১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
প্রিয় পাঠক ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানতে পোস্টটি পড়তে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে ব্যবসার আদ্যপান্ত। ব্যবসা শুরু করা সহজ কিন্তু ব্যবসায় সফল হওয়া বড় কঠিন। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনি যে ব্যবসাটি করতে চান সে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে।
ভূমিকা
ব্যবসা শুরু করলে লাভ বা মুনাফা করাটা সহজ নয়। ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে বুঝতে হবে। এবং ব্যবসার সাথে মুনাফা অর্জন ও ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন আমরা জেনে নেই মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইন বাজেট: ১০,০০০ টাকাগ্রাফিক ডিজাইনিং সফটওয়্যার শিখে এবং ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করা যায়। এই ব্যবসায় আপনার প্রাথমিক বিনিয়োগ সফটওয়্যার লার্নিং এবং ইন্টারনেট সংযোগের খরচ হবে।গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে মূলত কিছু স্পেসিফিক সফটওয়্যার প্রয়োজন। সেগুলো হল অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর ভেক্টর আর্ট গ্রাফিক্স)অ্যাডবি ফটোশপ (ফটো এডিটিং/টেম্পলেট ডিজাইন)আফটার ইফেক্ট ভিডিও ও অ্যানিমেশন তৈরী।
- হাতের কাজের জুয়েলারি বাজেট: ৭,০০০ – ১০,০০০ টাকামহিলাদের জন্য হাতের কাজের জুয়েলারি তৈরি করে অনলাইনে বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং সরঞ্জামগুলি বাজার থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
- অনলাইন টিউটরিংবাজেট: ২,০০০ – ৫,০০০ টাকাআপনার জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন টিউটরিং সেবা দিতে পারেন। এর জন্য আপনার শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।
- ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিংবাজেট: ৩,০০০ – ৫,০০০ টাকাআপনার লেখার দক্ষতা থাকলে ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা ফ্রিল্যান্স কাজ নিতে পারেন।ওয়েবসাইট : ব্লগিং করার জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট প্রয়োজন। যার জন্য আপনি বিশ্বস্ত হোস্টিং সার্ভার থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং পারচেস করতে পারেন৷ যেমন, Namecheap, Hostinger ইত্যাদি।ফ্রিল্যান্স : ফ্রিল্যান্সের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মার্কেটপ্লেস হাতের নাগালেই আছে। যেমন, Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি।
- প্রিন্ট অন ডিমান্ড টি-শার্ট বিজনে সবাজেট: ১০,০০০ টাকাআপনি প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট বিক্রি করতে পারেন। এখানে প্রাথমিক বিনিয়োগ কম এবং লাভের সম্ভাবনা ভালো।
- হ্যান্ডমেড সাবান ও কসমেটিক্স বাজেট: ৮,০০০ – ১০,০০০ টাকাহ্যান্ডমেড সাবান, লোশন বা অন্যান্য কসমেটিক্স তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সহজেই বাজার থেকে পাওয়া যায়।
- ইউটিউব ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরবাজেট: ৫,০০০ – ১০,০০০ টাকাআপনি যদি ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তবে ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারেন। এই ব্যবসায় প্রাথমিক বিনিয়োগ শুধুমাত্র ক্যামেরা বা স্মার্টফোন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের প্রয়োজন হবে।
- প্ল্যান্ট নার্সারিবাজেট: ৫,০০০ – ১০,০০০ টাকাগাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসায় জায়গা প্রয়োজন এবং গাছের চারা, মাটি, সার ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।
- হোম বেকিং সার্ভিসবাজেট: ১০,০০০ টাকাআপনি যদি ভালো বেক করতে পারেন, তাহলে হোম বেকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেক, কুকিজ, বা অন্যান্য বেকড আইটেম তৈরি করে অর্ডার নেওয়া সম্ভব।
