বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত। আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশের সেরা দশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের শিক্ষা খাতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন,অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা খুঁজছেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার উচ্চ শিক্ষার জন্য সেরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা খুঁজছেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার উচ্চ শিক্ষার জন্য সেরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়ক হবে।
ভূমিকা
শিক্ষা একটি জাতির মেরুন্ড, আর এই শিক্ষার একদম সর্বশেষ স্তর হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীর প্রজন্ম কেমন হবে তা নির্ভর করবে তাঁদের শিক্ষার উপর। সঠিক শিক্ষা ছাড়া কোনদিনও উন্নতি সম্ভব নয়।আজ যে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছে আগামীতে তাঁকেই দেশের হাল ধরতে হবে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরাঞ্চলের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে চলছে।উত্তরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর সপ্নই থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৫৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এক অপরূপ সৌন্দর্য্যের আধার। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১২টি অনুষদ এবং ৬টি ইন্সটিটিউটে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পরিচালনা করছে। কিছুদিন আগে ৪টি কলেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ।
- এর সাথে যুক্ত হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১১ টি হল।বর্তমানে ১০৮১ জন শিক্ষক, ১৭,৫৮২ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী, ৩,৬৬৭ মাস্টার্স শিক্ষার্থী এবং ৯৮৬ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি এবং এম ফিল করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রাচীনতম এবং অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে।দেশের বিভিন্ন বরেণ্য ব্যাক্তিবর্গ এখানে পড়াশোনা করেছেন।এদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত বিচারপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বিশিষ্ট লেখক হুমায়ূন আহমেদ, এবং বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি ফজলুর রহমান খান।
এসব গুণী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের মাধ্যমে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।সম্প্রতি প্রকাশিত কিউ এস র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশবিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথম এবং বিশ্বে ৫৫৪তম অবস্থান পেয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। উল্লেখ্য গত বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিউ এস র্যাংকিংয়ে ৬৯১ থেকে ৭০০ তম অবস্থানে ছিল।
এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি কতটা উন্নতি করছে।বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯২১ সালে মাত্র তিনটি অনুষদ নিয়ে চালু হলেও বর্তমানে এখানে ১৩ টি বিভিন্ন ধরনের অনুষদের মধ্যের রয়েছে ৮৩ টি বিভাগ।যার প্রতিটি অত্যন্ত উন্নত। এখানে আরও রয়েছে ১৩ টি ইন্সটিটিউট, ৫৬ টি রিসার্চ সেন্টার, ২০ টি ছাত্র ছাত্রী হল।প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে বিশেষায়িত গবেষণা কেন্দ্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।এটি বাংলাদেশের তৃতীয় এবং আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা, গবেষণা সহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।বিশেষ করে সমুদ্র এবং বন এর পাশে অবস্থিত হওয়ায় এর মৎস এবং বন বিভাগ অন্যতম সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।প্রাথমিকভাবে, চবি চারটি অনুষদ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনুষদ এবং ৫৪টি বিভাগ রয়েছে।
- তূৈ1এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস, যেখানে শিক্ষার্থীরা উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। এর ২১০০ একর জমির মধ্যে সুবিশাল হ্রদ, মনোরম উদ্যান এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলার সমন্বয় রয়েছে। যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ।
- শাটল ট্রেন রয়েছে যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে।চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯৭৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন এবং ২৯ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত। এটি ঢাকার সাভার উপজেলায় অবস্থিত এবং তার ৬৯৭.৫৬ একর বিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করত। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন বিষয়ে পিএইচডি এবং এমফিল প্রোগ্রাম চালু করে। বর্তমানে, জাবিতে ৬ টি অনুষদ, ৪টি ইন্সটিটিউট এবং ৩৫টি বিভাগ এবং ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে, যা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম অত্যন্ত মানসম্মত এবং যুগোপযোগী। এখানে বিজ্ঞান, কলা, ব্যবসা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, এবং ফার্মেসি সহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যা সাধারণত বুয়েট নামে পরিচিত, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। এটি দেশের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে সম্মানিত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যা তার উচ্চমানের শিক্ষা, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনের জন্য সুপরিচিত। ঢাকার পলাশী এলাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ।প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলের ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে যেকোন প্রকৌশল বিভাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্বপ্নই থাকে বুয়েট।বুয়েটের যাত্রা শুরু হয় ১৯১২ সালে, যখন এটি ঢাকা Survey School নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে এটি ঢাকা কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডিসিইটি) হিসেবে পরিবর্তিত হয়।
