মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ও মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সি অথবা সরকারিভাবে মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেস করতে পারবেন। ভিসা আবেদন করার প্রকারভেদ নিচর আলোচনা করা হলো মালয়েশিয়া ই-ভিসা বিএমইটি (BMET) এর কার্যালয় থেকেআমি প্রবাসী” অ্যাপ এর মাধ্যমে
ভূমিকা
বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চান আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর আপনাকে সেই নিয়ম গুলো জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
মালয়েশিয়ার ভিসা অনলাইনে আবেদনের নিয়মঃমালয়েশিয়া ই-ভিসা এর আবেদন জন্য ভালো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হলে এই লিংকে https://www.imi.gov.my/ক্লিক করে আপনার নিজের প্রয়োজন মত ভিসার ধরন বুঝে আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন। সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন ও ভিসা ফি পরিশোধ করুন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
তো বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে সেজন্য আপনাকে মালয়েশিয়া অনুমোদিত মোট ২৫ টি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার পূর্বে আপনাকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে আপনার যাবতীয়।
ব্যক্তিগত তথ্য গুলো উল্লেখ করতে হবে। আর উক্ত আবেদন ফরমটি আপনি এখানে ক্লিক (imi.gov) করে সংগ্রহ করতে পারবেন।বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। আর মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অনলাইনে ই-ভিসা (eVisa) সুযোগ করে দিয়েছে।
তো যদি আপনি মালয়েশিয়া।
ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে মালয়েশিয়া সরকার এর মূল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর আপনাকে একটি অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।আর যখন আপনি আবেদনপত্র পূরণ করবেন। তখন আপনাকে আপনার পাসপোর্টের তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য এবং ভ্রমণের তথ্য প্রদান করতে হবে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার।
পর ভিসা হাতে পেলে সেই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে ৯০ দিন। আবদনের মাধ্যমে আপনি যে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসাটি হাতে পাবেন সেই ভিসাটি বের হবার ৯০ দিনের মধ্যেই আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। নতুবা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারণে সেই দেশে ভ্রমণ করাটা ইলিগ্যাল হয়ে যাবে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার খরচ কত
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সাধারণ ২ ধরণের হয়ে থাকে। যারা নিজেরাই আবেদন করে ভিসা প্রসেসিং করে তাদের খরচের পরিমাণটা একটু কম আসে। আর যারা এজেন্সির সাহায্যে ভিসা প্রসেসিং করায় খরচের পরিমাণটা আরেকটু বেশি হতে পারে। যাইহোক বর্তমানে মালয়েশিয়া টুরিস্ট। সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ৪০০০ টাকা, মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা৮০০০ টাকা।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে
কোনো একটি দেশ থেকে অন্য আরেকটি দেশে প্রবেশ করার জন্য। আমাদের বিভিন্ন প্রকারের নথি প্রদান করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাবেন।মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে তখনও আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে।আর সেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,আপনার
- একটি বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ সর্বনিন্ম ০৬ মাস থাকতে হবে।
- আপনার সদ্য তোলা ছবি দিতে হবে।পূর্বে মালয়েশিয়া ভিজিট করলে তার ভিসা কপি।
- আপনার ফিরতি বিমানের টিকেট কপি।
- ও মোট ০৩ মাসের আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান দিতে হবে।আরআপনার মালয়েশিয়া ভ্রমনের মূল কারণ।
- এছাড়াও আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কপি।
তো যখন আপনি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট যেসব ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সেই ডকুমেন্টস গুলোর তালিকা উপরে প্রদান করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা ফি কত টাকা
যখন আপনি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। আর বর্তমান সময়ে যারা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ৫০ মার্কিন ডলার ফি নেওয়া হবে।
যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ হাজার টাকার সমান। তবে যেহুতু এই আবেদন।
এর কাজটি আপনাকে এজেন্সির মাধ্যমে করতে হবে। সেহুতু আপনার এর থেকেও আরো বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে। তখন আপনাকে সেই দেশে অবস্থান করার জন্য একটা নির্ধারিত সময় প্রদান করবে।আর এই দিক থেকে যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যাবেন। তখন আপনার।
