মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং - ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং - ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকারপৃথিবীতে এখন আর এমন কিছুই নেই যা অসম্ভব বা মানুষ করতে পারে না। বর্তমানে হাই এবং এডভান্সড টেকনোলজির যুগে মোবাইল দিয়েও আয় করা সম্ভব।এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন বুঝতে পারবেন AtoZ ।
ফেসবুক মার্কেটিং এখানে দুটি শব্দ একটি ফেসবুক অন্যটি মার্কেটিং। আমরা শব্দ দুটিকে নিজের ভাষায় বর্ণনা করি। মার্কেটিং বলতে বুঝায় বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা করা। ফেসবুক হল একটি মিডিয়া বা মাধ্যম। অর্থাৎ ফেসবুক কে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং এর কাজটি করাকে ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়।
আবার ফেসবুক মার্কেটিং কে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
ফেসবুক মার্কেটিং ২ প্রকারঃ
ভূমিকা
আমাদের আশে পাশে অনেকই আছেন যারা ফ্রীল্যান্সার হতে চান, কিন্তু তাদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পথে যেটা প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেটা হলো একটি ভালোমানের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার।তাই প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্ত্বেও যারা ভালোমানের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর অভাবে ফ্রীল্যান্সিং করতে পারছেন না, তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি ।
ফেসবুক মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং
ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটা প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, পন্য সেবা ও তথ্য সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবগত করতে সাহায্য করে। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম, পন্য সেবা ও তথ্যগুলো ক্রেতাদের অতিদ্রুত চলে যায় সেক্ষেত্রে তারা ফেসবুক মার্কেটিং বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ফেসবুক মার্কেটিং বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো।ফেসবুকে ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি। তাছাড়া বর্তমানে বিশ্বে ফেসবুক একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই কম বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন 1.98 বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাহলে মাসে ফেসবুক ব্যবহারে সংখ্যা দাড়ায় 2.96 বিলিয়ন ।
- বিশ্বে ভিতর ৭ মিলিয়নের বেশি কোম্পানি ফেসবুকের বিশাল দর্শকের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরী করে থাকেন। তাহলে বুজতেই পারছেন ফেসবুক মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যেে মার্কেটিং করলে যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যাই। যেহেতু এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই এটিকে অনলাইন মার্কেটিং ও বলা হয়। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ফেসবুকে মার্কেটিং করা যায়।এখন আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন হল এই অ্যাফিলিয়েট আবার কি। অ্যাফিলিয়েট হল কিছুটা শেয়ার করার মত যেমন কোন ভিডিও ছবি খবর সেবাসমহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে তা মানুষের কাছে মার্কেটিং এর মাধ্যমে শেয়ার করা। আমার মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে ফেসবুক পেজ খুলে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়।তবে তার জন্য আপনার পেইজে ফলোয়ার বাড়াতে হবে।
সর্বনিম্ন পক্ষে কয়েক হাজার দ্বারা আপনি পোস্ট করলে অথবা কোন পোস্ট শেয়ার করলে। ওই পোস্টের নিচে কমপক্ষে কয়েক হাজার লাইক কমেন্ট শেয়ার আসবে। আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাড়ানো হয়ে গেলে।অ্যাফিলিয়েট এর কোন ওয়েব সাইটে গিয়ে খোঁজ নিবেন যে কোন সাইডে পণ্য বিক্রয় করার জন্য লিংক প্রদান করা হয়।
- সেই লিংক গুলো এনে আপনার পেজে আপলোড করবেন। এভাবেই আমরা ফেসবুকে মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং করতে পারি।
ফেসবুক মার্কেটিং কি
ফেসবুক মার্কেটিং বোঝার আগে আমরা মার্কেটিং শব্দটি বুঝি। মার্কেটিং মানে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে লোকেদের জানানো, এবং যখন আমরা আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে লোকেদের জানাতে Facebook ব্যবহার করি তখন একে Facebook মার্কেটিং বলা হয়। আমরা এভাবে ফেসবুক মার্কেটিংকে সংজ্ঞায়িত করতে পারি।Facebook-এ মার্কেটিং করে।আপনি সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং তাদের আপনার পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে বলতে পারেন। Facebook-এ, আপনি আপনার ব্যবসার জন্য আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় উভয় ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন। ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং: আপনি যদি প্রারম্ভিক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হন, তাহলে আপনি কোন প্রকার।
- প্রিমিয়াম সার্ভিসে না গিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করতে পারেন পেইড ফেসবুক মার্কেটিং: ফেসবুকের পেইড মার্কেটিং এর কৌশলকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রচারণা চালাতে পারেন।
- আপনি Facebook এর মাধ্যমে আপনার যেকোন বিপণনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেন যেমন বিক্রয় বাড়ানো, লিড তৈরি করা, আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আরও লোককে বলা, Facebook-এ ফলোয়ার বাড়ানো ইত্যাদি।
- আপনার যদি একটি পণ্য থাকে বা আপনি একজন সার্ভিস প্রভাইডার হন তবে আপনি ফেসবুক মার্কেটিংকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। আপনি ফেসবুক মার্কেটিং থেকে খুব ভাল ফলাফল পাবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