- ব্যক্তিগত ফিটনেস ট্রেনিংবাজেট: ৫,০০০ – ৮,০০০ টাকাযদি আপনার ফিটনেস নিয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ব্যক্তিগত ফিটনেস ট্রেনিং সেবা দিতে পারেন। প্রাথমিক বিনিয়োগে শুধুমাত্র প্রচার ও সরঞ্জামের প্রয়োজন।
- মোবাইল রিচার্জের দোকানআপনার এলাকায় একটি মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। মোবাইল রিচার্জের দোকান দেয়ার জন্য প্রতিটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির একটি সিম ক্রয় করে রিটেইলার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর, এসব সিমে ব্যালেন্স লোড করে মোবাইল রিচার্জ করে দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।মোবাইল রিচার্জ করে দেয়ার বিনিময়ে কোম্পানি থেকে কমিশন দেয়া হয়ে থাকে। প্রতি হাজার টাকায় কমিশন দেয় কোম্পানিগুলো। এছাড়াও, আপনি প্রতি জনকে রিচার্জ করে দেয়ার বিনিময়ে ১ টাকা বেশি নিতে পারেন। এভাবে করে ১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে ফ্রি সময়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- টেইলারিং এর দোকানটেইলারিং এর দোকান দিয়েও ১০ হাজার টাকায় ভালো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে টেইলারিং এর যাবতীয় সামগ্রি ক্রয় করতে হবে। এরপর, বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিতে পারেন অথবা বাসায় শুরু করতে পারেন। মানুষের থেকে কাপড় দিয়ে জামা তৈরির অর্ডার নিয়ে সেগুলো করে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এই আইডিয়াটি অনেকেই কাজে লাগিয়ে এখন স্বাবলম্বী। টেইলরের দোকান দেয়ার জন্য দর্জির কাজ জানতে হবে। সরকারিভাবে ফ্রিতেই দর্জির ট্রেনিং নিতে পারবেন। এজন্য আলাদা অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এছাড়াও, অনেক সময় ট্রেনিং শেষে মেশিন ফ্রিতে দেয়া হয়। তাই, টেইলারিং এর দোকান দিয়ে ১০ হাজার টাকায় ভালো একটি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
- হোমমেড ফুড ডেলিভারি বাসায় খাবার তৈরি করে সেগুলো ডেলিভারি দিয়ে ১০ হাজার টাকার মাঝেই একটি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। হোমমেড খাবারের অনেক চাহিদা এখন। অফিস বা ছাত্রাবাসে থাকে এমন অনেকেই বাইরের খাবার না খেয়ে হোমমেড খাবার খেতে ভালোবাসেন। তাই, আপনি হোমমেড ফুড তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।হোমমেড ফুড তৈরির ব্যবসা শুরু করতে ১০ হাজার টাকা দিয়ে রান্নার সামগ্রি এবং প্রয়োজনীয় উপাদান ক্রয় করতে পারেন। এই ব্যবসায় তেমন আলাদা কোনো ইনভেস্ট করতে হয় না। তবে, ভালো রান্না করতে পারলে চাহিদা দিনদিন আরও বাড়বে।
- ফুডকার্ট বা ফুডভ্যানরাস্তার পাশে অনেক খাবারের ভ্যান দেখেছেন নিশ্চয়ই? মাত্র ১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে আপনিও একটি ফুডকার্ট বা ফুডভ্যানে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সাধারণত, সিঙ্গারা, পেঁয়াজু, চা সহ বিভিন্ন হালকা খাবার তৈরি করে এভাবে ব্যবসা করতে পারেন।এছাড়াও, আরও নতুন নতুন অনেক আইডিয়া রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে ভালো উপার্জন করতে পারবেন। যেমন – অনেকেই রাস্তার পাশে রুটির বান দিয়ে বার্গার তৈরি করে বিক্রি করে অল্প দামে। ফলে, অনেকেই এসব ভ্যান থেকে খাবার কিনে খায়। খাবারের মান এবং স্বাদ ভালো হলে চাহিদা অনেক বেশি হয়।মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
- পুরনো বইয়ের ব্যবসাঅনলাইনে বা এলাকা কিংবা কোনো স্কুল/কলেজের সামনে ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে পুরনো বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পুরনো বইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। অনেকেই নতুন বই না কিনে পুরনো বই কিনে থাকে। আপনি অল্প দামে পুরনো বই কিনে বইয়ের গায়ে লেখা দামের উপর কমিশন দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।এভবে করে অনেকেই পুরনো বই বিক্রি করে থাকে।
