স্বল্পমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব স্বল্পমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিনআপনাদের পরিবারে যদি একটি সন্তান থেকে থাকে তাহলে আপনারা ৩ থেকে ৫ বছর একটি দূরত্ব মেনটেন করে দ্বিতীয় বাচ্চা বাচ্চা নিলে প্রথম বাচ্চাটি বড় হওয়ার সুযোগ পাবে, এবং যত্নে বেড়ে উঠবে ইমপ্ল্যান্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে ।
স্বল্পমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি ও পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে এনএসভি আজকে আমরা জানব এনএসভি সম্পর্কে nsv কি এনএসভি হচ্ছে no scalpel vasectomy অর্থাৎ ছুরি কাচি বিহীন একটি অপারেশন ।

ভূমিকা

ইমপ্ল্যান্ট কি এবং ইমপ্ল্যান্ট কিভাবে কাজ করে এটি ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা হতে পারে। ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি গর্ভনিরোধক এটিকে মহিলাদের হাতে লাগানো হয় ইমপ্ল্যান্ট এর মেয়াদ হচ্ছে তিন বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে ইমপ্ল্যান্টের এর অসুবিধা হচ্ছে যে মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোটা ফোটা রক্ত স্রাব পরতে পারে বা বেশি দিন ধরে অল্প অল্প রক্তক্ষরণ হতে পারে

স্বল্পমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

আজকে আমরা স্বল্প মেয়াদে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানব জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এমন হবে যেটা লম্বা সময় পর্যন্ত কাজ করবে আর এটিকে আপনি যে কোনো সময় বন্ধ করার সাথে সাথে সন্তান নেওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুত হন যে আপনি যদি একজন বিবাহিত পুরুষ বা নারী হয়ে থাকেন আর আপনাদের পরিবারে যদি একটি সন্তান থেকে থাকে তাহলে ।

আপনারা ৩ থেকে ৫ বছর একটি দূরত্ব মেনটেন করে দ্বিতীয় বাচ্চা বাচ্চা নিলে প্রথম বাচ্চাটি বড় হওয়ার সুযোগ পাবে, এবং যত্নে বেড়ে উঠবে মা বাবা দুইজনেরই ভাল বাসা পাবে আর যখন দ্বিতীয় বাচ্চা হবে তখন দুজনকে সামলাতে হবে তাই কিছু বছর গেপ রেখে বাচ্চা নিলে ভাল হয়। তার জন্য কি পদ্ধতি নিতে পারেন ইনজেকশন নিতে পারেন ।

যেমন depo medroxy progesterone acetate injection এই ইনজেকশনটা তিন মাস মেয়াদী তিন মাস পর পর একটি করে ইনজেকশন নিতে হবে ইনজেকশন নেওয়ার অনেক ভালো দিক আছে এই তিন মাস আপনি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিন্ত গর্ভে সন্তান আসবে না বা আপনাকে মনে করে পিল খেতে হবে না তাহলে প্রেগনেন্সি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এভাবে আপনি যতদিন চান ইনজেকশন নিতে পারেন সন্তান গর্ভে আসাকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যায়।

আরো পদ্ধতি রয়েছে যেমন implant ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে বাম হাতের দিতে হয় একটি ক্যাপসুল থাকে সেটি হাতের চামড়ার ভেতর ঢুকিয়ে রাখা হয় এটি তিন বছর বা পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদ রাখা যায়। এবং আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে যেটি জরায়ুর ভেতরে কাঠি পদ্ধতি এটিকে বলা হয় কপারটি কাঠি সাধারণত এটিকে কপারটি কাঠি নামেই বলা হয় এটি হচ্ছে ।

যে একটি প্লাস্টিকের কাঠি গায়ে প্যাচানো থাকে এবং এ কপারটি জয়ায়ুর ভেতরে রাখা হয় কাঠি টিকে এতে কোন ব্যথা হয়না বা ভয়ের কোন কারণ নেই এই কপারটি কাঠির মেয়াদ হচ্ছে দশ বছর পর্যন্ত আপনারা যারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সন্তান নিতে চাইছেন না তারা এই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।

ইমপ্ল্যান্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা

আজকে আমরা জানবো পরিবার পরিকল্পনা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘ মেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি ইমপ্ল্যান্ট নিয়ে জানব ইমপ্ল্যান্ট কি এবং ইমপ্ল্যান্ট কিভাবে কাজ করে এটি ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা হতে পারে। ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি গর্ভনিরোধক এটিকে মহিলাদের হাতে লাগানো হয় ইমপ্ল্যান্ট এর মেয়াদ হচ্ছে তিন বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে যে এক দুই রড বিশিষ্ট ছোট নরম চিকন ক্যাপসুল যেদিকে মহিলাদের হাতের ভেতরে ঢোকানো হয় এরকার্যকারিতা হচ্ছে অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এটি সুবিধা হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখে এটি খুলে ফেলার পরপরই গর্ভধারণের ক্ষমতা ফিরে আসে। এবং শিশু জন্মের ছয় সপ্তাহ পরপরই ইমপ্লান্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন।

ইমপ্ল্যান্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা প্রয়োজনে যেকোনো সময় খুলতে পারবেন যদি কোন কারনে ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে না চান বা সন্তান নিতে চান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খুলে ফেলতে পারেন। ইমপ্ল্যান্টের এর অসুবিধা হচ্ছে যে মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোটা ফোটা রক্ত স্রাব পরতে পারে বা বেশি দিন ধরে অল্প অল্প রক্তক্ষরণ হতে পারে ।