সর্বোচ্চ ভিসার মেয়াদ হবে প্রায় ৯০ দিন। যখন আপনার ৯০ দিন পূর্ণ হবে। তারপর আপনাকে পুনরায় বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে।কিন্তুু যদি আপনি মালয়েশিয়া তে আরো বেশি সময় ধরে অবস্থান করতে চান। তাহলে আপনাকে মালয়েশিয়া দুতাবাস থেকে আপনার ভিসা নবায়ন এর জন্য আবেদন করতে হবে। প্রবাসী” অ্যাপ এর মাধ্যমে আবেদন
- ঘরে বসেই আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে “আমি প্রবাসী” নামক অ্যাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
- সর্বপ্রথম গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে “আমি প্রবাসী” (Ami Probashi) অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
- এরপর আপনার পাসপোর্টটি স্ক্যান করে এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করে বিএমইটি (BMET) এর রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করুন।
- প্রদান করা তথ্য যাচাই করতে ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিকাশ অথবা অন্যান্য মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফি পরিশোধ করে সম্পূর্ণ করুন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
- এরপর আপনার মোবাইলের “আমি প্রবাসী” (Ami Probashi) অ্যাপটি লগইন করলে বিএমইটি এর রেজিস্ট্রেশন এর পাশে চাকরি খোঁজার অপশন পাবেন।
- বিভিন্ন রকম চাকরির বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আপনি আপনার পছন্দের চাকরির জন্য অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন।
- যদি আপনার সাবমিট করা চাকরির আবেদন মঞ্জুর হয়, তাহলে প্রবাসী অ্যাপ মেসেজ ইনবক্স থেকে জানতে পারবেন।
কয়েকদিন পর পরই এই অ্যাপের মেসেজ চেক করবেন। আর এভাবে খুব কম খরচেই সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা
মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা আপনি যে ধরনের কাজের অনুমতি চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
- কর্মসংস্থান পাসের জন্যপ্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে (ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেশন)
- প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা
- প্রতি মাসে কমপক্ষে 3,000 টাকা মাসিক বেতন
- কিছু বিভাগে প্রতি মাসে RM10,000 পর্যন্ত।
অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস (TEP)
এই পাস পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা আপনার বয়স এবং জন্মের দেশের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। যোগ্য হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই অনুমোদিত দেশের একজনের নাগরিক হতে হবে এবং 18 থেকে 45 বছরের মধ্যে হতে হবে। একজন বিদেশী ডোমেস্টিক হেল্পার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই 21 থেকে 45 বছরের মধ্যে একজন মহিলা হতে হবে।
পেশাদার ভিজিট পাস
আপনি শুধুমাত্র একটি প্রফেশনাল ভিজিট পাসের মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য মালয়েশিয়ায় কাজ করতে পারবেন এবং আপনাকে অবশ্যই একটি নন-মালয়েশিয়ান কোম্পানিতে নিযুক্ত হতে হবে। ফলস্বরূপ, আন্তর্জাতিক শিল্পী, চলচ্চিত্র কলাকুশলী, ধর্মীয় কর্মী, সরকারি কর্মচারী, প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থী, অতিথি প্রভাষক এবং স্বেচ্ছাসেবকরা।
সবাই এই ধরনের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য। এই উদাহরণে, আপনাকে মালয়েশিয়াতে নিয়োগকর্তার পরিবর্তে একজন স্পনসরের প্রয়োজন হবে।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া
আপনার নিয়োগকর্তা আপনার পক্ষে মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য দায়ী। তাদের অবশ্যই মালয়েশিয়ার অভিবাসন।
বিভাগে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি একটি ভিসা প্রয়োজনীয় দেশের নাগরিক হন, তাহলে আপনি মালয়েশিয়া যেতে পারেন বা অভিবাসন বিভাগ কর্তৃক আবেদনটি অনুমোদিত হলে রেফারেন্স সহ একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
বর্তমানে মালয়েশিয়া একটি উঠতি শিল্পউন্নত বাজার অর্থনীতি বলে বিবেচিত। বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে থেকে অনেকটা এগিয়ে। বিভিন্ন প্রকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সহ মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্যও অনেকটা উপযোগী।এমনকি কম খরচে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করা যায়। যেমন মাঝেমধ্যে মালেশিয়ার টুরিস্ট ভিসা প্যাকেজ পাওয়া যায় মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়। তবে বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম প্রায় ১ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url