মশা-মাছি ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ঘর থেকে দূর করার উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব মশা-মাছি ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ঘর থেকে দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন মশা মাছি ও কীটপতঙ্গ কে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে দূর করা যায় যেমন লবঙ্গ কালোজিরা স্যাভলন ভিনেগার নেপথলিন এগুলোকে ঘরের কোনায় রেখে দিতে পারেন তাহলে মশা দূর হবে।
মশা-মাছি ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ঘর থেকে দূর করার উপায় জেনে নিন
বর্ষাকালে ভেজা অবস্থায় পোকামাকড়ের উৎপাত বেশি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় আর কীটপতঙ্গ গুলো আমাদের খাবার ও আসবাবপত্রের ক্ষতি করে তাই এই সব মশা মাছি ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ কিভাবে দূর করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে হলে পুড়ো আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

মশার কামড় ও মশার উৎপাতে শহরে কিংবা গ্রামে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি বিরক্তি হই আর মশার কামড়ে মশা জনিত যেসব রোগ গুলো হয়ে থাকে যেমন ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া চিকুনগুনিয়ার মত রোগ গুলো হয়ে থাকে মশার কামড়ে মাধ্যমে এসব ছড়ায় আর আমরা মশার কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকি যেমন মশার কয়েল।

এবং স্প্রে এসব দিয়ে মশাকে ঘর থেকে তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি আমরা মানুষেরা আর রাতে শোয়ার সময় মুসুরি টাংগিয়ে ঘুমায় যাতে করে মশা আমাদেরকে কামড়াতে বা বিরক্ত করতে না পারে আর আমরা যাতে শান্তিতে এবং নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি যাতে করে মশা আমাদের বিরক্ত করতে না পারে আর কয়েন এবং স্প্রে করার পরে মশা কিছুক্ষণের জন্য চলে যায় ।

কিন্তু এর প্রভাব শেষ হয়ে গেলে মশা আবার ফিরে আসে এবং আমাদেরকে কামরায় এবং বিরক্ত করে। আর কয়েলের ধোয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতি করে তাই আজকে আমরা জানব কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং ঘরোয়া উপায়ে মশাকে কিভাবে তাড়ানো যায় সে সম্পর্কে।

একটি পাত্র ও কর্পূর আর তেজপাতা আর ঘি অথবা মধু

  1. আজকে এমন একটি পদ্ধতি জানব এই নিয়মে আপনি ঘর থেকে মশাকে তাড়াতে পারবেন এবং এর ধোয়া আপনার শরীরের জন্য কোন ক্ষতি হবে না এবং ঘরে কোন রকম দুর্গন্ধ ছড়াবে না। সুন্দর একটি সুগন্ধ ছড়াবে আপনার ঘরে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সবার প্রথমে আপনাকে একটি পাত্র নিতে হবে পাত্রটি মাটির কিংবা যে কোন ধরনের হতে পারে আপনার ঘরে ।
  2. যে ধরনের পাত্র আছে আপনি সেটিতে ব্যবহার করতে। পারবেন আপনাকে পাত্রটিতে মেশাতে হবে কর্পূর ২ থেকে ৩ টি গুঁড়ো করে মিশাতে হবে আর এ কর্পূর আপনি বাজারে যে কোন দোকানে থেকে কিনে নিয়ে আসতে পারেন আর লাগবে তেজপাতা আর তেজপাতার গায়ে মধু কিংবা ঘি মাখিয়ে নিলে সুন্দর সুগন্ধ ছড়াবে। তাই সর্বপ্রথমে আপনাকে যেটি করতে হবে ।
  • সেটাই হচ্ছে পাত্রতে কর্পূর এবং ৩ থেকে ৬টি তেজপাতা নিতে হবে আর তেজপাতার গায়েজি ঘি বা মধু মিশিয়ে তারপর কর্পূর লাগাতে হবে তেজপাতার গায়ে দিয়ে লাইটার কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে তেজপাতা কে আগুন জালিয়ে দিতে হবে সবগুলো তেজপাতা কে তেজপাতার গায়ে কর্পূর ছিটিয়ে দিতে হবে গুঁড়ো করা গুলো তাহলে সেগুলো জ্বলে ধোয়া বের হবে ।

