বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় পাঠক বিটকয়েন একাউন্ট খোলার আগে জানতে হবে বিটকয়েন আসলেই কি। চলুন তাহলে জানা যাক বিটকয়েন কি? প্রাথমিক ভাবে বলতে গেলে বিটকয়েন একটি মুদ্রার নাম। এটা এমন একটি মুদ্রা যা কেবল মাএ ডিজিটাল উপায়েই ব্যবহার করতে পারবেন। অনন্যা মুদ্রা: যেমন টাকা, রুপি, ডলার ঠিক তেমনি বিটকয়েনও একটি মুদ্রা।
বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

ভূমিকা

আপনি কি জানে ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা জানলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। সম্প্রতি সময়ে বিটকয়েনের মূল্য আকাশ ছোয়া। যা আপনার কল্পনার বাহিরে। ধারনা করা হচ্ছে যে ২০৫০ সালের দিকে গিয়ে এর মূল্য দ্বীগুন হয়ে যাবে। আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে বিটকয়েন একাউন্ট কেমন করে খুলবে বা মনে হতে পারে একাউন্ট খোলা অনেক ঝামেলা? না বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম অনেক সহজ কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই আপনি চাইলে এই একাউন্টটি খুলতে পারেন। তবে হ্যাঁ বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি coinbase account খুলতে হবে। কেনন বিটকয়েনের wellet আদান প্রদান করে Coinbase Account থেকে।

বিটকয়েন কি?

বিটকয়েন একাউন্ট খোলার আগে জানতে হবে বিটকয়েন আসলেই কি। চলুন তাহলে জানা যাক বিটকয়েন কি? প্রাথমিক ভাবে বলতে গেলে বিটকয়েন একটি মুদ্রার নাম। এটা এমন একটি মুদ্রা যা কেবল মাএ ডিজিটাল উপায়েই ব্যবহার করতে পারবেন। অনন্যা মুদ্রা: যেমন টাকা, রুপি, ডলার ঠিক তেমনি বিটকয়েনও একটি মুদ্রা টাকা, রুপি ও ডলার হাত দিয়ে ধরে অনুভব করা যায় ।

ইচ্ছা মতো খরচ করা যায় কিন্তু বিটকয়েন মুদ্রা গুলোকে আপনি হাত দিয়ে ধরে অনুভব করতে পারবেন না তাই এই বিটকয়েনকে digital currency বলে। অনেকেই আবার ইলেকট্রনিক মুদ্রাও বলে থাকে এই বিটকয়েনকে।bitcoin একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এর কোনো মালিক নেই।অনেকেই হয়তো অভাগ হতে পারেন এটা কেমন করে সম্ভব একটা ছোটো উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন।

ইন্টারনেট যেমন কোনো মালিক নেই কিন্তু সবাই সুবিধা নিচ্ছে। তেমনি বিটকয়েনের সুবিধাও চাইলে সবাই নিতে পারবে। কিন্তু তার জন্য একটা বিটকয়েন একাউন্ট প্রয়োজন।বিটকয়েন একাউন্ট খোলার আগে আমাদের আরও জানতে হবে এই বিটকয়েন একাউন্ট খোলার সুবিধা কি কেন আমরা এই একাউন্ট খুলবো বা বিটকয়েন থেকে কীভাবে উপার্জন করবো।

১ বিটকয়েন সমান কতো টাকা। তাহলে চলুন এবার জানা যাক ১ সমান কত টাকা।

এক বিটকয়েন সমান কত টাকা?

আপনি কি জানে ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা জানলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। সম্প্রতি সময়ে বিটকয়েনের মূল্য আকাশ ছোয়া। যা আপনার কল্পনার বাহিরে। ধারনা করা হচ্ছে যে ২০৫০ সালের দিকে গিয়ে এর মূল্য দ্বীগুন হয়ে যাবে।২০০৯ সালের ১ ডলার ১৩০৯ বিটকয়েন কিনা যেতো আর তখনকার সময়ে ১ ডলার সমান ছিলো ৬৭.৪ টাকা তো আশা করি বুঝতে পারছেন ।

২০০৮ সালের দিকেও বিটকয়েনের দাম ছিলো অনেক কম। ২০০৯ থেকে ২০২১ মাএ ১২ বছরের ব্যবধানে আজ ১ বিটকয়েন সমান ৪০,০০০ মার্কিন ডলার।বাংলাদেশের টাকাই প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা দিন দিন এর মূল্য বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালে যেই ১ বিটকয়েন সমান ছিলো ৫ পয়সার কিছু বেশি সেই ১ বিটটকয়েন সমানই আজ লক্ষ লক্ষ টাকা তাহলে একবার গভীর ভাবে ভাবেন তো তখন যারা ।

বিটকয়েন কিনতে তারা আজ কত কোটি টাকার মালিক আপনার কল্পনাতেও আসবে না।বিটকয়েনের মূল্য সবসময় এক থাকে না এর মূল্য উঠানামা করে। বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে বিটকয়েন অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাহলে চলুন এবার জানা যাক বিটকয়েন একাউন্ট খোলবেন কেমন করে বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?

বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে বিটকয়েন একাউন্ট কেমন করে খুলবে বা মনে হতে পারে একাউন্ট খোলা অনেক ঝামেলা? না বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম অনেক সহজ কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই আপনি চাইলে এই একাউন্টটি খুলতে পারেন। তবে হ্যাঁ বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি coinbase account খুলতে হবে।

কেনন বিটকয়েনের wellet আদান প্রদান করে Coinbase Account থেকে।Coinbase Account এ বিটকয়েন শুধু বিটকয়েন নয় আপনি চাইলে অনেক Online Wallet USE করতে পারেন। চলুন তাহলে আমরক জেনে নেই Coinbase Account কীভাবে খুলবেন।Coinbase একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে coinbase.com এই ওয়েবসাইট যেতে হবে।

  1. Coinbase website এ গেলে আপনি দেখতে পারবেন Get started নামে একটি অপশন, ঐই get started option এ ক্লিক করবেন।
  2. তারপর দেখতে পারবেন একটি র্ফম আসবে সেখানে আপনার fast name last name email address password দিতে হবে।
  3. I certify that i am 18 years of ages এই অপশনে ক্লিক করে ধারাবাহিক আপনার কাজগুলো করতে হবে।
  4. তারপর আপনাকে Email address verify করতে হবে। করার সাথে সাথেই আপনার email এ একটি ভেরিফাই যাবে Coinbase থেকে। এবং আপনাকে ইমেইল এ ভেরিফাই করতে হবে। তারপর আপনার সামনে পেজ চলে আসবে সেখানে আপনার ফোন নাম্বার দিতে হবে।
  5. আপনার মোবাইল ফোনে মেসেজে একটি code যাবে ঐকোর্ডটি submit অপশনে গিয়ে submit করে দেন।Congresstion আপনার কয়েনবেস বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলা সম্পর্ন হয়েছে। এবার আপনি আপনার বিটকয়েন একাউন্ট এর হোম পেজ এ জান এবং আপনার প্রোফাইলে সকল তথ্য দিন। এভাবে আপনি খুব সহজেই বিটকয়েন একাউন্ট খুলতে পারেন। আশা কোনো সমস্যা হবে না।

বিট কয়েন এর দাম

  • বর্তমানে ১টি বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ২৩৫.৬০ ডলার
  • অর্থাৎ 1 BITCOIN = $235.60
  • এ দাম প্রায় প্রত্যেক দিন বাড়ছে আর কমছে তাই কেউ এর সঠিক দাম বলতে পারবে না।
বিট কয়েন লেনদেন
  1. বিট কয়েন লেনদেন অনেকটা পেইজা, পেপাল, মানি বুকার্স লেনদেন এর মত,
  2. অথ্যাৎ আপনার একটা ওয়ারলেট বা বিট কয়েন জমার একাউন্ট থাকবে যেখানে আপনার সকল বিট কয়েন জমা থাকবে।
  3. আপনি আপনার প্রয়োজন মত সেই কয়েন তুলতে পারবেন।
আয় কি ভাবে করবেন
  • আপনার যে ওয়ারলেট বা বিট কয়েন জমার একাউন্ট আছে সেটা থেকে বিট কয়েন অ্যাড্রেস তৈরি করে সেই অ্যাড্রেস অন্যান্য বিট কয়েন ইনকাম করার সাইটে দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করে দিলে তারা তাদের হিসাব মত বিটকয়েন আপনাকে দিবে।
  • সেই বিট কয়েন আপনার ওয়ারলেট বা বিট কয়েন জমার একাউন্ট যোগ হয়ে যাবে।
কি কাজ করতে হয়
  • এড দেখে ইনকাম করতে পারেন,
  • গেম খেলে ইনকাম করতে পারেন,
  • ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারেন,
  • রেজিষ্টেশন করে ইনকাম করতে পারেন,
  • রেপারেল করে ইনকাম করতে পারেন,

