অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম - নতুন মিটার অনলাইন আবেদন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম ও অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েটি। বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ ৪টি বিল পরিশোধ করা যায় কোন চার্জ ছাড়াই
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে পরিশোধ করা যায় বিদ্যুৎ বিল। এছাড়াও আছে ডিবিবিএল (ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট ও নেক্সাস অ্যাপ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ

ভূমিকা 

প্রযুক্তির কল্যাণে শেষ হয়েছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার দিন। এখন দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ঘরে বসেই নিশ্চিন্তে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়। প্রযুক্তির এই সুবিধা কাজে লাগাতে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে বিদুৎ বিল পরিশোধের নিয়ম।

অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম

অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েটি। বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ ৪টি বিল পরিশোধ করা যায় কোন চার্জ ছাড়াই।

বিকাশ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম

১/ পিন দেয়ার পর অ্যাপ-এ হোম স্ক্রিন আসবে। এখান থেকে পে বিল-এ যেতে হবে।
২/ পে বিল-এর স্ক্রিণে প্রতিষ্ঠানের ধরনের ক্যাটাগরি থেকে বিদ্যুৎ-এ ট্যাপ করলে নিচের দিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাবে।
৩/ যে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
৪/ এবার পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে বিলের সময়সীমা লিস্ট থেকে যে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হবে সে মাস নির্বাচন করে কাস্টমার নাম্বার দিতে হবে। এই আইডি নাম্বারটি মুলত আট অঙ্কের একটি সংখ্যা যেটি প্রতি মাসে সরবরাহকৃত বিগত মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপিতে উল্লেখ থাকে। প্রিপেইডের ক্ষেত্রে এ অংশে অ্যাকাউন্ট, যোগাযোগ ও রেফান্সে নাম্বার দিতে হবে।
৫/ বিলের সময়সীমা নির্বাচনের সাথে সাথে নির্দিষ্ট মাসের জন্য ধার্যকৃত বিদ্যুৎ বিল দেখাবে। পরের স্ক্রিণে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণটি উল্লেখ করে পিন নাম্বার দিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকলে কনফার্ম বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখলে বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
৬/ বিল জমার সাথে সাথেই জমা রশিদ দেখা ও ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
অন্যদিকে প্রিপেইডের ক্ষেত্রে বিল জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি টোকেন নাম্বার দেয়া হবে।এভাবে টোকেন নাম্বার না পেলে মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে মিটার নাম্বার লিখে মেসেজ করতে হবে ০৪৪৪৫৬১৬২৪৭ নাম্বারে। তখন ফিরতি এসএমএস-এ পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত টোকেন নাম্বারটি।

নতুন মিটার অনলাইন আবেদন

১) আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের মূল দলিল/খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
২) সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব)১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে।
৩) সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে।
৪) আবেদনের সাত (৭) দিনের মধ্যে ঘর/হাউজ ওয়্যারিং এবং সোলার ইউনিট (প্রযোজ্য হলে) স্থাপন করতঃ তা অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। অন্যথায় আবেদনটি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
৫) মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।
৬) অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
৭) আবেদন ফরমের লাল(*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরন করতে হবে।
৮) আবেদন পত্রে গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর প্রদান করুন।
৯) আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
১০) সংযোগের অর্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।

বিকাশে বিদ্যুৎ বিল 

ফ্রিবিদ্যুৎ বিল চার্জ ছাড়াই বিকাশের মাধ্যমে দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে যেকোনো ৪টি বিল বিকাশের মাধ্যমে দেয়া যায়। গ্যাস বিল, পানি বিল এবং বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও এই অফার প্রযোজ্য। এই অফারের ক্ষেত্রে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।প্রতি মাসে যেকোনো ৪টি বিল কোনো চার্জ ছাড়াই দেয়া যায় এবং সেক্ষেত্রে পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল দেয়া যাবে।প্রতিটি গ্রাহক এই সুবিধা নিতে পারবে।

এই অফারের সুবিধা গ্রহন করতে বিকাশ অ্যাপ বা ফোন থেকে *২৪৭# ডায়াল করে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে।
এই অফারের ক্ষেত্রে বিলের পরিমানের লিমিট নেই।

বিকাশে বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়ম

পূর্বে আমরা বিকাশ থেকে প্রিপেইড বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো কিভাবে বিকাশ থেকে বিদ্যুৎ বিল চেক করা হয়। আমাদের বর্তমান মাস এবং বিগত বিভিন্ন মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখতে নিচের নিয়ম অনুসরন করতে হবে। নিয়মগুলো নিম্নরূপ

পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর অধীনে ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ৩ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করে আসছে। গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নে বাপবিবো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাস শেষে প্রতিটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে হয়। সাধারণত বিল প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট বিলিং অফিস অথবা নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকে স্বশরীরে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা যায়। 

বিল প্রদানের জন্য নিজের আবাসন থেকে দূরবর্তী অফিসে যাওয়া এবং ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে গ্রাহককে সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হতো।গ্রাহকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে বাপবিবো এর আইসিটি পরিদপ্তর কর্তৃক পোস্টপেইড গ্রাহকদের অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সিস্টেম (API ভিত্তিক অনলাইনে বিল পরিশোধ সেবা) চালু করেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নিতে কি কি লাগে

1 আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত) 2 ভোটার আইডির কপি/ জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (সত্যায়িত) 3 জায়গার খতিয়ান/ দলিল/ খারিজ কপি (সত্যায়িত) 4 মিটার স্থাপনের জন্য ঘরের ওয়্যারিং সম্পন্ন করে রিপোর্ট ও যে কোন ইলেকট্রিক দোকান থেকে আর্থিং রড, মিটার বোর্ড (ইত্যাদি) ক্রয়ের ভাউচার।

বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম 2024

পিডিবির এক হিসেব থেকে দেখা যায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে গড়ে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হতো ৫.৪৭ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.০৪ টাকা। এর সঙ্গে সরবরাহ ব্যায় যুক্ত হলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ হয় প্রতি ইউনিটে ১১.৩৮ টাকা।

বাসা বাড়িতে বিদ্যুতের ইউনিট কত টাকা

সরকারের নির্বাহী আদেশে এক বছরের মাথায় গ্রাহক পর্যায়ে আবার বাড়ল বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুসারে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে বেড়েছে ৭০ পয়সা। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে।
নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণ করে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। 

এতে বাসাবাড়িতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ইউনিটপ্রতি ২৮ পয়সা। আর সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৪৩ পয়সা। গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোয় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে হবে গড়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সায়। বিদ্যমান হারে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম পড়ছে গড়ে ৬ টাকা ৭৭ পয়সা। 

এদিকে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী মার্চ থেকে বর্ধিত এ মূল্য কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।কমিশনের আদেশে বলা হয়, আবাসিকের লাইফ লাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা (শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট), সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা (শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট), এরপর সাধারণ গ্রাহকদের প্রথম ধাপে ৪ টাকা ১৯ পয়সা, 

দ্বিতীয় ধাপে ৫ টাকা ৭২ পয়সা (৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট), তৃতীয় ধাপে ৬ টাকা (২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট), চতুর্থ ধাপে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা (৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট), পঞ্চম ধাপে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা (৪০১ থেকে ৬০০) ও ষষ্ঠ ধাপে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা (৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে।মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইউনিটপ্রতি খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৯৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে ৫ শতাংশ। 

এতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সায়।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় প্রতি মাসে গড়ে ৫ শতাংশ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে গড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয় পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। নতুন দর অনুযায়ী সেচে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ২৫ পয়সা করা হয়েছে। 

নিম্নচাপে (২৩০/৪০০ ভোল্ট) বাণিজ্যিক ও অফিসে গড় দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ১ পয়সা করা হয়েছে। মধ্যম চাপের (১১ কিলো ভোল্ট) ক্ষেত্রে এটি করা হয়েছে গড়ে ১১ টাকা ৬৩ পয়সা। উচ্চ চাপে (৩৩ কিলো ভোল্ট) শিল্পের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গড়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। আর অতি উচ্চ চাপে (১৩২ ও ২৩০ কিলো ভোল্ট) ৯ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৬৬ পয়সা করা হয়েছে। 

ভারী শিল্পকারখানা মূলত এ শ্রেণির গ্রাহক। এ ছাড়া শিক্ষা, ধর্মীয়, হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৯৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৫৫ পয়সা করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কমে সরকার নির্ধারিত পাইকারি দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। 

ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়। তবে বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ভর্তুকি পায় না। তারা খুচরা দামে ভোক্তার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে মুনাফা করছে।

পল্লী বিদ্যুৎ বিল ইউনিট কত ২০২৪

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাধারণত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একটি সমাজকর্মী সংগঠন সামাজিক সম্প্রদায় যার উদ্দেশ্য, গ্রামীণ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বা বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করা। বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে, আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে বাংলাদেশে এখন ৯৯.৮% মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে।
সাধারণ গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে, ৪ টাকা ৬২ পয়সা হয়ে থাকে। 

আবার কিছু কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর ইউনিট মূল্য ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা। তবে সব মিলিয়ে সকল বাসা বাড়িতে এর প্রতি বিদ্যুৎ ইউনিটের মূল্য হবে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম ও বিকাশ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url