কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম সম্পর্কে জানব আপনার কবুতরের রোগ হলে এই রোগটি এখন কি স্টেপে আছে সেটা বুঝার পর ওষুধ কি দিতে হবে সেইসব বিষয়ে জানব কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক বেশি কবুতরের মাংসের ঝোলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
কবুতরের মাংস চর্বিযুক্ত না হলেও এর চামড়ার উপাদান চর্বিযুক্ত হয় তাই যদি আমরা এটি প্রচুর পরিমানে গ্রহণ করি তাহলে এটি আমাদের পুষ্টিকর খাবারের বদলে তাহলে শরীরের পকে ক্ষতিকর খাবার হতে পারে।এইজন্য অতিরিক্ত কোন জিনিস খাওয়া উচিত নয়।

ভূমিকা

কবুতরের মাংসের পুষ্টি গুনাগুন অনেক বেশি বিশেষ করে প্রেগনেন্সি অবস্থায় কবুতরের মাংস খুবই উপকারী মা ও বাচ্চার পুষ্টিকর উপযুক্ত খাবার কবুতরের মাংসের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ শরীরে পুষ্টি চাহিদা মেটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের ঘাটতি পূরণ সাহায্য করে ।কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পরে তাহলে তাকে কবুতরের মাংস খেতে বলা হয় যাতে করে শরীরে রক্ত ঘাটতি পূরন হয় সে জন্য 

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা-জেনে নিন

  1. কবুতরের বাচ্চার মাংস খাওয়া উপকারিতা কবুতরের মাংস শরীরে জন্য খুবি উপকারী কবুতরের মাংস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে শরীরে এনজাইম তৈরি করতে পারে ফলে ক্লান্তি কমে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুকি কমায়কবুতরের মাংস আঁচিলের মত চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
  2. কবুতরের মাংস একটি মুরগির মাংস থেকে।অনেক পুষ্টিকর ও উপকারী কবুতরের মাংসের ভুনা খুবই সুস্বাদু লাগে খেতে আপনারা কবুতেরের ভুনা করে রান্না করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু টেস্ট।আমাদের মধ্যে অনেকেই সখের বসে কবুতর পুসে কবুতরের মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কবুতরের মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকে।কবুতরের বাচ্চার মাংস খাওয়ার।
  3. উপকারিতা কবুতরের মাংস অসুস্থ ব্যক্তিকে খাওয়ালে। শরীরের রক্ত বৃদ্ধির ও পাশাপাশি শরীরের ঘাটতি উপকারিতা পায়।কবিতর মস্তিষ্কে পুষ্টি চাহিদা মেটায় এবং চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমরা যদি এটি প্রচুর পরিমানে গ্রহণ করি তাহলে এটি আমাদের পুষ্টিকর খাবারের বদলে তাহলে শরীরের পকে ক্ষতিকর খাবার হতে পারে।এইজন্য অতিরিক্ত কোন জিনিস খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা

প্রেগনেন্সি অবস্থায় কবুতরের মাংসের উপকারিতা প্রেগনেন্সি অবস্থায় কবুতরের মাংস খুবই উপকারী একটি খাবার এটি গর্ভবতী মা ও বাচ্চার দুজনেরই জন্য।গর্ভ অবস্থায় মায়ের খাবারে কবুতরের মাংস ও মাছ রাখা খুবই জরুরী মাছে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভবতী মহিলা ও বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী। আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারও যুক্ত করা যেতে পারে।

যেমন দুধ দই ডিম শাক সবজি বাদাম কাঠবাদাম কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম ও বিভিন্ন বাদাম ইত্যাদি ফলমূল যেমন কমলা, কলা, বেদেনা,মাল্টা ও আরো হলুদ ফলমূল ইত্যাদি আর মাছের মধ্যে ছোট মাছ রাখতে হবে যাতে করে শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যেমন জিওল মাছ গরুই মা, চ্যাং মাছ, সোয়েল মাছ,ও বিভিন্ন ধরনের পুটি মাছ গুলো এইসব মাছ খেলে রক্তের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। 

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

বাচ্চার ওজন বাড়াতে কবুতরের মাংস

বিশেষ পুষ্টিকর ও উপযুক্ত খাদ্য এটি বাচ্চার ওজন বাড়াতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়।সন্তান জন্ম হওয়ার পরে মাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে কবুতরের মাংস পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মস্তিষ্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়া আমাদের রক্ত
সঞ্চালনকে উন্নতি করতে পারে ।

এবং ত্বকের কোর্সের পানশক্তি ফেরাতে পারে।ত্বক সতেজ ও সুন্দর করে তুলতে পারে।কবুতরের মাংস রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কবুতরের মাংসের রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটায় এবং পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী।

কবুতরের মাংস শারীরিক যেসব সমস্যার সমাধান করে

কবুতরের মাংস লিভার এবং কিডনিকে ভালো রাখে,এবং আমাদের শরীরের রক্তকে পুষ্ঠ করতে সাহায্য করে। যা দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা এবং শারীরিক দুর্বলতার হাত থেকে রক্ষা করে।আবার বৃদ্ধ বয়সের মানুষদেরকে মাথা ঘোরার কোমর এবং হাঁটুতে ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে বিশেষজ্ঞদের মতে কবুতরের মাংস একটি সুস্বাদু খাদ্যের পাশাপাশি একটি ভালো ওষুধ এর কার্যকারিতা আছে এটিতে প্রচুর পরিমাণে।