উপরে দেয়া পরিসংখ্যান থেকে নিশ্চয়ই আপনি ফেসবুক এর গ্রহণযোগ্যতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে অন্তত ৪২% ব্যবসায়ী মনে করেন, ফেসবুক তাদের বিজনেসের প্রধান হাতিয়ার। তারা তাদের বিজনেস প্রোডাক্টগুলোর প্রচারণার জন্য সবথেকে বেশি ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল। ১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর মধ্য ৫০% ব্যবহারকারী ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক ব্যবহার করে।- এক প্রতিবেদনে বলা হয় ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতি বছর ১৭% হারে বাড়ে এবং এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
- আপনার ফেসবুক পেজটি এমনভাবে সাজাতে হবে যার ফলে গ্রাহকদের আপনার পেজের ওপর আকর্ষণ ও চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
- গ্রাহকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পণ্য ও সেবা দেওয়া উচিত। তুমি সে অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সিস্টেম করে এবং অন্যান্য মানদন্ড অনুযায়ী আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা উচিত।
- কন্টেন্ট তৈরি করা আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা উচিত যা গ্রাহকদের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- নিয়মিতভাবে পেজে নতুন নতুন কনটেন্ট পোস্ট করা উচিত এর ফলে আপনার ফলোয়ারের সাথে সংযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- প্রতিমাসে পণ্যের উপর এক থেকে দুইবার ডিসকাউন্ট দিলে গ্রাহকদের আকর্ষণ বাড়ে।এগুলো হলো ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্যতম কৌশল বড় বড় কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন এভাবে দেখানোর মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করে ইত্যাদি।
ফেসবুক মার্কেটিং a to z
১,ফেসবুক মার্কেটিং কি?ফেসবুক মার্কেটিং এখানে দুটি শব্দ একটি ফেসবুক অন্যটি মার্কেটিং। আমরা শব্দ দুটিকে নিজের ভাষায় বর্ণনা করি। মার্কেটিং বলতে বুঝায় বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা করা। ফেসবুক হল একটি মিডিয়া বা মাধ্যম। অর্থাৎ ফেসবুক কে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং এর কাজটি করাকে ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়।
আবার ফেসবুক মার্কেটিং কে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
সেটা হল,মার্কেটিং দুই প্রকারঃট্রাডিশনাল মার্কেটিং (এনালগ মার্কেটিং)ডিজিটাল মার্কেটিংএখন এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক গুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি শাখা হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হল ফেসবুক। আর এ কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি শাখা হল ফেসবুক মার্কেটিং।
- আশাকরি, ফেসবুক মার্কেটিং কি বা ফেসবুক মার্কেটিং কাকে বলে সেটি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
ফেসবুক মার্কেটিং ২ প্রকারঃ
- ফ্রী মার্কেটিং বা অর্গাননিক মার্কেটিং।
- পেইড মার্কেটিং।
- ফ্রী মার্কেটিং বা অর্গাননিক মার্কেটিংআপনি যদি ফেসবুক কে কোন টাকা না দিয়ে বিনামূল্যে আপনার পণ্য বা কোম্পানির প্রচার করেন তাকে ফ্রী মার্কেটিং বলা হবে। যেমনঃ একটি বিজনেস পেজ।
- পেইড মার্কেটিংঅন্যদিকে আপনি যদি বেশি মানুষের নিকট এবং বয়স, লিঙ্গ ও এরিয়া অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত ক্রেতাদের নিকট পৌঁছাতে চান, তখন ফেসবুক কে কিছু টাকা দিয়ে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করতে হয়। যেটাকে পেইড মার্কেটিং বলে। যেমনঃ পোস্ট বুস্ট ও অ্যাড। চলুন জেনে নেই ফেসবুক মার্কেটিং a to z আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৩,কেন শিখবেন ফেসবুক মার্কেটিং?
আমারা যে কোন কিছু শিখার আগে ভেবে চিন্তে শিখি। সেই ভাবনা থেকে আমাদের মনে প্রশ্ন আসে কেন আমরা ফেসবুক মার্কেটিং শিখবো? ফেসবুক মার্কেটিং শিখার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। কারণ গুলো জানার আগে আমরা একটু জেনে আসি যারা ফেসবুক মার্কেটিং শিখেছে তাদের কি লাভ হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক তরুণ ফেসবুক মার্কেটিং ।
আমারা যে কোন কিছু শিখার আগে ভেবে চিন্তে শিখি। সেই ভাবনা থেকে আমাদের মনে প্রশ্ন আসে কেন আমরা ফেসবুক মার্কেটিং শিখবো? ফেসবুক মার্কেটিং শিখার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। কারণ গুলো জানার আগে আমরা একটু জেনে আসি যারা ফেসবুক মার্কেটিং শিখেছে তাদের কি লাভ হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক তরুণ ফেসবুক মার্কেটিং ।
শিখে ফেসবুকে ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অনেকে আবার অনলাইন মার্কেট প্লেস এ কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আপনি কেন শিখবেন ফেসবুক মার্কেটিং জেনে নিন…আপনার ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে।
- ব্র্যান্ড আওারনেস বাড়াতে।
- বিক্রি ও মুনাফা বাড়াতে।
- ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে।
- যে কোন কিছুই শিখার অনেক গুলো মাধ্যম থাকে। আমরা এখানে দুইটি দিক তুলে ধরছি।ফ্রী মাধ্যমপেইড মাধ্যম
- শুরুতে ফ্রী মাধমের কথা বলি। আপনার হাতে যদি প্রচুর সময় থাকে এবং আপনি যদি টাকা-পয়সা খরচ করতে না চান। তাহলে আপনি ইউটিউব ও গুগল থেকে শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুক ব্লু প্রিন্ট এর কোর্স থেকেও শিখতে পারেন।
- অন্যদিকে আপনি যদি কম সময়ে এবং একটি সঠিক গাইডলাইনের মধ্যে থেকে শিখতে চান তাহলে আমার মনে হয় সবচেয়ে ভালো হবে একটি ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে অল্প কিছু টাকা দিয়ে কোর্স করে নেয়া। পেইড মাধ্যমের মধ্যে আবার অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যম রয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url