চালের গুড়া ও মসুর ডালের ফেসপ্যাক

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব চালের গুড়া ও মসুর ডালের ফেসপ্যাক সম্পর্কে কি ভাবে ব্যাবহার করলে ত্বকে উজ্জলতা হই মুখের কালো দাগ ও ব্রনের কালো দাগ রোদের পোড়া দাগ এগুলো দূর করার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে এবং স্কিনের মরা কষ এবং ময়লা জমে এগুলোকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয় তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ।
চালের গুড়া ও মসুর ডালের ফেসপ্যাক
ব্রণের দাগ আমাদের প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে এই সমস্যাটি এতে করে আমাদের মুখের সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায় এবং খুবই বিরক্ত লাগে তাই এসব দাগ কিভাবে দূর করব সেই বিষয়ে জানব মসুর ডাল উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি ।

ভুমিকা 

ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে এবং স্কিনের মরা কষ এবং ময়লা জমে এগুলোকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয় ডালের ফেসপ্যাক এটি ব্যবহার করলে যে কোন ধরনের কালো দাগ দূর করবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি ত্বক করবে উজ্জ্বল ও নরম ও মসৃণ মুসুরির ডাল আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

চালের গুড়া ও মসুর ডালের ফেসপ্যাক

আজকে আমরা জানবো খুব সহজে এবং অল্প কিছু মিশ্রণের মাধ্যমে কিভাবে মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানাতে হয় এবং কিভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হয়। সবার প্রথমে আপনাদেরকে একটি বাটিতে আধা কাপ মসুরের ডাল নিতে হবে এবং আধা কাপ চাল নিতে হবে তারপর মিস করে ব্লিন্ডার অথবা পাটাতে ভালোভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে তারপর চেলে নিতে হবে।

তারপর যদি আপনাদের স্কিন আর যদি ওয়েল কুড়া নিয়ে নিবেন আর যদি oily হয়ে থাকে তাহলে চন্দনের গোড়া নিতে হবে অথবা অরেঞ্জ পিল পাউডার নিতে হবে ২ চাচা চামচ আর মসুরের ডাল ও চালের গুড়া স্কিনের ব্যবহারের জন্য পরিমাণ মতো নিতে হবে দুই চা চামচ অথবা তিন চা চামচ নিতে হবে তারপরে দুধ অথবা দই ও মিস করে নিতে হবে ।

অথবা পানি দিয়েও মিস করে নিতে পারেন তারপর সবগুলোকে এক জায়গায় করে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে তারপর মুখে ও গলাতে ভালো করে মাখতে হবে এবং আপনি চাইলে হাত ও পায়েও ব্যবহার করতে পারেন এটি একদম সম্পূর্ণ natural ফেসপ্যাক এতে কোনরকম সাইড ইফেক্ট নেই মসুরের ডাল নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যার জন্য খুবই ভালো কাজ করে।

এতে আছে প্রয়োজনীয় খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর চালের গুড়া ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি মুখের ব্ল্যাকহেডস ও নাকে দুই পাশের মড়া কোষ তুলতে সাহায্য করে সাবান ও ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার চাইতে আমরা নিজেরা এই ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারি ২০ মিনিটের মত মুখে লাগিয়ে রাখার পর তারপর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা

  1. মসুরের ডাল খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার মসুরের ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় অনেক বিভিন্ন ধরনের খাবার ডালপুরি, পিয়াজি, সাজনের তরকারি, ডেলের সুপ, নিরামিষ, ডাল ভর্তা ও ডেলের পুরপুরি, এবং বিভিন্ন ধরনের তরকারি বানানো যায়। মসুরের ডাল সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে ভরপুর যেমন খনিজ পদার্থ ও আশ খাদ্য শক্তি ও আমিষ ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ও শর্করা ইত্যাদি।
  2. ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও high blood pressure উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডাল পেশী গঠনের সাহায্য করে থাকে ১০০ গ্রাম মসুরের ডালের পুষ্টিমান ১২ দশমিক চার গ্রাম।খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম। আস দশমিক ৭ গ্রাম। খাদ্য শক্তি ৩৪৩ ক্যালোরি। আমিষ ২৫.১ গ্রাম। চর্বি দশমিক ৭ গ্রাম।
  3. ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম। লোহা ৪.৮ মিলিগ্রাম। ভিটামিন বি২.৪৯ মিলিগ্রাম। শর্করা 59.শূন্য মিলিগ্রাম। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত মসুরের ডাল খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় । মসুরের ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে তার ফলে এটি খাবারে হজমে সাহায্য করে। ও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য আদর্শ খাবার অপকারিতা যাদের ব্যথার সমস্যা রয়েছে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল।
  4. তাদের মসুরের ডাল খেতে চিকিৎসকরা নিষেধ করে থাকে ও যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে আর যারা ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন তারা মসুর ডাল খাবেন না। আর সম্পত্তি গবেষণায় দেখা গেছে যে মসুরের ডাল খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে আর যারা ডাল খেলে এলার্জি সমস্যা হয় তারা মসুরের ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুশুর ডালের উপকারিতায় বেশি তাই মসুরির ডাল খাওয়ার আগে আপনার যদি কোনরকম সমস্যার থেকে থাকে তাহলে এগুলো খাওয়া আগে কোন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রথমে আমাদেরকে মসুরের ডালের ফেসপ্যাক বানাতে হবে যেমন মসুরের ডালের গুড়া এক চা চামচ বা পরিমাণ মতো নিতে হবে। তারপর আধা চামচ হলুদের গুড়া নিতে হবে ও এক চা চামচ চালের গুড়া নিতে হবে তারপর সেগুলোকে ভালো করে মিক্সড করতে হবে পানি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। দিয়ে সেগুলো মুখে ভালো করে।

