ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক সাজনে পাতার অপকারিতা, সাজনার পাতাতে তে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস থাকে এই মিনারেলস গুলো আমাদের বডির জন্য খুবই হেল্পফুল পটাশিয়াম জেমস ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আজকে আমরা জানবো সাজনে পাতার উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা।ডায়াবেটিস ভুগছেন তাদের সজনে উপকারীত্বকের যত্নে সজনের পাতার উপকারিতা।
সজনে পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম
সুগার টাকে কন্ট্রোল করার জন্য বডির হরমোন লেভেলটাকে বাড়ানোর জন্য যাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়, তারা এই পাতাটি খেতে পারেন অনেক ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে তৈরি হয় স্ক্রিনটা নষ্ট হয়ে যায় ব্রণ হয় সাজনের পাতাকে গুঁড়ো করে পানি দিয়ে খেতে পারেন বা এটাকে শাক হিসেবে খেতে পারেন।

ভূমিকা

আপনার সাজনে পাতাকে শাক হিসেবে খেতে পারেনি আবার সাজনের যে ডাটাটা আছে সেটাকে অনেকেই ডাল দিয়ে খেয়ে থাকেন তাদের যেমন পুরুষের শুক্রাণুর মাত্রা টাকে বা ভালো করে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়িয়েদেয় এটি ডেফিনেটলি একটা সুগার ফোড স্কিন বা হেয়ার প্রতিটা জায়গায় খুব ভালো করে কাজ করে তবে কোন কিছুই রেগুলার খাওয়া ঠিক নয় আপনার আদার্স ফিজিক্যাল কন্ডিশন ঠিক আছে কিনা সেটা মাথায় রেখে খাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

সজনের পাতা ডায়াবেটিসের মত কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে প্রতি গ্রাম সাজনা পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন C দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন থাকে গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন A এবং কলার চেয়ে। তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম থাকে রক্তস্বল্পতাএবং বিভিন্ন রকমের ভিটামিন জনিত সমস্যা সাথে কাজ করে।

সজনের পাতা হৃদরোগীদের জন্য ঠিক ওষুধের মত কাজ করে,উচ্চ রক্তচাপ কমায় কোলেস্টেরল কমায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।এক টেবিল চামচ শুকনা সাজনে পাতার গুড়া থেকে ১-২বছর বয়সী শিশুদের ১৪℅ক্যালসিয়াম ও ২৩%লৌহ ও ভিটামিন এ সরবরাহ হয়ে থাকে।দৈনিক ছয় চামুচ সাজনে পাতার গুড়া একটি গর্ভবতী বা স্থান্যদানকারী মায়ের চাহিদা সবটুকু ক্যালসিয়াম আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।

সাজনেপাতা বহুমূত্র রোগের জন্য খুবই উপকারী। এনার্জিজনিত সমস্যা হলে সাজনে পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

সাজনে পাতার অপকারিতা

সাজনে পাতার অপকারিতা আসলে সাজনের পাতার এমন কোন অপকারিতা নেই বললেই চলে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে এই পাতা না খাওয়াটাই উপকারী হবে। সজনা পাতার অপকারিতা কারণ সবকিছুই একটা সাইড ইফেক্ট আছে তাই মাসে অন্তত 10 থেকে 12 দিন খাওয়াটাই ঠিক হবে তবে আপনাদের শরীরের কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে আরো বেশি সময় ধরে খেতে পারেন।

ত্বকের যত্নে সজনের পাতার উপকারিতা

সজনের পাতা কি কিভাবে আমাদের ত্বকের রূপ উজ্জ্বল করে সেটা জেনে নেয়া যাক প্রথমেই বলি সজনে অ্যান্টি ভিক্টোরিয়াল উপাদান থাকাই এটি ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এটি ব্যবহার করার আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেওয়া টা দরকার সজনে তেল ও জনের গোড়া ত্বকের বলিরেখা ত্বকের ক্ষত দূর করে ।

ত্বকের যত্নে সজনের পাতার উপকারিতা
এছাড়াও সজনা আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের খুচকানো দাগ ও বলিরেখা দূর করে আমাদের ত্বকের যৌবন বজায় রাখে এছাড়া সজনে তেল ঠোঁটে যত্নেও ব্যবহার করা যায় ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রাখতে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন শরীরের টক্সিন এর ফলে তোকে ব্রনও বিভিন্ন দাগ ছুপের সমস্যা দেখা যায়

জনের গুঁড়ো এবং সজনের বীজ গ্রহণ করলে রক্তে পরিষ্কার হয় তার ফলে ত্বক পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর হয় সজনে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ছিদ্র বন্ধ করতে সাহায্য করে স্বজনের পাতা রোদে শুকিয়ে নিয়ে সেটা ভালো করে গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিতে হবে।

উপকরণ

১ চামপ মধু

হাপ চামচ লেবুর রস

১ চামচ গোলাপ জল

৪ চামচ সজনে গুরা

প্রয়োজন অনুযায়ী পানি নিন

পদ্ধতি

যাতে করে একটা ঘন ও মসরিন পেস্ট তৈরি হয় এটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন তারপর মশ্চারাইজার মাখন তাহলে তক উজ্জ্বল ও কোমল হয়ে যাবে ত্বকের পাশাপাশি মজবুত চুলের জন্য সজনের গুঁড়ো উপকারী এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদানের জন্য সজনের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।ওজন কমাতে সাজনের পাতা ডায়াবেটিসের।

মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে এক গ্লাস মরিংগা বা সাজনের পাতার জুস খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি থেকে মুক্তি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে হাট কে সুস্থ রাখে রক্তস্বল্পতা দূর করে হার বা জয়েন্টের নিরাময়ে সহায়তা করে।

সাজনে পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম

চলুন জেনেনি প্রথমে এক কাপ সাজানোর পাতা নিতে হবে পাতাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে তারপরে মিলিন্ডারে ঢালতে হবে এক কাপ এক কাপ পাতাতে আপনি দুই জুস গ্লাস বানাবেন না এক গ্লাস বানাবেন সেই হিসেবে করে পানি দিবেন তারপরে পাতাগুলোকে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে ফেলুন ।

গুঁড়ো করা হয়ে গেলে একটা গ্লাসে সবগুলো ঢালে ফেলুন তারপরে এভাবে যদি খেয়ে ফেলেন তাহলে মিষ্টি বা টক বা স্বাদ পাওয়া যাবে না তাই এক চা চামচ মধু মিস করতে হবে তাহলে খেতে ভালো লাগবে এভাবে বানিয়ে পুষ্টিগুণ জুস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জুস খেতে পারলে আপনার শরীরে সকল বজ্র পদার্থ বের হয়ে যাবে ওজন খুব সহজে কমে যাবে।

সাজনে পাতার শাক কি ভাবে বানাবেন প্রথমে পাতা বেছে নিতে হবে ডাল থেকে তারপরে একটা পাত্রে পাতাগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন তারপর একটা করে তেল ঢালতে হবে দিয়ে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি কালি জিরা ও লবণ হলুদ পরিমান মত নিতে হবে এক মিনিট ধরে ভাল করে নেড়েচেড়ে নিন তারপর সাজনার পাতাগুলো ঢালুন তারপর সবগুলো ।

একসঙ্গে মিস করুন চামচ দিয়ে নারুন তারপর দুই বা তিন মিনিট ধরে ঢেকে রাখুন তার পর নামিয়ে ফেলুন সাজনা পাতার শাক সাজনা পাতা খেতে যেমন খুবই সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর যে কোন সুপের সঙ্গে সজনের পাতা মেশালে এর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় এছাড়া চা কফি দুধ গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরের সকল পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় আর সাজনে পাতা গুড়া অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়।

সাজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

সাজনের পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান যেমন জ্বর সর্দি কাশি মাথা ব্যথা ডায়াবেটিস হাম রক্তশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্য ত্বকের রোগের জন্য ও ইত্যাদি শরীররে পুষ্টি জোগাই অনেকেই সজনে পাতা ভেজে খায় কেউ তরকারির বানিয়ে খায় কেউ সিদ্ধ করে খায় কেউ শাক,ভাজি আবার কাঁচা পাতা বেটে রস করেও খায়।

অনেকেই সাজনের পাতা বা ডাঠা শরীরের অপুষ্টি দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা বা ভাজা অবস্থায় সমান গুন আছে এ পাতার। সকালে খালি পেটে খেতে না পারলে দুপুরে গোসলের সময় এক গ্লাস পানিতে এক চামচ বা দের চামচ সজনের পাতার গুড়া নিন তার পরে চিনি বা মধু লবণ, লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।ত্বকের যত্নে সজনের পাতার উপকারিতা ফলের সাথে মিস করে জুস বানিয়েও খেতে পারেন।

মাছ-মাংসের দাম বাড়ার কারণে আমাদের প্রতিদিনের খাবার রুটিন এ রাখা সম্ভব হয় না তাই তাই শরীরে প্রোটিনের অভাব দূর করতে সজনে পাতার গুড়া খেতে পারেন এর অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতায় রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখে।সাজনে পাতার অপকারিতা যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

সজনে পাতার গুড়া করার নিয়ম

আজকে আমরা সজনার পাতা পাউডার কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে জানব প্রথমে সেজনে পাতা কে ডাল থেকে পাতা আলাদা করতে হবে হাতাগুলো ছিড়ে নেওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে পাতা গুলোকে বেশি করে কচলানো যাবেনা তাহলে কালো হয়ে যাবে এবং পাউডার ভালো হবে না তাই হালকা করে ধুয়ে পানি ঝেড়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে।

১ থেকে ২ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে রোদে শুকানো ছাড়া গ্যাসের চুলা ও মাটির চুলাতে শুকিয়ে নিতে পারেন। তবে রোদে শুকিয়ে নেওয়াটাই ভালো হবে রোদে সুকান্তে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পরপর গিয়ে হাত দিয়ে নাড়তে হবে তাহলে ভালোভাবে শুকাবে ভালোভাবে না শুকালে পাউডার কিন্তু বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাবে না। যেখানে সুকাতে দিবেন খেয়াল রাখবেন।

সেখানে যেন কোন রকম বালি বা আবর্জনা না পড়ে। তারপর শুকিয়ে গেলে সেগুলো ব্লেন্ডারে বা পাটাতে গোঁড়া করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি সজনে পাতার বিষয়ে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url