চাকুরি না ব্যবসা কোনটা ভালো
প্রিয় পাঠক চাকুরি না ব্যবসা কোনটা ভালো প্রথমত, যদি আপনার বিনিয়োগ করার মতো অর্থ থাকে তাহলে নিজের ব্যবসা। দ্বিতীয়ত, যদি আপনার বিনিয়োগ করার মতো অর্থ না থাকে তাহলে একটি ভালো চাকুরী। তৃতীয়ত, কিছু দিন একটি চাকুরী করে কিছু টাকা সঞ্চয় করার পর নিজের ব্যবসা শুরু করা। চাকুরি না ব্যবসা কোনটা ভালোসম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভূমিকা
ব্যবসা বা চাকরি আপনি করতে পারেন। আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে, কোন কাজটা আপনি ভালো পারেন, কোন কাজে বেশি আনন্দ পান, কোন কাজে নিজের দক্ষতা ও মেধাকে সেবায় রূপান্তরিত করতে পারেন। সেটা খুঁজে বের করতে হবে আপনি যদি চাকুরী করেন তাহলে মাস শেষে আপনাকে একটি নিদেষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু আপনি যদি নিজের একটি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তখন টাকার কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
চাকরি কী
চাকরি হলো অন্যের অধীনে থেকে কাজ করে মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট বেতন পাওয়া। এটা আপনার জন্য চাকরি হতে পারে,কিন্তু অন্য কারো জন্য ব্যবসা।অর্থাৎ আপনি অন্য কোন ব্যক্তির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যেই অর্থ পান সেটাই আপনার জন্য চাকরি।আপনি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করে মাস শেষে বেতন পাবেন। কোম্পানির লস হোক বা লাভ,আপনার উপর কোন দায় থাকবে না বা আপনি কিছু বহনও করবেন না।সবকিছু মালিক বহন করবে।আপনি কেবল আপনার প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কাজ করে বেতন পাবেন।
ব্যবসায় কী
ব্যবসায় হলো নিজে পরিচালনা করে কোন কাজ করা এবং অন্যদের নিজের প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।অর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠানের লাভ-লোকসান সব একাই বহন করা।নিজেই সব কিছুর সিদ্ধান্ত নেওয়া।এতে কারো কাছে জবাবদিহি করার সু্যোগ নেই।আমি নিজেই সব কিছুর মালিক।ব্যবসায়ে নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই।
ব্যবসায় করার মাধ্যমে আরো অনেক মানুষের কাজের সু্যোগ সৃষ্টি করা যায়।
ব্যবসায় কোন সময় নির্ধারিত করা থাকে না
যদি আপনার নিজের একটি ব্যবসা থাকে তাহলে আপনার জন্য সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আপনি যদি চাকুরী করেন তাহলে আপনাকে নিয়োগ কর্তাদের দ্বারা নির্ধারিত সময় মেনে চলতে হবে। যা সাধারণত ৮ ঘন্টা হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যবসা করলে সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি চাইলেই কম সময় কাজ করতে পারেন।
আবার চাইলে বেশি সময় ধরেও কাজ করতে পারেন। যা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে।
আপনার বস আপনি নিজেই
যদি আপনি একটি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে আপনার নিজের বানানো নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন ধারণা বাস্তবায়নের জন্য বসের নিদের্শের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ব্যবসার ক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনি চাইলে নির্দিষ্ট নিয়ম বা সীমার বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু চাকুরীর ক্ষেত্রে এই সুযোগ নেই।
