তেলাকুচা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় বন্ধুরা তেলাকুচা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিছু বৃক্ষের যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধি গুনাগুন তার মধ্য তেলাকুচা পাতার ও রয়েছে গুন এটি মূলত একটি ভেষজ ঔষধ এটির গুনাগুন প্রচুর রয়েছে চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা ,উপকারিতা রয়েছে এটি একটি উদ্ভিদ যার পাতা ও কাণ্ড গারো সবুজ রঙের,এর ফুল সাদা ও ফল পেকে টকটকে লাল হয়
তেলাকুচার পাতা বন-জঙ্গলে এবং রাস্তার পাশে কিংবা বাড়ির কোন দেয়ালে জন্মায় এবং তেলাকুচার পাতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে
ভূমিকা
তেলাকুচা অনেক ওষুধই গুণ রয়েছে কিভাবে এই গাছের পাতা খেতে হয় এবং ফল খেতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা তেলাকুচার পাতাকে মানুষ রোগের ও ভেষজ ও শাক ও বড়া বানিয়ে খাই যেসব ব্যক্তিরা ডায়াবেটিসে ভুগছে ও পাইলসের সমস্যা আছে যাদের জন্ডিস গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আছে যাদের তারা এর পাতা খেলে অনেক উপকার হবে।
তেলাকুচা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
1,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস নানা কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাদে যা আস্তে আস্তে আমাদের শরীরকে অকেজো করে ফেলে। তাই আপনাদের যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ডায়াবেটিস অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে তেলাকুচার পাতা রস খাওয়া বা রান্না করে খাওয়া অনেক উপকার হবে তেলাকুচা পাতা যদি আমরা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে আমাদের মানবদেহে অনেক রোগ প্রতিরোধ থেকে বিরত থাকবে।
2,রুচি বৃদ্ধি করনে ভূমিকা
আমাদের অনেকেই জ্বর সর্দি হলে বা বিভিন্ন কোন অসুখের কারণে খাবার খেতে ভালো না লাগা মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেতে পারেন বা তেলেগুচার পাতার সঙ্গে মধু মিশে খেতে পারেন তাহলে খাবারের অরুচি ভাব ঠিক হয়ে যাবে যাবে।
3,পাকস্থলীর সমস্যা প্রতিরোধে
আমাদের দিন দৈনিক জীবনে নানা কারণে খাবারের অনিয়ম হয়ে থাকে সে কারণে পেটে গ্যাস ও এসিডিটি পেটের পিড়া এবং পেট ব্যাথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের কাজের ব্যস্ততার মাঝে ও খাবারটা ঠিকমতো খাওয়াটা জরুরি তানা হলে বিভিন্ন রকম পেটের সমস্যায় পড়তে হতে পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের তেলাকুচা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে পাকস্থলী সমস্যায় অনেক উপকারী।
4,সাদা স্রাব দূর করতে তেলাকুচার পাতা
যে কোন কারণেই হোক অনেক মেয়েদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সাদা স্রাব ভাঙ্গে এর ফলে মাথা ঘোরা মাথা ব্যথা শরীরে ক্লান্তি ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেলা কুচার পাতা নিয়মিত দিনে দুই বা তিন বার খেতে পারেন। তাহলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে এবং সাদা স্রাব বন্ধ হয়ে যাবে।
5,ব্রণ বা ফোড়া তেলাকুচার পাতা
ফোরা আমাদের শরীরে হলে যে জায়গাতে বের হয় সেখানে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করে এর ফলে অনেকটা বিরক্ত কর পরিস্থিতিতে ফেলে ফোরা আমাদের শরীরে যেকোনো কারণে হতে পারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেও হতে পারে আবার অপরিচ্ছন্ন থাকলেও হতে পারে। এ কারণে তেলাকুচা পাতা খেলে পড়া হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়। আমাদের সবারই প্রায় বয়সন্ধি কালের সময়ের পর মুখে ব্রণ দেখা দেয় সেই কারণে ব্রণ ঠিক করতে হলে তেলাকুচার পাতা কে বেটে মুখে লাগাতে পারেন আরো ভালো হয় যদি নিম পাতা কে দুটোকে মিস করে বেটে মুখে লাগান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে ব্রণ এর সমস্যা দূর হবে।
6,স্তনে দুধ স্বল্পতা
অনেক নারীর সন্তান প্রসব এর পর স্তনে দুধ আসেনা যার ফলে শিশুর দুধের ঘাটতি দেখা দেয় তখন বাধ্য হয়ে বাচ্চাকে গুড়ো দুধ খাওয়াতে হয়। আবার অনেক নারীর সময় দেখা যায় শরীরের রংটা ফ্যাকাশে হয়ে যায় এ অবস্থায় দেখা দিলে তেলাকুচার পাতার রস হালকা গরম করে মধু মিশিয়ে এরপর সারাদিনে দুইবার পান করুন এভাবে এক সপ্তাহ খাবার পর স্তনে দুধের স্বল্পতা দূর হয়ে যাবে এবং শরীরের ফ্যাকাশে রং টাও ভালো হয়ে যাবে।
7,জন্ডিস প্রতিরোধের তেলাকুচার পাতা
আপনি যদি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ খাওয়ার কথা ভাবছেন বা কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখাতে চাচ্ছে তাহলে সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন যদি ওষুধ সেবন করার পর ভালো না হয় তাহলে আপনি তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেতে পারেন ও রস করে সকালে খালি পেটে এবং রাতে খেয়ে দেখতে পারেন তাহলে আশা করা যায় খুব দ্রুত জন্ডিস সেরে যাবে।
8,আমাশয় দূর করতে তেলাকুচার পাতা