আর সেই ধোয়ার গন্ধে মশা কিংবা মাঝি পালিয়ে যাবে এবং মারা যাবে আর আপনার ঘরে সুন্দর একটি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে আর এটি বানানো খুব সহজ আপনারা লেখাটি পড়ে বুঝতেই পারছেন কিভাবে এটি বানাতে হবে আর কতটা সহজ এটি বানানো আর এটি আপনাকে সন্ধ্যার সময় বানাতে হবে কারণ সকালে তো মশা সেভাবে থাকে না আর ।

আমাদেরকে কামড়ায়ও না বা বিরক্ত করে না মশা সন্ধ্যার পর থেকে আমাদেরকে কামরায় এবং বিরক্ত করতে শুরু করে তাই এটিই সন্ধ্যার সময় বানাবেন। আর এটিতে কোন রকমের ক্ষতিকর প্রভাব নেই মশার কয়েলের ধোয়ায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয় আমাদের শরীরে কয়েলে যে সমস্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতি করে।

  • আর ঘরোয়া উপায়ে যেটি শিখলাম মশা তাড়ানোর পদ্ধতি এটি কোন রকমের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না তাই এর ধোয়াই কোন রকমে শরীরে ক্ষতি করা সম্ভব নেই।

লেবু আর লবঙ্গ

আজকে আমরা জানবো লেবু আর লবঙ্গ দিয়ে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মশা তাড়ানো যায় সে সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক যেমন প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ ও কাটা লেবু নিতে হবে তারপর কাটা লেবুর ভিতরে এক একটি করে গোল করে লবঙ্গ গেঁথে দিতে হবে আর পদ্ধতিটি হচ্ছে মশা তাড়ানোর সহজ একটি ঘরোয়া উপায় ।

লেবু এবং লবঙ্গ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু এটি মশা ও মাছিদের জন্য খুবই ক্ষতি করে কারণ লেবু ও লবঙ্গ একটি গ্যাস তৈরি করে আরে গ্যাসটি মানুষের কোন ক্ষতি করে না কিন্তু মশা এই ধরনের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা তাই আপনাকে যে স্থানে মশা বেশি ঘুরে বেড়ায় সেখানে রেখে দিতে হবে তাহলে দেখতে পাবেন সেখান থেকে খুব সহজেই মশা মাছি চলে যাবে।

আর এ লবঙ্গ আর লেবু দিয়ে তৈরি করা পদ্ধতিটি যতক্ষণ পর্যন্ত লেবু খারাপ না হয়ে যাচ্ছে ততদিন আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সাধারণত দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। আর যতদিন ভালো থাকবে এটি একই রকম কাজ করবে।

ঘরের ভেতর মাছির যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়

মশার মত মাছিও আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতি করে মাছি খুবই বিরক্ত কর কাজ করে যখন মাছি খাবারে বসে ও খাবারে চারপাশে ঘোরাঘুরি করে আর এর ফলে রোগ ও জীবাণু ছড়ায় যেমন টাইফয়েড ডায়রিয়া হেপাটাইটিস এই সকল নানা ধরনের রোগ ছড়াই মাঝি তাই আজকে আমরা জানবো ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মাছি তাড়ানো যায় মাছি বিশেষ করে ।

রান্নাঘরে বেশি ঘোরাঘুরি করে তাই আজকে জানবো খুব সহজেই বিশেষ একটি পদ্ধতিতে মাছি তাড়ানোর উপায় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রথমে এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে ভালো করে তারপর সে পানিকে একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে যেখানে মাছি ঘোরাঘুরি করে যেমন রান্নাঘর অথবা ডাইনিং টেবিলের আশেপাশে অথবা ঘরে যেখানে ঘুরে বেড়ায় সেই সব জায়গাগুলোতে স্প্রে করে দিন।
  • আরেকটি সহজ এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাছি তাড়ানোর উপায় হচ্ছে যে প্রথমে এক গ্লাস দুধ নিতে হবে তারপর ৩ চা চামচ চিনি ঢেলে দিতে হবে দুধে ও ১চা চামচ গোলমরিচ ঢেলে দিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে ফুটিয়ে নিতে হবে তারপর সেই পানিটি ঠান্ডা হয়ে গেলে যে স্থানে মাছি বেশি থাকে সেখানে রেখে দিন তাহলে দেখতে পাবেন মাঝি সেখানে বসে ডুবে যাবে। এভাবে খুব সহজেই এই পদ্ধতিতে মাছি দূর করতে পারবেন।
  • আরোএকটি সহজ পদ্ধতি মাছি তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন যেমন তার জন্য আপনাকে পুদিনা পাতা ও তুলসী পাতা সংগ্রহ করতে হবে তারপর সে পাতাগুলোকে পিষে পাউডার বানাতে হবে তারপর পাউডারগুলোকে এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে যে স্থানগুলোতে মাছি বেশি থাকে সেইখানে স্প্রে দিতে হবে তাহলে মাঝি পালিয়ে যাবে। এভাবে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসে এ পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলতে পারেন মাঝি তাড়ানোর স্প্রে।

