মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হলে মাথায় বেশি আঘাত লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে অধিকাংশ বাইকাররা মৃত্যুবরণ করেন যদি শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাত লাগে তখন চিকিৎসা করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়
মোটরসাইকেল নতুন কেনার পর এর কেপাসিটি কতটুকু, কতমাইল বেগে চালালে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় অধিকাংশ চালক জানেন না।

ভূমিকা

মোটরসাইকেল চালানো শিখানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এখনও গড়ে উঠেনি। চালকগণ কীভাবে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিতে হয়, কিভাবে গিয়ার পরিবর্তন করতে হয়, কিভাবে ডাউন এবং আপ রাস্তায়, কোন গিয়ারে গাড়ি চালাতে হয়, পায়ের ব্রেক কখন চাপ দিতে হয়, সিগনাল লাইটের ব্যবহার, হেডলাইট দিয়ে কিভাবে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে সিগন্যাল দিতে হয় না জানার কারণে এক্সিডেন্ট হয়। 

মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়

মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার বেড়ে চলছেদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন তরুণেরা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। স্বভাবতই তরুণরা কৌতূহলবশত হয়। আবেগে বশবর্তী হয়ে তরুণেরা নিজেদের বীরত্ব প্রদর্শন করতে গিয়ে অকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি তথ্য মতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরই। 

বয়স ২১ এর নিচে অর্থাৎ কিশোর-তরুণ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা গবেষকদের বক্তব্য, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে কতগুলো কারণ রয়েছে। তা হলো- অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন করা, ট্রাফিক আইন না মানা, চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলা, হেমলেট ব্যবহার না করা কিংবা নিম্নমানের। 

হেমলেট ব্যবহার করা প্রভৃতি। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে ব্যক্তি সচেতনতাই মুখ্য। মনে রাখতে হবে, মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে চালানোর ফলে চালক নিজেকেই ঝুঁকিতে ফেলছেন তা নয়, বরং পথযাত্রীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে। জীবন থাকলে মোটরসাইকেল ছাড়াও অনেক জায়গায় নিজের বীরত্ব প্রদর্শনের সুযোগ রয়েছে। 

তাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় সর্তক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনকেও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ট্রাফিক আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। একই সাথে প্রতিটি মোটরসাইকেল যেন নিবন্ধিত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন চালকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ১৮ বছরের নিচে কেউ। 

যাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সর্বোপরি, পারিবারিক সচেতনতা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার মাধ্যমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো কমবেশি সবারই জানা। চালকের অসতর্কতা, অসচেতনতা, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।এ ছাড়া চালকরা অনেক সময় ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় গাড়ি চালায়, যার ফলে একসময় নিজের অজান্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে তাই চালকদের এ ব্যাপারে। 

সচেতন হতে হবে কোনোভাবেই অসুস্থ বা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না। প্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম প্রয়োজন।দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ওভারটেকিং প্রবণতা। সাধারণত রাস্তায় ধীরগতির গাড়িগুলোকে ওভারটেকিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। এ সময় হর্ন বাজিয়ে সামনের গাড়িকে সংকেত দিতে হয় কিন্তু অনেক সময়। 

সংকেত না দিয়ে একজন আরেকজনকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে, যার ফলে সামনের দিক থেকে আসা গাড়ি বের হতে না পেরে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাই সঠিক নিয়ম মেনে সতর্কতার সঙ্গে ওভারটেক করা উচিত।সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হল ত্রুটিপূর্ণ সড়কব্যবস্থা। মহাসড়কগুলোতে বাঁক থাকার কারণে সামনের দিক থেকে আসা। 

গাড়ি দেখতে না পেয়ে অনেক চালক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। রাস্তার পাশে হাট-বাজার স্থাপন এবং ওভারব্রিজ না থাকাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হল মহাসড়কগুলোতে দ্রুতগতির যানবাহনের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহন চলাচল। গতির তারতম্য থাকায় দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধীরগতির বাহন রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। তাই মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনার পাঁচটি কারণ

যে পাঁচটি কারণে সড়কে বাসযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে
দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান কী বলছে?
  •  বেপরোয়া বাস চালানো।
  •  চালকের অতিরিক্ত ট্রিপ।
  •  ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন।
  •  নজরদারি আর তদারকির অভাব।
  •  অদক্ষতা।
  • এইসব কারণের জন্য প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাছে ও হাত অথবা পা পাড়াছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কি কি 

বর্তমানে আমরা খবরের কাগজ খোললেই দেখতে পাই দেশের কোনো না কোনো স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রতিবছর হাজারো মানুষ নিহত হয়, যার ক্ষয়ক্ষতি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। এই আর্টিকেলটিতে সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণগুলি উল্লেখ করবো:
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ সমূহ।