ম্যাসাজ করতে হবে মুখে লাগানোর পরে বিশ মিনিট বা আধা-ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দিয়ে মুখটা ফ্রেশ ওয়াশ দিয়ে মুখ ওয়াশ করে নিন তাহলে টানটান ভাব দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে

ব্রণের দাগ দূর করতে মসুর ডাল

ত্বকের কালচে ভাব ও ব্রণের দাগ আমাদের প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে এই সমস্যাটি এতে করে আমাদের মুখের সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায় এবং খুবই বিরক্ত লাগে তাই এসব দাগ কিভাবে দূর করব সেই বিষয়ে আজকে আমরা জানব তার জন্য আমাদেরকে একটি ফেসপ্যাক বানাতে হবে যেমন প্রথমে একটি বাটি নিতে হবে তাতে এক বা ২ চা চামচ চাল নিতে হবে।

আপনার ঘরে থাকা যে চাল আছে সেই চাল ব্যবহার করেন,তারপর দুই থেকে তিন চা চামচের মত ডাল নিতে হবে তারপর চাল ও ডাল কে পানি দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে চাল এবং ডাল আমাদের স্কিনের জন্য খুবই উপকারী আমরা কমবেশি সবাই প্রায় জানি কারন আমরা ছোটবেলায় আমাদের মা ফুপু ও কাকি ও ভাবি দেরকে দেখেছি এই সব দিন স্ক্রিনে লাগিয়ে রাখতেন।

এবং ত্বকের যত্ন নিতেন তাদের মুখে কোন দাগ ও ব্রণের কোন সমস্যা ছিল না এখনকার মত বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট তারা সে সময় পাইনি তারপরেও তাদের কোনরকম ত্বকের সমস্যা ছিল না। চাল এবং ডাল খেয়ে পানি দিয়ে মিক্স করার পর ১০থেকে ১২ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে রাতে তারপর সেগুলো ফুলে যাবে তারপর সেগুলোকে ব্লেন্ডারে ঢেলে তার ।

সাথে একটি টমেটো ও অর্ধেক বা ১টি লেবু দিয়ে সেগুলোকে ব্লেন্ডারে ভালো করে বিলীন করে নিতে হবে তারপর এক চা চামচ হলুদের গুরো নিতে হবে দিয়ে মুখে মাখতে হবে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে জিনিসগুলো ব্যবহার করে আপনাদের ত্বক কে ভালো রাখতে পারবেন তাহলে আপনাদের স্কিন হয়ে উঠবে ভালো রেজাল্ট পাবেন ।

এই ফেসপ্যাক টি আপনারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন এটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

কালো দাগে মসুর ডাল

আপনারা যারা ত্বকের কালো দাগ ও মেস্তা সমস্যায় ভুগছেন অনেকদিন থেকে আজকে আমরা জানবো ডালের ফেসপ্যাক এটি ব্যবহার করলে যে কোন ধরনের কালো দাগ দূর করবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি ত্বক করবে উজ্জ্বল ও নরম ও মসৃণ মুসুরির ডাল আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। প্রথমে আমাদেরকে যেটি করতে হবে।

৩থেকে ৪ চা চামচ মসুরের ডাল নিতে হবে বা আপনার পরিমাণ মতো নিতে পারেন সেগুলোকে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য তারপর সেটাকে বিলিন্ডারে ভালো করে গুঁড়ো করে নিতে হবে তারপর এক চা চামচ লেবুর রস নিতে হবে আপনারা চাইলে এই ফেসপ্যাকটি ফ্রিজে রেখে অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।

দিয়ে লেবুর রসের সাথে গোলাপ জল নিতে হবে আর যদি গোলাপ জল না থাকে তাহলে এক চা চামচ কাঁচা দুধ নিতে পারেন তারপর একটা চামচ চালের গুড়া ও অল্প কিছু হলুদের গুঁড়া নিতে হবে তারপর সবগুলোকে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে তার পর মুখে মাখতে হবে ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন ।

  • এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহারের ফলে আপনার মুখের কালো দাগ ও ব্রনের কালো দাগ রোদের পোড়া দাগ এগুলো দূর করার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে এবং স্কিনের মরা কষ এবং ময়লা জমে এগুলোকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয় এই ফেস প্যাকটিকে 20 মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে রাখার পর পানি দিয়ে মুখটাকে মেসেজ করে নিতে হবে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ।
  • তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে। আপনার পছন্দমত ময়েশ্চারাইজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাবেন ইত্যাদি।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি মসুর ডালের ফেসপ্যাক বিষয়ে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url