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বিটকয়েন কি বাংলাদেশের জন্য বৈধ? অতি দুঃখ জনক হলেও সত্যি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে বিটকয়েনকে সর্ম্পন রুপে অবৈধ হিসেবে ঘোষনা করে বাংলাদেশে। যদিও আমাদের বাংলাদেশে বিটকয়েন বেচাকেনা নিতান্তই কম তবুও বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী বিটকয়েন সংরক্ষণ ও কেনাবেচা একদম নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

২০১৭ সালেও বিটকয়েনর লেনদেন সম্পর্কে সর্তক জানিয়ে একটি বিজ্ঞপি প্রকাশ করেছেন।বিবিসি বাংলাকে বাংলাদেশের ব্যাংকের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন বিটকয়েনের কোনো অনুমোদন বাংলাদেশে দেওয়া হয়নি কারন ভার্চুয়াল মুদ্রা অথাৎ বিটকয়েন লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে ।

এর ফলে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ সম্মুখীন হতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশে এর কোনো অনুমোদন নেই তাই জাতীয় ভাবে এটি বৈধ নয়।বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছেন এই ধরনের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে। এবং আরও বলেছেন যদি আমাদের কাছে এ ধরনের লেনদেনের নোটিশ আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের পরিচালক বলেছেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েন লেনদেনের ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা করেননি তবে অতি এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।
বিটকয়েন থেকে বিকাশ

আামাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা বিটকয়েন জমিয়েছে কিন্তু বুঝতে পারছে না বিটকয়েন থেকে কীভাবে বিকাশে কনভার্ট করবে। খুব সহজেই আপনি চাইলে বিটকয়েন থেকে বিকাশে টাকা নিতে পারেন কিন্তু এই বিষয়ে আপনাকে একটু সর্তক থাকতে হবে নয়তো আপনার সকল প্রকার কষ্ট বিফলে যাবে। পৃথীবিতে দিন দিন ভার্চুয়াল কারেন্সি বা বিটকয়েন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

তবে বিটকয়েনকে কনভার্ট করে বিকাশে টাকা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি ডলার বাই-সেল ওয়েবসাইট রয়েছে অনেকগুলো। যে ওয়েবসাইটগুলো মাঝ্যমে আপনি চাইলে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট করে বিকাশে টাকা নিতে পারবেন। তবে সব ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি ১০০% পেমেন্ট পাবেন না কারন এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ফেইক বা স্ক্যাম হয়ে থাকে।

আপনি একটি কাজ করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি ১০০% পেমেন্ট পেতে পারেন কাজটি হচ্ছে। যদি আপনার কাছে 100 ডলার থাকে, তাহলে সেখান থেকে 10/20 ডলার করে বিক্রি করে যদি ভালো পেমেন্ট পান এবং আপনার বিশস্ত মনে হয় তাহলে আপনার বিটকয়েনগুলো সেল করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারেন।

তবে আমার জানা Pay2change.com অনেক ভালো পেমেন্ট দিয়ে আসছে। Pay2change.com ওয়েবসাইটটিকে বলার কারণ হচ্ছে- এটির অসংখ্য পজিটিভ রিভিউ রয়েছে এবং ডলার রেটও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক ভালো দিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে এখান থেকে বিটকয়েন সেল করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারেন।

  1. আশা করি ইতিমধ্যেই আপনি বুঝতে পারছেন বিটকয়েন থেকে কীভাবে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
  2. বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম ও কীভাবে বিকাশে পেমেন্ট নিবেন এইসব নিয়ে যদি আপনাদের আরও কিছু জানার বা কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট জানাবেন আমরা পরবর্তীতে উওর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

