শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

 প্রিয় পাঠক আজকে আমরা শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা ও শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানব শিমের বিচির অনেক গুনাগুন রয়েছে সিমের বিচি হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কালো বিচি তে আমদের দেহে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ রয়েছে ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ থাকে ২৫ গ্রাম যা গরুর মাংসের চেয়েও বেশি

শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
কালো শিমের বিচি সহায়ক প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যেটি রক্তে কলেস্ট্রেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কালো শিমের বিচির অনেক গুনা গুন রয়েছে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে থাকে সাথে করে ব্লাড প্রেসারও কন্ট্রোলে থাকে ।

ভূমিকা

শিমের বিচির গুনাগুন ও উপকারিতা অনেক আমদের শরীর ঘাটতি পূরন করতে সাহায্য করে পুরো আর্টিকেল টি পরলে বুঝতে পারবেন তাই শেষ পযন্ত পড়ুন শিমের বিচি আমাদের শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে দেহে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখে এছাড়া হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

শিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন এবং মিনারেল আছে যাদের মাছ মাংস খাওয়া হয়ে ওঠে না বা খাই না তাদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে যাদের আমিষ খাবার খাওয়ার সীমাবদ্ধতা আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন সারা পৃথিবীতে না না যাতে শিম চাষ হয় সিমের।

বিচি হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেশি শিম শীতকালে পাওয়া যায় শিমের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে খুবই উপকারী এবং রক্তে ক্ললেস্টেরলের মাত্রা কমে যার কারনে হৃদরোগে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় পাকস্থলী শক্তি বাড়াই শরীরের ভেতরে গরম হওয়া দূর করে শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে।

দেয় এবং রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে শিশুদের অপুষ্টি জনিত সমস্যা দূর করে শিমের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও শিমের মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে সাহায্য করে শীতের ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক এবং প্রাণহীন নিয়মিত শিম খেলে ত্বক ভালো থাকবে এবং ত্বকের রোগবালাই দূর হবে শিম কোলেন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

শিমের ফুল রক্ত ও আমাশয় চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। শিম খুবই বেশি খাওয়া উচিত নয় শিম অনেক সময় বমি বমি ভাব হয় শীতকালে আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় সবজি শীতের শুরুর দিকে সরবরাহ কম থাকায় এর দাম খুবই বেশি থাকে। শিম হচ্ছে রোগ প্রতিকার চুল পড়া কমায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

গর্ভবতী মা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে পারে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ক্লোলেস্টেলের মাত্রা মাত্রা কমায় ও ডায়াবেটিসহ হৃদরোগে ঝুকি কমায়। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২২দশমিক ৬ গ্রাম আমিষ আছে ২৪ দশমিক ৯ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষের পরিমান গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের প্রায় সমান

শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান

কালো শিমের বিচি আমাদের শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে দেহে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখে এছাড়া হজমে সহায়তা করে চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সার প্রতিরোধ কালো শিমের বিচি সহায়ক প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যেটি রক্তে কলেস্ট্রেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে হার্ড এটাকের ঝুঁকি কমায় এছাড়া শিমের বিচিতে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উভয় উপাদান রয়েছে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কালো শিমে চর্বি রয়েছে এবং কলেস্ট্রে একেবারেই নেই এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ রাখে

শিমের বিচির স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন

  • শিমের বিচি উচ্চ ফাইবার প্রোটিন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার ভাতের সঙ্গে মিশ্রিত করা শিমের বিচি পুরোপুরি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার হয়ে ওঠে যারা বেশি সবজি খেতে পছন্দ করেন না তারা ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে এই খাবারটি খেতে পারেন শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান শিমের বিচি মানবদেহের রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখ।

শিমের বিচি ক্যালরি

শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার প্রোটিন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস এতে কোন ধরনের কোন কোলেস্টেরল নেই এনার্জি ও শক্তির জন্য শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট চলুন আমরা জেনেনি শিমের বিচির কিছু উপকারিতা আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে শিম বা শিমের।

বিচি খেলে তা পূরণ হয়ে থাকে শিমের বিচি খেলে বমি বমি ভাব কেটে যায় যাদের যাদের বমি ভাব হয় তারা খেতে পারেন শিমের বিচি জ্বর নিরাময় কাজে আসে শিমের বিচিকে বালিতে ভেজে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তারপরে তিন থেকে চারবার জ্বরের ঝিমুনি ও অরুচি ভাব কেটে যায় শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান।

প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যেটি আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধে উপকার করে।গর্ভবতী মহিলাদের জন্য শিমের বিচি খুবই উপকারী। প্রতি 100 গ্রাম শিমের বিচিতে খাদ্য উপাদান হলো ৩৪৭ কিলো ক্যালরি, আমিষ ২৪.৯গ্রাম,চর্বি ০৮০গ্রাম শকরা ৬০-১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৬০মিলিগ্রাম এবং লৌহ ২.৭মিলিগ্রাম রয়েছে 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শিম উপকারিতা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খাবারের তালিকায় যদি শিম রাখে তাহলে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে থাকে সাথে করে ব্লাড প্রেসারও কন্ট্রোলে থাকে। যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা ছিম খেতে পারেন

শিমের কালো বিচি খেলে কি উপকার হয় - জেনে নিন

কালো শিমের বিচি হজমের ক্ষেত্রে উপকারী কলেস্টটলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদরোগের ঝুকি কমায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও থাকে আমাদের দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করে কালো সিমে বিচিতে দুই থেকে তিন শতাংশ চর্বি রয়েছে এটি দেহে চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য উপযোগী চর্বি প্রদান করে করে শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে।

ভিটামিন b6 আছে শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ রয়েছে ১০০ গ্রাম সিমের বিচিতে আমি তাকে ২৫ গ্রাম এবং আমাদের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে খুব দ্রুত পুষ্টি যোগায় সেমে বিজি প্রেগনেন্সি মহিলাদের জন্য এ খাবার খুবই উপকারী এছাড়া পুষ্টি কর এ খাবারটিতে দেহের উপকারও করে থাকে আমাদের ত্বকের জন্য এটি খুবই।

ভালো এবং কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে কালো শিমের বিচি ওজন কমাতে সাহায্য করে আমাদের খাদ্য তালিকায় ঝিমের বিজয় রাখাটা খুবই উপকারী।

গর্ভঅবস্থায় শিম খেলে কি হতে পারে উপকার নাকি অপকার

শিমে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে কম ও আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন জিংক এবং মিনারেল এগুলো শরীরের জন্য খুবই দরকার গর্ভবতী নারী ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম খুবই উপকারী নিয়মিত শিম খেলে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাএা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সকরার মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী গর্ভবতী মায়ের রক্ত শূন্যতা রক্তশূন্যতায় মাতৃ মৃত্যুর হার বেশি রক্তে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে হিমোগোগিনর ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় আয়রন ঘাটতি জনিত মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে খাদ্য তালিকায় শিম রাখুন।

লেখকের শেষ কথা

শিমের বিচির বিষয়ে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং আমার পেজ টিতে লাইক দিতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url