প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রস্রাবে ইনফেকশন খুবই জনপ্রিয় একটি রোগ এই রোগ হলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রসব হয়ে থাকে এই সমস্যা হলে ভয়ের কিছু নেই কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এবং সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ সহজেই সেরে যায় প্রস্রাবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে করণীয় ।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী এবং পুরুষ দুইজনেরই ইনফেকশন হতে পারে এই সমস্যাটি পুরুষের থেকে নারীদেরই বেশি হয়ে থাকে কারণ পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি পেশাব আটকে রাখে সেই কারণে প্রস্রাবে রাস্তায় মুত্রনালী দিয়ে জীবাণু ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের কারণে ইনফেকশন রোগ হয়ে থাকে 

ভূমিকা

আজকে আমরা জানবো ইউরিন ইনফেকশন কেন হয় সে সম্পর্কে আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন এই সমস্যাটি হলে কি করতে হবে এই সমস্যা হলে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং এর পাশাপাশি প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

ওষুধ সেবন করতে হবে আর এই সমস্যা হলে চিকিৎসা না করলে দ্রুত কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তাই চিকিৎসা করানোটা খুবই জরুরী ইত্যাদি।

 প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকে আমরা জানবো প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ইউরিন ইনফেকশন বিভিন্ন কারণে হতে পারে এই সমস্যাটি ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয় কারণ মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুর খুব কাছে থাকে তাই সহজে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারে। আর এই ব্যাকটেরিয়া গুলোকে খালি চোখে দেখা ও বোঝা যায় না ।

তার জন্য ইউরিন পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। তারপর রিপোর্ট দেখার পরে চিকিৎসকেরা আপনাকে ওষুধ সেবন করতে বলবে। আর ইউরিন ইনফেকশন সমস্যা দেখা দিলে বারবার বাথরুম পাবে আর প্রসাব দুর্গন্ধ ছড়ায় আর সেই সাথে পোশাকের রং হলদে গারো হয়ে যায়। প্রসাব করার পরেও গোপনঙ্গে জ্বালাপোড়া করতে থাকে এবং কিছুক্ষণ ব্যাথা থাকে।

ইউরিন ইনফেকশনের কারণ

ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে যেমন #গোসল করার আগে অথবা প্রসাব করার পর গোপনাঙ্গে ঠিক মত ধোয়া না হয় এবং গোপনাঙ্গ যদি সব সময় ভেজা থাকে তাহলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
  • সহবাস করার পর গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া খুবই জরুরী না হলে এখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
  • আর মেয়েদের ক্ষেত্রে টাইট অন্তবাস পরা এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টাইট জাংগিয়া পড়া এতে করে ঘাম জমে দুর্গন্ধ ছড়ায় আর সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ায় ।
  • প্রস্রাব বেশিক্ষণ চেপে রাখলে ইউরিন ইনফেকশন এর মত হতে পারে সমস্যা। অনেকে আছে যারা সারাদিনে পানি কম খাই।
  • শরীর শুকনো হয়ে যায় পরিমাণে পানি চাহিদা পূরণ হয় না আর সেই কারণেও ইউরিন ইনফেকশনের মত সমস্যা হতে পারে।

প্রতিকার

  1. সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে দিনে অন্তত ১০ গেলাস পানি পান করতে হবে তাহলে ইউরিন সিস্টেম সুস্থ থাকবে।
  2. সব সময় ঢিলা ঢালা পোশাক ও প্যান্ট পড়তে হবে। 
  3. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে মূত্রত্যাগ করার পর পানি টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
  4. সময় মত আন্তাস পরিবর্তন করা একই অন্তভাস করে দীর্ঘ সময় থাকা ঠিক নয়।

প্রস্রাবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

নিয়মিত গোসল ও কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে সুতির প্যান্ট ব্যবহার করতে হবে এবং চার ঘণ্টা পরপর প্রসাব করার অভ্যাস করতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য ও কৃমির চিকিৎসা করাতে হবে।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকে আমরা জানব গর্ভ অবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন সম্পর্কে প্রেগনেন্সি অবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া খুবই কমন একটি বিষয় এই সমস্যাটি ছেলে মেয়ে দুইজনের ক্ষেত্রে হতে পারে তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায় প্রস্রাবে ইনফেকশন সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এর কারণেই হয়ে থাকে। আর গর্ভবস্থায় এটি বেশি ।

হওয়ার কারণ হলো গর্বের সন্তান মূত্রথলি এবং মূত্রনালীতে চাপ দেয় সেই জন্য ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই সেখানে জমা হতে পারে সেই কারণে সেখান থেকে প্রসাবে ইনফেকশন শুরু হয়। কিভাবে বুঝবেন আপনার প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে প্রস্রাবে সময় জ্বালাপোড়া হওয়া প্রস্রাবে রাস্তায় ব্যথা অনুভূতি পাওয়া কোমরে ব্যথা হওয়া ঘন ঘন প্রসাব ।

