ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে ২০২৪

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত ইন্ডিয়া।হাজারো লাখো মানুষ ভারতের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ও ভালো হয়েছে।তাই এখনো হাজারো মানুষের নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া চিকিৎসার জন্য যেতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন বুঝতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ মেডিকেল ভিসা নিয়ে ইন্ডিয়া যাচ্ছে। কারণ স্বল্প খরচে উন্নত মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে ইন্ডিয়াতে। এছাড়া ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়।
তবে আমাদের অনেকের ভারতীয় মেডিকেল ভিসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন আজকের আর্টিকেলে।

ভূমিকা 

আপনি যখন নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করেন, তখন সেই দেশে ভ্রমণের অনুমতি পেতে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে ভিসা অফিসে কিছু নথি জমা দিতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলবো কি কি ডকুমেন্টস ভারতীয় ভিসা অফিসে জমা দিয়ে আপনি সহজেই ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে 

বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে ২০২৪ সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যারা ইন্ডিয়াতে মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের জন্য যেহেতু মেডিকেল কারণ তাড়াতাড়ি ভিসা পাওয়া জরুরী হয়।এই জন্য পাসপোর্ট এর যেমন নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে সেই রকম ভিসারও কিছু নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। মেয়াদোতিক্রম করার পর উক্ত ব্যক্তি ওই দেশ ছেড়ে চলে আসতে হবে মেডিকেল হিসেবে এর ব্যতিক্রম নয় বর্তমান।

বিশ্বের ভারত মেডিকেল চিকিৎসা দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত সরকার চিকিৎসার ভিসা নামে একটি বিশেষ ভিসা শুধুমাত্র অসুস্থরা এই চিকিৎসা ভিসা পায় বর্তমানে ইন্ডিয়াতে দুই ধরনের মেডিকেল ভিসা প্রচলিত রয়েছে।
  1. মেডিকেল ভিসা
  2. অনলাইন ভিসা
বিশ্বের সব দেশি মেডিকেল আবেদন করার জন্য যোগ্য নয় ভারতের মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য যেসবযোগ্যতা থাকা অবশ্যক
  1. আবেদনকারীকে অবশ্যই স্থানীয় দেশে চিকিৎসকের পরামর্শ নেব এবং ভারতের চিকিৎসা নেওয়ার আগে উত্তর দিয়েছে সুপারিশ ক্রমে ভারতে ভিসা নিতে পারবে।
  2. আবেদনকারী কে এটা প্রমাণ করতে হবে যে তিনি অবশ্যই ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী।সমালোচনা মূলক চিকিৎসা অর্থাৎ কার্ডিয়াক রোগ অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিউরো সার্কাস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ রোগের জন্য এইসব রোগীদের ভিসার অগ্রধিকার দেওয়া হবে।
মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে :
  1. প্রথমে অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
  2. সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে অনলাইনে আবেদনটি সাবমিট করে একটি প্রিন্ট কপি নিতে হবে।
  3. প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
  4. আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারত দূতাবাস পরিদর্শন করতে হবে।
  5. আবেদনের ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
  6. আবেদন ফরমটি জমাদানের ২১ দিনের মধ্যে অথবা তার একটি কম বা বেশি সময়ের মধ্যে ভিসাটি অনুমোদন পাবে। 
  7. ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে সাধারণত ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা চেক করার নিয়ম

  • ভারত ভ্রমণের জন্য ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। যদি আপনি আপনার ভিসার অবস্থা চেক করতে চান, তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটি করা সম্ভব। এটি করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। নিজের দেখানো পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি এখনই আপনার ইন্ডিয়ান ভিসার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে 
  • https://www.passtrack.net/index.php এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
  • মেনু থেকে “Tracking” অপশনে ক্লিক করে আপনার ভিসার ধরণ নির্বাচন করতে হবে (Regular Visa / Port Endorsement)
  • রেগুলার ভিসা চেক করার জন্য “ওয়েব ফাইল নাম্বার” প্রয়োজন হবে। যা আপনি ডেলিভারি স্লিপে পেয়ে যাবেন।
  • Web file Number বক্সে সঠিক ভাবে আপনার নাম্বার টি বসান।
  • এরপর “Please type below code” বক্সে নিচে দেখানো ছবির অক্ষর সঠিক ভাবে বসান।
  • ছবিতে থাকে অক্ষর ভাল ভাবে বুঝতে না পারলে “Not readable? Change text” এ ক্লিক করে পরিবর্তন করে নিন।
  • সব শেষে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন ব্যাস, স্কিনে আপনার ভিসার সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে।

