নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করার নিয়ম জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করার নিয়ম সম্পর্কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেসব অপরাধের বিচার হয়, তার মধ্যে রয়েছে যৌতুক, অ্যাসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত মৃত্যু, নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা, যৌন নিপীড়ন, ইত্যাদি।
ভূমিকা
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা চৌদ্দ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।যদি কোনো ব্যক্তি মুক্তি পণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোনো নারী বা শিশুকে আটক করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন তাহলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন ও অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
উল্লিখিত যে কোনো ঘটনার শিকার হলে আপনার পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান।
বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন।পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে প্রেরণ করবেন।
এখতিয়ারাধীন ম্যাজিস্ট্র্রেট তা গ্রহণ করলে ওই মামলার আসামিদের আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করার নিয়ম
বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী যেসব অপরাধ এ আইনের অন্তর্ভুক্ত তা হলো- দহনকারী বা ক্ষয়কারী, নারী পাচার, শিশু পাচার, নারী ও শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা, যৌন নিপীড়ন, যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি, ধর্ষণের ফলে জন্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান।যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির।
ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।
কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করিতে পারিবে।
থানায় মামলা দায়ের
উল্লিখিত যে কোনো ঘটনার শিকার হলে আপনার পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারসম্পন্ন হাকিম আদালতে প্রেরণ করবেন। এখতিয়ারাধীন হাকিম তা গ্রহণ করলে ওই মামলার প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন।এবং পরবর্তী সময়ে মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপযুক্ত আদালত তথা নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠাবেন। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচারের জন্য সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করলে সেই তারিখে মামলাটির বাদী ও অভিযুক্তকে আদালতের সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলতে থাকবে।
আদালতে মামলা কোনো কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যদি অভিযোগটি গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করেন তাহলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে,এ ক্ষেত্রে মামলাকারী ব্যক্তি প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমনে নিযুক্ত নারী ও শিশু পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি নারী ও শিশু) কাছে প্রত্যয়ন ও সত্যায়িত করে মামলা করতে হবে।
এ ছাড়া আবেদনটি বিচারকের সামনে হাজির করার সময় অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দী দিয়ে মামলা করতে হবে। আদালত অভিযুক্তের জবানবন্দি শোনার পর মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন
নিরাপত্তামূলক হেফাজত
এই আইনের অধীন বিচার চলাকালে যদি ট্রাইব্যুনাল মনে করেন কোনো নারী বা শিশুকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজন, তাহলে ট্রাইব্যুনাল ওই নারী বা শিশুকে কারাগারের বাইরেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বা যথাযথ অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন। বিচার চলাকালে যদি অপরাধী মহল নির্যাতিত নারী বা শিশুকে আবার কোনো ধরনের আঘাত করে বা করতে চায়।
তা থেকে রক্ষার জন্য এই বিধান। তা ছাড়া অভিযুক্তকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতে পারে ট্রাইব্যুনাল। তবে কোনো নারী বা শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল ওই নারী বা শিশুর মতামত গ্রহণ ও বিবেচনা করবেন।
শাস্তি
বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে অর্থদণ্ডের বিধান।
প্রতিকারের জন্য যারা সহযোগিতা করবে
আপনি যদি মামলা করতে অসমর্থ হন বা কোনো হুমকির সম্মুখীন হন, তাহলে সরকারি খরচে আইন সহয়তা প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে প্রতি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
তদন্ত
অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতেনাতে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করবে। আর অপরাধী ধরা না পড়লে তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত না হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করে সময় শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনাল ইচ্ছে করলে অন্য কর্মকর্তার ওপর তদন্তভার অর্পণের আদেশ দিতে পারেন। এই আদেশ দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।শাস্তি
বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে অর্থদণ্ডের বিধান।
প্রতিকারের জন্য যারা সহযোগিতা করবে
আপনি যদি মামলা করতে অসমর্থ হন বা কোনো হুমকির সম্মুখীন হন, তাহলে সরকারি খরচে আইন সহয়তা প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে প্রতি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
তাছাড়া কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে যারা আপনাকে সহযোগিতা করবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল প্রভৃতি।২০১১ হলো বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নের একটি আইন।
শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের জীবন বিকাশের সরকার ২০১১ সালে আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনে শিশুদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সুদূরপ্রসারী রূপকল্প বহন করা হয়েছে। এনীতিতে শিশু বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী এবং কিশোর বলতে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বুঝায়। শিশুদের বিশেষ মানবাধিকারের মধ্যে রয়েছে, অন্যান্য অধিকারের মধ্যে।বেঁচে থাকার অধিকার, একটি নামের অধিকার, শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার।
চিন্তার স্বাধীনতার অধিকার, বিবেক এবং ধর্মের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, অর্থনৈতিক ও যৌন শোষণ থেকে সুরক্ষার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকার ।প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী সব ব্যক্তি শিশু বলে বিবেচিত হচ্ছে, কিন্তু পরের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা একই সঙ্গে 'শিশু' ও 'কিশোর-কিশোরী' হিসেবেও সংজ্ঞায়িত হচ্ছে।
জাতীয় শিশু নীতির মৌলিক নীতিগুলি হল
- বাংলাদেশের সংবিধানশিশু আইন এবং আন্তর্জাতিক সনদ, কনভেনশনের আলোকে শিশু অধিকার নিশ্চিত করা।
- শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন।
- সকল প্রকার শিশু নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করা।
- সকল প্রকারের নির্মূল।
শিশু আদালত বিদ্যমান
অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু আইন অনুযায়ী অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠার) বছর বয়স পর্যন্ত সকল ব্যক্তি শিশু হিসাবে গণ্য হইবে।শিশু আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে এবং। ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে একটি আদালত থাকিবে, যাহা শিশু-আদালত নামে অভিহিত হইবে।ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আইন ও বিচার বিভাগ, সুপ্রিমকোর্ট’ এর সহিত পরামর্শক্রমে।
সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলা এবং, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত দায়রা জজ এর আদালতকে শিশু-আদালত হিসাবে নির্ধারণ করিবে এবং একাধিক আদালত নির্ধারণ করা।
- হইলে উহাদের প্রত্যেকটির আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্দিষ্ট করিবে তবে শর্ত থাকে যে, কোন জেলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ না থাকিলে উক্ত জেলা’র জেলা ও দায়রা জজ তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে শিশু-আদালতের দায়িত্ব পালন করিবেন।
- কোন মামলায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সহিত কোন শিশু জড়িত থাকিলে, ধারা ১৫ এর অধীন পৃথক চার্জশীটের ভিত্তিতে, শিশু-আদালতকে উক্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, একই দিবসে পৃথকভাবে পৃথক অধিবেশনে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা একই নিয়মে পরবর্তী কর্মদিবসে বিরতিহীনভাবে অব্যাহত থাকিবে।
- শিশু-আদালত ধারা ১৮ এর বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বিধি দ্বারা নির্ধারিত স্থান, দিন এবং পদ্ধতিতে, উপ-ধারা ২ এর বিধান অনুসারে, উহার অধিবেশন অনুষ্ঠান করিবে তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শিশু-আদালতের বিচারক তাহার স্বীয় বিবেচনায় বিচারের দিন, ক্ষণ, স্থান নির্ধারণক্রমে, উপ-ধারা ২ এর বিধান অনুসারে, উহার অধিবেশন আরম্ভ এবং সমাপ্ত করিবেন।
