বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় এবং স্মার্ট ফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আমরা জারা অভিভাবক রা আছি তাদের করনিও কি পদক্ষেপ নিলে বাচ্চাদের মোবাইল ফোন বিভিন্ন রকমের গেম খেলে আসক্তি হচ্ছে আসক্তি কম করা যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোতে ।

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়
বাচ্চাদের অন্যান্য বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে করে উপনার বাচ্চা মোবাইল ফোন এর কাছে থেকে দূরে থাকতে পারে, যেমন হতে পারে কনোএকটাএকটিভিটিতে ক্রিকেক,ফুটবল,হকি,ব্যাডমিন্টন ও সুইমিং এগুলোর সাথে ভতি করে দিলে মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকবে ।
 

ভূমিকা

আপনার বাচ্চা কি সারাদিন বাসায় মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে। কোন কিছু খেতে বললে মোবাইল ফোন ছাড়া খেতে চাইনা বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলা-মেশা বাড়িয়ে দেয়া সুযোগ করে দেওয়া আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মেলা বাড়িয়ে দিতে হবে আতে করে মোবাইলে আসক্ত অনেকটা কমে যাবে বেশি ফোন টিপার কারনে চোখের সম্যসা হয় আমাদের আশে পাশে দেখতে পাওয়া যায় অনেক বাচ্চাদেরকে চোখে চসমা পড়ে থাকতে।

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়

আপনার বাচ্চাটি মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে এটি আপনি বুঝবেন কিভাবে আসুন সে বিষয়ে জেনে নিই। 
  1. প্রথম হচ্ছে বাচ্চা যদি ফোন দেখতে গিয়ে একদম ফোনের মধ্যে হারিয়ে যাই আপনি ডাকছেন কিন্তু সে সাড়া দিচ্ছেনা পাশে কি ঘটছে সে তাতে তার কোন খেয়াল নেই সে কথা কম বলে এরকম দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার শিশুটির ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছ।
  2. আপনার বাচ্চা যদি ফোন দেখতে দেখতে তার খাবার না খায়, এবং ঘুমের কথা সে ভুলে যাই সহজে ঘুমাতে চাই না এরকম দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চাটি ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
  3. আপনার বাচ্চা যদি এটি বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয় যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট চ্যাটিং গেমিং এগুলোই তার আনন্দের উৎস সে বাইরে খেলতে যাই না নতুন বন্ধুবান্ধব তৈরি করে না তাহলে বুঝতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকদের করণীয় হচ্ছে যে আপনার বাচ্চাকে ফোন দেখার পরিবর্তে বলতে পারেন বাইরে যেয়ে খেলো সাইকেল চালাও ড্রয়িং করো গল্পের বই পড়ো খেলনা নিয়ে খেলো । আপনার বাচ্চাকে কোন একটা কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে যেমন হতে পারে ক্রিকেক,ফুটবল,হকি,ব্যাডমিন্টন ও সুইমিং হতে পারে ডান্সিং হতে পারে, সিঙ্গিং হতে পারে।

এগুলোর পাশাপাশি আরেকটি কাজ করতে পারেন বাড়ি ছোট ছোট কাজে তাদেরকে ইনভলভ করতে হবে যেমন কাপড় গোছানো নিজের খেলনা গুলোকে সাজিয়ে রাখা নিজের বই পত্র কে গুছিয়ে রাখা ঘর টিকে গুছিয়ে রাখা বাইরে থেকে কিছু বাজার করে নিয়ে আসা এইসব অভ্যাসগুলো করাতে পারলে মোবাইলের আসক্তি অনেকটা কমে যাবে।

আর তাদেরকে বলতে পারেন যে তোমাকে যে রুটিন গুলো করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো করলে প্রতিদিন এক ঘন্টা ২ ঘন্টা করে ফোন দেওয়া যাবে তখন তুমি ফোনে গেম খেলতে পারো।আমরা যারা অভিভাবকরা আছি এভাবে যদি চেষ্টা করলে তাহলে অনেকটা কমে যাবে ফোনে আসক্তি থেকে বাচ্চার।

স্মার্ট ফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা

স্মার্ট ফোন বর্তমান সময়ের অপরিহার্য একটি অংশ তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতি এসেছে তেমনি জনগণও উপকৃত হচ্ছে কিন্তু দেখা যায় বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলার মাঠ না থাকায় এবং খেলাধুলা যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় তারা সবাই স্মার্টফোনে ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন রকমের গেম খেলে আসক্তি হচ্ছে।

স্মার্ট ফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের ৭০% মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে আমাদের সকলেরই উচিত স্মার্ট ফোনের সচেতন এবং ইতিবাচক ব্যবহার করা এবং অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের বই পড়া এবং সৃজনশীল কাজে নিউ যুক্ত করা। মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করার ফলে।