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৪ 

ভারতে ভিসা আবেদন করতে গেলে একজন বাংলাদেশী নাগরিকদের যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ ভিসা আবেদনের পূর্বে সর্বনিম্ন ছয় মাস হতে হবে। 
  • পাসপোর্টে অন্তত দুইটি সাদা পাতা থাকতে হবে।
  • আপনার আবেদন পত্রের সাথে পুরনো যত পাসপোর্ট আছে তা জমা দিতে হবে।
  • সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে। 
  • রঙিন ছবি যেন পুরো মুখমন্ডল দেখা যায় এবং ছবির পিছের অংশ সাদা হতে হবে। 
  • উল্লেখ্য ছবি তিন মাসের বেশি পুরনো যেন না হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ইউটিলিটি বিলের অনুলিপি।
প্রার্থী চাকুরিজীবী হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদ(NOC), শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড এর অনুলিপি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী হলে বাণিজ্যিক সনদপত্র (ট্রেড লাইসেন্স) কৃষিজীবী হলে জমির পর্চা প্রয়োজন।
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণপত্র যেমন আবেদনকারীর জনপ্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার সমান মানের বৈদেশিক মুদ্রার জমা অথবা সর্বশেষ।

  • তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে একাউন্টে ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক ব্যালেন্স দেখাতে হবে।
অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম যেটাতে BGD নিবন্ধন নম্বর থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অনলাইন এপ্লিকেশন ফরমেট দেওয়া নির্ধারিত স্থানে তাদের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
  1. আবেদনকারীকে অবশ্যই এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে যেন বর্তমান পাসপোর্ট এর জন্ম তারিখ জন্মস্থানের সাথে পুরনো পাসপোর্ট এর জন্ম তারিখ জন্মস্থান জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ তথ্যের মিল থাকে।
  2. সাক্ষাতের দিন আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই পুরনো পাসপোর্ট গুলো আপনাকে জমা দিতে হবে পুরনো পাসপোর্ট জমা ছাড়া আবেদন পত্র অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
  3. অনলাইনে আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে

ই-মেডিক্যাল ভিসা ভারতের আগমনের তারিখ থেকে 60 দিনের জন্য বৈধ। একজন ব্যক্তির ভিসার জন্য 3 এন্ট্রি অনুমোদিত। চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ইভিসা বছরে মাত্র 2 বার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি অ বর্ধনযোগ্য, অ রূপান্তরযোগ্য এবং সীমাবদ্ধ এলাকায় পরিদর্শন করার জন্য বৈধ নয়। বাংলাদেশের নাগরিক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভারতের গমনের জন্য ভিসার আবেদন করে থাকে। আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি ভিসাটি হাতে পেয়ে যান। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনি ইন্ডিয়ান ভিসা পেয়ে যাবেন আর আপনার কাগজপত্রে যদি ভুল থাকে তাহলে ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে সময় লাগবে।

ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইন্ডিয়াতে মেডিকেল ভিসা করে যায় তবে যখন আমরা কোন জায়গায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে খরচ সম্পর্কের জানতে চাই সেই জায়গা যেতে কত টাকা লাগে।কেননা এই সকল বিষয় না জানা থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই আপনাদের আজকে জানাবো ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা ২০২৪ সালে কত টাকা লাগে। ভিসা আবেদন খরচ হলো ১৮০০ টাকা +৩% ভ্যাট এবং প্রসেসিং করতে ২০০ টাকার মতো লাগতে পারে। বাংলাদেশ আর কোন প্রকার ফি প্রযোজ্য না

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা চেক করার নিয়ম

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার আবেদন করার পর নিজেই ইন্ডিয়ান ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা চেক করার জন্য শুধুমাত্র web file নাম্বার দরকার। এ নাম্বার ভিসার ডেলিভারি স্লিপ এ পাবেন।ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা যাচাই করতে www.passtrack.net ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।



তারপর Regular Visa Application এ ক্লিক করলে ২টি ফাঁকা ঘর দেখতে পারবেন।১ম ফাঁকা ঘরে ডেলিভারি স্লিপ এ থাকা web file নাম্বার ও ২য় ফাঁকা ঘরে নিচের ক্যাপচা লিখতে হবে।সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করুন। আপনার তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে ইন্ডিয়ান ভিসার স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসা কত প্রকার কি কি