চাকুরীর ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হলো আপনাকে আপনার বসের জিজ্ঞাসিত প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি একট ব্যবসার মালিক হন তাহলে আপনাকে প্রশ্ন করার মতো কেউ থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য
ঝুঁকি
- ঝুকির দিক থেকে চাকরি ও ব্যবসায়ের মধ্যে সবথেকে বেশি পার্থক্য। কারন ব্যাবসায়ে আছে অনেক বেশি ঝুঁকি। আর চাকরি তে ঝুঁকি নেই বললেই চলে।কারন চাকরি অন্য মালিকের অধীনে থেকে করতে হয়।তাই ঝুঁকিও সবকিছু মালিক বহন করে থাকে।আমরা শুধুমাত্র আমাদের নির্দিষ্ট কাজটুকু করে বেতন পেয়ে থাকি।প্রতিষ্ঠানের কোন দায় আমাদের উপর পরে না।লাভ হলেও মালিক তা একা ভোগ করে আবার লস হলেও মালিক তা একা বহন করে থাকে।অপরদিকে ব্যবসায় সবকিছু নিজে বহন করতে হয়।লস হলেও নিজে বহন করতে হয় আবার লাভ হলেও নিজেই ভোগ করে থাকি।ব্যবসায় মানেই ঝুঁকি। আজ লাভ হচ্ছে তো কাল লস হতে পারে।এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
অর্থ
- আপনি কাজে যতই পারদর্শী থাকেন,মাস শেষে আপনি একটি নির্দিষ্ট বেতনই পেয়ে থাকবেন।আর প্রোমোশন পেতে হলেও আপনাকে নির্দিষ্ট বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আর ব্যবসায়ে আপনার অর্থ উপার্জনের কোন শেষ থাকবে না।অনেক অল্প সময়ে আপনি অনেক টাকা আায় করে ফেলবেন যা আপনি বুঝতেও পারবেন না।ব্যবসায়ে কোন নির্দিষ্ট বেতন নেই।এখানে অর্থ উপার্জনের কোন সীমা থাকবে না।
পরিশ্রম
- চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনি একটি সীমিত সময় ধরে সীমিত পরিশ্রমে কাজ করে যাবেন।এবং আপনার দৈনিক কাজ ও মাসিক ছুটি নির্ধারণ করা থাকবে।কিন্তু একটি ব্যবসায় সফল ভাবে দাঁড় করাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।এখানে কাজের কোন সীমা নেই বা ছুটির ও কোন সীমা নেই।এমনও হতে পারে আপনাকে প্রতিদিনই কাজ করে যেতে হবে।
স্বাধীনতা
- ব্যবসায়ে আছে নিজের ইচ্ছেমতো স্বাধীনতা। নিজের ইচ্ছেই সবকিছু করা যেতে পারে।যখন ইচ্ছে তখনই ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারে আবার স্বাধীনভাবেই সব সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে।কিন্তু একজন সফল ব্যবসায়ী তা কোনভাবেই করবে না।কারন একদিনের ছুটি মানে তার ব্যবসায়ের অনেক বড় ক্ষতি।অন্যদিকে একজন চাকরিজীবি স্বাধীন ভাবে কোন কিছু করতে পারে না।মালিকের সিদ্ধান্তকেই তার মেনে নিতে হয়।তার ইচ্ছেমতো সে কোন কিছু করতে পারে না।
দায়িত্ব
- একজন ব্যবসায়ীর উপর অনেক দায়িত্ব থাকে।কিভাবে ব্যবসায়কে ভালো একটা অবস্থানে নেওয়া যায় এবং ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা যায় এসব দিক দিয়ে অনেক ভাবতে হয়।আর যেহেতু সে নিজেই মালিক তাই প্রতিষ্ঠানের সকল দায়িত্ব ও তার উপরই থাকে।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া
খাবারের হোম ডেলিভারি:
- আজকের কর্মব্যস্ততার যুগে বাড়িতে রোজ রান্না করার সুযোগ হয় না অনেকেরই, আবার প্রতিদিন হোটেলের খাবারও খেতে চান না বেশিরভাগ। এই চাহিদা মেটাতেই শুরু হয়েছিল খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা। নিজের বাড়িতে রান্না করে পৌঁছে দিন বাড়ি বাড়ি, সময়ে মতো সুস্বাদু খাবার দিতে পারলে ব্যবসার অভাব হবে না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যবসার সুযোগ বেশি। শহরের বাইরে থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই রোজকার রান্না করতে চান না, সেক্ষেত্রে তাঁরা নির্ভর করেন হোম ডেলিভারির ওপর। এছাড়া অনেক ছোট পরিবারও রোজকার খাবারের জন্য হোমডেলিভারির খাবারের ওপরই নির্ভর করেন। ১০হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা
দর্জির দোকান:
- ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে ভাবতে পারেন দর্জির দোকানের কথা। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই থাকতে হবে উপযুক্ত দক্ষতা ও সৃজনশীলতা। নিজের বাড়ি থেকেও এই ব্যবসা করতে পারেন। ক্রেতার বাড়ি গিয়ে ডিজাইন আর মাপ নিয়ে এসে বাড়িতে বসে বানিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসুন ক্রেতার বাড়িতে। অনলাইনে বহু নতুন নতুন অভিনব ডিজাইন পাওয়া যায়, সেখান থেকে নিজের পছন্দ মতো ক্যাটালগ তৈরি করে নিন।
বিউটিশিয়ান:
- উপযুক্ত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকলে অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করা সম্ভব। প্রথমেই কিনে ফেলুন প্রাথমিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। বাড়িতে গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিওর, ম্যানিকিওর, অয়েল ম্যাসাজ বা ওয়্যাক্সিংয়ের মতো পরিষেবা দিন ক্রেতাকে। অনেকে বিউটি পার্লারে না গিয়ে বাড়িতেই এই সমস্ত পরিষেবা পেতে পছন্দ করেন। পরিষেবার মান ভাল হলে লোক মুখেই প্রচার হবে। তৈরি করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটও। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
নাচ, গান বা আঁকার স্কুল:
- আপনার যদি এর মধ্যে কোনও একটি দক্ষতা থাকে তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় বিনিয়োগ ছাড়াই আয় করতে পারবেন। আপনার বাড়িতেই এই স্কুল খুলতে পারেন, বা ভাড়া করতে পারেন কোনও ঘর। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়েও শেখাতে পারেন গান, নাচ বা আঁকা। এর জন্য আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল আর দায়িত্ববান। এই ব্যবসার প্রচার মূলতঃ হয় লোকমুখে। তাই আপনি যদি ছাত্রছাত্রীদের খুশি করতে পারেন তাহলে তাদের থেকে শুনেই নতুন ছাত্রছাত্রী আসবে।
ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং:
- ইংরেজিভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কাজ পাওয়া সহজ। ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করে আয়ও হবে ভালই। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটের মাধ্যমে এই কাজ পাওয়া যেতে পারে। ইদানিং আঞ্চলিক ভাষায়ও কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এই লেখার নিজস্ব কিছু কৌশল রয়েছে, যেমন সার্চ ইঞ্জিনে যাতে আপনার লেখা ওপরের দিকে স্থান পায় তার জন্য জানতে হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কৌশল। তবে চর্চা করলে রপ্ত করে নেওয়া কঠিন হবেনা। ভাষার ও শব্দভাণ্ডারের ওপর দখল থাকাই এই ব্যবসায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। বিনা বিনিয়োগে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়।
ইউটিউব চ্যানেল:
- অনলাইনে আয় করার আরও একটি সহজ উপায় ইউটিউব চ্যানেল। শিক্ষামূলক থেকে রান্না শেখানো, লাইফ হ্যাকস্ থেকে বেড়ানো, বিষয় হতে পারে যে কোনও। চ্যানেলের ফলোয়ার বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। স্মার্টফোনে ভিডিও তুলেও আপলোড করতে পারেন চ্যানেলে। তবে শব্দ ও ছবির গুণমান ভাল হওয়া জরুরি। ভিডিওর যথেষ্ট ভিয়্যু হলে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাবেন।
গ্রাফিক ডিজাইনিং:
