কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তাই বন্ধুরা আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতাকোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক বিষয়ে সকল প্রকারের ধারণা পেয়ে যাবেন আর কোয়েলের ডিম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কোয়েলের ডিম প্রোটিন ও আয়রন এ সমৃদ্ধ ।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
কোয়েল পাখির ডিম আকৃতিতে ছোট হওয়ায় এর পুষ্টি গুণ কিন্তু কম নয় অন্যান্য ডিমের থেকে কোয়েলের ডিম কিন্তু সস্তায় পাওয়া যায় তাই শুধু কোয়েলের ডিম বলে নয় আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন ডিম রাখা প্রয়োজন তাহলে আমাদের দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।

ভূমিকা

কোয়েল পাখির ডিম আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে যেমন চুল ও ত্বক, হাড় মজবুত করে চোখ ভালো রাখে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কোয়েলের ডিমে প্রচুর আয়রন ও জিংক থাকে যা শিশুদের জন্য কোয়েল ডিম অনেক উপকারী শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অনেক উপকার করে কোহলির ডিম প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে খেতে হয় ।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকে আমরা জানবো কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে কোয়েল পাখির ডিমের জনপ্রিয়তা এখন বেড়েই চলেছে তাই এখন অনেকেই ছোট বড় খামার বা বাড়ির ছাদে কোয়েল পাখি পালন করে তার ডিম ও পাখি বাজারে বিক্রি করে অনেক লাভবান ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। আর কয়েল পাখির ডিম খেলে শরীরের সব ধরনের ।

পুষ্টির অভাব পূরণ হয় ও শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কোয়েল পাখির ডিম ছোট আকৃতির হয়ে থাকে কোয়েল পাখির ডিম এর ওজন ৯ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে কোয়েল পাখির ডিমে ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক ক্যালরি রয়েছে ১৪ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে 
  1. ১ গ্রাম ওমিকা থ্রি ফেট এসিড রয়েছে ।
  2. ৪ মিলিগ্রাম ।
  3. ওমিকা সিক্স ফেট এসিড রয়েছে ৮৪ মিলিগ্রাম ।
  4. আর প্রোটিন রয়েছে ১.২ গ্রাম ।
  5. কোলেস্টেরল রয়েছে ৭৬ মিলিগ্রাম। 
  6. ভিটামিন এ রয়েছে ১ পার্সেন্ট ।
  7. ভিটামিন বি ১২ রয়েছে ২% ।
  8. এনথনিক ক্যাসিড রয়েছে ২% আইরন রয়েছে ২ পার্সেন্ট ফসফরাট রয়েছে দুই পার্সেন্ট। 
কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে প্রোটিন ও আয়রন ভরপুর আর কোয়েল পাখির ডিমের ভিটামিন বি টু আমাদের শরীরের চুল লিভার ও চোখের সুস্থ রাখে এবং আমাদের শরীরের লোহিত রক্ত কনিকা উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে। আর কোয়েল পাখির ডিম আমাদের শরীরের পাকস্থলীর সমস্যা সমাধান করে থাকে। আর কোয়েল পাখি দেহের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়।

এবং ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই ডিম দেওয়া শুরু করে এবং কোয়েল পাখির মাংসের কম ফ্যাট থাকে তাই কোয়েল পাখি মাংস যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারী। কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোড়ানোর জন্য সময় লাগে 18-20 দিন সময় লাগে। কোয়েল পাখির ডিম মানুষের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে কোয়েলের ।

ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রন থাকে যা মানুষের শরীরে এনার্জি খুব তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দিতে পারে। এবং মানুষের দেহে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান থাকে যা কোয়েল পাখি ডিম খেলে বের করতে সাহায্য করে। আর একটি কোয়েল পাখি বছরে অনেক পরিমাণ ডিম দেয় আর এর লালন পালনের খরচ কম হওয়ার কারণে তাই ব্যাপক হারে ।

কোয়েল পাখি পালন বেড়েছে। কোয়েলের ডিম দেহে শক্তি বাড়ায় আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো একটি উৎস কোয়েলের ডিম প্রোটিন ও আয়রন এ সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়।