বা অতিরিক্ত রক্তস্রাব হতে পারে এই সমস্যাটি খুবই কম হয়ে থাকে সাধারণত কয়েক মাস পরে এই সমস্যা ভালো হয়ে যায় ইমপ্ল্যান্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা।

আই ইউ ডি পদ্ধতি

আই ইউ ডি হচ্ছে যে মহিলাদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি আজকে আমরা জানবো আইইউডি পদ্ধতি সম্পর্কে IUD হচ্ছে মহিলাদের জরায়ুতে বসানো হয় আই ইউ ডি মহিলাদের জন্য অস্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আই ইউ ডি কেন ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেই IUD আই ইউ ডি অস্থায়ী পদ্ধতি হলেও একটানা ১০ বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকে ।

জর আয়ুতে খুব সহজে বসানো যায় চিকিৎসকরা বসাতে পারে। তিন সপ্তাহ হল এমন বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান এমন মহিলারা ও এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন। এবং সহবাসের সময় কোন অসুবিধা হয়না এটি খুবই সহজ এবং চাইলেই আপনি যেকোনো সময় ক্লিনিকে নিজে গিয়ে খুলে ফেলতে পারেন। এবং আপনি যখন সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি ভাবছেন।

বাচ্চা নিবেন বা আবার ও বাচ্চা নিতে চান আপনি যেকোনো একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে খুলে নিতে পারেন। IUD কখন পদ্ধতি নিতে হয় যেমন মাসিকের 1 থেকে 7 দিনের মাঝে আইইউডি লাগাতে হয় যেকোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে আপনি এটি লাগাতে পারবেন
IUD অসুবিধা গুলো হচ্ছে যে প্রথম কয়েক মাস তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

এবং ফোঁটা রক্তস্রাব হতে পারে এবং মাসিকের পর সুতা পরীক্ষা করতে হবে এবং মাঝে মাঝে ক্লিনিকে গিয়ে চেকআপ করে আসতে হবে সবকিছু ঠিক আছে কিনা জানার জন্য।

পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

আজকে আমরা জানবো পুরুষদের জন্য স্বল্পমেয়াদি অস্থায়ী পদ্ধতি সম্পর্কে কনডম পুরুষদের জন্য স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি কনডম এর সুবিধা সমূহ গুলো জেনে নিই এটি হলো সহজলভ্য এবং ব্যবহার পদ্ধতি সহজ জন্মরোধের পাশাপাশি যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ছিঁড়ে যেতে পারে

পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি

পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ স্থায়ী পদ্ধতি সম্পর্কে জানব পুরুষদের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি হচ্ছে ভ্যাসেকটমি পুরুষদের জন্য কাটা ছেঁড়া বিহীন কম সাইড ইফেক্ট আছে অথচ অনেক বেশি কার্যকর একটি পদ্ধতি হল ভ্যাসেকটমি। ছোট্ট একটি ছিদ্র করে করা হয় বলে এ পদ্ধতিতে নন স্কালপেল ভেরি সেক ভ্যাসেকটমি বলে, ভ্যাসেকটমি কেন করবেন ।

যাদের দুটি সন্তান আছে এবং আর কোন বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না এমন কেউ স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাসেকটমি তে সাইড ইফেক্ট নেই বললেই চলে কাটাছেড়া নেই একদম দুইদিন পরই স্বাভাবিক সব কাজ করতে পারবেন এবং যৌন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে এই ভ্যাসেকটমি অপারেশনটা কোথায় করবেন যে কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র গুলোতে সেবা প্রদান করে তারা সেখানে গিয়ে পদ্ধতিটা নিতে পারেন

পুরুষের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি

এনএসভি আজকে আমরা জানব এনএসভি সম্পর্কে nsv কি এনএসভি হচ্ছে no scalpel vasectomy অর্থাৎ ছুরি কাচি বিহীন একটি অপারেশন এটি এমন একটি অপারেশন যা সুরক্ষিত প্রক্রিয়া যাতে শুক্রাণু নালীকে কেটে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে শুক্রাণু অন্য কোষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। আমরা জানবো কারা করবে এই অপারেশন ।

যে সমস্ত সক্ষম দম্পতির দুইটি সুস্থ শিশু রয়েছে এবং ছোট শিশুটির বয়স কমপক্ষে দুই বছর সেই দম্পতি এই স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবেন। আর এ ছাড়া যারা বাচ্চা আর নিতে চান না তারা এই পদ্ধতি নিতে পারেন। এর সুবিধাগুলো কি কি ছুরি কাচি বিহিন অপারেশন এই অপারেশন করতে সময় লাগে ৫ থেকে ১০ মিনিট এই অপারেশন করতে ।

গেলে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় না এনএসভি সুরক্ষিত অপারেশন এতে যৌন ক্ষমতা কমে যায় না এর জন্য কোন প্রকার শারীরিক দুর্বলতা হয় না nsv অপারেশন করার পর ৩ থেকে ৭ দিন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হবে কাটা জায়গাতে পানি লাগানো যাবে না শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ভারী জিনিস তোলা যাবেনা কম করে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ।

এনএসভি অপারেশন করার পর ৩ মাস পর্যন্ত শুক্র বাহি নালীতে সংক্রিয় শুক্রাণু থাকতে পারে তাই এই প্রথম তিন মাস কনডম ব্যবহার করতে পারেন বা টেম্পোরারি মেথড ব্যবহার করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি স্বল্পমেয়াদি ও পুরুষের জন্য স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বিষয়ে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url