মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
প্রিয় পাঠক আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারি? মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব? আমার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই, তাহলে কি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় এমনিতে অনেক রয়েছে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
ভূমিকা
যদি আপনার হাতে একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন রয়েছে, তাহলে আপনি এটি দিয়ে অনলাইনে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।এরকম মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার জনপ্রিয় এবং সেরা উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ওআপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও করেও টাকা ইনকাম সম্ভব।
কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারে যেকেউ।ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত।
একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃবিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইমমোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবারউল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব।এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর আরো পথ তো থাকছেই।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ব্লগিং অনলাইনে টাকা আয়ের এর কতটা জনপ্রিয় উৎস একথা এখন অনেকেরি জানা। ব্লগিং একটি মুক্ত পেশা। চাকরিজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী আপনি যেই হোন না কেন দিনের নির্দিষ্ট সময়ে 2 থেকে 3 ঘন্টা সময় বের করতে পারলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং একজন ব্লগার।মোবাইল দিয়ে আমি আমার ।
ব্লগিং শুরু করি, বর্তমানে আমি ব্লগিং থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করেছি এবং একটি কম্পিউটার নিয়েছি।আপনি ও আপনার জীবনের প্রথম ব্লগ টি মোবাইল দিয়ে তৈরি করতে পারেন। গুগলের ফ্রি প্লাটফর্ম ব্লগস্পট ব্যবহার করে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে হবে।একটি ফ্রি ব্লগ তৈরী করার পর আপনি ব্লগের জন্য একটি ভালো থিম নির্বাচন করে থেকে সুন্দরভাবে ।
কাস্টমাইজেশন করে নিবেন। ব্লগ টি তৈরি করার পর আপনি রেগুলার ( দিনে ১ টি, ২ দিন পর পর ১ টি অথাবা সপ্তাহে ২ টি) নতুন এবং ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিস্ট করবেন আপবার ব্লগে। আপনার লেখা ব্লগ পোষ্ট গুলো যদি কপি-পেস্ট না হয় তাহলে আপনার ব্লগ টি গুগলে রেঙ্ক হবে এবং আপনি পর্যাপ্ত পরিমান ভিজিটর পাবেন একটি ব্লগে আশা ভিজিটরকে আপনি নানা ।
উপায়ে মনিটাইজ করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মনিটাইজেশন পদ্ধতি গুগল এডসেন্স।গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে গুগলের কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে, তবেই আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।#ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা পদ্ধতি গুলি হচ্ছে
- গুগল এডসেন্স
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- পেইড রিভিউ
উপরে উল্লেখিত তিনটি মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জনকেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকেন।আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো ।
একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলো
- কনটেন্ট রাইটিং
- ট্রান্সলেশন
- কপিরাইটিং
- ব্লগ কমেন্টিং
- ফোরাম পোস্টিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রুফরিডিং
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
- ট্রান্সক্রিপশন
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় সবাই বিভিন্ন সময় নানা প্রয়োজনে কিংবা শখের বশে ছবি তুলে থাকে। আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন শখের মোবাইল ফটোগ্রাফার, তাহলে আপনার সামান্য একটু পরিশ্রম আপনার শখ কে টাকা ইনকাম এর মাধ্যমে পরিণত করতে পারে।এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমি ছবিগুলা কোথায় বিক্রি করব।
আমার মোবাইল ফটোগ্রাফি কে বা কিনবে? আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রির জন্য বেশকিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে একটু পর আলোচনা করব।আর আপনার মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফির ক্রেতা হবে তারা যাদের কম বাজেটের ছবি দরকার। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে সেখানে বেশকিছু ফটোগ্রাফ ।
দরকার কিন্তু আপনি ফটোগ্রাফি তেমন ভাল বোঝেন না অথবা ফটোগ্রাফার ভাড়া করে ছবি তুলতে গেলে বাড়তি টাকা এবং পরিশ্রম দরকার। আপনি আপনার টাকা আর সময় বাঁচাতে কোন একটা ওয়েবসাইট থেকে ছবি কিনে ফেললেন। এভাবেই ওয়েবসাইটগুলোর ছবিগুলো বিক্রি হয়।এবার ছবি বিক্রির ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির জন্য বেশকিছু সাইট রয়েছে যেমন
- AGORA Images
- Clashot
- শাটারস্টক
- ফোপ
- আইএম
- স্ন্যাপওয়্যার
- ড্রিমসটাইম
উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ছবি বিক্রি এবং টাকা উত্তোলনের জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।অনলাইন টিউশান এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন, যা বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী ।
সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেও আয় করতে পারেন।ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে, তাও মোবাইল দিয়েই। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন টিউশন দিনে দিনে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশ অনলাইন টিউশন নিয়ে কাজ করছে এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো
- bdtutors.com
- Deshtutor.com
- Tutorsheba.com
- Bdhometutor.com
ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম
ব্যাংক যে টাকা রাখার বিনিময়ে সুদ প্রদান করে, এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ লাভ করতে প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ। এছাড়া অনেকে সুদ অপছন্দ করেন। ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে লাভ দিতে পারে।