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

  • যে কোন ডিমে আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত কোয়েলের ডিম ও তাই কয়েল পাখির ডিমের উপকারিতার মাঝেও ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেমন কোয়েল পাখির ডিম কোলেস্ট্রলের সমস্যা বাড়িয়ে থাকে কোয়েলের ১০০ গ্রাম ডিমে থাকে ৮৪৪ গ্রাম কলেস্ট্রল যা অন্য ডিমের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে ।
  • বেশি তাদের উচিত এই ডিম অতিরিক্ত খাওয়া কম করা তাই কোয়েল পাখি ডিম ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কম খাওয়া দরকার।কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই অতিরিক্ত কোয়েলের ডিম খেলে তা আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এজন্য দিনে দুই থেকে তিনটির বেশি ।
  • কোয়েল পাখি ডিম খাওয়া ঠিক নয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ দুই থেকে তিনটি করে ডিম খেতে পারেন তাহলে এ পরিপূর্ণতা উপকার পাবে।

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিম সব বয়সের সকলের শরীরের জন্যই উপকারী কারণ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন উপকারিতা কলেস্টরল রয়েছে ভিটামিন বি 1 ভিটামিন বি2 ভিটামিন A আছে আর মুরগির ডিমের চেয়ে কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১ ৬গুণ এবং ভিটামিন বিটু ১৫ গুণ বেশি রয়েছে বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশ মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি করে ।

আর যেসব বাচ্চার বয়স ৯ মাস থেকে এক বছর বয়স তাদেরকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দুইটি করে ডিম খাওয়ানো যেতে পারে আর যদি আপনার বাচ্চার কোয়েল পাখির ডিমের এলার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন। কোয়েলের ডিম শিশুদের হাড় বেশি মজবুত করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় ।

  • এবং বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত বাচ্চাদেরকে দুই থেকে তিনটি করে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন।

গর্ভবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিম শুধু গর্ভবতী মায়েদের জন্যই নয় নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ সকলের জন্যই উপকারী ডিম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার এতে শকরা প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। এ সকল গোষ্ঠীর কারণে ডিমের উপকারিতা অনেক।একটি কোয়েল পাখির ডিম রয়েছে
  • ক্যালোরি ১৪ গ্রাম
  • ফলিক এসিড ৮মাইক্রোগ্রাম।
  • কোলেস্টেরল ৭৬ মিলিগ্রাম।
  • সোডিয়াম ১২.৭ মিলিগ্রাম।
  • পটাশিয়াম ১২ মিলিগ্রাম।
  • ফ্যাট ১ গ্রাম ।
  • আমিষ ১ গ্রাম। 
গর্ববস্থায় চিকিৎসকেরা প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি গ্রহণ করতে বলা হয় গর্ভাবস্থায় দৈনিক সর্বনিম্ন ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে বলা হয়ে থাকে। কোয়েল পাখির ডিম সারা বছর জুড়ে পাওয়া যায়।তাই খাদ্য তালিকায় ডিম রাখলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ পাশাপাশি ফলিক এসিডের যোগান দেয় তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা জরুর ।

একজন গর্ভবতী মাকে দৈনিক দুইটি করে সিদ্ধ ডিম হাই তাহলে দৈনিক ফলিক এসিডের ৮ শতাংশ পূরণ হয়। গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি অবসন্নতাবোধ এসব সমস্যার হয় তাই খুবই জরুরী কারণ ডিমে রয়েছে ভিটামিন১২ যা সহজে ক্লান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং শরীরকে শক্তি প্রদান করবে দীর্ঘ সময় ধরে এবং পেশী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে শিশু শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পায় এর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের ক্যালরি প্রয়োজন মিঠাই

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে

কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি উপাদান কোন নেই তাই আপনি নিশ্চিন্তে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন কোয়েল পাখির ডিম এ রয়েছে প্রোটিন যা আমাদের ত্বক চুল ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি থাকে না তবে যে সব ব্যক্তিদের ডিম খেলে অ্যালার্জি হয় তারা যদি কোয়েল পাখির ডিম খায় তাহলে তাদের ও এলার্জি সমস্যা হতে পারে।

আর কোয়েল পাখি ডিমে বিশেষ ধরনের কোন অ্যালার্জি নেই আর মানুষের শরীরে এলার্জি জনিত সমস্যা দূর করতে কোয়েল পাখির ডিম অনেকটা সাহায্য করে

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url