বিটকয়েন এর সুবিধা অসুবিধা

বিটকয়েনের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে যা নিচে বর্ণনা করা হলো।
  1. সুবিধা শক্তিশালী নিরাপত্তাঃ নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিটকয়েন সবার উপরে। কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না জন্য এত কোন সিকিউরিটি সমস্যা হয় না।
  2. এক্সট্রা চার্জ নেইঃ বিটকয়েন লেনদেন করার জন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয় না।
  3. ওপেনসোর্সঃ এটি একটি ওপেনসোর্স প্রোজেক্ট। অর্থাৎ বিটকয়েন সার্ভিস আপনি একদম ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারবেন, এখানে কোন গোপন ফি নেই।
  4. গ্লোবাল সাপোর্টঃ ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপি বিটকয়েন বৈধতা পাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সব ধরনের কেনাকাটা করার জন্য মানুষ এই কয়েন সিস্টেম ইউজ করবে।
  5. দ্রুত ট্রানজেকশনঃ Peer-To-Peer কানেকশন ইউজ করে ট্রানজেকশন হয় জন্য অনেক দ্রুত গতিতে কয়েন এক ওয়ালেট থেকে অন্য ওয়ালেটে ট্র্যান্সফার হয়।
  6. অসুবিধা অনেক দেশে অবৈধঃ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে বিটকয়েন তথা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে লেনদেন করা অবৈধ। এটি ব্যবহারের কারণে আপনি জেলেও যেতে পারেন।
  7. রিস্কিঃ ধরুন কোন কারণে ট্রানজেকশন অসম্পূর্ণ হয়ে গেল। তখন কিন্তু আপনার ওয়ালেট থেকে সেন্ড করা কয়েন আর ফেরত পাবেন না। অতএব প্রতিটি লেনদেন অনেক সতর্কতার সাথে করতে হয় যা অনেক রিস্কি।
  8. রিকভারি করা যায় নাঃ বিটকয়েন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকে। কোন কারণে সে ডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলে কোন ভাবেই কয়েন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
  9. অস্থিতিশীল বাজার মূল্যঃ মার্কেট ট্রেন্ডের উপর নির্ভর করে বিটকয়েনের দাম কবে এবং বারে। অর্থাৎ বিটকয়েনের মূল্যের স্থিতিশীলতা নেই।
  10. বিটকয়েন অনেক প্রচলিত কারেন্সি। যেভাবে এটি পুরো সমাজকে লিকুইড মানির দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাতে খুব বেশি দিন লাগবে না আমরা ক্যাশ লেস সোসাইটিতে প্রবেশ করে ফেলব। এই লেখায় বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
একটি বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট খুলতে কী দরকার?
  • একটি বিটকয়েন ওয়ালেট খোলা সহজ, প্রায় আপনার ফোন বা ল্যাপটপে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার মতোই। আপনাকে যা করতে হবে তা হল ইয়েলো কার্ড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ অ্যাপ ডাউনলোড করুন প্রথমে এবং আপনি একবার ইন্সটল ও সাইন আপ করলে আপনি একটি বিনামূল্যের বিটকয়েন ওয়ালেট পাবেন।
একটি বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট খুলতে আমার কত টাকা লাগবে?
  1. সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে মাত্র কয়েক ডলার লাগে। বেশিরভাগ ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ, উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্বনিম্ন ট্রেড থাকে যা $5 বা $10 হতে পারে। অন্যান্য ক্রিপ্টো ট্রেডিং অ্যাপের মূল্য আরো কিছুটা কমও হতে পারে।
আমি কীভাবে বিটকয়েনকে নগদ টাকায় রূপান্তর করব?
  • ব্রোকার এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে আপনি আপনার বিটকয়েনকে নগদে রূপান্তর করতে পারবেন। আপনি কোন তৃতীয় পক্ষের ব্রোকার এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করতে চান তা প্রথমে স্থির করুন৷
  • সাইন আপ করুন এবং ব্রোকারেজের যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।
  • আপনার অ্যাকাউন্টে বিটকয়েন জমা দিন (বা কিনুন)।
  • আপনার বিটকয়েনকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বা পেপাল অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে ক্যাশ আউট করুন (কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
একটি বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট কি বিনামূল্যে পাওয়া যায়?
  • বিনামূল্যে বিটকয়েন মানিব্যাগ আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনের জন্য সমস্ত অপারেটিং সিস্টেম এবং ডিভাইসের জন্য ফ্রি উদাহরণস্বরূপ, আপনি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আপনার মোবাইল ডিভাইসে একটি অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন বা আপনার কম্পিউটারে শুধুমাত্র অনলাইন অর্থপ্রদানের জন্য একটি ওয়ালেট রাখতে পারেন।
আমি কি বিটকয়েন থেকে টাকা তুলতে পারবো?
  1. আপনার তহবিল ক্যাশ আউট করার জন্য, আপনাকে প্রথমে নগদের জন্য আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রি করতে হবে, তারপর আপনি হয় আপনার ব্যাঙ্কে তহবিল স্থানান্তর করতে পারেন বা আরও ক্রিপ্টো কিনতে পারেন। আপনি নগদে কত ক্রিপ্টো বিক্রি করতে পারবেন তার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।

উপসংহার

আশা করছি বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url