অ্যালোভেরার ক্ষতির দিক

 প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানেন যে এলোভেরা আজ থেকে প্রায় ৬০০০ হাজার বছর আগে মিশরে খোঁজ মেলে ভেষজগুণ চিকিৎসা জন্য এলোভেরার ব্যবহার হতো সেই খ্রিষ্টপূর্ব যুগ থেকে ভেষজ ও রূপচর্চায় বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এলোভেরা, এলোভেরার ক্ষতিকর দিক আর এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সে সব বিষয় গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

এলোভেরার ক্ষতিকর দিক
মিয়মিত এলোভেরা ব্যবহারের ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়ে থাকি ভিটামিন সুগার এসিড ও আরো গুনা গুন এলোভেরার অনেক গুনা গুন রয়েছে যা রূপচর্চায় পাশা পাশি শীরের বিভিন্ন রোগ এ ব্যবহার হয়। আজকে আমরা জানবো এলোভেরার উপকার ও এলোভেরার ব্যবহার ও রূপচর্চাই করণীয় কি সে বিষয় গুলো সম্পর্কে।

ভূমিকা

চিকিৎসকদের মতে শরীরের কোথাও কেটে গেলে এলোভেরার জেল বা ঔষধ ব্যবহার ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এলোভেরা ও আমলা এবং নিম এগুলোতে বিভিন্ন রোগের ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমরা এলোভেরা নিয়মিত ব্যবহার করে উপকারিতা পেতে পারি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এলোভেরা খুবই উপকারী অ্যালোভেরার ভেতরের থাকা আঠা বা জেল বলা হয় সেটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ক্রিম বানানো হয়।এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদের নাম এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণের শেষ নাই।

অ্যালোভেরার ক্ষতির দিক

অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যবহার বা সেবন করলে অ্যালার্জি গঠিত রোগ যেমন চামড়ায় রেশ ও দাঁগ হতে পারে শ্বাস নিঃশ্বাসে অসুবিধা বুকে ব্যথা জনিত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গাছটিতে লেটেক্স থাকায় বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন আলসার, কোলন ডিজিজ, এপেন্ডিসাইড, হেপাটাইটিস হতে পারে।

গর্ভবতী মহিলা এবং ছোট বাচ্চাদের সেবনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা বেশি পরিমাণ এলোভেরা খেলে দেহে জটিল সমস্যা হতে পারে অপরিশোধিত অ্যালোভেরা দেহে ডিহাইড্রেশন মুএের রং লাল করে যেতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালোভেরা অনিয়মিত হার্টবিটে সৃষ্টি করে হৃদপিন্ডের ক্ষতি করে এবং দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয় ।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় এলোভেরা খেলে বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন এলোভেরা রস খেলে তান্ত্রিক ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, অতিরিক্ত অ্যালোভেরার কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, অ্যালোভেরা দেহের ওজন কমিয়ে দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ সৃষ্টি করে।

এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্রণ এবং অন্যান্য স্কিন রেশ কমাতে সাহায্য করে।এলোভেরা জেনে থাকা জেবেরিলিন নতুন স্কিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং এতে থাকা আন্টি ইনফ্ল্যামেটোরি উৎপাদনের কারণে স্কিনে ব্রণ এবং র‍্যাশ হওয়া থেকে বিরত থাকে।স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুল অ্যালোভেরা জেলে চলে ন্যাচারাল প্রোটেক্টিভ লেয়ার তৈরি করে যা চুলকে তাপ, ধুলোবালি দূষণ থেকে রক্ষা করে,খুশকি দূর করে।

রোদে পোড়া ত্বক উজ্জ্বল করে অ্যালোভেরার জেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্কিনের উপর লেয়ার তৈরি করতে সাহায্য করে।তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে৷এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই জনপ্রিয় অ্যালোভেরা জেলটিতে প্রচুর পরিমাণ গুন রয়েছে অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।কোষ্ঠকাঠিন্যর এমন একটি সমস্যা যা নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকে

 এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এলোভেরা রস পান করা উচিত এটি মল পাস করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।মেরার মধ্যে রয়েছে ৭৫ রকমের সক্রিয় ঘটক Vitamin-A,Vitamin-C,Vitamin-E,Vitamin-B12,Folic Acid,Choline,Minerals,AminoAcid,অ্যালোভেরর মধ্যে Antioxidant ও Antibacterial উপাদান থাকায় ত্বকের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রতিরোধ করে।

অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা

অনেকেই অ্যালোভেরার জুস পান করে থাকবেন আপনি জানেন কি প্রতিদিন অ্যালোভেরা জুস পান করলে এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা । হার্ট সুস্থ রাখতে, আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এলোভেরা কলেস্ট্রলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিতাকে বৃদ্ধি করে থাকে মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ।

এলোভেরা মাংস পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে এমনকি ব্যথার স্থানে এলোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা কম করে থাকে। কোন রকম মের ইনফেকশন থাকলে তা দূর করে দেয় নিয়মিত এলোভেরা জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।

হজম শক্তি বাড়াতে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এলোভেরা জুসের জুড়ি নেই এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে মন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে যা হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালয় বজায় রাখে। 

ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব খাওয়ার
 আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত এলোভেরা জুস পান করুন।

অপকারিতা

  • যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা জেলটি মুখে ব্যবহার না করাটাই ভালো ত্বকের জ্বালাপোড়া চুলকানি ও লাল হয়ে যেতে পারে।
  • যদি কোন ব্যক্তি এলোভেরা রস খেতে চান তবে প্রথমে চিকিৎসরের সঙ্গে পরামর্শ করুন কারণ এই রসগুলো ক্ষতিকারক ও হতে পারে
  • এলোভেরা বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয, কারণ এটি শরীরে রক্তের বৃদ্ধি করে আর পাশা পাশি এটি কিডনির ও ক্ষতি করে।
  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করা উচিত নয়। এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন

আজকে আমরা শ্যামপুর সাথে এমন তিনটি উপকরণ যা আমাদের চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে ব্যবহার করব এবং স্মুত ও শাইনি করতে সাহায্য করবে প্রথমে অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল টাকে বের করতে হবে বাটির মধ্যে তারপরে একটা লেবুকে দুই ভাগ করে এক অংশ লেবুর, রস চিপে দিতে হবে কারণ লেবুর রস আমাদের চুলের ইচিং দূর করে এবং খুশকি দূর করে।

তারপরে যেটা দিতে হবে সেটা হচ্ছে এক চা চামচ চিনি দিতে হবে চিনি আমাদের ত্বকের ইস্কালপার মরা কোষ দূর করে এবং চুল বৃদ্ধিতে এবং চুল গজাতে সাহায্য করে এই তিনটি উপকরণ ভালো করে মিস করে নিতে হবে। তারপরে দিতে হবে শ্যাম্পু যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে ২চা চামচ বা
আপনার চুলে ব্যবহারের জন্য যতটুকু শ্যাম্পু প্রয়োজন পড়ে ততখানি ডেলে দিতে

তারপরে সবগুলোকে ভালোভাবে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে। তারপরে চলে ব্যবহার করুন এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

অ্যালোভেরা রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যেমন কিছু মানুষের এলোভেরা কিন্তু সহ্য হয় না যে কোন কারণে এলোভেরা ব্যবহার করার আগে চিকিৎসুখের পরামর্শ নেওয়া টা জরুরি আপনি যদি কোন কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনার খাদ্যভ্যাসে অ্যালোভেরা যুক্ত করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন, এটি আপনার ওষুধের বিক্রিয়া কে ব্যাহত করতে পারে ।

অ্যালোভেরার মধ্যে যে হলুদে রসালো পদার্থ থাকে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর,এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা যদি এটা খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে এর ফলে ডায়রিয়া কিডনির সমস্যা প্রসাবে রক্ত পটাশিয়ামের ঘাটতি বেশি দুর্বল ওজন হাঁস এবং হার্ট
অ্যাটাকের মত সমস্যা হতে পারে। 

এলোভেরার সবুজ পাতা নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে যদি পাতা একটু বেশি পুরাতন হয়ে হলদে ভাব আসে তাহলে তা বর্জন করা উচিত। চিকিৎসকের মতে এলোভেরা জেল তখনই নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বাজ জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়।

লেখকের শেষ কথা 

আশা করছি এলোভেরার বিষয়ে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিটকরে দেখতে পারেন পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url