জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ে জাপান কাজের ভিসার খরচ ৩৫০০ জাপানি ইয়েন। বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় জাপানে যাওয়ার খরচ আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি এখন ১১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। বর্তমানে সরকারিভাবে ব্যতীত জাপান স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে হলে ১১ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করা লাগবে।
জাপানের উন্নত জীবনের মান, উচ্চ আয়ের সুযোগ এবং স্থায়ী বসবাসের ভিসার সুবিধার কারণে অনেকেই জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আগ্রহী। তবে, জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। এই পোষ্টে আমরা জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,
জাপানের উন্নত জীবনের মান, উচ্চ আয়ের সুযোগ এবং স্থায়ী বসবাসের ভিসার সুবিধার কারণে অনেকেই জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আগ্রহী। তবে, জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। এই পোষ্টে আমরা জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,
ভূমিকা
জাপান পৃথিবীর অন্যতম উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি দেশ। জাপানে আধুনিক প্রযুক্তির উৎপাদন সম্পর্কে সারা বিশ্বেই খ্যাতি রয়েছে। শুধু প্রযুক্তিই নয়, জাপানের রয়েছে অত্যন্ত দক্ষ জনশক্তিও।
কর্মীর চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় দক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অথবা সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত কোম্পানি রয়েছে এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।
এখানে জাপান যেতে কত টাকা লাগে। কোন কাজের চাহিদা বেশি। কোন কাজের বেতন বেশি। জাপান যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনাদের উপকারে এসেছে।
কর্মীর চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় দক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে। জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে 8 লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে আপনি যদি সরকারি ভাবে জাপানি ভাষা শিখে পরীক্ষা দিয়ে যেতে চান তাহলে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অথবা সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত কোম্পানি রয়েছে এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।
এক্ষেত্রে নির্ধারিত একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদ এবং আনুষাঙ্গিক ভাষা শিক্ষার দক্ষতা এর প্রমাণ সহকারে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে তারপরে আপনি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি দেশের বাহির থেকে জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ পদ্ধতি যেতে পারবেন।
তবে আপনি যদি দেশের বাহির থেকে জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ পদ্ধতি যেতে পারবেন।
কেননা বর্তমান সময়ে জাপানে কিন্তু অনেক কর্মী সংকট আছে এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার প্রসেস কঠিন হলেও কিন্তু বিদেশ থেকে যাওয়ার প্রসেস অতটা কঠিন না।
বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ভিসার উপর। শুধু ভিসার জন্য টাকা লাগে তা নয়। কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট সহ আরো অনেক কিছুর উপর।যদি টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসায় যান।- ভিসা ও যাতায়াত সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে- পাসপোর্ট, ভিসা, বিমানের টিকিট, যাতায়াতসহ।
- এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার মাধ্যমে সাত লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে, আপনি যদি জাপান স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান ৮ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাগবে।
- কেননা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনাকে টাকা দিতে হবে। এজন্য স্টুডেন্ট ভিসায় বেশি টাকা লাগে।
- শ্রমিক ভিসায় যেতে চাইলে। শ্রমিক ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। শ্রমিক ভিসা সংগ্রহ করার জন্য ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে।
জাপানে কোন কাজে চাহিদা বেশি
জাপানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। এদেশে যাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়, তা অনেক কষ্টসাধ্য। এবং এদেশে যাওয়ার জন্য বেশি টাকা লাগে। যারা টাকা সংগ্রহ করতে পারবে। তারা চাইলে জাপানে যেতে পারবে। যদি জাপানের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চান। তাহলে জানতে হবে কোন কাজে চাহিদা বেশি। এবং কোন কাজের বেতন বেশি। যদি জানা থাকে কোন কাজে চাহিদা বেশি। সেক্ষেত্রে সে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
- কনস্ট্রাকশনের কাজ
- প্লাম্বার
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
- ক্লিনার এর কাজ
- ফুট প্যাকেজিং
- কৃষি কাজ
- ফ্যাক্টরি কাজ
- বিভিন্ন কোম্পানির কাজ
জাপানে কোন কাজের বেতন বেশি
সাধারণত কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সকল কাজের বেতন বেশি। কাজের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার থাকায় আরো সহজেই করে নেয়া যায়। এজন্য বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন দিয়ে থাকে।- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজঃ এই কাজের বেশি চাহিদা রয়েছে। এজন্য জাপানের ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ইয়ান দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় ২ লক্ষ টাকা
- কনস্ট্রাকশন এর কাজঃ অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কাজ চাহিদা থাকায়। জাপানের ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ইয়ান দিয়ে থাকে। যদি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে এ থেকে বেশি টাকা রোজার করা যায়।
- পাশাপাশি ক্লিনার, ফুড প্যাকেজিং, কৃষি কাজ, বিভিন্ন কোম্পানির কাজে জাপানের এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ইয়ান রোজগার করা যায়। যা বাংলাদেশী টাকায় ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
- ফ্যাক্টরি কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে। যারা এই কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবে। তারা জাপানের এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ইয়ান রোজগার করতে পারবে। যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
জাপানের সর্বোচ্চ বেতন কত
জাপানেও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতনের কাজ রয়েছে। আপনি কত টাকার রোজগার করতে পারবেন। তা ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং কাজে দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। যদি একটি কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন। ভালো ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন। এক্ষেত্রে সেই কাজ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা রোজগার করা সম্ভব। এর থেকেও বেশি টাকা রোজগার করা যায়।জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত
জাপানে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন। কাজের দক্ষতা দেখিয়ে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন। জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কাজের ধরন অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষ টাকা।এখানে জাপান যেতে কত টাকা লাগে। কোন কাজের চাহিদা বেশি। কোন কাজের বেতন বেশি। জাপান যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনাদের উপকারে এসেছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url