মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং জেনে নিন

প্রিয় পাঠক যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাদেরকে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার দক্ষতা অর্জন করা খুব প্রয়োজন। যে কোন আইটি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে মোবাইলে ফিন্যান্সিং করার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার ক্যারিয়ার সফলভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কোর্স করে দক্ষ বা যোগ্য হতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং জেনে নিন

ভূমিকা

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যেে মার্কেটিং করলে যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যাই। যেহেতু এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই এটিকে অনলাইন মার্কেটিং ও বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মানে হল সঠিক সময়ে সঠিক কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেওয়া।

ফ্রিল্যান্সিং কী এবং কেন শিখবেন

ফ্রিল্যান্সিং হলো স্ব-নিযুক্তির একটি রূপ, যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং এক বা একাধিক ক্লায়েন্টের জন্য সেবা প্রদান করেন। ফ্রিল্যান্সাররা নির্দিষ্ট কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য তারা বিনিময়ে পেমেন্ট পান।কেন শিখবেন: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয় এবং এর মাধ্যমে আপনি নিজের ।

সময় এবং কর্মস্থল নিজের মতো করে নির্ধারণ করতে পারেন। এছাড়া, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ও বেশ উল্লেখযোগ্য হতে পারে, যা আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।দক্ষতা ও চাহিদা: ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে, আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেই দক্ষতার চাহিদা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

  • এই দক্ষতা যেমন হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

সঠিক দক্ষতা
যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাদেরকে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার দক্ষতা অর্জন করা খুব প্রয়োজন।আপনারা যদি চান তাহলে যে কোন আইটি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে মোবাইলে ফিন্যান্সিং করার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।তবে বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনাকে।

 অবশ্যই সঠিক আইটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে নিতে হবে।আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মত কোন দক্ষতা অর্জন না করে থাকেন তাহলেও চিন্তার কোন বিষয় নেই। কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ব্যাপক পরিমাণের দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।আপনার মনে যদি প্রশ্ন থাকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তাহলে ।

আপনি ইউটিউব দেখেও শিখতে পারবেন।বর্তমানে অনেক ইউটিউব চ্যানেলে মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং শিখার বিশেষ কৌশল শিখিয়ে থাকে।আপনি কয়েকদিন ইউটিউব দেখে অনুশীলন করলেই সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এইবার হয়তো সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

সবার ঘরে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকলেও আমাদের সবার হাতেই একটা ভালো মানের মোবাইল ফোন রয়েছে। প্রথম দিকে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কেনা কিংবা পরিবারকে রাজি করানো একটু কষ্টকর।সেজন্য অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে, মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায়? তাদের আশার সংবাদ হলো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

তবে এখানে সব ধরনের কাজ করার সুযোগটা পাবেন না।কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে যতটা স্বাচ্ছন্দের সাথে কাজ করতে পারতেন মোবাইলে সেটা পারবেন না। এছাড়াও মোবাইলেই অবশ্যই আরো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজ গুলো করতে পারবেন নিচে দেওয়া হলো ।
কন্টেন্ট রাইটিং 
  • আমরা প্রতিদিন মোবাইল দিয়ে বাংলা, ইংরেজিতে অনেক লেখালেখি করি। আপনি কি জানেন অনলাইনে লেখালিখি করে আপনি প্রতিমাসে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম হলো কন্টেন্ট রাইটিং। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে লেখা গুলো বিক্রিয় করতে পারবেন। তবে, হা এটার জন্য আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • মোবাইল দিয়ে যদিও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করা সম্ভব না। তবে, বর্তমানে এমন কিছু মোবাইল অ্যাপস পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোটামোটি লেভেলের ইমেজ, লোগো ডিজাইন করতে পারবেন। এই সকল অ্যাপস গুলো ব্যবহার করা খুবই সোজা। আপনি দুই একবার দেখলে পারবেন। এই সকল অ্যাপের মাধ্যমে ডিজাইন করা লোগো, ফটো গুলো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রিয় করতে পারবেন এবং টাকা আয় করতে পারবেন। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায় এমন কয়েকটি অ্যাপস এর নাম নিচে উল্লেখ করছি যথা
  1. Canva.
  2. Adobe Photoshop.
  3. Adobe Spark.
  4. Adobe Illustrator Draw.
  5. Autodesk Sketchbook Pro.

ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন শেখার ব্যসিক হলো HTML এবং CSS. যা আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজে শিখতে পারবেন। কিন্ত আপনি যখন এডভান্স লেভেলের ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার কথা চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। এই দুইটি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন শেখার দুইটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো
  • W3sSchools.
  • FreeCordCamp.
  • এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি শিখে প্র্যাক্টিস করার জন্য আলদা অ্যাপস রয়েছে। যেগুলো আপনি Google Play store থেকে সম্পর্ন ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
 ব্লগিং 
  • মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোবাইলে ব্লগিং করা। ব্লগিং মানে আপনি নিজের বা অন্যদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখবেন। যেটা মোবাইল দিয়ে ১০০% সম্ভব।
ইউটিউব
  • আপনি সহজে মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন। আমাদের দেশে এমন অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রথমে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এর কাজ করা শুরু করেছে। আপনিও চাইলে শুরু করতে পারেন। আপনি এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও রেকাড, ভিডিও এডিটিং সব কিছু প্রফোসানাল ভাবে করতে পারবেন। আমি নিচে মোবাইলে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম উল্লেখ করছি যথা-
  • PowerDirector
  • KineMaster

