহার
আশা করছি রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম - স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url