ইনভেস্টমেন্ট সাইট অনেক থাকলেও।
অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা। তাই যেকোনো ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যেকোনো অংকের অর্থ ইনভেস্ট এর আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, সাইটটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিলো। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুক এর অসংখ্য ইউজার রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীই হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার।ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে ।
কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের ক্যাটালগে এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব, সেসব জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবেনা।বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো ।
থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেসবুক বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর একটি। ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বিনোদন এবং তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে হিসেবেও ভূমিকা রাখছে।আপনার আশেপাশে সবাই যখন ফেসবুকে সময় নষ্ট করছে, আপনি ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম এর জন্য অবশ্যই আপনার পেইজের ফলোয়ারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় এমন কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।আর ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন:ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ১০,০০০ হাজারের বেশি হতে হবে।পেইজটির ভিডিও গুলোতে গত ৬০ দিনে কমপক্ষে ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে।
ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য তিন মিনিটের বেশি হতে হবে এবং কমপক্ষে ১ মিনিট ধরে দেখতে হবে।
ফেসবুক থেকে ইনকাম এর বেশ কয়েকটি মডেল রয়েছে। যেমন :
- In-Stream Ads
- Fan Subscription
- Branded Content
- Subscription Groups
দিন দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, এতে করে আপনার ইনকাম এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ফেসবুক থেকে ইনকাম ইউটিউব এর ইনকাম এর তুলনায় কিছুটা কম। তবে আমার ধারণা কিছুদিনের মধ্যে পার্থক্য কমে যাবে। ফেসবুক থেকে ইনকাম এর জন্য ইউটিউব এর মত বেশকিছু স্ট্যান্ডার্ড কন্ডিশন মেইনটেইন করতে হবে।
এছাড়াও, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুক পেজকে ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি একটি ই-কমার্স সাইটের পরিবর্তে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ঠিকঠাক ফেসবুক মার্কেটিং প্রয়োজন। আপনার ফেসবুক পেজকে চালানোর জন্য কোন কম্পিউটারের দরকার হবে না। মোবাইল ফোনে শুধুমাত্র পেজ ম্যানেজার অ্যাপটি ইন্সটল করে নিলেই হবে।
মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
হ্যাঁ, বিকাশ অফার থেকেও মোবাইলে টাকা ইনকাম সম্ভব। বিকাশ থেকে টাকা আয় করা অত্যন্ত সহজ। মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশ দিয়ে ইনকাম করা যায়। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে আয় করতেঃবিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের বিকাশ লোগোতে ক্লিক করুনরেফার বিকাশ অ্যাপ’ অপশন থেকে ‘রেফার’ এ ক্লিক করুন
অ্যাপের লিংকটি যেকোন মাধ্যম, যেমনঃ
- এসএমএস,
- ই-মেইল,
- মেসেঞ্জার,
- হোয়াটসঅ্যাপ,
- ইমো, ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করুন
রেফারেল লিংক ব্যবহার করে যিনি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে একাউন্ট খুলে লগ ইন করবেন, তিনি পাবেন ২৫ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাসএরপর তিনি বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে পাবেন আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস। সর্বমোট ৫০ টাকা বোনাস পাবেন গ্রাহক। আপনিও বোনাস পাবেন।
ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
বাংলাদেশে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল বা বাইক এবং হাতের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন ফুডপান্ডা, সহজ ফুড এর মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ পার্ট-টাইম ও ফুল-টাইম, আপনার ইচ্ছামত যেকোনো উপায়েই করতে পারেন।
ফেসবুক বুস্টিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেইসবুক বুষ্টিং বা ফেসবুক প্রমোশন বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটু আগে আলোচনা করেছি আমরা প্রতিদিনই ফেসবুকে অসংখ্য স্পনসর্ড পোস্ট বা অ্যাড দেখতে পাই। ফেসবুকের প্রতিটি বিজনেসের জন্যই ফেসবুক বুস্টিং বা প্রমোশনের প্রয়োজন হয়। তারা এগুলো কিভাবে করে? অবশ্যই প্রমোশনের জন্য অন্য কাউকে হায়ার করে।
আপনি চাইলে ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি করতে পারেন। ফেসবুক বুস্টিং কিভাবে করতে হয় তা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শিখে নিতে পারেন। এটি খুবই সহজ এবং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। সর্বোচ্চ 30 মিনিটের মধ্যে আপনি কাজটি শিখে ফেলতে পারবেন।ফেসবুকে বুস্টিং এর জন্য আপনার একটি মাস্টার কার্ড লাগবে।
ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে ম্যানেজ করতে পারবেন। তারপর ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি আপনি শুরু করে দিন। যারা ফেসবুকে বিজনেস করছে তারা প্রতিদিনই বুষ্টিয়ের কাজ করানোর জন্য লোক খুজছে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদেরকে দিয়ে এই বুষ্টিং এর কাজটি তারা করায়, তারা সঠিকভাবে করতে পারে না।
ফলে তারা বুস্টিং এর জন্য যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করে সে পরিমাণ টাকা তারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারে না।
- ফেসবুক বুস্টিং
- এবং কাস্টমার টার্গেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
তাই আপনি ফেসবুক বুস্টিং এ কাজটি করে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন।
উপসংহার
আশা করছি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url