৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪
প্রিয় পাঠক ৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪ এশার নামাজ আদায় করার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব অব্দি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। তবে, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার উত্তম সময় হচ্ছে মধ্যরাত্রি। অর্থাৎ, বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ২ ঘটিকা থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে অব্দি।
ভূমিকা
তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা এবং আল্লাহ্র কাছে আমাদের মনে সকল প্রার্থনা কবুল করে নেয়ার। অন্নান্ন্য নামাজের থেকে তাহাজ্জুদের নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্র কাছে অতি দ্রুত আমাদের দোয়া পৌঁছে দিতে পারি। এ প্রসঙ্গে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেনপ্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে আগমন করেন, এরপর বলেন- কে আছে আমার কাছে দোয়া করবে আর আমি তার দোয়া কবুল করবো এই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহাজ্জুদ নামাজের সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি?
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানার আগে আমাদের অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ কি তা জানতে হবে। কারণ আমরা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ কি সেটি না জানে তাহলে কিভাবে নামাজ আদায় করব এবং কেন করব তা বুঝতে পারবোনা। তাই আমাদের অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানার পূর্বে তাহাজ্জুদ নামাজ কাকে বলে জেনে নিতে হবে।তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ ঘুম থেকে জাগা বা ঘুম থেকে জেগে ওঠা। তাহাজ্জত মূলত মধ্যরাতের পড়তে হয়। অর্থাৎ ফজরের নামাজের পূর্বে এবং এশার নামাজের পরবর্তী সময়ে। তবে ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত এবং নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অত্যাধিক বেশি।
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ।
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ।
যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি আফজালুস সালাতে বাদাল মাহফুজ আতি সালাতুল লাইনে। আর এর মানে হচ্ছে- ফরজ নামাজ সবচেয়ে নামাজ। ( মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)।আমরা সকলেই জানি যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসূলুল্লাহ (সা:) এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। আর এর জন্য তিনি তার জীবনে কখনো ।
তাহাজ্জত নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকে নি। তবে তিনি উম্মতে মুহাম্মদীর তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত গায়রে মুয়াক্কাদা বলেছেন। অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে অসংখ্য নেকি লাভ করা যায় তবে এ নামাজ আদায় যদি না করতে পারে তাহলে এর কোন গুনা হবে না।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয় এবং কখন শেষ হয়, তা নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হবে। নিচে আপনাদের জন্য তাহাজ্জুদের সালাতের নিয়ত উল্লেখ করে দিয়েছি। আপনি চাইলে বাংলায় কিংবা আরবিতে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে পারেন।نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر
অর্থ : দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি.. অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
অর্থ : দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি.. অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত
তাহাজ্জুদ নামাজ ২ রাকাত থেকে শুরু করে যেকোনো পরিমাণ রাকাত আদায় করা যাবে। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য ২ রাকাতের নিয়ত কিংবা ৪ রাকাতের নিয়ত করে নামাজ আদায় করা যাবে। ২ রাকাত করে ৮ রাকাত অব্দি কিংবা ৪ রাকাত করে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে, আপনি চাইলে এর থেকেও বেশি পরিমাণ আদায় করতে পারবেন।২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা থেকে যেকোনো পরিমাণ আদায় করা যাবে।অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে, ২ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে তা তাহাজ্জুদ বলে গন্য হবে না। তবে, আমরা ২ রাকাত থেকে শুরু করে যেকোনো পরিমাণ রাকাত নামাজ আদায় করতে পারি। তাহাজ্জুদের নামাজ আপনার সময় এবং ইচ্ছেমতো আদায় করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
