গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম - গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে এবং গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জানতে চান তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেলটিতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন গর্ভবতী ভাতার আবেদন সম্পর্কে জানতে পারবেন। অর্থের অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাঘাত না হয় সেজন্য বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা দেওয়ার প্রচলন চালু করেছেন।
ভূমিকা
গর্ভবতী কার্ড করতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে সেগুলো সম্পর্কে আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব আপনারা যারা জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম 2024
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য গর্ভবতী অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করতে হবে।ইউপি পরিষদ/পৌরসভায় যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে। তারপর আপনার যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকে তাহলে ভাতার আপনি পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা
- গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করলেই যে ভাতা পাবেন তা নয়। এ ভাতা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার বা তার কম।
- যারা গর্ভবতী ও অন্তঃসত্ত্ব ৫ মাস পর্যন্ত স্তন্যদান করেন।
- শুধু প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের গর্ভাবস্থায় আবেদন করা যাবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা নীতিমালা
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আপনি যদি মাতৃকালীন ভাতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু শর্তগুলি মেনে আবেদন করতে হবে।সেই শর্ত গুলোর মধ্যে যদি আপনি না হন তাহলে কখনোই মাতৃকালীন ভাতা পাবেন না। এজন্য মাতৃকালীন ভাতা আবেদন করার পূর্বে মাতৃকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় এবং তার শর্তগুলোর সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
শর্তগুলো নিজে উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভকালীন সময়ে যেকোনো একবার।
- আপনার বয়স কমপক্ষে ২০ উপরে হতে হবে।
- আপনার মাসিক আয় ১৫০০ টাকার নিচে হতে হবে।
- প্রতিবন্ধী অথবা দরিদ্র মায়েরা বেশি অগ্রাধিকার পাবে।
- আবেদনকারী কে অবশ্যই গর্ভবতী হতে হবে।
- পরিবারের অথবা নিজের পুকুর ও জমি নেই।
- বসতবাড়ি রয়েছে অথবা অন্যের জায়গায় বাস করে এমন হতে হবে।
গর্ভবতী ভাতা করতে কি কি লাগে?
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- অন্তঃসত্ত্বা প্রমাণের জন্য ডাক্তারের নিকট হতে গর্ভবতী সনদপত্রের ফটোকপি
- স্বামীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
- ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা হতে চারিত্রিক/নাগরিক সনদপত্র
- ব্যাংক একাউন্টের তথ্য দিতে হবে যার মাধ্যমে টাকা আসবে।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম 2024
- গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে আবেদনকারীর গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। যোগ্যতাগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারনকালীন আবেদন করতে পারবে। তৃতীয় সন্তান গর্ভধারণকালীন সময়ে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
- গর্ভবতী মায়ের বয়স বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে।
- পরিবারের মোট মাসিক আয় ১৫০০ টাকার নিচে থাকতে হবে।
- কেবল বসতবাড়ি রয়েছে এবং নিজের বা পরিবারের কোন কৃষি জমি বা অন্য জমি থাকা যাবে না।
- এছাড়া দরিদ্র প্রতিবন্ধী গর্ভবতী মা অগ্রাধিকার পাবেন।
- এখন উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করা শেষ হলে নিজের ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় জমা দিবেন।
গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম
- গর্ভবতী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
- তারপরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন।
- এবার আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- অতঃপর আবেদন আপলোড করবেন।
- এখন আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে গর্ভবতী ভাতা আপনাকে দেওয়া হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়।গ্রাম অথবা শহরে নিম্ন কর্মজীবী এবং দুগ্ধ দায়ী মা তাদের শিশু সামাজিক নিরাপত্তার মাধ্যমে সার্বিক জীবনের মাল উন্নয়ন করতে পারে এজন্য তাদেরকে গর্ভকালীন ভাতা দেওয়া হয়।চলুন জেনে নেওয়া যাক মাতৃকালীন ভাতা কত টাকা করে পাওয়া যায়।
- দুই সন্তানের ক্ষেত্রে তিন বছরব্যাপী প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url