হোম লোন ইন্টারেস্ট
সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাংকঋণ পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। বেসরকারি চাকরিজীবী হলে আপনার চাকরির স্থায়িত্ব, মাসিক বেতন, ঋণখেলাপি, অন্যান্য আয় ইত্যাদির ওপর ব্যাংকঋণ পাবেন কি না বা পেলে কী পরিমাণ পাবেন, সেটা নির্ভর করে।
ভূমিকা
সাধ থাকলেও পর্যাপ্ত সামর্থ্য থাকে না বলে জমি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় অনেকেই লোন নিয়ে থাকেন। কিন্তু চাইলেই আপনাকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন দেবে না। কিছু নিয়মনীতি মেনে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় আবেদন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই-বাছাই করে যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলেই ঋণ পাবেন।হোম লোন ইন্টারেস্ট
হোম লোন সুদের হার বাংলাদেশ
হোম লোনের সুদ 6.95% পিএ থেকে শুরু হয় এবং মহিলা ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ হার রয়েছে। হোম লোনের সুদ 6.95% পিএ থেকে শুরু হয় এবং মহিলা ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ হার রয়েছে। ইন্টারেস্ট রেটঃ প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন দেওয়ার আগে তাদের ইন্টারেস্ট সম্পর্কে ভাবে। কারণ ইন্টারেস্ট-ই তো ওই প্রতিষ্ঠানের আয়।৩ গ্রাহককে বাড়িটি ৫ বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। ৫ বছরের মধ্যে শেষ করতে না পারলে গ্রাহক হোম লোনের ওপর ট্যাক্স ছাড়ের জন্য দাবি করতে পারবে না। অর্থাৎ বাড়িতে নতুন ফ্লোর/রুম/বাথরুম/কিচেন/বেলকনি ইত্যাদি আ্যড করার জন্য যে লোন নিয়ে থাকে তাকে হোম এক্সটেনশন লোন বলে।
এ লোনে মোট ব্যয়ের ৭০-৮০% পর্যন্ত অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যায়। এ লোনের সময়সীমা সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত। বাংলাদেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানই হোম এক্সটেনশন লোন দেয় না, সাধারণত নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এই ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে।
হোম লোনের সুবিধা হোম লোনের গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম হওয়ায় বেশি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় না।
সময়মতো লোন পরিশোধ করতে পারলে গ্রাহকের সামজিক মর্যাদা বাড়বে।
হোম লোনের অসুবিধা হোম লোন দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় অর্থাৎ ২৫ বছরেরও বেশি সময়ের জন্য লোন স্কিম চালাতে হয়। বিষয়টা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় গ্রাহকের ওপর মানসিক চাপ পড়ে।
হোম লোন আবেদন অনুমোদন একবার হয়ে গেলে পিছু হাটার আর কোনো সুযোগ নেই।
লোনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আপনার জামানতকৃত সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়।
হাউজ লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে
হাউজ লোন নিতে আপনার যেগুলো কাগজপত্র দরকার হবে তা নিচে দেখানো হয়েছে
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- পরিচয় পত্র
- ভোটার কার্ড
- ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা
- পাসপোর্ট
- জন্ম প্রমাণপত্র
- বার্থ সার্টিফিকেট অথবা
- ক্লাস টেন পাস করার সার্টিফিকেট
- আধার কার্ড অথবা
- কোনও সরকারি পরিচয়পত্র যাতে জন্মদিন ও সালের উল্লেখ আছে
- যাঁরা মাইনে পান তাঁদের আয়ের প্রমাণ
- সংস্থার কাছ থেকে নিযুক্তির সংশাপত্র
- বিগত কয়েক মাসের পে-স্লিপ
- বিগত তিন বছরের আয়কর রিটার্ন
- বিগত তিন বছরের আয়কর রিটার্ন
- ব্যবসার কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি)
- যাঁর কাছ থেকে কিনছেন তাঁর কাছ থেকে নেওয়া এনওসি
- বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরির খরচের বিস্তারিত হিসাব
- সম্পত্তি কেনার প্রমাণপত্র (দলিল)
- তৈরি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট
- প্রপার্টি ট্যাক্স ও সংশ্লিষ্ট করের রশিদ
- সম্পত্তি কেনার জন্য দেওয়া অগ্রিমের রশিদ/ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট
- অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যানের সার্টিফায়েড কপি
- মোটামুটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকাটা এই রকমই। তাই ঋণের আবেদন করার আগে তৈরি থাকুন এগুলি নিয়ে। এর বাইরেও কিছু সংশাপত্র লাগতে পারে। কিন্তু তা না লাগাটাই স্বাভাবিক।
সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন
নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও চাকরিজীবী ঋণ পাওয়ার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের যে কোনও একটিতে আবেদন করবেন। ব্যাংক ওই আবেদন যাচাই-বাছাই করে ইএমআই শেষে আবেদনকারী কর্মকর্তা যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত আছেন, ওই মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ওই মন্ত্রণালয় থেকে তা অনুমোদন করে অর্থ বিভাগে ‘গৃহনির্মাণ ঋণ কোষ’ শাখায় পাঠানো হবে।নীতিমালা অনুযায়ী, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন।নীতিমালায় সর্বোচ্চ ঋণসীমা ৭৫ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ঋণ ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে।
নেওয়া হবে না। এ ছাড়া কোনও ‘প্রসেসিং ফি’ বা আগাম ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনও ‘অতিরিক্ত ফি’ দিতে হবে না। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ২০ বছর। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ পাবেন না।কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয়।
ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি
এই ইসলামী ব্যাংক হাউজ লোনের আওতায় ইসলামী ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ্য টাকার ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে।তবে, এই ক্ষেত্রে কিছু জিনিস বিবেচ্য রয়েছে।আপনি যদি নতুন বাড়ি নির্মাণ করেন, সেই ক্ষেত্রে তারা আপনাকে ৬০% অর্থাৎ ১০ লক্ষ্য টাকার ঋণ সুবিধা প্রদান করবে।আপনি যদি রেডিমেড ফ্লাট কিংবা।- সাধারণ সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে যেকোনো পেশাজীবী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী কিংবা জমির মালিক এই ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
- নিতে আপনার একটি বৈধ আয়ের বেবস্তা থাকতে হবে সেটা হতে পারে চাকরি/ব্যবসা/ডাক্তার/প্রবাসী।এখানে বিষয়টা হচ্ছে লোন নিতে হলে আপনার এই পরিমান ইনকাম থাকতে হবে যেই ইনকাম দিয়ে লোন পরিশোধ করতে পারবেন। সেটা হতে পারে যে কোন ভাবে তবে বৈধ হতে হবে।আপনি একটা চাকরি করছেন
যেমন – আপনি যদি চাকরি জিবি হন আর আপনার বেতন যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাহলে আপনার বেতন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিতে হবে।
গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন
যার নামে লোন নিবেন সেই ব্যক্তি কিংবা মহিলার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
জমির দলিলের থাকে জমির খতিয়ানও জমা দিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url