হওয়া যে কোনো ইনফেকশনই গর্ভবতী মায়ের জন্য বিপদজনক হয়ে থাকে অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের প্রসাবে ইনফেকশন চিকিৎসা না করালে কিডনি সমস্যা হতে পারে মা ও বাচ্চার দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে প্রচুর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে আর প্রসাব কখনো আটকে রাখা যাবে না আর যৌনাঙ্গ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়

আজকে আমরা জানবো প্রসাবে ইউরিন ইনফেকশন হলে কি ধরনের খাবার গুলো খেতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব যেমন সাধারণত ইউরিন ইনফেকশন ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে কারণ মেয়েরা দীর্ঘ সময় প্রসাব আটকিয়ে রাখে এবং পুষ্টিকর ধরনের খাবার কম খেয়ে থাকে। ও যেসব মেয়েরা শরীরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঠিকভাবে ।

মেনটেন করেন এবং খাবার তালিকাটা ঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ ধরনের খাবার খাই না এসব মেয়েদের অনেকেরই ইউরিন ইনফেকশন হয় এবং বেশি দেখা দেয় ইউরিন ইনফেকশন হলে আপনার খাবারে তালিকায় কি ধরনের খাবার গুলো খাবেন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো খেতে হবে বেশি করে যেমন
  1. লেবু কমলা মালটা ও টমেটো গাজর পেঁপে দই বা টক দই এই খাবারগুলি সবগুলো ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করবে ।
  2. এসবের পাশাপাশি শাকসবজি খেতে হবে যেমন সবুজ শাক যেমন পালং শাক পুঁইশাক এইসব শাকগুলো ভিটামিন সি রয়েছে এগুলো গ্রহন করতে হবে ।
  3. আর মাছ খেতে হবে বেশি করে ছোট মাছ নদীর মাছগুলোতে আয়রন বেশি থাকে এগুলো বেশি করে খেতে হবে।
  • এর পাশাপাশি বাদাম খেতে পারেন যেমন কাঠবাদাম কাজুবাদাম তিস্তা বাদাম ও আরো বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন এর পাশাপাশি ।
  • পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে যেমন ডাব ও বেল ও বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের রস খেতে হবে আর পানি বেশি পরিমাণ খেতে হবে তাহলে ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করবে।

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষুধের নাম

আজকে আমরা জানব যে যাদের ইউরিন ইনফেকশন হয়ে থাকে তারা কি ধরনের ওষুধ সেবন করতে পারেন সেই সম্পর্কে আমরা জানবো আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে ইউরিন ইনফেকশনের সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন ইউরিন ইনফেকশনের ট্যাবলেট সম্পর্কে আজকে আমরা ঔষধের নামগুলো জানব ।

এই ধরনের সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে পারে প্রসাবে ইনফেকশন এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে এই সমস্যাটি শুরু হয় প্রসাবে জ্বালাপোড়া করে এর পাশাপাশি তলপেটে ব্যথা ও যন্ত্রণা শুরু হয় এইসব সমস্যা শুরু হওয়ার পর যখন আপনি কোন ধরনের গুরুত্ব দেবেন না তখন এটা কিছুদিন পর আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে প্রসাব করতে গেলে।

তলপেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করে এবং ইউরিন ইনফেকশনের এই হলো এই সমস্যা গুলোর লক্ষণ প্রস্রাবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে করণীয় এইসব সমস্যা হলে চিকিৎসকরা এসব সমস্যা হলে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খেতে বলে যেমন
  •  cefodoxime tablets Ip 200mg monocef-o 200/ অথবা
  • cefodoxime tablets Ip 200mg cepodem 200 এইসব ট্যাবলেট গুলো দিনে একটি করে দুইবার খেতে বলা হয়।
  • levofloxacin tablets I.p.500mg glevo 500 mg
  • levofloxacin tablets I.p.500mg loxof 500 mg এইসব ট্যাবলেট গুলো প্রথমে ৫ থেকে ৭ দিন কিংবা দশ দিনের মত খেতে বলা হয়ে থাকে।
  1. oflomac 200mg অথবা zanocin 200mg tablet এই ট্যাবলেটগুলো একটি করে দুইবার পাঁচ থেকে ১৪ দিনের মতো খেতে বলা হয়ে থাকে।
  2. ciplox-500mg অথবা cifran-500mg এইসব ট্যাবলেটগুলো খেতে দেওয়া হয়ে থাকে ইনফেকশনের জন্য।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি প্রস্রাবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url