হাতের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো হাতের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে এবং কিভাবে বুঝব হারজোড়া লেগেছে হাত দিয়ে আমরা আমদের সকল প্রকার কাজ করে থাকি সেই হাত যদি ভাঙ্গে যায় তাহলে সকল ধরনের কাজে ব্যাঘাত ঘটে আমদের তাই সে হাতকে কি ভাবে দূত ঠিক করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

হাতের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে
হাত ভাঙ্গে গেলে আমাদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার কাছে না গিয়ে গাছামু ও কবিরাজি চিকিৎসা করান আতে হাত ঠিক হলে ও অনেক সমস্যা থাকে যাই তাই সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে পুড়ো আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়লে বুঝতে পারবেন ।

ভূমিকা

ডাক্তার এর কাজ হলো দুইটি আলাদা হয়ে যাওয়া আমাদের হাড়কে একজায়গায় নিয়ে রোড বা প্লাস্টার,প্লেট, স্ক্রু,করে দেওয়া কারণ একাজটি আপনি নিজে নিজে করতে পররবেন না। আমাদের হাড় কোথাও থেকে ভেঙ্গে গেলে বা ফেটে গেলে তা ধীরে ধীরে নিজে থেকেই সেরে যায়। সাধারণত দূর্ঘটনার কারোনে কোথাও গুরুতর আঘাত পেলে হাড় ভেঙে যায়।



হাতের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে কতদিন সময় লাগে

আমাদের হাড় কোথাও ভেঙ্গে গেলে বা ফেটে গেলে নিজে থেকেই আবার জোড়া লেগে যায। আমাদের হাড় যেখানে ভেঙে যায় সেখান থেকে খুবই তাড়াতাড়ি হার বৃদ্ধি পায়। আমাদের বয়সের পার্থক্যে হয়তো সময় কম বা বেশি লাগতে পারে হাড় জোড়া লাগবেই শুধু সময়ের অপেক্ষায।হাড় যদি নিজে থেকে জোড়া লেগে যায় তাহলে আমরা আমরা ডাক্তারের কাছে যাই কেনো ভাবছেন।

তাহলে শুনুন হাড়ভাঙ্গা টুকরো কে এক রেখায় নিয়ে আসে এবং সোজা করে রাখে ঠিক যেমন ভেঙে যাওয়ার আগের ছিল সেভাবে করে রাখে তারপরে ডাক্তাররা ভাঙ্গা স্থানে প্লাস্টার করে অথবা প্লেট বা স্ক্রু ও রডের সাহায্যে হাড়কে জোড়া লাগাই আমাদের ট্রিটমেন্ট করে। তারপর নির্দিষ্ট সময় পরে আস্তে আস্তে হাড় ঠিক হয়ে যাই হাড়জোড়া।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

থেরাপির মাধ্যমে জয়েন্ট ও পেসি জোড়া লাগানো

থেরাপির মাধ্যমে জয়েন্ট ও পেসি লাগার পরে ধীরে ধীরে থেরাপির মাধ্যমে জয়েন্ট ও পেসি গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আসে। অন্যথায় জায়গাটা শক্ত হয়ে যাই বেশিগুলো শিথিল হয়ে পড়ে হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসা ঠিক সময় হলে সেই অঙ্গটি আগের মতই কাজ করতে পারে কোন পরিবর্তন হয় না হাড় ভেঙে গেলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে।

ডাক্তার বলবে যে এক্সরে, সিটি স্ক্যান, করে জায়গাটা দেখে নাই। তারপর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেয় যে সেখানে প্লাস্টার করা হবে নাকি হস্ত প্রচারের মাধ্যমে পেট বা রড বসানো হবেহাড় যদি অল্প ভেঙ্গে যায় তাহলে তা প্লাস্টারের সাহায্যে সোজা করা যায় আর বেশি যদি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় তাহলে সেখানে প্লেট বা রড ব্যবহার করতে হয়।

কারণ হাড়টিকে যে আগের মত সোজা করতে হয় সেজন্য তাহলে আপনারা এটা বুঝতে পারলেন যে ভাঙ্গা হার কে আগের জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে প্লাস্টার প্লেট স্ক্রু ও রডের ব্যবহার করে ।কিভাবে বুঝব হারজোড়া লেগেছে আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যে গাছামু ও কবিরাজি চিকিৎসা করান তাহলে ও হাড় জোড়া লাগবে কারন আমাদের হার নিজে থেকেই জোড়া লাগে।

কবিরাজ বা ভেষজ চিকিৎসা 

কবিরাজ বা ভেষজ চিকিৎসায় ভাঙ্গা হাড়টিকে সোজা করতে পারে না একটু হলেও বাঁকা থেকে যাবে কারণ তারা বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতার ভেষজ ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিবে ডাক্তারদের মতন আধুনিক উপায়ের মাধ্যমে ব্যান্ডেজ করতে পারবে না তারা সেই কারণেই এমনটা হয়। আর হাড় ভেঙে গেলে বা ফেটে গেলে তার ভেতর থেকে।

প্রচুর ক্যালসিয়াম ফসফেট সহ অনেক প্রয়োজনীয় রাসায়নিক বের হয়ে যায় এবং বাইরে এক জায়গায় জমা হয়ে থাকে। আর সেখানে ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যাওয়া সম্ভব না থাকে সেই কারণেই হাড় ভেঙে গেলে কবিরাজ বা ভেষজ চিকিৎসার না নিয়ে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

