প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
প্রিয় পাঠক ঘরে বসে না থেকে অনলাইনে কিছু কাজ করে টাকা আয় করা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকে, তবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন অল্প কিছু কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন. নিচে এমন কিছু কাজ পদ্ধতি দেওয়া আছে ।
ভূমিকা
অনলাইনে অনেক কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। অনেক কাজ রয়েছে, যা আপনি কয়েকদিন করার পর সেই কাজ থেকে আর ইনকাম করতে পারবেন না। আবার, অনেকেই অনলাইন থেকে আপনাকে ইনকাম করার পথ তৈরি করে দেয়ার জন্য টাকা চেয়ে থাকে, আপনি যদি উক্ত ব্যক্তিকে টাকা দেন, তবে পুরো টাকা জলে ভাসিয়ে দেয়ার ন্যায় হয়ে যাবে। তাই, আপনাদের জন্য এই পোস্টে এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আজীবন প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করা থেকে শুরু করে এর অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
কোনো কাজে দক্ষতা না থাকলে, অনলাইন কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
আপনার পছন্দমতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করুন টাকা আয় করার জন্য।
কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে গিগ প্রাইস নির্ধারণ করুন।
ভিডিও এডিটিং করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
- ভিডিও এডিটিং করতে পারেল কয়েক উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন। নিজে ভিডিও এডিটিং করে সেগুলো ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এ দিয়ে অ্যাড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, তেমনি অন্যের হয়ে ভিডিও এডিটিং করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও, একটি ভিডিও এডিট করেই ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা অব্দি ইনকাম করতে পারবেন।
- ভিডিও তৈরি করে সেগুলো এডিট করে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন। কিংবা, আপনি YouTube, Vimeo, Facebook বা অন্য কোনও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করেন, তাহলে আপনি প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- আপনি অন্যদের জন্য ভিডিও এডিট করতে পারেন। আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেমন Upwork বা Fiverr-এ ভিডিও এডিটিং এর সার্ভিস দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে ধরনের ভিডিও এডিট করতে চান তা নির্বাচন করতে পারেন, যেমন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, বা ব্যবসার ভিডিও। অনেকেই অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সার দিয়ে ভিডিও এডিট করে নেয়। আপনি যদি ভিডিও এডিট করতে পারেন, তবে ভিডিও এডিট করে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন গেম খেলে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
- অনলাইনে অনেক গেম রয়েছে যেগুলো গেম খেলার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন গেম খেলার অ্যাপস রয়েছে যেমন, MPL Gaming App, Mistplay App, Rewarded Play ইত্যাদি এরকম আরো অনেক গেমিং অ্যাপ রয়েছে যেগুলো গেমে অ্যাপসে গেম খেলার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
- তবে এখানে যদি আগে টাকা জমা দিয়ে গেম খেলতে হয় তাহলে সেই গেম খেলা থেকে বিরত থাকতে পারবেন কারণ এটা এক ধরনের জুয়া হতে পারে এবং সকল প্রকার জুয়া খেলা ইসলামী নিষিদ্ধ বা হারাম। তবে কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়া যদি কোন অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় তাহলে সেগুলোতে কাজ করতে পারেন।
ওয়েব ডেভলপার হয়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
- বর্তমানে অনেকে তাদের ব্যবসার জন্য এবং কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। কিন্তু একটি ওয়েবসাইট তো যে কেউ তৈরি করতে পারে না। শুধুমাত্র যারা ওয়েব ডেভলপার তারাই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে সেজন্য আপনি চাইলে ওয়েব ডেভলপার হয়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
- ওয়েব ডেভলপার হয়ে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই কাজ ভালোভাবে শিখতে হবে।ওয়েব ডেভলপার হওয়া তেমন একটা সহজ কাজ নয় কারণ এখানে বিভিন্ন রকম কোডিং সম্পর্কে জানতে হয় শিখতে হয় যা অনেকের মাথায় ঢুকবে না। কিন্তু আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ওয়েব ডেভলপার হতে পারবেন। এবং আপনি যদি একজন ভালো ওয়েব ডেভলপার হন তাহলে অনেক কাজ পাবেন এবং সেগুলো কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল
এমন একটি কাজ নির্বাচন করুন, যেখানে আপনার আগ্রহ আছে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।কোনো কাজে দক্ষতা না থাকলে, অনলাইন কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
আপনার পছন্দমতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করুন টাকা আয় করার জন্য।
কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে গিগ প্রাইস নির্ধারণ করুন।
যখন কোনো কাজের অর্ডার পাবেন, তখন মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন যেন ক্লায়েন্ট খুশি হয়।
কঠোর পরিশ্রম করলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