শিশুদের চোখ ও মস্তিষ্কে সমস্যায় বেশি দেখা দেয়। বাচ্চাদেরকে কলেজে ওঠার আগ পর্যন্ত ফোন বেশি ইউজ করতে দেওয়া একদমই ঠিক নয় যে সমস্ত বাচ্চারা বাইরে পড়তে যায় তাদের খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তাদের জন্য আমরা স্মার্টফোনের পরিবর্তে বাটন ফোন দিতে পারি অনেক সময় দেখা যায় যেসব বাচ্চারা ক্লাস এইটে বা নাইনে পড়ছে।

বাবা মা রা তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয় এক্ষেত্রে কিন্তু আমরা বাচ্চাকে একদমই কন্ট্রোল করতে পারব না

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল

বাচ্চারা খুব বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অনেক রকমের স্মার্ট ফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতে পারে যেমন বাচ্চা মোবাইল ফোন নিয়ে এক জায়গায় বসে থাকতে পছন্দ করে এবং ধীরে ধীরে অসামাজিক হয়ে যাই কারো সাথে মিশতে পারে না তাই বাচ্চাকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।

খেলাধুলা এবং অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করতে চাই না তার ফলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমতে শুরু করে এবং রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে স্নায়ু এবং চোখ ও কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই বিষয়গুলো চিন্তা করে বাচ্চাকে অবশ্যই মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক।

রেডিয়েশন বাচ্চাদের প্রচণ্ড ক্ষতি করে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের ব্রেন ছোট এবং পাতলা হওয়াই মোবাইলের রেডিয়েশন এর কারনে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বেশি ক্ষতি করতে হয় কথা হচ্ছে যে বাচ্চারা যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সে মোবাইল ফোনের ভিতরে সবকিছু পেয়ে যায় এইজন্য তারা আর অতিরিক্ত মানুষের প্রয়োজন হয় না তাই।

মানুষের সাথে মিশতে ও চাই না আর যেহেতু বাচ্চারা মোবাইলে গেম খেলতে পারে সেই কারণে আলাদাভাবে খেলা গুলোর প্রতি আগ্রহ জন্মায় না সেই জন্য সে ঘরের মধ্যে থেকে মোবাইলে গেমস খেলতে বেশি পছন্দ করে যার ফলে তার শারীরিক কোন পরিশ্রম হয় না এবং বাচ্চার শরীরে চর্বি জমে যায় অনেক বাচ্চাদেরকে দেখা গেছে যার।

  • শরীরে যে পরিমাণ ওজন থাকা দরকার তার থেকে বেশি ওজন বেড়ে গেছে শুধুমাত্র খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা না করার মাধ্যমে এর কারণ। 
  • হচ্ছে ওদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য। যেখানে আমাদের বড়দেরই অনেকক্ষণ ফোন টিপার জন্য চোখ ঝাপসা লাগে এবং ব্যথা করে অস্বস্তি লাগে।
  • অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় ছোটকাল থেকে সানগ্লাস পড়ে ঘুরছে এর কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার ব্যবহার করার কারণে বাচ্চাদের এমনটা হয।

মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার

আপনার বাচ্চাটি যদি ফোনে সারাক্ষণ ফোন নিয়ে গেম খেলে ভিডিও দেখে বাইরে বের হয় না তার নিজের খেলনা গুলো নিয়ে খেলে না। আসক্ত হয়ে পড়েছে তখন আমাদের অভিভাবক দের যা করা উচিত সেটি হচ্ছে বাচ্চাদের অন্যান্য বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন যেমন বাইরে পরিবেশের সাথে পরিচিত করে দেওয়া বন্ধুবান্ধবদের সাথে।

মেলা-মেশা বাড়িয়ে দেয়া সুযোগ করে দেওয়া আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মেলা বাড়িয়ে দেয়া সামাজিক মেলামেশার জায়গা গুলোতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া বাচ্চারা যেটাতে ইন্টারেস্ট পায় সেটা শেখাতেই নিয়ে যাওয়া এটা হতে পারে ক্রিকেট ফুটবল হকি ব্যাডমিন্টন সাঁতার আমাদের সেই সব কাজগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে যেটা বাচ্চা শিখতে চাই।

আমরা যারা অভিভাবকরা আছি আমরা সব সময় বাচ্চাদের পড়াশোনার বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলি এটা বাচ্চারাও অতো বেশি পছন্দ করে না আমাদের বাবা মা দের উচিত বাচ্চার সঙ্গে টাইম কাটানোর সময় তার ইতিবাচক দিক তুলে ধরা বাচ্চার যে বিষয়টা নিয়ে ভালো পারছে তাকে উৎসাহ দেওয়া তাহলে সে ফোনের থেকে ওইসব কাজে গুরুত্ব দেওয়ার বেশি চেষ্টা করবে।

লেখকের শেষ কথা

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url