  • অত্যধিক আত্মবিশ্বাস।
  • মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো।
  • অননুমোদিত ওভারটেকিং।
  • অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
  • অপ্রশস্ত রাস্তা।
  • ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা।
  • জনসংখ্যার চাপ ও অপ্রতুল পরিবহন ব্যবস্থা।
  • ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী বহন।
  • অদক্ষ চালক ও হেলপার দিয়ে যানবাহন চালানো।
  • সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় বেপরোয়া গতি ও অননুমোদিত ওভারটেকিং থেকে বিরত থাকা।
  • ফিটনেস ও সার্টিফিকেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো থেকে বিরত থাকা।
  1. নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা।
  2. ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ করা।
  3. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন এর ক্ষেত্রে সচেতন থাকা।
পথচারীদের উচিত সতর্কভাবে চলাফেরা করা।
সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা।
গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের কথা বলা থেকে বিরত থাকা।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার

আমরা যদি সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলি, তাহলে দেখা যায়, শতকরা ৮০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে চালকের কারণে। বেপরোয়া ও গতিসীমার অধিক দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, দায়িত্বজ্ঞান ও পেশাগত জ্ঞানের অভাব, ট্রাফিক নিয়ম-কানুন মেনে না চলা, যাত্রী ও নিজের নিরাপত্তার প্রতি উদাসীন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া, সচেতনতা ও নিরাপত্তা বোধের অভাব ইত্যাদি। 

এ সমস্যাগুলো চালককে কেন্দ্র করেই, যা বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ। চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। বেশির ভাগই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চালক হয়েছে এমন চালকের সংখ্যা নিতান্তই কম। হেলপারের দায়িত্ব পালন করে নিজে নিজে ড্রাইভিং শিখে কোনো রকমভাবে লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে। 

দালালের মাধ্যমে ভুয়া লাইসেন্স সংগ্রহ করে গাড়ি চালাচ্ছে—এমন অনেক চালক রয়েছে। তারা কোনো ট্রাফিক আইন জানে না, সাইন-সিম্বল চেনে না। তাদের দায়িত্ববোধ ও সাধারণ জ্ঞানের মাত্রা অত্যন্ত কম।প্রথমেই নজর দেওয়া প্রয়োজন চালকদের প্রতি। দক্ষ, ট্রাফিক আইন জানা ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন সচেতন ও সুশৃঙ্খল চালকই পারবে পরিবহন। 

সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস করতে। দক্ষ, সচেতন, দায়িত্ববান ও পেশাদার চালক তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা থাকা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকারিভাবে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে অথবা বৃহত্তর জেলাগুলোতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল নির্মাণ করা প্রয়োজন। বিআরটিএ দ্বারা পরিচালিত এসব স্কুলে। 

কমপক্ষে চার মাস মেয়াদি ড্রাইভিংয়ের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণের জন্য গাড়ি চালনা, যানবাহনের ইঞ্জিন ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত জ্ঞান, ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সিগন্যাল, সাইন ও সিম্বল, দায়িত্ববোধ ও নিরাপত্তাজ্ঞান, মনস্তাত্ত্বিক, সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণ, শারীরিক ফিটনেস ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশিত করে পূর্ণাঙ্গ। 

সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য এসএসসি পাস প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। চার মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর গাড়ি চালানোর দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ফিল্ড টেস্ট, ট্রাফিক আইন ও মনস্তাত্ত্বিক ইত্যাদি বিষয়ের ওপর চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। 

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

১,সিট বেল্ট বাঁধা নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গাড়ির সিট বেল্ট বাঁধা। প্রত্যেকটি দেশেই সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালান।অবশ্যই মনে রাখবেন, শুধু আপনি নন আপনার সঙ্গে থাকা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট বাঁধতে বাধ্য করবেন। সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালানো এবং গাড়িতে চড়া দুটোই নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২,মনোযোগ
নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য যা প্রয়োজন আপনার মনোযোগ। আপনি যখনই গাড়ি চালাবেন খেয়াল রাখবেন আপনার মনোযোগ যেন গাড়ি এবং রাস্তার দিকেই থাকে। কখনই গাড়ি এবং রাস্তা থেকে মনোযোগ সরাবেন না। একটু অমনোযোগী ড্রাইভিংয়ের কারণে ঘটতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
৩.অল্প দক্ষ বা অদক্ষ চালক
অল্প দক্ষ বা অদক্ষ চালক দিয়ে কখনোই গাড়ি চালানো ঠিক নয়। কারণ বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে অদক্ষ চালকের জন্য। তাই এক্ষেত্রে গাড়ির মালিদের সচেতন হতে হবে।
৪.রোড স্ক্যানিং বা রাস্তা বিশ্লেষণ
রাস্তা বিশ্লেষণ বা রোড স্ক্যানিং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন গাড়ি চলাবেন তখন অবশ্যই আপনার চলার রাস্তাটিকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবেন। গাড়ি চালানোর সময় রাস্তা-সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে সেগুলো হলো- রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ, রাস্তার লেনের পরিমাণ, রাস্তার গঠনগত অবস্থা, রাস্তার প্রশস্ততা।
৫.গাড়ির গতিসীমা
গাড়ি চালানোর সময় কখনই হুটহাট করে গাড়ির গতিসীমা বাড়াবেন বা কমাবেন না। হুটহাট গাড়ির গতি বাড়ানো বা কমানো প্রায়শই বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যতদূর সম্ভব এই বিষয়টি মেনে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করবেন।
৬.কথা বলা থেকে বিরত থাকুন
গাড়িতে চড়ে অনেক যাত্রী আছেন যারা ভাড়া ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যান- এটি কোনোভাবেই ঠিক নয়। গাড়ি চলানোর সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৭.প্রতিযোগিতা
অনেক সময় প্রতিযোগিতা করে অনেক ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে থাকেন। এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাই ঠাণ্ডা মাথায় গাড়ি চালান। আর মনে রাখবেন আপনি গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায় নামেননি, নিরাপদে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে গাড়ি চালাচ্ছেন।
৮.লুকিং গ্লাস
প্রত্যেকটি গাড়ির দুটি লুকিং গ্লাস থাকে। একটি ডান হাতের পাশে আরেকটি বাম হাতের পাশে। গাড়ি চালানোর সময় লুকিং গ্লাস দেখা জরুরি। কারণ আপনার পাশ দিয়ে কোন গাড়ি যাচ্ছে- তা আপনি সহজেই দেখতে পারবেন। আর নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারবেন।
৯.নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না
গাড়ি চালানোর সময় চালক নেশাগ্রস্ত থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ পাবলিক বাসের দুর্ঘটনার কারণ নেশাগ্রস্ত চালক। তাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে করণীয়

বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরও সড়কে মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু বেড়েই চলেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন তরুণসহ সব বয়সের মানুষ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। স্বভাবতই তরুণরা কৌতূহলপ্রবণ হয়। আবেগের বশবর্তী হয়ে তরুণরা নিজেদের বীরত্ব প্রদর্শন করতে। 

গিয়ে অকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। দুর্ঘটনা হোক ছোট কিংবা বড় তাতে যে প্রাণহানি ঘটে তার ক্ষতি অপূরণীয়।ঈদ আসলে এই দুর্ঘটনার হার দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত কয়েক বছরে ঈদের দিন, ঈদের আগে ও পরের তিনদিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশংকাজনকভাবে বেড়েছে এবং এর মধ্যে তরুণ ও কিশোরদের সংখ্যা বেশি। 

যাত্রীকল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরই বয়স ২১-এর নিচে; অর্থাৎ কিশোর-তরুণ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন খুব কম বয়সে বা কিশোর বয়সে এই বাহন সহজে হাতে পাওয়া, কম বয়সের উচ্ছ্বাস, জীবনে প্রথম গাড়ি চালানোর উত্তেজনা, প্রতিযোগিতার মনোভাব, যত খুশি গতি বাড়ানোর সুযোগ ইত্যাদি কারণে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা হয় বেশি।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর কার্যকরী ৫ উপায়

১,মোটরসাইকেল চালানোর সময় ফোনে কথা না বলা
মোটরসাইকেল চালানোর সময় কোনো অবস্থাতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়। এমনকি ব্লুটুথ দিয়েও ফোনে কথা বলা উচিত নয়। কারণ এতে মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। এতে জরুরি মুহুর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হয়ে যেতে পারে যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
২,গতি কমানোর সময় পেছনে দেখা
যে কোনো সিগন্যাল, গতি কমানো বা থামার সময় মোটরসাইকেল চালকদের উচিত লুকিং গ্লাসে অবশ্যই পেছনে দেখে নেয়া। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়প্রয়োজনে সিগন্যাল লাইট ও হর্ন ব্যবহারের মাধ্যমে পেছনের গাড়িকে সতর্ক করা। পাশাপাশি ব্রেক লাইট কয়েকবার ফ্ল্যাশ করতে হবে।
৩,মোড়ে সতর্ক থাকা
যে কোনো গাড়ির চালককেই মোড়ে সতর্ক থাকতে হয়। মোড় পার হবার সময় হর্ন বাজানোর পাশাপাশি গতিও কমিয়ে আনা উচিত।
৪,জ্যাম ও পার্ক করা গাড়ির কাছাকাছি গেলে সতর্ক থাকা
রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করা ঢাকার খুব সাধারণ দৃশ্য। কোনো পার্ক করা কোনো গাড়ি ওভারটেক করার সময় যদি গাড়ির দরজাটি হঠাৎ খুলে দেয়া হয় তবে মোটরসাইকেল চালক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়বে।
৫,ইউটার্ন নেয়ার সময় সতর্ক থাকা
ইউটার্ন নেয়ার সময় রাস্তার দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। দেখতে হবে আরও কোনো গাড়ি ইউটার্ন নিচ্ছে কিনা। এ সময় তবে প্রাথমিক ভাবে উল্টো পাশের গাড়ি থেকে যতটুকু দূরত্ব বজার রাখা যায় ততই ভালো। আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বাইকের গতি অনেক কমিয়ে আনা। আইল্যান্ডের সাথে বাইক লেগে যাচ্ছে কিনা সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url