সিটি ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা ডেবিট কার্ড
সিটি ব্যাংকের প্ল্যাটিনাম ডেবিট মাস্টারকার্ড এর মাধ্যমে। সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটিনাম ডেবিট মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রথম ডুয়েল কারেন্সি প্লাটিনাম ডেবিট কার্ড। বাংলাদেশ এবং দেশের বাহিরে মাস্টারকার্ডের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক জুড়ে নির্বিঘ্নে আপনার প্রয়োজনীয় লেনদেনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম সিটি ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল প্লাটিনাম ডেবিট মাস্টারকার্ড।
ভূমিকা
সিটি ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা ডেবিট কার্ড
সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ভিসা ডেবিট কার্ড নিতে হলে কি প্রয়োজন।- প্রথমে আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার মাধ্যমে আপনাকে ব্যাংক থেকে ডুয়েল কারেন্সি সেবা প্রদান করবে।
- আর আপনার ১কপি রঙীন ছবি দিতে হবে আর
- একাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই আপনাকে একজন Nominee রাখতে হবে। Nominee হতে পারবেন আপনার বাবা,মা অথবা স্ত্রী/স্বামী। এছাড়া Nominee- এর ন্যাশনাল ভোটার আইডি কার্ডের প্রিন্ট কপি প্রয়োজন হবে।
- যা যা ডকুমেন্টস প্রয়োজনঃ
- পাসপোর্ট।
- রঙিন ছবি।
- নমিনির ভোটার আইডি কার্ড।
আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজন ডকুমেন্টসসহ নিকটস্থ সিটি ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। তারপর সিটি ব্যাংকের যারা কর্মকর্তা থাকে তাদের থেকে আপনি সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনাকে সিটি ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে এবং তারপর সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন।
কার্ড পেতে কত সময় লাগে
সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনাকে একাউন্ট খোলার সকল কার্যক্রম শেষ হলে দেওয়া হবে। বলে রাখা ভালো সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি American Express এর সার্ভিস প্রদান করতে থাকে। একাউন্ট খোলার ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর আপনার একাউন্টটি সচল হবে। তবে যদি এর থেকে বেশি সময় লাগে তবে আপনাকে সিটি ব্যাংকের কাস্টোমার কেয়ার অথবা সরাসরি তাদের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।
- অ্যাকাউন্টের জন্য ডেবিট কার্ড৷ এই অ্যাকাউন্টে দেওয়া ডেবিট কার্ডটি সারা বিশ্বের যেকোনো মাস্টারকার্ড প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যেকোনো সময়ে স্থানীয় মুদ্রায় উচ্চতর নগদ উত্তোলন করতে পারেনএটিএম বিশ্বব্যাপী যা মাস্টারকার্ড, মায়েস্ট্রো এবং সিরাসের চিহ্ন প্রদর্শন করে। বিঃদ্রঃ- যদি আপনার একটি অনাবাসী বহিরাগত- এবং একটি অ-আবাসিক সাধারণ- রুপি চেকিং অ্যাকাউন্ট থাকে, আপনি প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য একটি এটিএম পিন সহ।
একটি ডেবিট কার্ড পাবেন৷ আপনার অ্যাকাউন্টে একাধিক ধারক থাকলে, প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারী একটি ডেবিট কার্ড এবং এটিএম পিন পাবেন।
অনাবাসী সাধারণ রুপি চেকিং অ্যাকাউন্টের জন্য ডেবিট কার্ড এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে, আপনি আপনার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নগদ টাকা তুলতে পারবেন, অনলাইন শপিং করতে পারবেন এবং মাস্টারকার্ড প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটার জন্য অর্থ প্রদান করতে পারবেন। অ-আবাসিক সাধারণ রুপি চেকিং অ্যাকাউন্ট আপনাকে ভারতের যে কোনও।
এটিএম-এ ভারতীয় রুপিতে নগদ তোলার সুবিধা দেয় যা মাস্টারকার্ড, মায়েস্ট্রো এবং সিরাসের চিহ্নগুলি প্রদর্শন করে।
সিটি ব্যাংক ডেবিট কার্ড চার্জ
সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা সিটিটাচের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং কার্ডটি তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হয়ে যাবে। ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ডের জন্য প্রথম বছর কোনো চার্জ প্রযোজ্য হবে না এবং পরবর্তিতে বার্ষিক ২০০ টাকা + ভ্যাট চার্জ হিসেবে প্রযোজ্য হবে।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড
আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড পেতে কত টাকা লাগেআপনি একটি আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্য হতে পারেন যদি আপনার ভাল বা চমৎকার ক্রেডিট (700 বা তার বেশি ক্রেডিট স্কোর ) এবং মাসিক খরচের চেয়ে বেশি আয় থাকে। Amex আবেদনকারীদের কমপক্ষে 18 বছর বয়সী হতে হবে এবং একটি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর (SSN) এবং একটি মার্কিন রাস্তার ঠিকানা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ কত
সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা সিটিটাচের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং কার্ডটি তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হয়ে যাবে। ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ডের জন্য প্রথম বছর কোনো চার্জ প্রযোজ্য হবে না এবং পরবর্তিতে বার্ষিক ২০০ টাকা + ভ্যাট চার্জ হিসেবে প্রযোজ্য হবে।গুরুত্বপূর্ণ দিক আপনি যদি বিদেশে আপনার NRE রুপি চেকিং অ্যাকাউন্টের জন্য আপনার ডেবিট কার্ড ব্যবহার না করেন যে কোনো এটিএম, পিওএস বা অনলাইনে,ডিফল্ট সীমা প্রতি আর্থিক বছরে $2500 এর সমতুল্য।
সেট করা হয়েছে যদি, আপনি এই সীমা বাড়াতে চান, তাহলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারেন এবং মেল বক্স বিকল্পটি ব্যবহার করে একটি নিরাপদ মেল পাঠাতে পারেন। আরেকটি বিকল্প হলকল ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার। উপরে উল্লিখিত সর্বাধিক দৈনিক সীমা হল ATM, POS এবং অনলাইন কেনাকাটার জুড়ে একটি সামগ্রিক সীমা। নন-সিটি ব্যাঙ্ক এটিএম এছাড়াও প্রতিটি নগদ তোলার জন্য অতিরিক্ত সীমা আরোপ করতে পারে। বিদেশে নগদ উত্তোলন INR থেকে স্থানীয় মুদ্রায় বৈদেশিক মুদ্রা রূপান্তর সাপেক্ষে হবে সিটি ব্যাংক ডেবিট কার্ড চার্জ।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা গুলো কি কি
নিন্মে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা উপস্থাপন করা হলো:যারা বিশেষ করে দেশে থাকেন না, যেমন: চাকরিজীবী,শিক্ষার্থী তারা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থেকে।আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে হলে কার্ড অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সি হতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস যেমন অ্যামাজন,আলিবাবা।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।অন্য দেশ থেকে ডলার রিসিভ এ ২.৫% রেমিটেন্স লাভের সুবিধা।এছাড়া প্রয়োজনে খাতিরে আমাদের অনেক সময় বিদেশে অর্থ পাঠাতে হয়,এক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করি সুবিধা লাভ করা যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url