আমাদের সকলের মধ্যে একটি দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে সেটি হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল। তবে এক কথায় বলতে গেলে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত। আর তাজুদ নামাজ সুন্নত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমরা রাসূলুল্লাহ (সা:) এর যত আমল করি অথবা রাসূলুল্লাহ (সা:) এর যে কোন আমল তার বান্দাগণ অনুসরণ করে সেটি হচ্ছে সুন্নাত।যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা) প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন সেহেতু আমাদের কাছে সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে। শুধু মাত্র পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ ছাড়া বাকি যত নামাজ আছে সবগুলো নফল ইবাদাত হিসেবে গণ্য হয়। তবে রাসূলুল্লাহ (সা:) এর সুন্নাহ হল দুটি। একটি হচ্ছে সেই সুন্নাহর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং অন্যটি হচ্ছে অতিরিক্ত সুন্নাহ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
সুতরাং তাহাজ্জুদ সালাতের সুন্নত। আর যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা:) তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতেন সেহেতু এই তালাকে সুন্নাহ বলে গণ্য করা হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত
আমরা ইতিমধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব জেনে গেছি। তাই তাজত নামাজ আদায় করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত হয়ে থাকে। আর আমরা আপনাদের জন্য তাহাজত নামাজ কত রাকাত এই সম্পর্কে এবং সর্বনিম্ন কত রাকাত নামাজ পড়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।তাহাজ্জুদ নামাজ এর কোনো নির্দিষ্ট রাকাত এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট হয়নি।কোন কোন হাদিসে এসেছে ৮ রাকাত আবার কোন কোন হাদীসে এসেছে ১২ রাকাত। তবে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ৮ রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তাই আমাদের উচিত রাসূলুল্লাহ (সা:) এর দিক নির্দেশনা অনুসারে ৮ রাকাত নামাজ আদায় করা। কারণ আর ৮ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম।রাসূলুল্লাহ (সা:) তাজুদের ৮ রাকাত নামাজ আদায় করতেন ।
এবং বেতের তিন রাকাত নামাজ আদায় করতেন। সর্বমোট তিনি ১১ রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তবে আপনারা চাইলে সর্বনিম্ন দু রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন।সুতরাং সকল মুসলিমদের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ ৮ রাকাত পড়া উত্তম এবং সর্বনিম্ন 2 রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি যে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ৮ রাকাত পড়া উত্তম। কিন্তু এখন নামাজ পড়ার নিয়ম জানা আবশ্যক। কারণ আমরা যদি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম না জানতে পারে তাহলে তাজত নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সঠিকভাবে জেনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য আপনাদের তাহাজ্জুদ নামাজে যে সকল নিয়ম গুলো জানতে হবে তা হচ্ছে-প্রথমে অজু করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।এরপর দু’রাকাত করে নিয়ত করতে হবে।নিয়ত করা হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে সানা দোয়া পড়তে হবে এবং এরপর সূরা ফাতিহা সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। ( তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে ।
যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) তাজত নামাজ আদায় করার পর সময় সূরা ইখলাস পাঠ করতেন।এরপর সাধারন নফল না সুন্নত নামাজের মত করে নামাজের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে এবং দু’রাকাত হলে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং সূরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত ধরতে হবে।তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট মুসলমান ভাই ও বোনেরা ।
নিজেদের প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুসারে মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে এবং অবশ্যই আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করতে হবে। কারণ এই সময়ে অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় আল্লাহতালা সাত আসমানের নিচে চলে আসেন এবং বান্দার মনের সকল কথা শুনেন।
তাহাজ্জুদ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়?