মশা মারার বৈদ্যুতিক যন্ত্র

বৈদ্যুতিক ল্যাম্প এবং রেকেট ব্যাট ও গুড নাইট লিকুইড এগুলোর কাজ করার পদ্ধতি হচ্ছে যে বৈদ্যুতিক ল্যাম্প যন্ত্রটি বাতি জ্বালিয়ে ঘরের একপাশে রেখে দিতে হবে তাহলে মশা মারার কাজ করে এটি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে যে মশা মারার রেকেট ব্যাট আর এটি হাতে নিয়ে এটির সুইচ বাটনে চাপ দিয়ে অন করে অন করে মাছি যেখানে ঘোরাঘুরি করছে ।

সেখানে গিয়ে রেকেট টা তাদেরকে স্পর্শ করাতে হবে তাহলে বৈদ্যুতিক ইস্পর্শে এসে মারা যাবে। আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে যে গুড নাইট লিকুইড এটি ব্যবহার হচ্ছে এটি কোনরকম ধোয়া ও এর কোন খারাপ পার্শ্ব প্রতীক্ষা নেই এটিকে ঘরের সুইচে লাগিয়ে বাটন অন করে দিতে হবে তাহলে এটির বৈদ্যুতিক রেডিও শোন ছড়াই এটি মানুষের কোন ক্ষতি করে না কিন্তু এটি মশা ও মাছির জন্য ক্ষতিকর।

মশা প্রতিরোধক স্প্রে

বাজারে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক মশা ও মাছি মারার স্প্রে পাওয়া যায় আর এই স্প্রে করার পর কার্যকারিতা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে থাকে এবং স্প্রে এর গায়ে লেখা থাকে কয় ঘন্টা এর রিঅ্যাকশন থাকবে। আর এ স্প্রে গুলো মশা ও মাঝি মারার জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে বানানো হয় তাই খেয়াল রাখতে হবে স্প্রে যেন আপনার চোখে না ।

গিয়ে পড়ে ও বাসার ছোট বাচ্চাদের হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখতে হবে। আর এ স্প্রে গুলো দিয়ে খুব সহজেই মশা ও মাছি কে মারা ও তাড়ানো যায়।

ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দূর করার উপায়

আজকে আমরা জানবো আমাদের ঘর থেকে টিকটিকি তেলাপোকা ও ছারপোকা সহ সকল ধরনের কীটপতঙ্গ দূর করার উপায় সম্পর্কে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে ভিনেগার নিতে হবে এক চা চামচ ভিনেগার ও আধা গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে ঘরে চারপাশে স্প্রে করতে হবে তাহলে সকল।

ধরনের কীটপতঙ্গ চলে যাবে #আর দুই নাম্বার পদ্ধতিটি হচ্ছে যে পিপারমেন্ট অয়েল পোকামাকড়রা এই পিপারমেন্ট অয়েল গন্ধ তারা সহ্য করতে পারে না তাই আপনাকে যেটি করতে হবে এক গ্লাস পানিতে ৮ থেকে ১০ ফোটা পিপারমেন্ট নিতে হবে তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে ঘরের ঘরে চারপাশে ছিটিয়ে দিতে হবে তাহলে পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে।

লেখকের কথা

আশা করছি মশা-মাছি ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ঘর থেকে দূর করার উপায় সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url