এমবিএ কি – কেন করবেন, ভর্তি যোগ্যতা, সাবজেক্ট ও বেতন

প্রিয় পাঠক আজকের দিনের জনপ্রিয় কোর্সগুলোর মধ্যে এমবিএ হলো অন্যতম। এই কোর্সটি সম্পন্ন করার পর আপনি ভালো পদে চাকুরী পাওয়ার সাথে সাথে নিজেও, নিজের start up শুরু করতে পারবেন। তাই যদি আপনি গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি কমপ্লিট করার পরে এমবিএ করার কথা ভাবেন তাহলে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমবিএ কি – কেন করবেন, ভর্তি যোগ্যতা, সাবজেক্ট ও বেতন

ভূমিকা

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি এমবিএ কি, এমবিএ কেন করবেন, ভর্তি যোগ্যতা, সাবজেক্ট ও বেতন কত? এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

  • এমবিএ এর ফুল ফর্ম হল Master of Business Administration। এটি হলো দুই বছরের একটি কোর্স। এবং দুই বছরের মধ্যে আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর মোট চারটি সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হবে। এই কোর্সের মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং সম্পর্কে শেখানো হয়। এটি হলো পোস্ট গ্যাজুয়েট কোর্স।
  • এই কোর্সের ভর্তি হওয়ার জন্য গ্রাজুয়েশনে ৫০%+ মাক্স এর প্রয়োজন পড়ে। এই কোর্সটি কমার্স আর্টস সাইন্স যে কোন স্টিমের ছাত্ররা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর করতে পারে।
  • তবে এই কোর্সটি তারাই বেশি করে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে ব্যাচেলর অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বা বিবিএ কোর্স এর মাধ্যমে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে।
  • MBA আজকের দিনের জনপ্রিয় কোর্স গুলির মধ্যে একটি। কোন ব্যবসা কে পরিচালনা করার জন্য এবং ভালো পদে চাকরি পাওয়ার জন্য বেশিরভাগ স্টুডেন্ট গ্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর এমবিএ কোর্সটি করছে। এই কোর্সের মাধ্যমে আপনি দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে ভালো পদে চাকরি পাবার সুযোগ পাবেন।

এমবিএ ভর্তি যোগ্যতা

  1. এমবিএ কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যে ডিগ্রীর উপর ছাত্র গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে, সেই সার্টিফিকেট এর ওপর ৫০% নাম্বার থাকতে হবে।
  2. এবং এমবিএ ভর্তি হওয়ার জন্য Entrance Exams দিতে হবে। তারপর সেই দুই রেজাল্ট এর ওপর ভিত্তি করে, নির্দিষ্ট এমবিএ কলেজ এর মধ্যে, নির্দিষ্ট এমবিএ স্টুডেন্ট অ্যাডমিশন নিতে পারবে। এবং এন্ট্রান্স এক্সাম এর নম্বর এর ওপর, নির্দিষ্ট ছাত্র কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে সেটি নির্ণয় হবে।

এমবিএ করতে কত বছর লাগে

এমবিএ কোর্সটি দুই বছরের। এই দুই বছরের মধ্যে, ছয় মাস অন্তর মোট চারটি সেমিস্টার থাকবে। এবং প্রত্যেকটি সেমিস্টারের সাবজেক্ট ভিন্ন হবে। প্রথম বছর সমস্ত স্টুডেন্টদের সাবজেক্ট এক হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে স্টুডেন্ট এর স্পেশালাইজেশন অনুযায়ী সাবজেক্ট বেছে নিতে হয়।

এমবিএ কেন করবেন – এমবিএ করার উপকারিতা
  1. এমবিএ সম্পন্ন করার পর আপনি ভালো পদে চাকরি পেতে পারবেন
  2. দেশের বাইরে এবং দেশের ভেতরে বড় পদে চাকরি পাবেন
  3. সাধারণ কোর্সগুলোর তুলনায় বেতন অনেক বেশি
  4. নিজস্ব start up শুরু করতে পারবেন
  5. এমবিএ করার পর পিএইচডি করে, ভালো কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করতে পারবেন।

এমবিএ খরচ

এমবিএ করার খরচ বিভিন্ন কলেজে বিভিন্ন ধরনের হয়। মোটামুটি ভাবে এমবিএ করতে করতে গেলে আপনার খরচ পড়বে 2 লক্ষ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার মধ্যে।
যদি আপনি দেশের মধ্যে থেকে এমবিএ করেন তাহলে আপনার খরচ কম হবে এবং বিদেশে থেকে পড়াশোনা করলে খরচ অত্যাধিক বেশি হবে। এমবিএ কোর্সের খরচ নির্ভর করে কলেজের প্লেসমেন্ট এবং সুনামের ওপর।

এমবিএ সাবজেক্ট

এমবিএ করা ছাত্রদের দ্বিতীয় বর্ষে তাদের Specialization অনুযায়ী সাবজেক্ট নির্ণয় করা হয়। এমবিএ এর মধ্যে যে সমস্ত বিষয়গুলি রয়েছে সেগুলি হল –Marketing Management
  • Finance
  • Human Resource
  • Supply Chain Management
  • Health Care Management
  • Information Technology (IT)
  • Banking
  • Rural Management
  • Agribusiness Management

এমবিএ এডমিশন কিভাবে নেবেন?

  1. এমবিএ এডমিশন নেওয়ার জন্য আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনি প্রথমে কলেজ নির্বাচন করুন। তারপর আপনার এন্ট্রান্স এক্সাম এর রেজাল্ট, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট এবং অ্যাডমিশন ফি নিয়ে নির্দিষ্ট কলেজে পৌছে যান।
  2. তারপর সেখানে এডমিশন ফরম ফিলাপ করে নির্দিষ্ট কলেজে এডমিশন নিয়ে নিন।
  3. তবে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি হবার আগে অবশ্যই সেই কলেজের প্লেসমেন্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখবেন। না হলে ভবিষ্যতে আপনি অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

এমবিএ বেতন

এমবি ভেতর নির্ভর করে আপনি কোন পদে কাজ করছেন তার ওপর। তবে যদি আপনি নিচে দেওয়া পদগুলিতে কাজ করেন তাহলে আপনার বার্ষিক বেতন হবে 
  1. Finance Manager 9 লক্ষ টাকা
  2. Marketing Manager 10 লক্ষ টাকা
  3. Sales Manager 10 লক্ষ টাকা
  4. Human Resources Manager 4 লক্ষ টাকা
  5. Operations Manager 7 লক্ষ টাকা
  6. Product Manager 15 লক্ষ টাকা
  7. Data Analytics Manager 14
  8. Project Manager 13 লক্ষ টাকা লক্ষ টাকা
  9. Telecom Manager 7 লক্ষ টাকা
তবে সবকিছু নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা এবং কাজের উপর।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি এমবিএ কি – কেন করবেন, ভর্তি যোগ্যতা, সাবজেক্ট ও বেতন ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url