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অতিগুরুত্বপূর্ণ বলে সকলের মনে করেন তাজত নামাজের বিশেষ সূরা রয়েছে। কিন্তু তা নয় তাজত নামাজ পড়ার জন্য কোন বিশেষ সূরা নেই। আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে পারবেন।তবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করার সময় লম্বা কেরাত ।পাঠ করতেন এবং সেইসাথে লম্বা রুকু ও সিজদা দিতেন। আর একান্ত নিবিষ্ট হয়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতেন। তাই আমাদের সকলের উচিত তাহাজ্জুদ সালাতের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করা উত্তম। আর আপনারা চাইলে কেরাত উঁচু-নিচু উভয় আওয়াজে পাঠ করতে পারেন এবং এটি জাহেজ রয়েছে ।
কিন্তু যদি এই কেরাতের উঁচু আওয়াজে অন্য কারো কষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের চুপিচুপি কেরাত পাঠ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন রাতের ।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত ও নিয়ম
তাহাজ্জুদ নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মুহাররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর : ১১৬৩)।তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন রাতের ।
শেষ তৃতীয়াংশে নিচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব! কে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে দান করব! আর কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব!’ (বুখারি ও মুসলিম)।পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের পরে আরো যত অন্যান্য সালাত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সালাত হচ্ছে তাহাজ্জুদ সালাত।
- কারণ এই সালাতের ফজিলত অনেক বেশি এবং এই সালাতের উপকারিতা বলে সবার মত নয়। বান্দারা যদি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ সালাত পাঠ করে তাহলে সেই বান্দা মহান আল্লাহতায়ালার নিকট যা চাইবে তাই পাওয়া যাবে।কারণ তাহাজ্জুদ সালাতের সময় পড়া হয় ঠিক সেইসময় মহান আল্লাহতালা সাত আসমানের নিচে বান্দাদের জন্য অপেক্ষা করেন।
আর ঠিক সেই সময় যদি তাহাজ্জুদ সালাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট এবং অর্থপূর্ণ প্রার্থনা করেন তাহলে সেটি মহান আল্লাহতালা তাদেরকে পুরস্কারস্বরূপ প্রদান করে থাকেন।তাছাড়া রমজান মাস হচ্ছে রহমতের শ্রেষ্ঠ মাস। আর এই শ্রেষ্ঠ মাসে তাহাজ্জুদের সময় আরো বরকতময় হয়ে ওঠে। কারণ প্রত্যেক ঈমানদারগণ রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সেহেরী জন্য ঘুম থেকে উঠে থাকেন।
তাই আপনারা চাইলে সেই সেহরির পূর্বমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করার পর সেহরির খাবার খেয়ে ফজরের সালাত আদায় করে নিতে পারেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করার সুবর্ণ একটি সুযোগ হচ্ছে রমজান মাস। এই মাসে আপনারা নিয়মিত সালাত আদায় করতে পারবেন এবং নিজেদের ইচ্ছাগুলো ।
- মহান আল্লাহ তাআলার নিকট পোষণ করতে পারবেন।বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাহাজ্জুদ সালাত রাতে আদায় করতেন। আর এই সালাত রাতে আদায় করা সুন্নত এবং অতিরিক্ত হিসাবে নফল। তবে নবীজী (সাঃ) এর ওপর তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা ছিল অতিরিক্ত দায়িত্ব। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাহাজ্জুদ সর্বোকৃষ্ট একটি আমল।
- হযরত আলী (রা.) বলেছেন যে, “ যে সকল ব্যক্তি রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়েছেন, তারাই আধ্যাত্মিক জগতের আল্লাহর নৈকট্য লাভের ঊর্ধ্ব আহরণ করেছেন”।তবে এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে কিছু কুসংস্কার বিদ্যমান রয়েছে। আর সেগুলো হচ্ছে- তাহাজ্জুদ অন্ধকার, তাহাজ্জুদ নামাজ গোপনে পড়তে হয়, তাহাজ্জুদ আদায় করার সময় দিন আসে ।
- এবং তাহাজ্জুদ নামাজ একবার শুরু করলে প্রতিনিয়ত পড়তে হয়। এগুলো হচ্ছে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং কুসংস্কার। কারণ এসকল কুসংস্কারের কোন বাস্তবতা নেই। তাই আপনারা এ ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাসী না হয়ে সঠিক তথ্য জেনে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা উচিত।তাহাজ্জুদ সালাত আপনারা মধ্যরাতে যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন।
- তবে অবশ্যই ফজর ওয়াক্তের আগে এবং এশার ওয়াক্ত পরে। তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করার সময় আপনাদের অন্ধকারে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। আপনারা চাইলে তাহাজ্জুদ সালাতের কিরাত সমূহ উচ্চস্বরে পাঠ করতে পারেন তবে পার্শ্ববর্তী কারো ঘুমের ব্যাঘাত অথবা অন্য কারোর সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সুন্নত
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেছেন এবং আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে উপদেশ দিয়েছে। কারণ, তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে মহান আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভের সবথেকে সহজ উপায়। তাই, আমাদের সবার উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা হলো- সিয়ামে দাউদ, তিনি একদিন রোজা রাখতেন, আরেকদিন রোজা রাখতেন না। তিনি রাতের অর্ধেক ঘুমাতেন এবং এক তৃতীয়াংশ নামাজ আদায় করতেন। এরপর ছষ্ঠাংশ আবার ঘুমাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪২০)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url