- বলা হয় পূর্ণ সময়ের চাকরির চেয়ে নিজের ব্যবসায় আয় বেশি করেন গ্রাফিক ডিজাইনাররা। কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার থাকলে ১০,০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বস্তুতঃ আলাদা কোনও অফিসেরও প্রয়োজন নেই, ব্যবসা করতে পারেন ঘরে বসেই। অর্ডার পেতে পারেন অনলাইনে অথবা চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যাদের নিয়মিত গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কাজের প্রয়োজন। আজকের ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক ডিজানিংয়ের কাজের সুযোগ প্রচুর।
ওয়েডিং প্ল্যানার:
- বিয়েবাড়ি ভাড়া করা থেকে ডেকরেশন, খাওয়া দাওয়া থেকে বিয়ের কার্ড ছাপান, কনের সাজ থেকে ফটোগ্রাফি বিয়ের ঝক্কি অনেক। আজকের ছোট পরিবার আর ব্যস্ততার যুগে এই সব কাজ সুষ্ঠভাবে করার লোক কমে আসছে। অথচ এই বিশেষ দিনটির জাঁকজমক নিয়ে আপস করতে চান না কেউই, আর তাই বাড়ছে ওয়েডিং প্ল্যানারদের চাহিদা। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম এই ব্যবসা। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রয়োজন একটা আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট আর যোগাযোগ।
মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা:
- কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা করতে হলে বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দেওয়া একটা সহজ উপায়। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। শহরাঞ্চল ও শহরতলিতে বহু পরিবারই পানির জন্য নির্ভর করে এই পানি বিক্রেতাদের ওপর। এই কাজ পরিশ্রমসাধ্য, ভ্যানে করে পানির ড্রাম টেনে নিয়ে যেতে হয় এ পাড়া থেকে ও পাড়া।
মোবাইল রিচার্জের দোকান:
- অনলাইন রিচার্জের যুগেও বেশিরভার উপভোক্তাই এখনও স্থানীয় দোকানে গিয়ে মোবাইল রিচার্জ করতেই বেশি সচ্ছন্দ, তাই পাড়ায় একটি ছোট দোকান ঘর ভাড়া করে কম খরচে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে, জেনে নিতে হবে কমিশন রেট। বাজারে দোকান না কিনে পাড়ার ছোট দোকার ঘর ভাড়া নিলে ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু সম্ভব।
টিফিন ডেলিভারি:
- খাবারের হোম ডেলিভারির মতোই আরেকটি লাভজনক ব্যবসা টিফিন ডেলিভারি। পরিবারের সকলকেই যখন কাজে বেরোতে হয়, অফিসে যাওয়ার আগে টিফিন তৈরি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় কারোও পক্ষেই সম্ভব হয় না। আর তাই আপনি যদি উন্নত গুণমানের ঘরে তৈরি খাবার পৌঁছে দিতে পারেন অফিসে তাহলে বিক্রি হবে ভালই। খাবার পৌঁছতে হবে অফিস এলাকায়, তার জন্য লোক রাখতে পারেন। ১০ হাজারা টাকায় ব্যবসা শুরু করে লাভের মুখ দেখুন প্রথম মাসেই।
চায়ের দোকান:
- চায়ের দোকান খুলতে ভাড়া করতে হবে একটা ছোট দোকান ঘর বা স্টল বসানোর জায়গা, কিনতে হবে কিছু বেঞ্চ আর টেবিল। ১০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে পুরোটাই। আর পাঁচটা চায়ের দোকানের থেকে খানিক আলাদা ভাবে সাজিয়ে নিন আপনার দোকান। দেওয়ালে ছবি আঁকাতে পারেন, বা টেবিল-বেঞ্চের রঙে আনতে পারেন নতুনত্ব। দোকানের অন্দরসজ্জাই এক্ষেত্রে হবে প্রধান। পাশাপাশি ভাল মানের চা যদি কম দামে বিক্রি করতে পারেন ব্যবসা বাড়বে। সঙ্গে মুখরোচক কিছু স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন।
উপসংহার
আশা করছি চাকুরি না ব্যবসা কোনটা ভালো ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url