১৯৬২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বুয়েট নামে পরিচিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বুয়েট দেশের অন্যতম প্রধান উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।বুয়েটের প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রযুক্তিগত এবং প্রকৌশল ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ প্রকৌশলী ।
ও প্রযুক্তিবিদদের যোগান দেওয়ার লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বুয়েট তার মেধাবী এবং দক্ষ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।বুয়েটের ক্যাম্পাসটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এর ৮৩.৯ একর জমির মধ্যে বিভিন্ন আধুনিক ভবন, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, এবং আবাসিক হল রয়েছে।
বুয়েট ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং এর সুসজ্জিত উদ্যান শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি প্রদান করে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, এবং আর্কিটেকচার ভবন।
- এছাড়া, ক্যাম্পাসে রয়েছে একটি উন্নতমানের গ্রন্থাগার, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই এবং গবেষণাপত্র পেতে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। বর্তমানে কৃষির ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় বাকৃবি একটি অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও প্রভাবশালী কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার উন্নয়নে ।গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কৃষির চাহিদা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশশে। কাজেই অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্নই থাকে এই বিশ্ববিদ্যালইয়ে পড়ার। এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে এর জন্য আলাদা কোটা বরাদ্দ রয়েছে। কেউ গ্র্যাজুয়েশন এর পর চাইলে নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের বাড়িতেই বিভিন্ন খামার গড়ে তুলতে পারে।
বাকৃবি ক্যাম্পাসটি ১২৫০ একর জমির উপর বিস্তৃত। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ক্যাম্পাসে রয়েছে একাডেমিক ভবন, গবেষণা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, হোস্টেল, খেলাধুলার সুবিধা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা। বর্তমানে এখানে ৬টি অনুষদ এবং ৪৪ টি বিভাগ রয়েছে। ৫৬৭ জন শিক্ষকের অধীনে ৮০৮৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই প্রতিষ্টানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য ১২ টি হল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৫ সালে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি এর আগে জগন্নাথ কলেজ নামে পরিচিত ছিল, যার ইতিহাস শুরু হয় ১৮৫৮ সালে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার একটি অন্যতম কেন্দ্র। জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৫৮ সালে, যা পরে ২০০৫ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।এর নামকরণ করা হয়েছিল প্রিন্সিপাল জগন্নাথ রায়ের নামে, যিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ছিলেন। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে এটি বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগে উচ্চশিক্ষা প্রদান করে আসছে।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭ টি অনুষদের অধীনে ৩৮ টি বিভাগ এবং ২টি আলাদা ইন্সটিটিউট রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের খুলনা শহরে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি দেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয় কেননা এর পাশেই একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন অবস্থিত।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি খুলনা শহরের গল্লামারিতে অবস্থিত এবং প্রায় ১০৫ একর জমির উপর বিস্তৃত। ক্যাম্পাসটি সবুজায়ন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা।১৯৯১ সালের ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথমে চারটি অনুষদের অধীনে আটটি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ৮ টি অনুষদের অধীনে ২৯ টি বিভিন্ন বিভাগ এবং ১ টি ইন্সটিটিউট রয়েছে। প্রায় সারে সাত হাজার শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে এবং বিভিন্ন অনুষদে মোট ৫২৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) বাংলাদেশের সিলেটে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় শাহজালাল (রহ.) এর নামে। এটি দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ১৯৮৬ সালের ২৫ আগস্ট এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে, এখানে শুধুমাত্র দুটি বিভাগ ছিল – রসায়ন ও অর্থনীতি। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন নতুন বিভাগ ও অনুষদের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ।
ক্যাম্পাসটি সিলেট শহরের কুমারগাঁও এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ৩২০ একর জমির উপর বিস্তৃত এই ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজায়নে ভরপুর। ক্যাম্পাসে রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণা ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার, ছাত্রাবাস, ক্রীড়া সুবিধা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এবং সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বাংলাদেশের খুলনা শহরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রখ্যাত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশের তৃতীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি উচ্চমানের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রসিদ্ধ। কুয়েট দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৭ সালে খুলনা প্রকৌশল কলেজ হিসাবে। ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) নামে পরিচিতি লাভ করে। এর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার এবং উচ্চমানের প্রযুক্তিগত জ্ঞান ।
সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি খুলনা শহরের ফুলবাড়িগেট এলাকায় অবস্থিত এবং প্রায় ১০১ একর জমির উপর বিস্তৃত। ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজায়নে ভরপুর। এখানে রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণা ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার, ছাত্রাবাস, ক্রীড়া সুবিধা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url