মাসে লাখ টাকা আয় করার ৭টি উপায়
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো মাসে লাখ টাকা আয় করার ৭টি উপায় সম্পর্কে বর্তমানে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। আপনিও চাইলে ইনকাম করতে পারেন আজকে সে বিষয়ে আলোচনা করবো কি ভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। দেশের লাখ লাখ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল।
চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন তার জন্য আপনাকে অনলাইন কোন একটা সেক্টর উপর কাজ জানতে ও শিখতে হবে।
মাসে লাখ টাকা আয় করার ৭টি উপায়
চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন তার জন্য আপনাকে অনলাইন কোন একটা সেক্টর উপর কাজ জানতে ও শিখতে হবে।
মাসে লাখ টাকা আয় করার ৭টি উপায়
ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায়
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায় বিভিন্ন উপায়ে।কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন যে রাতারাতিই আপনি ব্লগার থেকে টাকা-পয়সা আয় করতে পারবেন না।
এর জন্য অনেক লম্বা সময়ের প্রয়োজন হবে।অনেক সময় নিয়ে এখানে আপনাকে লেখেলেখি করতে হবে এসইও করতে হবে; বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্ভন করে ব্লগার সাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে। এবং এর পরই আপনি এর থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
এতে অনেক সময় ১ বছর সময় লাগে।
এর জন্য অনেক লম্বা সময়ের প্রয়োজন হবে।অনেক সময় নিয়ে এখানে আপনাকে লেখেলেখি করতে হবে এসইও করতে হবে; বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্ভন করে ব্লগার সাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে। এবং এর পরই আপনি এর থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
এতে অনেক সময় ১ বছর সময় লাগে।
আবার কখনো কখনো ২ থেকে ৩ বছর সময় লেগে যায়।এটি নির্ভর করবে আপনি কতটুকু সময় দিতে পারবেন। এটি একটি আধুনিক ও উন্নত উপায় যেখানে আপনি অন্যান্য লোকদের সাথে আপনার ধারণাসমূহ ভাগ করতে পারেন এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে পারেন।এছাড়াও আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় তা এই পোস্টে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনার চ্যানেলে যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও থাকে সেক্ষেত্রে আপনি চ্যানেলে মেম্বারশীপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের দর্শকরা ফি প্রদানের মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের সদস্য হতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলগুলো খুবই উন্নতমানের হতে হবে। যেগুলো থেকে একজন মানুষ উপকৃত হতে পারবে। যেমন, এক্সেস ভিডিও, এক্সক্লুসিভ লাইভ স্ট্রিম ইত্যাদি।
প্রোডাক্ট সেল
আপনারা আপনাদের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। প্রোডাক্ট আপনার নিজস্ব অথবা যে কোন কোম্পানির হতে পারে। আপনি দুইভাবেই আপনি খুব ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন। প্রোডাক্ট সেল এর জন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেলে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকতে হবে অর্থাৎ মেম্বার থাকতে হবে। আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। অথবা আপনারা ভিডিওর মধ্যে সেই প্রোডাক্ট গুলোর অ্যাড দিতে পারেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়
ইউটিউব থেকে আপনারা বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ইউটিউবার হতে চান অবশ্যই ধৈর্য সহকারে আপনাকে কাজগুলো করতে হবে। তবে আপনি ইউটিউব থেকে খুব ভালো পরিমাণ এমাউন্ট আয় করতে পারবেন। তো চলুন ইউটিউব থেকে যে সকল পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন তা জন্য উল্লেখ করা হলো।ইউটিউব এডসেন্স
আপনারা হয়তো এডসেন্স নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। আবার আপনারা অনেকেই এডসেন্স এর সঙ্গে পরিচিত। তবে ইউটিউব থেকে সবচেয়ে সহজে ইনকাম করার একটি পথ এডসেন্স। অর্থাৎ এডসেন্সের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাইলে কি কি করতে হবে তার নিম্নে উল্লেখ করা হলো।অবশ্যই আপনার চ্যানেলে ১০০০ এর বেশি সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
আপনারা হয়তো এডসেন্স নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। আবার আপনারা অনেকেই এডসেন্স এর সঙ্গে পরিচিত। তবে ইউটিউব থেকে সবচেয়ে সহজে ইনকাম করার একটি পথ এডসেন্স। অর্থাৎ এডসেন্সের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাইলে কি কি করতে হবে তার নিম্নে উল্লেখ করা হলো।অবশ্যই আপনার চ্যানেলে ১০০০ এর বেশি সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এর পাশাপাশি ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ হতে হবে। অতঃপর আপনারা আপনাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এপ্লাই করতে পারেন। আপনার সকল কনটেন্ট গুলো অবশ্যই নতুন হতে হবে। অর্থাৎ কোনরকম থাকা যাবে না আর্টিকেলে বা কনটেন্টে।সম্পূর্ণ ইউনিট হতে হবে আপনার প্রতিটি ভিডিও। আপনার সবকিছু যদি সঠিক থাকে তবে আপনি এপ্লাই করার পরে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কাছ থেকে রিপ্লাই পাবেন।