বর্তমানে আমাদের অনেকের প্রায় মানুষেরই আমাশয় রোগ হচ্ছে অনেকের নতুন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করে ভালো হয়ে যাচ্ছে আবার অনেকরই ঔষধ সেবন করার পরও ঠিক হচ্ছে না। এরকম টা হলে তেলাকুচার পাতা প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দুইবার খেয়ে দেখতে পারেন কারণ তেলেগুচার পাতা আমাশয় রোগের জন্য খুবই উপকারী ভেষজ গুনাগুন রয়েছে এই পাতাতে তাই নিশ্চিন্তায় এই পাতা খেয়ে দেখতে পারেন আশা করা যায় উপকারীতা পাবেন।
9,জ্বর ও হাঁপানি প্রতিরোধে
আমারা অনেকেই জ্বরের সাথে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত তেলাকুচার পাতা খাওয়ার জরুরী তাহলে জ্বর ও হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তেলাকুচার পাতার ঔষধি গুনাগুন অনেক রয়েছে এই পাতা সেবন করে অনেক ধরনের রোগের সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায় এটা আমরা কম বেশি সবাই প্রায় জানি।
10,কিডনির পাথর প্রতিরোধে
কিডনির পাথর আমাদের ভেতর বয়স্কদের বেশি দেখা যায় কিডনির পাথর সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অপারেশনও করাতে হয় আপনি যদি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত তেলাকুচা পাতার খাবার অভ্যাস করতে হবে কারণ কিডনির সমস্যায় তেলাকুচার পাতা অনেকটা ভূমিকা রাখে।
11,পা ফোলা রোগে
পা ফোলা রোগ আমদের অনেকের হয়ে থাকে অনেক সময় আমরা কোথাও গাড়ি ভ্রমনে বেড়াতে গেলে অনেকক্ষণ ধরে পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে তেলাকুচার পাতার রস বানিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ রস সকালে এবং বিকেলে খেতে পারেন তাহলে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাব।
12,কাশি
কাশির উপশমে ও তেলাকুচা উপকারী আমাদের ভেতরে অনেকেরই আবার কাশির সাথে কফ জমে সেটিকে ঠিক করতে কাশির উপশমে তেলাকুচার পাতার রস গরম করে তারপরে এর সাথে মধু মিশিয়ে সকালে এবং বিকালে খেতে পারেন তাহলে কফ জমিত তো সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
তেলাকুচা ফলের অপকারিতা
তেলাকুচা হচ্ছে একটি ভেষজ উদ্ভিদ গাছ এর একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফল ধরে সেই ফলের বীজ থেকে নতুন চারা উৎপাদিত করা হয় তবে এর ফল আমাদের কি ধরনের সাহায্য করে এবং কি উপকারে আসে আবার চিকিৎসা ক্ষেত্রে লাগে কিনা বিজ্ঞানীরা এখনো বের করতে পারেনি তবে ভবিষ্যতে হয়তো বিজ্ঞানীরা এর ফলের উপকার বিষয়টা বের করে নিতে পারবে।
তেলাকুচা পাতার রস কোন রোগে উপকারী
তেলাকুচার পাতার অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। যেমন এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা ধরনের উপাদান রয়েছে তেলাকুচার পাতায় এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের জন্য খুবই উপকারী তেলাকুচার পাতায় এবং তেলাকুচার রসে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে তেলাগুছের পাতা কোন কোন রোগের জন্য উপকারী তা জানব তেলাকুছা পাতার উপকারিতা আমরা কম বেশি সবাই প্রায় জানি তাও বলছি তো চলুন জেনে নেওয়া যাক তেলা কোচার পাতা রস কোন রোগের উপকারী
- রুচি বৃদ্ধিকরণে ভূমিকা
- পাকস্থলীর সমস্যা প্রতিরোধে
- সাদা স্রাব দূর করতে তেলাকুচার পাতা
- ব্রণ বা ফোড়া তেলাকুচার পাতা
- স্তনে দুধ স্বল্পতা
- জন্ডিস প্রতিরোধে তেলাকুচার পাতা
- আমাশয় দূর করতে তেলাকুচার পাতা
- জ্বর ও হাঁপানি প্রতিরোধে
- কিডনির পাথর প্রতিবাদে
- পা ফোলা রোগে
- কাশি
ও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরোধে কাজ করে থাকে তেলাকুচার পাতা ইত্যাদি
চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা
বন্ধুরা দেখা যায় যে আমাদের অনেকেরই চুল ওঠা নিয়ে খুবই সমস্যায় নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকে গোসলের পরে বা যে কোন সময় চুল হাছ রাতে গেলে অনেক কয়টা চুল উঠে যায় তো বন্ধুরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে কি করনীয় আজকে আমরা জানবো ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি করে চুল পড়া বন্ধ করবেন তেলাকুচার পাতাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে।
যে মাথার জন্য খুবই উপকারী এবং এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই প্রথমে তেলেকুচার পাতাকে বিলিন্ডারে পিসে নিয়ে তারপর পিঁয়াজ বাটা নিন দুই চামচ তারপর নিতে হবে ক্যাস্টর অয়েল দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল নিবেন। তারপর এই তিনটি উপাদানকে চামচ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে তারপর এটি ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে যে গোসলের।
এক ঘন্টা আগে এটি মাথায় দিবেন তারপর গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা এভাবে নিয়মিত যদি ১ মাস মাথায় দেন তাহলে চুল পড়া আগের থেকে অনেক কমে যাবে।
লেখকের শেষ কথা
তেলাকুচা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url