কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় অনেকেই এই ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যেতে আগ্রহী। রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং, এবং বিভিন্ন পেশাদারী কাজ পর্যন্ত, সকল প্রকার কাজের সুযোগ রয়েছে।এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন জানতে পারবেন ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত জেনে নিন

ভূমিকা

কানাডা বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করছে যা বৈশ্বিক শ্রমিকদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। কানাডার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এই কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছেন। কানাডায় কাজ করলে প্রতি মাসে উল্লেখযোগ্য আয় করা সম্ভব যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসারখরচ ২০২৪

কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় অনেকেই এই ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যেতে আগ্রহী। রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং, এবং বিভিন্ন পেশাদারী কাজ পর্যন্ত, সকল প্রকার কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বৈধভাবে কানাডায় কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অপরিহার্য।

অন্যান্য ভিসার তুলনায় কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে কোম্পানির ড্রাইভিং এর কাজ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বৈধভাবে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে গেলে সবচেয়ে কম খরচ হবে। 

সরকারিভাবে ভিসা করলে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যেই কানাডা যেতে পারবেন। অন্যদিকে, কোন এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে গেলে খরচ হবে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি কোন কাজের উপরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই কানাডায় ওয়ার পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। কারণ কানাডায় শ্রমিক আইন অনুযায়ী সেই দেশে অভিজ্ঞ শ্রমিকের অনেক চাহিদা। এজন্য কানাডা সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ।

কোন এজেন্সি বা কারো দেওয়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।আপনারা যারা কানাডায় ওয়ার পারমিট ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের জন্য বর্তমানে কানাডা সরকার বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা চালু রেখেছে। যে ক্যাটাগরিতে আপনারা খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে পারবেন। 

কিন্তু আপনি এই সকল ক্যাটাগরিতে কানাডা যেতে হলে অবশ্যই আপনার এই সকল কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্যাটাগরির কোনগুলো।
  • কন্সট্রাকশন।
  • ড্রাইভিং।
  • মেকানিক্যাল।
  • কৃষি কাজ।
  • রেস্টুরেন্ট।
  • কোম্পানি।
  • ক্লিনার।
  • ইলেকট্রিক্যাল।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হলে কি কি লাগবে

কানাডায় অবস্থিত ব্যক্তি সুপারিশ করলে সহজে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরির কাগজপত্র এজেন্সি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা 

  1. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  2. ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন ফরম।
  3. কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র ( সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
  4. মেডিকেলে রিপোর্ট ও চাকরির অফার লেটার।
  5. ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট ( সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
  6. পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
কানাডা ওপেন ওয়ার্ক পারমিট
একটি নিয়োগকর্তা-নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট, নাম অনুসারে, একটি পারমিট যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়। যদিও নিয়োগকর্তা-নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট একজন একক নিয়োগকর্তার সাথে সম্পর্কিত, ওপেন ওয়ার্ক পারমিট কিছু শর্তের সাথে আসতে পারে যা এতে লেখা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে: কাজের ধরনজায়গা ।

যেখানে আপনি কাজ করতে পারেনকাজের সময়কাল
নিম্নলিখিত ভিসার ধারকরা একটি ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেন
  1. স্বামী-স্ত্রী ওপেন ওয়ার্ক পারমিট
  2. স্বামী/স্ত্রীর জন্য অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট
  3. স্নাতকোত্তর ওয়ার্ক পারমিট
  4. অস্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিট
  5. ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ প্রোগ্রাম পারমিট
  6. আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম স্পাউসাল পারমিট
  7. নিয়মিত খোলা ওয়ার্ক পারমিট
  8. ব্রিজিং ওপেন ওয়ার্ক পারমিট
ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের শর্ত
  • ওয়ার্ক পারমিটের বৈধতার সময় আপনার এবং আপনার পরিবারের কানাডায় থাকাকে সমর্থন করতে পারে এমন আর্থিক সংস্থানগুলির প্রমাণ।
  • প্রমাণ যে আপনার কোন অপরাধমূলক রেকর্ডের ইতিহাস নেই।
  • আপনি ভাল স্বাস্থ্যের প্রমাণ।
  • আপনাকে সীমাবদ্ধ ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হলেও আপনার ওয়ার্ক পারমিটের শর্তগুলি মেনে চলার ইচ্ছা।
  • ভাষা দক্ষতা, বায়োমেট্রিক ডেটা এবং বীমার মতো যোগ্যতার শর্তগুলি পূরণ করুন

কানাডা ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা

আপনি যে কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করছেন তা নির্বিশেষে, আপনাকে অবশ্যই কিছু যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:বয়স: 45 বছরের নিচেএকটি ইতিবাচক LMIA সহ কানাডিয়ান নিয়োগকর্তা দ্বারা জারি করা বৈধ চাকরির অফার লেটারএর অধীনে ন্যূনতম 2 বছরের দক্ষ কাজের অভিজ্ঞতা TEER লেভেল 0, 1, 2, বা 3-এর NOC বিভাগ।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী

বাংলাদেশে যারা শিক্ষিত বেকার রয়েছেন তাদের বর্তমানে একটি স্বপ্ন বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র কানাডা যাওয়ার জন্য। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় বর্তমানে কানাডায় কাজ করলে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এবং কানাডায় আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে কাজ করবেন তাদের কাজের সুযোগ সুবিধা বেশি। 

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারেন তাহলে আপনার ইচ্ছামত যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। কারণ বর্তমানে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় না। যদি আপনি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন তাহলে হয়তো কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কানাডার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করেন তাহলে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক সময় লাগে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ সঠিক উপায়ে সকল ডকুমেন্টসহ টাকা দিতে হবে। তাহলে খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কানাডার ভিসা প্রসেসিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অনেকেই জানতে চান জমা দেওয়ার কতদিন পরে ভিসা হয়ে থাকে? অর্থাৎ কানাডার ভিসা প্রসেসিং হতে কত সপ্তাহ সময় লাগে। বর্তমানে কানাডার ভিসা প্রসেসিং হতে ১২ সপ্তাহ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে অবশ্য এর বেশিও লাগতে পারে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি বৈধভাবে কানাডায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম কানাডা ওয়ার্ক পারমিট বিষয় নিয়ে যেতে হবে। এবং কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে। এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই অনলাইনের ।

মাধ্যমে খুব সহজেই কানাডার ওয়ারফরানের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।আপনি যদি নিজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন। https://www.canada.ca/ এরপরে আপনাকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং আপনি এই ফর্মে সঠিক তথ্য পূরণ করে ।

যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার ফি প্রদান করলে আপনার কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন হয়ে যাবে। এরপরে যখন আপনার ভিসা হয়ে যাবে তখন আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কানাডা যেতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত জেনে নিন সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url