ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ঘন ঘন জ্বর হওয়া এটি আমাদের শরীরের ভেতর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে অথবা আমাদের শরীরে ইনফেকশন হয়েছে কিনা সেটা টেস্ট করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে কারণ ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণে শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন ।
আমাদের শরীরে ঘন ঘন জ্বর কেন আসে সে সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলে বুঝতে পারবেন আর ভাইরাস জ্বর বছরে যেকোনো সময় হতে পারে আর আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভাইরাস জ্বর বেশি হয়ে থাকে।
ভূমিকা
উপসর্গ বুঝে তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত জ্বর যদি এক সপ্তাহ পার হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণে আমাদের অনেকেই টেনশনও দুশ্চিন্তা করে থাকে, শরীরে ভিটামিনের অভাবে জ্বরের প্রবণতা দেখা দেয় এবং ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণেও জ্বর হয় ঘন ঘন জরে আক্রান্ত হয়ে থাকে শিশুরাই বেশি যদি একটি শিশু বারবার ঝড়ে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে তার মধ্যে সাধারণত নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া টাইফয়েড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা অপসাবে ইনফেকশনের কারণে জ্বর বেশি হয়ে থাকে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন
- যে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ছড়ায় সেই কারণে জ্বর আসতে পারে ও সাধারণ ও জ্বর আসছে পারে ।
- যেমন ঠান্ডা লেগে জ্বর হওয়া অথবা সর্দি-কাশির কারণে জ্বর হওয়া বা কোন ধরনের ইনফেকশনের কারণে জোর হতে পারে।
- আর সাধারণ নিয়মে যেসব জ্বরগুলো হয়ে থাকে যেমন টিকা নিলে ফোঁড়া বা টিউমার হলে, মাসিকের কারণেও হয়ে থাকে বা প্রসাবে রাস্তা ইনফেকশন হলে ও মানসিক আঘাত পেলেও জ্বর আসতে পারে ও আর যদি বারবার জ্বর আক্রান্ত হয় ।
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ বারবার জ্বর আসার কারণ বড় কিছু সমস্যা হতে পারে যেমন কিডনির লিভার ও হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। নিউমোনিয়া বা ক্যান্সারের মতো রোগের কারণেও ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
প্রতিকার
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন অনেকেই রয়েছে ঘন ঘন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এটি ভিটামিনের অভাবেও হতে পারে ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও জ্বর হতে পারে আর যদি এই জ্বর দুই থেকে তিন দিনের বেশি জ্বর থাকে জ্বর ও সর্দি কাশি থাকে ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।
শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ
শিশুদের ঘন ঘন জ্বরের অনেক রকম কারণ থাকতে পারে কারণ সাধারণ কারণ ও জটিল কারণ হতে পারে হচ্ছে যেমন যদি এলার্জি আপনার শিশু থেকে থাকে বা এলার্জি শিশুর মা অথবা বাবার থেকে থাকে তাহলে সেটি জেনেটিক ভাবে শিশু এলার্জি থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেই কারণে আপনার বাচ্চার ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে এবং ঠান্ডা ও কাশি হতে পারে।
যদি দেখেন আপনার বাচ্চার ঘন ঘন জ্বর আসছে থেকে তিন দিনের বেশি থেকে থাকে জ্বর তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে ওষুধ সেবন করাতে হবে প্রয়োজনে এলার্জি পরীক্ষা করে শিশুর চিকিৎসা করাতে হবে। ও যদি আপনার বাচ্চার রক্তে হিমোগ্লোবিনের লেভেল কম থাকে তাহলে আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কমে যাবে ।
আপনার শিশুর ঘন ঘন জ্বর ও সর্দি কাশি হবে। আর ও কারণ থাকতে পারে যেমন প্রসাবে ইনফেকশন বাচ্চাদের এই কারণে ঘন ঘন জ্বর বেশি হয়ে থাকে বাচ্চা প্রসব করে প্রসাবে রাস্তার ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না বাচ্চাকে ঠিকমত পানি খাওয়ানো যায় না। এইসব কারণে বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর আসে এবং জ্বর সারলেও কিছুদিন পর আবার জ্বর আসে।
ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়
জ্বর হলে প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদেরকে জ্বর কমাতে হবে তার জন্য জ্বরের যেমন মেডিসিন রয়েছে প্যারাসিটামল খেতে হবে অথবা জলপট্টি করতে হবে হাত-পা এবং মাথা পানি দিয়ে মুছতে হবে অথবা গোসল করে নিতে হবে এবং অবশ্যই খেয়াল করতে হবে পানি যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা না থাকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে হবে সাধারণত জ্বর।
যদি তিন দিনের বেশি থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে ঘন ঘন জ্বর আসলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে আমরা উপরে আর্টিকেলটিতে পড়ে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। আর আমাদের শরীরে জ্বর তখনই আসে যখন আমরা কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেকেই আমরা ঘন ঘন জ্বর হওয়াকে ।
খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেয় না। এর ফলে জ্বর আরো বেড়ে যায়। শিশু যদি বারবার জ্বরে আক্রান্ত হয় দুই সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকে তাহলে শিশু জটিল কোন রোগ হয়েছে কিনা যেমন কিডনি লিভার ও হার্টের সমস্যা রয়েছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে ঘন ঘন জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
এই সমস্ত খাবার খেতে হবে এবং নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে ও অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ এবং আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেক রকমের ধারণা পোষণ করি যেমন জ্বর হলে গোসল করা যাবে না হাত পা মাথা ধুয়ে নিতে হবে এটা সম্পূর্ণ ভুল জ্বর হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার
আজকে আমরা জানবো ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলো সম্পর্কে ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলো হচ্ছে স্বাভাবিক জলের মতোই। ঋতু পরিবর্তনের ফলে সব বয়সে মানুষের ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে ভাইরাস জনিত রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এর ফলে একসঙ্গে পরিবারের অনেকে আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস জ্বরের অন্যান্য রোগের মত এর কোন প্রতিষেধক নেই ও টিকা নেই তাই লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
লক্ষণগুলো হচ্ছে
- হঠাৎ করে জ্বর আসা আর সে ঝড় ৭ থেকে ৮ দিন ধরে থাকে
- শরীরে তাপমাত্রার অনেক বেড়ে যায় ১০২-১০৩ ডিগ্রি জ্বর হয়ে থাকে।
- জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়ে থাকে ।
- বেশিরভাগ সময় জলের সঙ্গে সর্দি কাশি থাকে অনেক ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেটব্যথা বমি ও ডায়রিয়াও হতে পারে। গলায় প্রচুর ব্যথা করতে পারে।
- শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ মুখে বিষ স্বাদ বমি বমি ভাব ও ক্ষুধামাত্রা হয়।
প্রতিকার
থাকলে জ্বর কমানোর ও শরীরের ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে প্রয়োজনে রোগীর হাত পাও ও মাথা ধুয়ে দিতে হবে জ্বর কখনোই বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে জ্বর আসলে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় খেতে পারে না এর ফলে শরীর খারাপ করে ও জ্বর আরো বেড়ে যায় সেই জন্য।
খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। বিশ্রামে থাকতে হবে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা।
লেখকের শেষ কথা
আশা করছি ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ম সম্পর্কে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url