হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জানবো হাঁসের ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় আকারে একটু বড় হয় তাই হাঁসের ডিমের পুষ্টি ও বেশি থাকে।হাঁসের ডিম এ রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ,জিংক ও এগুলো আমাদের শরীরের শক্তি জগাই ।
ভূমিকা
হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি। আমরা কম বেশি ছোটবেলা থেকেই যে কোন খাবারের সাথে বা এমনিতেই সাধারণত হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিম খেয়ে থাকে। কিন্তু জানিনা হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এরমধ্যে অনেকেই ধারণা করে যে মুরগির ডিমে ভিটামিন ও প্রোটিন বেশি। এটা আসলে সম্পূর্ণ ভুল কথা। আকারে মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম একটু বেশি বড় এবং সেটা খোসা শক্ত ও মোটা তার সাথে ভিটামিন ও প্রোটিন বেশি।
হাঁসের ডিমের উপকারিতা
আমাদের দেহে অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হচ্ছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। আর এগুলো পাওয়ার সবথেকে বড় মাধ্যম হচ্ছে ডিম ।এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের দেহকে শক্তি যোগাতে ও ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাঁসের ডিম আমাদের দেহের আরো কয়েকটি কাজে লাগে তা দেওয়া হলো।
- ত্বক উজ্জ্বল করে
- পেশি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করে
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- মানসিক বুদ্ধি বৃদ্ধি করে
- শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ঘুম ভালো হয়
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
- চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করে
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- শরীল এর তাপমাত্রা বাড়ায়
প্রোটিনের উপকারিতাঃ
- আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদানের মধ্যে একটি হচ্ছে প্রোটিন। তবে এই প্রোটিন হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেতে পারেন তাহলে প্রোটিন পাবেন।
- প্রোটিনের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরে হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।
- হাঁসের ডিম খেলে আপনার হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কারণ হাঁসের ডিম হার্টের রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দিয়ে থাকে যার কারণে শরীরের সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে।
- আমাদের শরীরের মধ্যে চোখ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিশেষ করে চোখ দিয়ে আমরা সবকিছুই দেখতে পাই। যার কারণে চোখ ভালো রাখতে আমাদের ভিটামিন এ দরকার হয়। তবে হাঁসের ডিমে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তাই হাঁসের ডিম খেলে ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হবে।
- আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে কিংবা একদিন পরপর ১টি করে হাঁসের ডিম খেতে পারেন। এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও এই হাঁসের ডিম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁসের ডিম খান তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই পরিমাণ মতো খেয়ে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- মেয়েদের পিরিয়ডের সময় হাঁসের ডিম খাওয়া খুবই ভালো। কারণ অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পিরিয়ডের ফলে অনেক মেয়েদের অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। যার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে হাঁসের ডিমে আয়রন রয়েছে যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা
হাঁসের ডিমে যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অনেক ক্ষতিও রয়েছে রয়েছে, হাঁসের ডিম এলার্জি জাতীয় খাবার। যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের জন্য হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো কারণ হাঁসের ডিম খেলে তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন চুলকানি বেড়ে যেতে পারে, শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে, গা হাতমুখ সমস্ত শরীর ফুলে যেতে পারে।যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো।কারণ যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের ডাক্তার হাঁসের ডিম ,খাওয়া হাঁস খাওয়া এবং এলার্জি জাতীয় সবকিছু নিষেধ করে দেয়। তাই এই অবস্থায় হাঁসের ডিম না খাওয়া ভালো এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।হাঁসের ডিমের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে।
হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২টি বা ১টি বা একদিন পর পর ১টি করে ডিম খাওয়া ভালো। সাধারণত ব্যায়াম করার আগে ১টি এবং ব্যায়াম করার পর একটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আবার দিনের শুরুতে একটি হাঁসের ডিম খাওয়া অনেক ভালো। আপনার ওজন যদি কম থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে ১টি হাঁসের ডিম খেলে ওজন বাড়বে।হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক
তাহলে এখন আমরা জেনে নেব হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো। আজকের আমার এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ছিল হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে এবং হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক নিয়ে। এখন আমি চলে এসেছি হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মূল বিষয়গুলো।আমরা জানি যে হাঁসের ডিমে অনেক উপকার রয়েছে আর সেজন্য অনেকে হাসির ডিম খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সবকিছু জিনিসের ভালো দিক জানার সাথে সাথে সেই জিনিসের খারাপ দিকে জানা উচিত। আমরা হয়তো অনেকেই জেনে কিংবা না জেনে অনেক সময় বেশি পরিমাণে হাঁসের ডিম খেয়ে থাকি কিন্তু জানি না যে এর ক্ষতির পরিমাণ কি হতে পারে।
তাই এখন আমি হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক গুলোই আপনাকে বলে দিব।হাঁসের ডিমের অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উন্নতম দিক হলো এলার্জিযুক্ত এই হাঁসের ডিম আপনারশরীরে চুলকানি তৈরি করতে পারে বাত রোগের মত কঠিন একটি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও আপনার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আপনি যদি অতিরিক্তের তুলনায় বেশি হাঁসের ডিম খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।বলাই বাহুল্য যে এছাড়াও হাসের ডিমের ক্ষতিকর দিক আরো অনেক রয়েছে। তাই অবশ্যই হাসের ডিম খাওয়া থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে যদি আপনার অ্যালার্জি জন্মগতভাবে থেকে থাকে।
হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে
অবশ্যই হাঁসের ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য অর্থাৎ যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি পুষ্টিকরের পাশাপাশি একটি বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণও। সব এলার্জিতেই হাঁসের ডিম খাওয়া যাবেনা এমনটি নয়।তাই বলা যায় কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের হাঁসের ডিম খেলে এলার্জির সমস্যার সমূহের সম্মুখীন হতে হয়।যেমন হাতের এবং পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো দানা দেখা যায়। তাই আমরা বলতে পারি যে হ্যাঁ হাঁসের ডিমে এলার্জি আছে। তবে সব ধরনের এলার্জির রোগীদের জন্য নয়।
সিদ্ধ ডিম নাকি আধা সিদ্ধ ডিম কোনটা বেশি উপকারী
সিদ্ধ ডিম খাওয়া বেশি উপকার না আধা সিদ্ধ ডিম বেশি খাওয়া উপকার এইটি নিয়ে আমাদের সমাজে একটি বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই বলে সিদ্ধ ডিম ভালো আবার অনেকে বলে আধা সিদ্ধ ডিম ভালো। ডিমে এক ধরনের সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া আছে ।ডিম আধা সিদ্ধ করার ফলে এই ব্যাকটেরিয়া থেকেই যায় যা আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে।- তাই আধা সিদ্ধ করা ডিম এর থেকে পুরোপুরি সিদ্ধ করা ডিম খাওয়া বেশি উপকারী।
হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২টি বা ১টি বা একদিন পর পর ১টি করে ডিম খাওয়া ভালো। সাধারণত ব্যায়াম করার আগে ১টি এবং ব্যায়াম করার পর একটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আবার দিনের শুরুতে একটি হাঁসের ডিম খাওয়া অনেক ভালো। আপনার ওজন যদি কম থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে ১টি হাঁসের ডিম খেলে ওজন বাড়বে।গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু আপনার জন্য। আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি রয়েছে? তাই আপনি এই বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এতে করে আপনি খুব সহজেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় যেগুলো আপনার শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে অনেক বেশি উপকার। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে আধা সিদ্ধ ডিম বা কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই যাবে না। হাঁসের ডিম সুন্দর করে সেদ্ধ করে খাবেন এতে করে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
কারণ হাঁসের ডিমে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভে থাকা বাচ্চার দুজনের জন্যই অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায় নারীরা এমনিতেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। ঠিক ওই সময়ে যদি প্রতিদিন বা একদিন পরপর ১টি করে হাঁসের ডিম খাওয়ানো হয় তাহলে সেই দুর্বলতা কেটে যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url