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখার সুবিধা

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন একটি শক্তিশালী যন্ত্র হিসেবে বিবেচিত, যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কাজ শিখতে এবং সম্পন্ন করতে পারেন। মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে:সুবিধাজনক: মোবাইল ফোন সবসময় আপনার হাতের কাছে থাকে, যা যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে শিখার সুযোগ প্রদান করে।

অনলাইন রিসোর্স মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এর সুবিধা থাকায় আপনি সহজেই বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স এবং কোর্স অ্যাক্সেস করতে পারেন।অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার: মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি এবং কৌশল শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি

ইংরেজি Freelancing শব্দের বাংলা অর্থ হলো মুক্তপেশা। একটু বিস্তারিত বলতে গেলে, ধরাবাধা কোনো সময় বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের সময়, সুযোগ অনুযায়ী কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
আপনি যদি চাকুরি করেন তাহলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আপনাকে টানা ৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে। আর মাসের ৩০টা দিন, বছরের ৩৬৫টা দিন একই কাজ করতে হবে। 

সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও অন্যান্য বিশেষ ছুটি ছাড়া আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্তভাবে কাজ করা। আপনি চাইলে এক সপ্তাহে টানা ৭ দিন কাজ করতে পারেন। আবার চাইলে টানা ৭ দিন ছুটি কাটাতে পারেন। আপনি কাজ করবেন কি করবেন না সেটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার উপরে নির্ভর করবে।

তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে খুব সাধারণ একটা অসুবিধা রয়েছে। সেটি হলো এখানে আপনার একাধিক বস থাকতে পারে। চাকুরির ক্ষেত্রে যেমন শুধু একজন বসের নির্দেশনা মানতে হয়, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সে সুযোগটি নেই।যেহেতু আপনি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন সেহেতু এখানে একাধিক বস বা বায়ার থাকবে। 

  1. এটা অনেক সময় কাজের শিডিউল তৈরিতে ঝামেলা তৈরি করে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি?


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা জানার আগে চলুন জেনে নিই এই কাজটা কত ধরনের হতে পারে।
অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে। প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রসারের সাথে সাথে এই ধরনের কাজ সংখ্যাও বাড়ছে। যেমন আগে যখন এআই ছিল না তখন কেউ AI Expert/Operator খুঁজতো না। কিন্তু এখন এআই জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে এবং বাজারে এই ধরনের কাজে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।
নির্দিষ্টভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোনো প্রকারভেদ নেই। নিচে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজসমূহের তালিকা দেওয়া হলো।ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ডাটা এনালিসিস
  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

  1. বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন দক্ষতা শিখতে পারেন।Udemy: Udemy একটি জনপ্রিয় শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কোর্স করা যায়। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি এখানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন।
  2. Coursera: Coursera-এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের কোর্স করতে পারেন।
  3. LinkedIn Learning: LinkedIn Learning মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন পেশাগত কোর্স শিখা সম্ভব।
  4. Skillshare: Skillshare একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সৃজনশীল এবং পেশাগত দক্ষতা শিখানো হয়।

মোবাইল দিয়ে কি আসলেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি আসলেই সম্ভব বা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি সত্যিই করা যায়?
আমি তাদের উত্তরে বলবো, হ্যা, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। এমনকি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো পরিমানে টাকাও ইনকাম করা যায়। যদি বলেন কোন উদাহরণ কিংবা প্রমান আছে কি?
হ্যা, বাস্তব ও সত্য প্রমান আমি নিজেই।

আমি প্রথম দিকে মানে আমি এসব ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে যখন নতুন নতুন ধারনা নেওয়া শুরু করেছি তখন আমি মোবাইল দিয়েই প্রায় ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করেছি।আজকের পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়লেই জানতে পারবেন আমি কোন কাজটি করে মোবাইল দিয়েই এত টাকা ইনকাম করেছি।আমার মতো আরও অনেকেই আমার থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করে মোবাইল এর মাধ্যমে। 

তারাও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছে, আমিও করছি আপনি/আপনারাও পারবেন।শুধু আপনাকে জানতে হবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো। আর এটা জানতে পারবেন আজকের এই পোস্টে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কতো টাকা আয় করা যায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেটা জানার আগে আমাদের কিছু ব্যাসিক বিষয়ে ধারনা নিতে হবে আর তার মধ্যে একটি হল মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কতো টাকা ইনকাম করা যায়?
আচ্ছা আমি এই প্রশ্নের উত্তর এক সংখ্যা দিয়ে দিতে পারছি না কারন আপনি আপনার কাজের ধরন, আপনার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে আপনি সেই পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

একেক কাজের ইনকাম ভ্যালু একেক রকমের হয়ে থাকে। তারপরও যদি বলি যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কতো টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে আপনাদের একটা আইডিয়া দিয়ে রাখি শুধু যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০০০ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
এমনকি এর বেশি ও সম্ভব। প্রজুক্তির এই জুগে এখন ন্যানো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার।

জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।যেমন আগে কম্পিউটার এর আকার যত বড় ছিল এখন তা আমাদের বহনযোগ্য এর মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। আর মোবাইল ফোন দিয়ে এখন অনেক জটিল জটিল কাজ করা যাচ্ছে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।মোবাইল ফোন দিয়েই আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন। এরপর আপনি কম্পিউটার ও কিনতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা।Upwork: Upwork হলো একটি বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারেন। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রোফাইল পূরণ করতে পারেন।
  1. Fiverr: Fiverr একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ (Gig) তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।
  2. Freelancer: Freelancer প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন কাজের জন্য বিড করতে পারেন।
  3. Toptal: Toptal একটি প্রিমিয়াম মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি উচ্চ মানের ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারেন। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রোফাইল তৈরি করুন।

উপসংহার

আশা করছি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url