ছোট ব্যবসার আইডিয়া -১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো ছোট ব্যবসার আইডিয়া -১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া বর্তমানে অনেকেই ব্যবসা করতে চায় কিন্তু টাকার অভাবে কিংবা আইডিয়ার অভাবে শুরু করতে পারেন না। তাই আজ, ছোট খাটো ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে।এইখানে আমরা ঐসকল আইডিয়া নিয়েই কথা বলবো যেগুলো খুব কম খরচে শুরু করে দিতে পারবেন।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া -১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

ভূমিকা

কিছু নতুন ব্যবসা ধারনা খুঁজছেন সেরা দশ ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ দেখুন অনলাইন ব্যবসা থেকে অফলাইনে এই ব্যবসাগুলির অবিশ্বাস্যভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেরা দশটি ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে আলোচনা করব

ছোট ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে অনেকেই নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। কিন্তু কম টাকায় কোন ব্যবসা করা যায়,ভাবছেন তাদের জন্য কিছু ছোট১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিষে নিচে আলোচনা করা হয়েছে ।

১,একটি বিউটি পার্লার ব্যবসা শুরু করুন

আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য বিউটি পার্লার বা নাপিত সরবরাহের দোকানগুলি একটি দুর্দান্ত জায়গা। আপনি যখন ভাল দেখতে, আপনি ভাল মনে হয়. আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করতে এবং উপযুক্ত পরিমাণে সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে ইচ্ছুক হন তবে একটি বিউটি পার্লার বা নাপিতের সরবরাহের দোকান শুরু করা একটি সিদ্ধান্ত

২,খেলনার দোকান

খেলনার দোকান বাংলাদেশের জন্য একটি মোটামুটি লাভজনক ব্যবসা । ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো খেলনার শিল্প ছিলো না। খেলনাগুলো বেশীরভাগই চীন থেকে আসে। চীন বিপুল পরিমাণ খেলনা কম খরচেই তৈরী করতে পারে। এখন আমাদের দেশে কিছু ধরনের খেলনা তৈরী হয় এবং বর্তমানে এই শিল্প স্থানীয় বাজারের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।

যেহেতু আপনার বিনিয়োগ কম, তাই খেলনাগুলো আপনি ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার থেকে কিনতে পারেন কারণ সেখান থেকে আপনি কম খরচে খেলনা কিনতে পারবেন। আবার চীন থেকে বিপুল পরিমাণে খেলনা আমদানী করার সুযোগও আছে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ মাঝারি ধরনের হবে 
এবং আপনি বেশী পরিমাণে লাভ উপভোগ করতে পারবেন।

  • আপনি সম্পূর্ণভাবে ব্যবসাটিতে নিয়োজিত হওয়ার আগে ভালোভাবে বাজার গবেষণা করে নিন। এখানে আপনার নির্ধারিত গ্রাহক হলো শিশুরা। তাই তাদের পছন্দ বিবেচনায় আনুন। এখন শিশুরা পুরনো ধরনের খেলনা পছন্দ করে না বরং তারা নতুন ধরনের, অন্যরকম খেলনা পছন্দ করে যা আপনি একটি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন।
  • এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করুন যেখান থেকে বাবা-মারা সহজেই তাদের শিশুদের জন্য কাঙ্খিত খেলনা পেতে পারেন। দোকানটি চমৎকারভাবে সাজান যেন সবাই আপনার দোকানের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

৩,ফটোগ্রাফি ব্যবসা

বাংলাদেশের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ যেখানে মানুষ বিভিন্ন উৎসবে ছবি তুলতে আগ্রহী, সেখানে ফটোগ্রাফি একটি চমৎকার ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে, অবশ্যই যদি আপনার ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক থাকে। যদি ইতিমধ্যেই আপনার একটি ডিএসএলআর থেকে থাকে, তবে আপনি সোনায় সোহাগা আর যদি না থাকে তবে আপনি একটি ডিএসএলআর।

 কিনতে পারেন যা বাংলাদেশে এক লাখ টাকার বেশী লাগবে না।তাই এই বিনিয়োগের মধ্যে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।যদি আপনার ভালো নেটওয়ার্কিং থাকে তাহলে আপনি সহজেই আপনার বন্ধুবান্ধব, পরিবার, এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে তাদের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোর ছবি তোলার অফার পেতে পারেন। আপনি সুন্দরভাবে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ।

অ্যাকাউন্টগুলোতে যেমন ফেসবুক, ইন্স্টাগ্রাম, লিংকডইন প্রভৃতিতে ব্যবসার প্রচারণা চালাতে পারেন। ফটোগ্রাফির দক্ষতার প্রচার করতে শুধু আপনাকে নিয়মিত ছবি এবং পোস্ট শেয়ার করতে হবে ।
আপনি সম্পূর্ণভাবে বিয়ের ছবি তোলার ওপরও মনোনিবেশ করতে পারেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি তুললে আপনার আয়ের উৎসটাকে আরও বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারবেন।

৪,ফুলের দোকান

বাংলাদেশে সাধারণত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ, পূজা, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য ফুলের ব্যবহার হয়। এ সমস্ত উৎসব ছাড়াও সারা বছরই বিভিন্ন প্রয়োজনে বিশেষ করে বিয়ে উৎসব ও অন্যান্য প্রয়োজনে মানুষ ফুল ব্যবহার করে থাকে।ফুল সাধারণত মালা হিসাবে ।