- কাঁচামালের দোকানকাঁচামালের দোকান দেয়ার জন্য আলাদা কোনো অভিজ্ঞতা লাগে না। দোকান ছাড়াও একটি কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এজন্য, কাঁচামাল ক্রয় করে যেকোনো একটি বাজারে গিয়ে রাস্তার পাশে বা বাজারের ভিতর কাঁচাবাজারে গিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার সবজি যদি টাটকা হয়, তবে অনেকেই ক্রয় করতে ইচ্ছুক হবে।মাত্র ১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। পরিশ্রম করলে এই ব্যবসা থেকেই আপনার একটি দোকান হয়ে যাবে।
- ফুলের দোকানরাস্তার পাশে, বিভিন্ন পার্কের পাশে বা স্কুল/কলেজের পাশে ফুলের দোকান দিতে পারেন। এছাড়াও, যেকোনো বাজারে ফুলের দোকান দিতে পারেন। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একটি ফুলের দোকান দিয়ে আপনি প্রতি মাসে অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। পার্ক বা বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় ফুলের দোকান দিলে অনেক বেশি বিক্রি হয়।এছাড়াও, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় ফুল বিক্রি বেড়ে যায়। তাই, ১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে একটি সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।
- সিজনাল ফলের ব্যবসাপ্রতিটি সিজনে বিভিন্ন প্রকার ফল আসে। আপনি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একটি সফল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন সিজনাল ফলের ব্যবসা শুরু করে। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে সিজনাল ফল কিনে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। সিজনাল ফলের চাহিদা ভালো থাকার কারণে অল্প সময়ে বিক্রি হয়ে যায়।ফল যদি টাটকা হয় এবং কোনো ভেজাল না থাকে, তবে অল্প সময়ে এই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন। সিজনাল ফলের ব্যবসা করে অনেকেই ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে।
- কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান-মোবাইল সার্ভিসিং এর মত আপনি চাইলে কম্পিউটার সার্ভিসিং এর ব্যবসাটি ও অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারেন।কম্পিউটার সার্ভিসিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার সার্ভিসিং এর বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।আপনি যুব উন্নয়ন অথবা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তিন মাস অথবা ছয় মাস মেয়াদী কম্পিউটার সার্ভিসিং এর বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে পারেন।তাছাড়াও আপনি যে কোন কম্পিউটার সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকেও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অথবা সমাজসেবা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর আপনাকে ব্যবসা করার জন্য তারা অল্প পরিমাণে লোন দিয়ে থাকে।তাই আপনি চাইলে একটি দোকান দিয়ে কম্পিউটার সার্ভিসিং এর ব্যবসা করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- জোস/ শরবত স্টলআপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বিভিন্ন জায়গায় খাবারের স্টল এর মতই জোস স্টলের দোকান রয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফলের জোস বা শরবত তৈরি করে বিক্রয় করা হয়।এ ব্যবসা করার জন্য আপনি কোন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, অথবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে ভালো একটা জায়গা বেছে নিন।কেননা যেসব জায়গাতে লোকদের অনেক বেশি ভিড় হয়ে থাকে । যার ফলে অনেকেই আপনার দোকানে বিভিন্ন ধরনের শরবত খাওয়ার জন্য আসতে থাকবে।তাই আপনি আপনার সার্ভিসটি প্রধানের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ভালো পরিবারের টাকা কামাই করে নিতে পারবেন।এই ব্যবসা করার জন্য আপনি অল্প পুঁজিতেই একটি টং দোকান তৈরি করে নিয়ে শূরু করতে পারবেন। একটি টং দোকান তৈরি করতে আপনার তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচা হয়ে থাকবে।