- সাধারণত যে সকল দালান বা কামরায় এবং যে সকল দিবস ও সময়ে প্রচলিত আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় উহা ব্যতীত, যতদূর সম্ভব, অন্য কোন দালান বা কামরায়, প্রচলিত আদালতের ন্যায় কাঠগড়া ও লালসালু ঘেরা আদালতকক্ষের পরিবর্তে একটি সাধারণ কক্ষে এবং অন্য কোন দিবস ও সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যতীত শুধুমাত্র শিশুর ক্ষেত্রে শিশু-আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
থানায় মামলা দায়ের করার নিয়ম ও বিচার
উল্লিখিত যে কোনো ঘটনার শিকার হলে আপনার পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান।
বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন।পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে প্রেরণ করবেন।
এখতিয়ারাধীন ম্যাজিস্ট্র্রেট তা গ্রহণ করলে ওই মামলার আসামিদের আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন।
এবং পরবর্তী সময়ে তদন্ত শেষে অবিযোগপত্র দাখিল হলে মামলাটি বিচারের জন্য উপযুক্ত আদালত তথা নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠাবেন।এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচারের জন্য সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করলে সেই তারিখে মামলাটির বাদী ও অভিযুক্তকে আদালতের সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলতে থাকবে।
কোনো কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যদি অভিযোগটি গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তাহলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। এক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর সহায়তা দিয়ে হলফনামা দিয়ে যথোপযুক্ত সাক্ষী ও প্রমাণাদি দিয়ে ( ধর্ষণজনিত কারণ ও শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও ডকুমেন্টস্) মামলাটি দাখিল করতে হবে।
আদালতে মামলা করার ক্ষেত্রে করণীয় ও বিচার
কোনো কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যদি অভিযোগটি গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তাহলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। এক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর সহায়তা দিয়ে হলফনামা দিয়ে যথোপযুক্ত সাক্ষী ও প্রমাণাদি দিয়ে ( ধর্ষণজনিত কারণ ও শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও ডকুমেন্টস্) মামলাটি দাখিল করতে হবে।
বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ পূর্বক মামলাটি গ্রহণ করবেন কিংবা জুডিসিয়াল তদন্তের নির্দে শ দিবেন কিংবা তদন্তের নির্দেশ দিবেন যে কোন সংস্থাকে কিংবা থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করারও নির্দেশ দিতে পারেন।
স্বাভাবিকভাবেই ধর্ষণের মতো দুঃস্বপ্ন কোনো নারীই দেখতে চান না৷ ধর্ষণের পর যে কোনো নারী এতটাই লজ্জিত এবং আতঙ্কিত থাকেন, যে তিনি ধর্ষক সম্পর্কে কোনো কথা বলতে বা পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ যার ফলে অপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
শারীরিক নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের শিকার হলে যা যা করণীয়
স্বাভাবিকভাবেই ধর্ষণের মতো দুঃস্বপ্ন কোনো নারীই দেখতে চান না৷ ধর্ষণের পর যে কোনো নারী এতটাই লজ্জিত এবং আতঙ্কিত থাকেন, যে তিনি ধর্ষক সম্পর্কে কোনো কথা বলতে বা পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ যার ফলে অপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
- ধর্ষণের পর একা থাকবেন না, কোনো বান্ধবী বা আত্মীয়ার সাথে যোগায়োগ করুন, ঘটে যাওয়া ধর্ষণ নিয়ে কথা বলুন এবং তাঁর সাহায্য নিন৷
- গোসল, খাওয়া-দাওয়া, বাথরুম যাওয়া – সম্ভব হলে এ সব বন্ধ রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে চলে যান৷ অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে যাবার আগেই ডাক্তারি পরীক্ষা করান৷
- হাসপাতালে যাওয়ার পর যদি ‘এমারজেন্সিতে' কারো সাথে এ বিষয়ে কিছু বলতে না চান, তাহলে শুধু ‘‘আমাকে এক্ষুনি একজন স্ত্রী বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলতে হবে' – এ কথা বললেও চলবে৷
- ধর্ষণকারী যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, তার সব তুলে রাখুন৷ যেমন অন্তর্বাস, প্যাড ইত্যাদি৷ সম্ভব হলে এ সব জিনিসের ছবিও তুলে রাখুন৷
- নিজেকে দোষী ভাববেন না৷ কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে, শুধু সে একাই এর জন্য দায়ী, অপরাধী৷ আপনি নন।
- আপনার নিকটবর্তী থানায় মামলা দায়ের করুন, থানা মামলা নিতে গড়িমসি করলে বা যে কোন প্রয়োজনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার,মানবাধিকার সংস্থা আইনজীবীর সহায়তা নিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url