বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রমের সকল ঠিকানা
প্রিয় পাঠক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন উন্নতির ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় সমগ্র বিশ্বে বৃদ্ধদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রবীণ বিদ্ধ সাধারণত পরিবারে বাস করেন এবং তাদের ভরণপোষণ, চিকিংসা ইত্যাদির দায়িত্ব সন্তান গ্রহণ করে। কিন্তু সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে যৌথ পরিবার ভাঙ্গে যাচ্ছে।
ভূমিকা
বাংলাদেশের প্রবীনদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা চাহিদার অনুপাতে বেশ কম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করা হয়। ফরিদপুরে 'অরুণিমা' নামক আরেকটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করা হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কয়েবকটি বিদ্যাশ্রম রয়েছে, যার একটি গাজীপুরে, এবং বরিশালে আদর্শ নিবাস বৃদ্ধাশ্রম নামে একটি অবস্থিত। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মিত হয়েছে।
বৃদ্ধাশ্রম কি
বৃদ্ধাশ্রম বলতে বয়স্কদের আশ্রয়স্থল কে বোঝানো হয়। যেখানে বৃদ্ধ বয়সে নারী পুরুষের আবাসস্থল হলো বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রম কে ইংরেজিতে ওল্ড এজ হোম বলা হয়।বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয়কৃত বৃদ্ধদের থাকা-খাওয়া চিত্ত বিনোদন সুস্থ ও অসুস্থতাজনিত সকল প্রকার সেবা প্রদান করা হয় বৃদ্ধাশ্রমে।এখানে বসবাসরত সকল প্রবীনদের সমস্ত দায়ভার থাকে বৃদ্ধাশ্রম এর উদ্যোক্তাদের উপর।
বৃদ্ধাশ্রমের ইতিহাস
- খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ নিজ পরিবার থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধদের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র ফোন করা হয় সান রাজবংশের উদ্যোগে।পৃথিবীতে প্রথম বৃদ্ধদের কেন্দ্র হিসেবে এই প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আশ্রমে বিনোদনের সকল সুযোগ সুবিধা ছিল।
- প্রাচীন চীনে প্রথম বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার জন্য ইতিহাসবিদরা বৃদ্ধাশ্রমকে প্রাচীর চীনের গড়ে ওঠার সভ্যতার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বলে ভূষিত করেন।
- তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার বয়স খুব বেশি নয়। কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রম এর আনাগোনা খুব একটা দেখা যায়নি। তবে সময় এবং সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সমাজের পরিবর্তন হয়েছে।পাশ্চাত্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ ভুলে যাচ্ছে তাদের দায়িত্ববোধকে।
- ৮০ র দশক থেকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা দু-একটা। তবে ২০১০ সালের পর থেকে পরিত্যক্ত মানুষের পাশে এসে জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে কিংবা সরকারি উদ্যোগে আশ্রম গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে।
- বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলে বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা প্রায় অনেক। বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে তা খুঁজে বের করা এখন খুব সহজ।
বাংলাদেশে মোট কয়টি বৃদ্ধাশ্রম আছে
বাংলাদেশে বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এ বিষয়ে আমরা জানবো।বাংলাদেশে বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা অনেক বেশি। আর বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে প্রবীনদের সংখ্যাও অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত বৃদ্ধাশ্রম অথবা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। ছয়টি বৃদ্ধাশ্রমে সরকার মালিকানাধীন।এর মধ্য আগারগাঁও “বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ” নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।
রাউজান নোয়াপাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে “আমিনা বশর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” নামে একটি আশ্রম। উত্তরায় আজমপুরে ছিল “বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম যা ১৯৯৪ সালে স্থানান্তর করে গাজীপুরে নিয়ে আসা হয় ।তবে মাদার তেরেসা ১৯৯৫ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যান।বর্তমানে এটির নামকরণ করা হয় কেন্দ্রীয় প্রবীণ নিবাস।
এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি নিবন্ধিত কিছু বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।তবে সরকারি নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম এর পাশাপাশি ব্যক্তি পরিচালনায় অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে।বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা প্রায় ৩২ টির মতো যেখানে ৬০ ঊর্ধ্ব প্রবীণ নারী পুরুষের বসবাস।
- এতে করে বোঝা যাচ্ছে কতটা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে যার কারণে পরিবার ছেড়ে বৃদ্ধ বয়সে পাড়ি জমাতে হচ্ছে বিভিন্ন আশ্রমে।
- সবকিছু বুঝেও যেন অবুঝ। ভালো-মন্দ বিবেক বিবেচনা করার জ্ঞান সবারই আছে কিন্তু বিবেচনা করে কজন। যে বয়সে পরিবারের যত্ন ভালবাসা পাওয়ার সময় সেই বয়সেই পরিবার ছেড়ে আশ্রমের ঠাঁই হচ্ছে অসংখ্য বৃদ্ধ মা-বাবার।সন্তানেরা মা-বাবার জন্য খুঁজছে দেশে বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৫
বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ঢাকায়
- বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ঢাকায় এই পর্যায়ে আমরা জানব।বর্তমানের সমাজ সংস্কৃতির ধারা অনুযায়ী প্রবীনদের পরিবারে জায়গা হয় খুব কম। তাদের জন্য বরাদ্দ হয় বৃদ্ধাশ্রম।শেষ বয়সের আশ্রয়স্থল হয় বৃদ্ধাশ্রম।ঢাকা বিভাগের মধ্যেও অনেকেই আছেন যারা বড় ফ্ল্যাটে থাকেন কিন্তু মা বাবার জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ হয় না।শেষ বয়সে তাদের শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রমে হয়।
- ঢাকার মধ্যে এমন প্রবীনদের জন্য সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ঢাকা বিভাগের মধ্যে কোথায় কোথায় বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে সেটি জানতে নিচে লক্ষ্য করুন;
- উত্তরা,উত্তরখান তেরমুখ, কড়াইহাটি স্লানঘাটা, ঢাকা
- ফোন:০১৬৮৬৬৬৪০৬৮,০১৮২৮৬৭৩৪৭৩
- চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার
- দক্ষিণ পাইপাড়া, কল্যাণপুর, মিরপুর ঢাকা— ১২১৬
- ফোন:০১৬২০৫৫৫২২২,০১৬২৬৫৫৫২২২
- প্রবীণ নিবাস
- আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২০৭
- ফোন :০১৭৭৫৪৭৪৮২৭,৯১৪১৪০৪,৯১২৯৮১৪
- আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রম
- উত্তরা,বাসা-৩৬, রোড- ২০, সেক্টর- ১৩,ঢাকা
- ফোন :০১৮৮৬১০৭১০৯
- বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র
- মির্জাপুর, হোতাপাড়া, গাজীপুর
সরকারি বৃদ্ধাশ্রম কোথায় আছে
- বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় মোট ছয়টি সরকারি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। এই বৃদ্ধাশ্রম গুলো সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি উদ্যোগে মোট ছয়টি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
- যারা খোঁজ করেন বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে তাদের জন্য জেনে রাখা ভালো সরকার কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশে মোট বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা ছয়টি।
- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্বের তথ্য অনুযায়ী ছয়টি বৃদ্ধাশ্রমে মোট ৩০০ জন বৃদ্ধদের থাকার ব্যবস্থা আছে।তবে বর্তমানে যেহেতু প্রবীনদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এই বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে আসন সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।
- সরকারের নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম ছয়টি ঢাকা জেলার ফরিদপুর তার বাগেরহাট চট্টগ্রাম সিলেট বরিশাল ও রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
আরো পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে চট্টগ্রামে
- চট্টগ্রাম বিভাগে ২০১৪ সালের পহেলা ১মে বিশাল এলাকা জুড়ে একটি বৃদ্ধাশ্রম কিংবা বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এটি চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
- এই বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী মোঃ শামসুল আলম তার মা বাবার নামে বৃদ্ধাশ্রমটির নামকরণ করেন আমেনা বশর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র।বর্তমানে বিশাল এলাকা জুড়ে হওয়া এই বৃদ্ধাশ্রমটি সরকার নিবন্ধিত।
- চট্টগ্রাম বিভাগে আরো একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে আইয়ুব নগর বৃদ্ধাশ্রম নামে। এটি চট্টগ্রামের দূর্গারামপুরে অবস্থিত। এই বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগের জন্য ফোন করতে পারেন তাদের নিজস্ব নাম্বারে।