কঠোর পরিশ্রম করলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের কাজ যা আপনি আপনার বাড়ি থেকে, আপনার নিজের সুবিধামতো সময়ে করতে পারেন। আপনার যদি এমন কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, যেমন : লেখালেখি করা, ডিজাইন করা, প্রোগ্রামিং, বা অনুবাদ করা, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা।বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। যেমন Upwork, Fiverr, এবং Freelancer.com।ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য, আপনাকে প্রথমে যেকোনো কাজে দক্ষ হতে হবে। আপনার যদি কোনো কাজে দক্ষতা না থাকে, তবে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স আছে, এসব কোর্স করে আপনার পছন্দমতো বিষয়ের উপর দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
- কোর্স করে যখন একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, তখন বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে অন্যের হয়ে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যখন আপনার একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনার একাউন্ট এ আপনি যে কাজে দক্ষ, আগে যেসব কাজ করেছেন, আপনার পোর্টফোলিও সহ আরও অনেক তথ্য যুক্ত করতে হবে। এতে করে, লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহ দেখাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবার প্রচার-প্রচারনামূলক কাজ করে থাকে আধুনিক উপায়ে। বিশেষ করে অনলাইন সংক্রান্ত যে সকল মার্কেটিং হয়ে থাকে সে সবগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত।তাহলে ডিজিটাল মার্কেট ভাঙলে কোন কাজগুলো পাওয়া যায়?- ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত যে কাজগুলো রয়েছে তা হলো:সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন বা এসইও
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা এস ই এম
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে একজন ডিজিটাল মার্কেটার মাসিক বেতন পায় প্রায় ২০ হাজার টাকার মত। তবে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এমনও ডিজিটাল মার্কেটে রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম ৫০ হাজারের বেশি।কিন্তু আমাদের এই আর্টিকেলটি তো মাসিক ইনকাম ভিত্তিক নয় তাহলে এটাকে কেন এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হলো?
কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এমন এক ধরনের কাজ যেটা আপনি ঘন্টা ভিত্তিক হারেও করতে পারবেন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। সুবাদে যখনই আপনার কাজ সম্পূর্ণ হবে তখনই পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ থাকছে এখান থেকে। আর মাসিক দেখে অবশ্যই বুঝে গেছেন যে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কোন বড় বিষয় নয়।
যাই হোক ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পেতে আপনাকে একাউন্ট করতে হবে Upwork, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, লিংকডিন, ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে।
অফলাইনে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
ফেক্সিলোডের ব্যবসা করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুনযদিও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম যেমন বিকাশ নগদ রকেট চলে আসার ফলে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসায় কিছুটা দুর্বল হয়েছে তারপরেও এখন অব্দি বাংলাদেশে এই ব্যবসাটি সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং রয়েছে এবং পরবর্তীতে থাকবে।ছোট খাটো স্থানে অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এ ব্যবসাটি।ফিক্সিলোডের ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে হবে কোম্পানির SR দের কাছ থেকে। এটি মূলত কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা। এখানে প্রতি হাজার টাকা রিচার্জে ৩০ টাকা অতিরিক্ত কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়। তার মানে এই যে আপনি ফেক্সিলোড করার জন্য কোম্পানিকে যখন এক হাজার টাকা প্রদান করবেন তখন তার বিপরীতে আপনাকে ১০৩০ টাকার ফ্লেক্সি দেওয়া হবে।
এরপর আপনি আপনার কাস্টমারকে ফ্লেক্সিলোড দেওয়ার মাধ্যমে এই অতিরিক্ত কমিশনের পাশাপাশি এক্সটা কিছু ড্রাইভ অথবা অফার ক্রয়ের মাধ্যমেও অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটিকে একটা এভারগ্রিন আর্নিং হয়ে বলা যায়। কেননা যত বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তত বেশি স্মার্টফোনের সমস্যা সমাধান হওয়া এবং তত বেশি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাছে যাওয়া এবং তাদের সার্ভিস গ্রহণ করা। যত বেশি মোবাইল নষ্ট হবে বা সমস্যা দেখা দিবে তত বেশি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।সাধারণত আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন কোন কারণে নষ্ট বা কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটিকে ঠিক করার জন্য আমরা উঠে পড়ে লাগে এর জন্য যত টাকায় অর্থ ব্যয় হোক না কেন সেটাতে দ্বিধা করি না। পাশাপাশি এটা এমন এক ধরনের ব্যবসা হয়ে যায় যে ব্যবসায় বাকি নামক কোন শব্দ নেই, যেই মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করাতে আসে অবশ্যই নগদ অর্থেই এ কাজটি করিয়ে নিয়ে যায়।
তাই আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শিখতে পারেন এবং জনবহুল একটি এরিয়াতে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে বসতে পারেন তবে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকায় নয় বরং এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে এই সেক্টরের মাধ্যমে