১, ভ্রমণ ভিসা-সাধারণত ভ্রমণ, আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাৎ তীর্থযাত্রা প্রভূতি উদ্দেশ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করার জন্য ভারত সরকার এই ধরনের ভিসা প্রদান করে।

২, ব্যবসায়িক ভিসা-যারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভারতে গমন করতে চায় তাদেরকে এই ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। ব্যবসায়িক ভিসা আবেদনকারী প্রার্থীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যবসায়িক ভিসা থাকতে হবে।

৩, দীর্ঘ মেয়াদী ভ্রমণ ভিসা-ভিনদেশী কোন নাগরিকের সন্তান যারা ভারতে পড়াশোনা করছে তাদেরকে এবং ভারতে কর্মরত ব্যাক্তিদের পরিবার পরিজনদের অথবা অন্য কোন শ্রেণীর মানুষদের যাদের দীর্ঘ মেয়াদে ভারতে অবস্থান করা প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে ভারত সরকার দীর্ঘমেয়াদি ভ্রমণ ভিসা দিয়ে থাকে।

৪, মেডিকেল ভিসা-ভারতের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমনকারী ব্যক্তিদের এই ভিসা দেয়া হয়। এই ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর।

৫, স্টুডেন্ট ভিসা-শিক্ষা অর্জনের জন্য ভারতে গমনকারী ছাত্রছাত্রীদেরকে এই ভিসা দেওয়া হয়।

৬, গবেষণা ভিসা-যেসব বিদেশি নাগরিকগণ ভারতের বিভিন্ন গবেষণা কাজে গমন করতে ইচ্ছুক মূলত এক্ষেত্রে ভারত সরকার এই ভিসা জারি করে থাকে
কর্মসংস্থান ভিসা-বিদেশি কোন নাগরিক ভারতে কাজের উদ্দেশ্যে গমন করলে কোন ভারত সরকার সেই সকল নাগরিকদের কর্মসংস্থান ভিসা দিয়ে থাকে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে

আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ ভারতে ঘুরতে যায়। আমরা সকলেই জানি কোন দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই সেই দেশের ভিসা প্রয়োজন। উপরের আর্টিকেলে আমরা ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলেও আপনাদের সুবিধার্থে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে তা ছোট আকারে তুলে ধরব।

এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য অনুমোদন স্বরূপ ভিসার প্রয়োজন। এ ভিসা তৈরি করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা যদি আপনি সঠিকভাবে জমা দেন তাহলে খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কাগজপত্রের প্রয়োজন,
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
  • ভিসার আবেদন পত্র।
  • ভিসা আবেদনের ছবি লাগানো।
  • সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
  • যদি পুরনো পাসপোর্ট থাকে সাথে নিয়ে যাওয়া।
  • যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে থানায় জিডি করে সে কপি জমা দেওয়া।
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং আসল পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যাওয়া।
  • তিন মাসের বিদ্যুৎ, পানি অথবা গ্যাস বিল এর ফটোকপি।
  • তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • আগে যদি ইন্ডিয়া গিয়ে থাকেন তাহলে সেই ভিসার ফটোকপি।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ

এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন। যে কোন কিছু তৈরি করার জন্য তার ফি প্রদান করতে হয়। আমাদের দেশ থেকে ইন্ডিয়ায় নানা কারণে মানুষ গিয়ে থাকেন। বিভিন্ন কারণের উপর ভিসা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে যেমনঃ ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা , চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা,শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা,ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।

আলাদা আলাদা ভিসার জন্য আলাদা ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছি তাদেরকে এই ভিসার ফি হিসেবে ৯০০ টাকা প্রদান করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে আরো বেশি টাকা খরচ করতে হবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ

যারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে চায় তাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকতে হয়। আবার যারা আগে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করেছেন এবং সেই ভিসার মেয়াদ এখনও রয়েছে তাদের কে নতুন করে আবার ভিসা তৈরি করতে হবে কেননা পুরনো ভিসায় ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করা যাবে না। এছাড়াও ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা অফিস জানিয়ে দিয়েছে যে, নতুন করে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করলে তার মেয়াদ হবে ৬ মাস। সুতরাং আপনারা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করবেন তাদের ভিসার মেয়াদ হবে ৬ মাস।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url