- নারিকেল / ডাব বিক্রির ব্যবসা-আমরা সবাই কমবেশি ডাব বিক্রির ব্যবসার সাথে পরিচিত। আমাদের যাদের নারিকেল গাছ রয়েছে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন পাইকারদের কাছে ডাব বিক্রি করে থাকি।তারা শুধুমাত্র একটি ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে এ ব্যবসাটি করে থাকেন।আপনি চাইলেও নিজেও এই ব্যবসাটি করতে পারেন এ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটি ভ্যান গাড়ি ক্রয় করে নিতে হবে।আর যদি ভ্যনগাড়ী কিনার সামর্থ না থাকে তাহলেও আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন সময় যাতায়াতের জন্য গাড়ি ভাড়ার মাধ্যমে মালামাল নিতে হবে।এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম দামে নারিকেল কিনে নিয়ে সেগুলোকে আপনি শহরে বা বাজারে গিয়ে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবেন।তবে এই ব্যবসাটির মধ্যে কচি ডাবগুলো আপনি বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে বিক্রয় করতে পারলে অনেক বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।
- কোচিং সেন্টার ব্যবসা-আপনি যদি পড়ানোর বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি কোচিং সেন্টার চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াতে পারেন।এর জন্য আপনাকে একটি রুম ভাড়া নিতে হবে।অথবা আপনার বাসায় যদি আলাদা রুম থাকে তাহলে সেখানে আপনি স্টুডেন্টদেরকে ডেকে কোচিং পরিচালনা করতে পারবেন।আপনি বাচ্চাদেরকে পড়ানোর বিপরীতে তাদের কাছ ফি- হিসেবে থেকে ভালো পরিমাণে টাকা নিতে পারবেন।আপনি যদি কোচিং সেন্টার দেওয়ার মতো কোন রুম না পান তাহলে চিন্তার কিছু নেই।আপনি “বাসায় গিয়ে পড়ানো হয” এরকম কিছু লিফলেট তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে প্রচার করতে পারেন।এরপর যাদের টিউশনির প্রয়োজন হবে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে । এরপর আপনি নিয়মিত বাসায় গিয়ে টিউশনি করিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
- ঝাল মুরির বিক্রি-আপনার ১০ হাজার টাকার মধ্যেই ঝাল মুরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।ঝালমুড়ি বিক্রি করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন দোকানের প্রয়োজন । হবে এ ব্যবসাটি আপনি ঘুরে ঘুরেই একটি ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।এছাড়াও এই ব্যবসাটি আপনি খাঁচায় করে নিয়েও শুরু করতে পারেন।এই ব্যবসা করার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বসে করতে হবে না। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অথবা বাজাড়ে, শহরের অলিতে গলিতে সবখানেই করতে পারবেন।তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ লোকজনের চলাচল যেসব জায়গায় বেশি রয়েছে সেসব জায়গাতে আপনি এই ব্যবসাটি করে ভালো পরিমানে লাভ করতে পারবেন।
- আচারের ব্যবসাবিক্রি করার মতো আচারের ব্যবসা করতে পারেন যে কোনো যায়গায়। এর জন্য কোনো দোকান এর প্রয়োজন হবে না।তাছাড়াও এই ব্যবসাটি অল্প পুঁজিতেও শুরু করা যায়।আপনাকে এই ব্যবসাটি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টেস্টি আচার বানানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেন, লোকে আপনার বানানো আচার গুলো খাওয়ার পরে আবার খেতে চায়।তাহলে আপনি খুব অল্পদিনেই এই ব্যবসাটি করে ভালো সুনাম অর্জন করতে পারবেন এবং আপনার বিক্রিও বৃদ্ধি করতে পারবেন।ফলে আপনার আচার বিক্রির ব্যবসা থেকেও ভালো টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
- ফলের দোকানআমাদের সকলেরই কমবেশি ফল খেতে পছন্দ করি । আমাদের সরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ফল অনেক উপকারি উপাদান।প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফলে চাহিদা প্রচুর রয়েছে । প্রতিদন প্রচুর পরিমাণে ফল কেনা-বেচা হয়ে থাকে।আপনি চাইলে অল্প টাকাতেই এই ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।এতে প্রচুর লাভ হয়ে থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url