তোড়া হিসেবে, বুকেট বা বিভিন্ন ধরনের মোড়কে বিক্রি করা হয়ে থাকে।বিভিন্ন মৌসুমে বাংলাদেশের ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আপনি খুব কম টাকায় ছোট আকারে ফুলের দোকান করতে পারেন। এমনকি পাইকারি দামে ফুল আপনার দোকানে দিয়ে যাবে।আপনাকে যেটা করতে হবে ফুলগুলোকে মাল আকারে বুকেট বা প্যাকেট আকারে ।

  • সাজিয়ে বিক্রি করতে হবে। এছাড়া গাড়ি গিয়ে অনুষ্ঠান সাজিয়ে বেশ মুনাফা অর্থ অর্জন করা যায়।

৫,চায়ের দোকান

প্রতিদিনের আড্ডায় সকালে কিংবা বিকালে এক কাপ চা না হলে চলেই না। ছোট-বড় ধনী গরীব শ্রমিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ প্রতিদিন চায়ের দোকানে ভিড় করে। আর তাই বাংলাদেশে চা বিক্রি একটি লাভজনক ব্যবসা। খুব কম টাকায় ব্যবসা শুরু করা যায় শুধুমাত্র চা চিনি আর সামান্য কিছু জিনিস নিয়েই এ ব্যবসা শুরু করা যায়।তবে এ ব্যবসায় ।

মুনাফা করার জন্য একটু ভিন্নমাত্রা ও ভিন্ন আইডিয়া দিয়ে শুরু করা যেতে পারে যেমন:সাধারণত দোকানগুলোতে দুধ চা ও লাল চা বিক্রি হয়ে থাকে। সেখানে আপনি যদি তেজপাতা চা, লেমন টি ,পুদিনা পাতার চা, কালোজিরা চা, মালটা চা, গরুর দুধের চা, মালাই চা, আদা চাসহ ভিন্ন ফ্লেভার ও ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের চা বিক্রি করেন তাহলে আপনার দোকানে ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে ।

৬,ব্যক্তিগত ব্লগ

আপনি নিজের ব্লগ শুরু করে লেখা লিখতে পারেন। ব্লগ থেকে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। এটি শুরু করার জন্য আপনার অনলাইন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখিতে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। আর কিছু জানার জন্য আপনি অনলাইন বিভিন্ন কোর্স আছে যেটা অংশগ্রহণ করতে পারেন।

তবে হ্যাঁ আপনার যদি কোন বিশেষ বিষয় জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ভালো লিখতে পারবেন অন্যথায় শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করে অন্যের লেখা নকল করে বা রিরাইট করে বেশিদূর যাওয়া যাবে না।

৭,মুদি দোকান

মুদি দোকান বলতে এমন একটি দোকানকে বোঝায় যেখানে নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনো বেকার নারী বা পুরুষ মুদি দোকানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ভারী কাজে অক্ষম ব্যক্তিরাও ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।

মুদি দোকানের যে সব পণ্য বিক্রি করা হয় তার চাহিদা সারাবছরই থাকে। এ ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে। মুদি দোকান মূলত হাটে, বাজারে বা রাস্তার মোড়ে দেখা যায়। অথবা বসতবাড়ির বাইরের অংশে মুদির দোকান দেয়া যেতে পারে।

৮,গুঁড়ামসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ

উন্নত উপায়ে বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়া করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজটি দ্রুত ও ঝামেলাহীনভাবে শেষ করার জন্য বর্তমানে বাটা মসলার জায়গায় গুঁড়া মসলার ব্যবহার বাড়ছে। এর মধ্যে জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা ইত্যাদি অন্যতম। কাঁচামাল ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মেশিনে গুঁড়া করে উন্নত উপায়ে প্যাকেটজাত করতে পারলে এ ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

৯,ব্যানার ও সাইনবোর্ডের দোকান

ব্যানার মূলত স্বল্প সময়ের অধিবেশন ও স্বল্পকালীন তথ্য প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই ব্যানার সাধারণত কাপড়ের উপর বিভিন্ন রং দিয়ে লেখা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত, দোকান প্রভৃতির সামনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন নির্দেশ ও নানান দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞাপন ।

  1. প্রচারের জন্য সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত বেশি সময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এ কারণে সাইনবোর্ডে লেখার জন্য অ্যালুমিনিয়াম, টিন, স্টিল বা কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১০,কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা

স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা এর মধ্যে অন্যতম। পুঁজি বেশি থাকলে যে কোনো ব্যক্তি কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, শো-পিস, সৌখিন পণ্য ইত্যাদি তৈরি এবং কাঠের আসবাবপত্র বিক্রি করা উভয়ই ব্যবসা হতে পারে।

  • এক্ষেত্রে দেখা যায় এ ধরনের ব্যবসায়ীরা কাঠমিস্ত্রিদের কাছে অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র বানিয়ে দোকানে এনে বিক্রি করে থাকে।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি ছোট ব্যবসার আইডিয়া -১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url