সেখানে আপনারা দেখতে পারবেন আপনাদের youtube চ্যানেলে এডসেন্স পেয়েছেন কিনা।অনেকেই জানেন না এডসেন্স এর মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায়। আপনার চ্যানেলে যদি আপনি এডসেন্স পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিও কেউ দেখলে তাদের কাছে অ্যাড শো হবে। অনেক সময় আমরা ভিডিও দেখার সময় ভিডিওতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। মূলত এই বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমেই আমরা ইনকাম করতে পারি।
আর আপনার চ্যানেল যদি এডসেন্সে অ্যাপ্রুভ হয় তবে আপনার ভিডিওতে এমন বিজ্ঞাপন থাকবে। যেগুলো থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
স্পন্সরশিপ
আপনার চ্যানেল যদি ভাল হয়ে থাকে অর্থাৎ ভালো পরিমান যদি ভিজিটর থাকে আপনার চ্যানেলে তবে আপনারা স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট তুলে ধরতে পারেন। সে কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো বিস্তৃত করা কারণে আপনারা সেখান থেকে একটি কমিশন পাবেন। যদি আপনার একটি ভালো ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে স্পনসারশিপ এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ এমাউন্ট আয় করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরশিপ নিতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনারা ইউটিউব থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। আপনারা বিভিন্নভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার যদি চ্যানেল সক্রিয় হয়ে থাকে এবং ভালো পরিমান ভিজিটে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনারা প্রতি মাসে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন। অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার নিজস্ব কর্মের ওপর নির্ভর করে থাকে।
স্পন্সরশিপ
আপনার চ্যানেল যদি ভাল হয়ে থাকে অর্থাৎ ভালো পরিমান যদি ভিজিটর থাকে আপনার চ্যানেলে তবে আপনারা স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট তুলে ধরতে পারেন। সে কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো বিস্তৃত করা কারণে আপনারা সেখান থেকে একটি কমিশন পাবেন। যদি আপনার একটি ভালো ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে স্পনসারশিপ এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ এমাউন্ট আয় করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরশিপ নিতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনারা ইউটিউব থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। আপনারা বিভিন্নভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার যদি চ্যানেল সক্রিয় হয়ে থাকে এবং ভালো পরিমান ভিজিটে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনারা প্রতি মাসে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন। অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার নিজস্ব কর্মের ওপর নির্ভর করে থাকে।
- আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার চ্যানেলে যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও থাকে সেক্ষেত্রে আপনি চ্যানেলে মেম্বারশীপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের দর্শকরা ফি প্রদানের মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের সদস্য হতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলগুলো খুবই উন্নতমানের হতে হবে। যেগুলো থেকে একজন মানুষ উপকৃত হতে পারবে। যেমন, এক্সেস ভিডিও, এক্সক্লুসিভ লাইভ স্ট্রিম ইত্যাদি।
প্রোডাক্ট সেল
আপনারা আপনাদের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। প্রোডাক্ট আপনার নিজস্ব অথবা যে কোন কোম্পানির হতে পারে। আপনি দুইভাবেই আপনি খুব ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন। প্রোডাক্ট সেল এর জন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেলে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকতে হবে অর্থাৎ মেম্বার থাকতে হবে। আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। অথবা আপনারা ভিডিওর মধ্যে সেই প্রোডাক্ট গুলোর অ্যাড দিতে পারেন।
আপনার যদি নিজস্ব প্রোডাক্ট না থাকে তবে আপনি যে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট শেয়ার এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যেকোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট শেয়ার করার পরে সেই প্রোডাক্ট যদি কেউ ক্রয় করে তবে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন। এভাবে আপনারা ইউটিউব থেকে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমরা অনেকে জানি না। আবার অনেকেই ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকি। আপনারা যারা জানেন না ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম হয় তারা অনেকেই অবাক হবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। আসলে ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। facebook থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