- ফোন:০১৮৫১৭৮১২০৮
বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ময়মনসিংহ
- বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ময়মনসিংহে এটি অনেকের প্রশ্ন। ময়মনসিংহে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যেখানে ঠিকানা না জানা বৃদ্ধদের রাখা হয়। এই বৃদ্ধাশ্রমটির নাম সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রম।যারা বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরিবার তাদেরকে ফুটপাতে ফেলে দেয় সেই সমস্ত মানুষের জায়গা হয় এই সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রমে।
- এই বৃদ্ধাশ্রম টি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভান্ডাব (দারিয়া পাড়া গ্রামে) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত একটি আশ্রম। এই বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মালেক নামে একজন মহৎ ব্যক্তি। এই বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধদের লালন পালনের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন অনেক পথ শিশুরা।সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগের জন্য ফোন করুন:০১৭৬৬৫৮৩৬৪৬ এই নাম্বারে।
বৃদ্ধাশ্রমের খরচ
- বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এটি জানার পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রম এর খরচ সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে।সকল বৃদ্ধাশ্রম যে বিনামূল্যে লালন পালন করে তা নয়।এমন অনেক বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যেখানে কেউ স্বেচ্ছায় যদি মা-বাবা অথবা আত্মীয় স্বজনকে রেখে আসে তাহলে তাদের থাকা-খাওয়া সেবার জন্য টাকা প্রদান করতে হবে।
- আবার এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে বৃদ্ধদের থাকা খাওয়া কিংবা সেবার জন্য কোন টাকা সেখানে বিনামূল্যে প্রবীনদের রাখা হয়।
- বৃদ্ধাশ্রমের খরচ আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের উপর।যদি বৃদ্ধাশ্রমে আত্মীয় স্বজনদের রাখার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হয় তাহলে তা ৫০০০ থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
- তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যনিয় যে বৃদ্ধাশ্রম একটি মহৎ উদ্যোগে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা দ্বারা এটি পরিচালিত হয় যারা পরিবার বা প্রিয়জনদের দ্বারা পরিত্যক্ত বয়স্কদের বিনামূল্যে দো বাসস্থান এবং সেবা প্রদান করে থাকে।
- বৃদ্ধাশ্রমের খরচ আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের উপর।যদি বৃদ্ধাশ্রমে আত্মীয় স্বজনদের রাখার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হয় তাহলে তা ৫০০০ থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
- তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যনিয় যে বৃদ্ধাশ্রম একটি মহৎ উদ্যোগে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা দ্বারা এটি পরিচালিত হয় যারা পরিবার বা প্রিয়জনদের দ্বারা পরিত্যক্ত বয়স্কদের বিনামূল্যে দো বাসস্থান এবং সেবা প্রদান করে থাকে।
বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা বাড়ছে কেন
- বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এটি জানতে এখন খুব বেশি ঘাটাঘাটি করতে হয় না। বাংলাদেশে তো মানে প্রায় ৩২ টিরও বেশি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যা সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত।
- একটা সময় ছিল যখন যৌথ পরিবারের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি প্রকাশ করত মা বাবা দাদা-দাদী চাচা-চাচি। কিন্তু এমন পরিবার এখন চোখে পরেই না বলতে গেলে।
- এখন সবাই ছোট পরিবারে বসবাস করে। ছেলে মেয়ে আলাদা মা-বাবা আলাদা যার কারণে দায়িত্ববোধ এবং মায়ার টান কমে যায়।
- অনেক গবেষকরা বলে থাকেন এই যৌথ পরিবার গুলোর ভাঙ্গনের ফলেই পারিবারিক বন্ধন অন্য হয়ে যায় যার ফলে সন্তানরা তাদের মা বাবার প্রতি কর্তব্যকে অবহেলা করে। নিজের বাবা-মাকে বোঝা মনে করে। আর এই মানসিকতাই বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ।
উপসংহার
আশা করছি বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রমের সকল ঠিকানা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url