কিভাবে বুঝবেন হারজোড়া লেগেছে

আমাদের শরীর কোথাও হাড় ভেঙ্গে গেলে ডাক্তারদের দেওয়া সময় অনুয়ায়ী সেই ব্যান্ডেজ খুলতে নিষেধ করা হয় কারো কারো আবার নিদিষ্ট সময়ের আগেই সেরে যায়।কিভাবে বুঝব হারজোড়া লেগেছে কারো বেস কিছুদিন সময় লাগে তার হাড় ভাঙ্গা কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে। সাধারণত ১মাস এর মতো ব্যান্ডেজ রাখতে বলে ডক্টর রা আর এ সময় টাতে রেস্টে থাকতে বলা হয়।

খুব সাবধানে থেকে চলা ফেরা করতে হয়। যাতে করে ভাঙা স্থানে ব্যাথা না লাগে। আবার অনেকেই বুঝতে পারেনা তাদের ভাঙা ক্ষতস্থানটি ঠিক হয়েছে কি না এটা বঝার উপায় হছে আপনার ভাঙ্গা হাত অথবা পা যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে ক্ষতস্থানটি তে ব্যাথা অনুভব কম হবে আপনি নড়াচড়া করলে ব্যাথা না পাওয়া টান না ধরা যখন।

আপনার ভাঙ্গা হাড় সম্পূর্ন ঠিক হয়ে য়াবে তখন হালকা ওজন কোন জিনিস চারতে পারবেন। কোন কিছু চারার আগে অবশ্যই ডক্টর পরামর্শ নিতে হবে। না হলে ক্ষতস্থানে সমস্যা হতে পারে। ডাক্তার দেওয়া সময় অনুয়ায়ী প্লাস্টার খোলারপর দেখতে হবে হাড় জোরা লেগেছে কি না যদি ঠিক মতো লাগে যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম ও ফিজিও থ্যারাপি নিতে হবে। ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী।

হাড় ভেঙে গেলে যেসব খাবার খাবে

যেসব খাবারগুলো খেলে হাড়ভাঙ্গা দ্রুত সেরে ওঠে তা হলো ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের প্রধান খনিজ হলো ক্যালসিয়াম তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয় হাড়ের ভাঙ্গন দ্রুত নিরাময় করে সমুদ্রের সালমন মাছ দুধ দই ডিম মাখন। প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। হার শক্তিশালী করার জন্য দস্তা হাড়ের এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।

এবং দস্তা ছাড়া আপনার শরীরের হার শক্তিশালী হতে পারে না হাড়ের পূণ্যগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় রসায়নিক বিক্রিয়ার দস্তা দরকার দস্তা শরীরে বাড়ানোর জন্য আপনার খাবারে মাংস কুমড়োর বীজ এবং পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করুন। শরীরে হারিয়ে যাওয়ার টিস্যুর পূর্ণ গঠন প্রোটিন ছাড়া অসম্ভব এটি আপনার বিপাক গতি সঠিক রাখে এবং হাড়ের।

ভাঙ্গন দুতো নিরাময় করে তাই হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসার জন্য আপনার খাবারে চর্বি যুক্ত প্রোটিন যুক্ত করুন প্রোটিনের সাধারণ উৎস গুলির মধ্যে রয়েছে মাংস ডিম পনির মটরশুটি এবং বাদাম কোলাজেন গঠনের জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজনীয় এবং কোলাজেন ত্বক এবং টিস্যু গুলির প্রয়োজনীয় উপাদান তাই আপনার খাবারে ভিটামিন সি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে ।

  1. প্রতি একটি কমলায় রয়েছে ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  2. প্রতি এক কাপ খেজুরে রয়েছে ৫৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  3. প্রতি একটি ডিমে রয়েছে প্রায় 70 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়।
  4. প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়শে রয়েছে ৮২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  5. প্রতি এক কাপ কিসমিসে রয়েছে ৮৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়।
  6. প্রতি ১০৫ গ্রাম চোলাই রয়েছে ১০৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  7. প্রতি এক কাপ মসুরের ডালে রয়েছে ১০৮মিলিগ্রাম ক্যালসিয়।
  8. একটা পাতা কপিতে রয়েছে ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়।
  9. অতি ১০০ গ্রাম রসুনে রয়েছে ১৮১মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  10. প্রতি এক কাপ পালং শাকে রয়েছে ২৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়।
  11. প্রতি এক কাপ কাঠ বাদামে রয়েছে ২৫১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  12. প্রতি এক কাপ মুগ ডালে রয়েছে ২৭৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  13. প্রতি ১০০ গ্রাম সোয়াবিনে রয়েছে ২৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
  14. প্রতি এক কাপ দইয়ে রয়েছে ২৯৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  15. প্রতি এক কাপ গরুর দুধে রয়েছে ৩০৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  16. প্রতি এক কাপ ছাগলের দুধে রয়েছে ৩২৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
  17. প্রতি এক কাপ ওলকপিতে রয়েছে ৩৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ম ।
  18. প্রতি এক কাপ বাঁধাকপিতপ রয়েছে ৪২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  19. প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে রয়েছে ৭২১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।
  20. প্রতি এক কাপ তিল বীজে রয়েছে ১৪০৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ।

লেখকের শেষ কথা

হাতের ভাঙ্গা হাড় জোড়া বিষয়ে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং আমার পেজ টিতে লাইক দিতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url