সাধারণ দৃষ্টিতে মোবাইল সার্ভিসিং এর কিছু সাধারণ কাজ হলো:
সাধারণ দৃষ্টিতে মোবাইল সার্ভিসিং এর কিছু সাধারণ কাজ হলো:
- মোবাইলে যে কোন সমস্যা নির্ণয় করার পর ত্রুটিপূর্ণ যন্তাংশ পরিবর্তন
- মোবাইলের সফটওয়্যার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা
- স্মার্টফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন
- মোবাইলের স্কিন পরিবর্তন ও স্ক্রিন প্রটেক্টর বিক্রি
- ক্যামেরা পরিবর্তন করা
- ফোনের স্পিকার নষ্ট হয়ে গেলে তা চেঞ্জ করে দেওয়া
- ফোনের মাইক্রোফোন বা মাউথ পরিবর্তন করা
- নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যার জন্য নেটওয়ার্ক আইসি পরিবর্তন করা
গ্রাফিক ডিজাইনিং করে আয়
আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারেন।কারণ বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ও প্রচুর চাহিদা ও ডিমান্ড রয়েছে।একজন গ্রাফিক ডিজাইনার অনেক ধরনের কাজ যেমন, ব্যনার তৈরি থেকে শুরু করে পোস্টার, ছবির ইডিটিং ও বিজ্ঞাপন তৈরির করার কাজ করে থাকেন।কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করতে হলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সম্পর্কে পূর্ণ দক্ষতা ও ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজ শিখতে পারেন এবং কাজ শিখে প্রতি মাসে এটাকে পেশা হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করে মাসে খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি ব্লগিং পেশায় যেমন আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়
বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে অনেকেই লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা এখনকার সময়ে ব্লগিং অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা হিসাবে পরিচিত। তাই আপনি যদি সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে অনায়াসেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন।আপনি ব্লগিং পেশায় যেমন আয় করতে পারবেন।
তেমনি ব্লগিং করার জন্য ধর্য্য ধারণ করে কাজ করতে হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ আয় জেনারেট করতে পারবেন।যদি একবার কষ্ট করেন তাহলে আজীবনের জন্য লাভবান হওয়ার সব চেয়ে উত্তম উপায় হলো ব্লগিং ।
ডাটা এন্ট্রি কাজ হচ্ছে মূলত কম্পিউটার সিস্টেম ।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারেন।কারণ বর্তমানে ডাটা এন্টি কাজ যত বেশি করতে পারবে তার ততো বেশি আয় হবে।বর্তমান সময়ে আপওয়ার্ক ও ফাইভারে যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায় তাহলে আপনি প্রতি সপ্তাহে এখান থেকেই 4000 টাকা আয় করতে পারবেন।ডাটা এন্ট্রি কাজ হচ্ছে মূলত কম্পিউটার সিস্টেম ।
বা ডাটাবেসে ডেটা প্রবেশের মাধ্যমে।আপনি যদি একজন দক্ষ ডাটা এন্টি-এক্সপার্ট অপারেট হতে চান তাহলে প্রতি ঘন্টায় ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এন্টি করতে সক্ষম হতে হবে।এ ভাবে ডাটা এন্ট্রি করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা সম্ভব।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করে প্রতি সপ্তাহে আপনি খুব সহজেই 4000 টাকা আয় করতে পারবেন ।কেননা আপনি জেনে অবাক হবেন যে, একজন আর্টিকেল রাইটারের কাছে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা বড় কোনো ব্যাপার নয়। হোক আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটার অথবা ইংরেজি। তবে ইংরেজি রাইটিং কাজ করলে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।আপনি উভয় ভাবেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে বেশ কিছু টেকনিক অনুসরণ করতে হবে।যেমন, সুন্দর ও সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল লিখার স্কিল থাকতে হবে ও আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে। এ ভাবে সঠিক নিয়মে কাজ করলেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে পরিচিত ।কিন্তু একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে ও এক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে।এছাড়াও সে বিষয়ে সুন্দর করে উপস্থাপনার মত স্কিল থাকতে হবে। নিজের আওয়াজের টোনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হওাজেতাই কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারেন।তবে আপনাকে একটু ধর্য্য সহকারে কাজ করতে হবে ও আপনার প্রোফাইলে সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করে নিয়মিত আপলোড করতে হবে।
ভিডিও ইডিটিং করে আয়
বর্তমান সময়ে ভিডিও ইডিটিং কাজ করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা সম্ভব। সাধারণত ভিডিও এডিটিং ফিল্ম এবং টেলিভিশন শো, ভিডিও বিজ্ঞাপন এবং ভিডিও প্রবন্ধ সহ সমস্ত ভিডিও তথ্য গঠন এবং উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।এছাড়াও কন্টেন্ট মেকিং থেকে শুরু করে ব্যবসার প্রোডাক্ট প্রোমোশন করা, সব কিছুই যেনো ভিডিওতে উপস্থাপন করা হয়।এমতাবস্থায় যত বেশি ভিডিও নিয়ে কাজ, তত বেশি ভিডিও ইডিটরের চাহিদা।তাই আপনি যদি এখন থেকে শুরু করে লং টাইমের জন্য কাজ করতে চান তাহলে ভিডিও ইডিটিং এর কাজ করতে পারেন।আপনি যদি ভিডিও ইডিটিং এর কাজের দক্ষতা থাকে বা শিখে থাকেন তাহলে অনলাইন এবং অফলাইন রিসোর্স পাওয়া যায়।আর এই কাজ গুলো করেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা সম্ভব।
আশা করছি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url