আমরা জানি না কোন কোন মাধ্যম গুলোকে বা কি ভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় যে কারণে আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি না। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে কয়েকটি সহজ টেকনিক নিম্ন উল্লেখ করা হলো।ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভবফেসবুক থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ দেড় লক্ষ বা তারও বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে।
তবে আপনার আর্টিকেল অথবা কনটেন্ট যদি বেশি মানুষ পছন্দ করে থাকে এবং বেশি ভিউ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার বৃদ্ধি পাবে।আপনার, অথবা আইডি যত পপুলার হবে আপনার ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। অবশ্যই আপনার ভিডিও গুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হতে হবে তাহলে আপনার ভিডিও অনেক বেশি পরিমাণ মানুষ দেখবে এবং বেশি বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি মোটামুটি মানের ইনকাম করতে চান তবুও আপনি ফেসবুক।
থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।আর আপনি প্রফেশনাল ভাবে যদি সবকিছু করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি দক্ষতা দিয়ে ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার ভিজিটেড যদি অনেক বেশি পরিমাণ থাকে তবে আপনি এক লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র ফেসবুক থেকেই।
ফ্রিলান্সিং(Freelancing) করে আয়
অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে ।পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে।
বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।এখন আসি কিভাবে শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া।এখানে আপনার কাজ করার।
এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (Employer) তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design)
ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।এসবের যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়।কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি)আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে
ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে আয়
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে এরকম ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে কেউ চাইলেই করতে পারেন।
কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে।সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো।
কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে।সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো।
কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং।আবার অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাইটও বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট থাকে। আর এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনেও এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট রয়েছে।
এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এখন ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।এর জন্য আপনার দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন।
তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকাআয়
প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় হিসেবে আমরা আপনাকে বলতে পারি। আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করা শুরু করুন।আমি আপনাকে বলছি। আপনি যদি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন। তাহলে 100% গ্যারান্টিতে নিজের ঘরে বসে লেখালেখির মাধ্যমে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তবে সেই ওয়েবসাইটে থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে আয় করার সুযোগ পাবেন। তার মধ্যে জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম হলো- এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং গুগল এডসেন্স।
এখন আপনি যদি সহজ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দেব। আপনারা ওয়েবসাইটে বাংলা কিংবা ইংলিশ কনটেন্ট লিখার কাজ শুরু করতে পারেন।
আপনারা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট লিখার ফলে, কনটেন্ট গুলোতে ভালো ট্রাফিক/ ভিজিটর পেয়ে যাবেন। আর যখন আপনার সাইটে ভালো পরিমাণের ভিজিটর আসা শুরু করে। তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।
আপনারা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট লিখার ফলে, কনটেন্ট গুলোতে ভালো ট্রাফিক/ ভিজিটর পেয়ে যাবেন। আর যখন আপনার সাইটে ভালো পরিমাণের ভিজিটর আসা শুরু করে। তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।
আর গুগল এডসেন্স আবেদন করার পরে, আপনার সাইটে যদি এপ্রোভাল দেওয়া হয়। তাহলে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, প্রতি মাসে শুধু মাত্র ১ লাখ নয় আপনি আনলিমিটে আয় করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
আশা করছি মাসে লাখ টাকা আয় করার ৭টি উপায় সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url