পুষ্টি রয়েছে যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে কবুতরের মাংস অসুস্থ ব্যক্তি, অপুষ্টি জনিত বয়স্ক মানুষদের বিশেষ করে উপযুক্ত খাবার।কবুতরের মানুষের অপকারিতা কবুতরের মাংস অতিরিক্ত বেশি খেয়ে ফেললে তা আমাদের শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলবে কবুতরের মাংস চর্বিযুক্ত না হলেও এর চামড়ার উপাদান চর্বিযুক্ত হয়।

কবুতরের রোগ এর ওষুধের নাম

ভাইরোসিড সিরাপ হচ্ছে জীবাণুননাসক দূর করার জন্য কবুতরকে গোসল করানোর জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।জিংক এর গুন হচ্ছে যে কবুতরের পাখাগুলো শক্ত করে।Two-plus এর কাজ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকলে পেটের ভিতরে দূর করার ক্ষেত্রে কাজ করে।ক্যালপ্লেক্স ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন টাইপের ঔষধ কবুতের ভিতরে ঘাটতি থাকলে ঠিক করে দেবে।

  1. Hameco-ph এর উপকারিতা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে।Hiprachom amino এটি হচ্ছে কবুতরের মাল্টিভিটামিন বলা যেতে পারে এই ওষুধের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে ভালো একটি ওষুধ কৃমিনাসুক কৃমি দূর করার জন্য প্রতি মাসে এক বা দুই বার খায়াবেন। এবার কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম
  2. liva Tone এর উপকারিতা হচ্ছে কবুতরের লিভারের সমস্যা দূর করে। খাদ্য হজম করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বেড়ে যায রোগ হওয়া সম্ভাবনা কম থাকে।B-com-vit এর উপকার হচ্ছে কবুতরের ঘাড় টাল হয়ে যাওয়া এবং ভিটামিন বি কবুতরের যেসব সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর হয়।E-sel এই ওষুধের গুন হচ্ছে কবিতর বেশি করে ডিম ও বাচ্চা দিবে ভালো পরিমাণ কাজ করে।

কবুতরের ঝিমানো ও চুনা পায়খানা

  • আমাদেরকে আগে খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে আমাদের কবুতরের চুনা পায়খানায় আসলো বা কেন আমাদের কবুতরটি অসুস্থ হয়ে গেল যদি আগে আমরা এটি বের না করি তাহলে কিছুদিন পর পর আমাদের কবুতরগুলো অসুস্থ হতে থাকবে।
  • প্রথম ধাপ হচ্ছে কেন এবং কি কারনে আমাদের কবিতোর গুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে এরপর হল
  • দ্বিতীয় ধাপ কবুতরের রোগ কোন পর্যায়ে আছে খুঁজে বের করা। সবুজ পায়খানার রোগের প্রথম স্টেপে সবুজ পায়খানায় থাকে কবুতর ঝিমাই না বা কবুতর খাবার খাওয়া বন্ধ করে না সে ক্ষেত্রে দেখবেন কবুতর সবুজ পায়খানা করছে কিন্তু বাকি সব ঠিক আছে তখন থেকে আপনারা প্রথম স্টেপের ওষুধ গুলো দেওয়া শুরু করবেন। সবুজ পায়খানা রোগের দ্বিতীয় স্টেপ আপনারা দেখবেন কবিতর জিম ধরে বসে আছে তারা ঠিক মতো খাবার খাচ্ছে না শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে এরকম লক্ষণ যখন দেখতে পাবেন সবুজ পায়খানার পাশাপাশি তখন বুঝতে পারবেন কবুতরটি দ্বিতীয় স্টেপে রয়েছে।
  • তৃতীয় স্টেপ হচ্ছে কবিতর একবারে দুর্বল হয়ে যায় কবিতর একবাড়ে নড়াচড়া করতে পারে না একটা জায়গায় ঝিম ধরে বসে থাকে এমনকি আপনি যদি তাকে হাত দিয়ে ধরেন তাও সে সেখানে বসে থাকে চোখ বন্ধ করে হয়তোবা চোখ খুলে এর বেশি কিছুই করে না এটি হচ্ছে তৃতীয়  স্টেপ কবিতর যদি তৃতীয় স্টেপে চলে যায় তাহলে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা খুবি সমস্যায় হয়ে যায়।তাই আপনারা চেষ্টা করবেন কবুতরকে প্রথমও দ্বিতীয় স্টেপের মধ্যে কবুতরটিকে খুঁজে বের করা।
  • প্রথম স্টেপের চিকিৎসা জন্য বিশেষ কিছু খাওয়াতে হবে না এর মধ্যে হচ্ছে যে ১কারমিনা ২গ্রিট যদি আপনারা প্রথম স্টেপের রোগের কবিতরকে এই ওষুধগুলো দুই থেকে পাঁচ দিন খাওয়ান তাহলে ঠিক হয়ে যাবে পানির সঙ্গে মিস করে খাওয়াতে পারেন এক লিটার পানিতে 5mL কারমিনা দিন পানি যদি আপনার সুস্থ এবং অসুস্থ কবিতর খায় তাহলেও কোন সমস্যা হবে না আর গ্রিট তো সব কবিতারই খেতে পারবে।
  • কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম দ্বিতীয় ধাপের ওষুধগুলো হচ্ছে Napa,Filmet400,carmina,Filmet400,moxacil500,প্রতি এক লিটার পানিতে এই ট্যাবলেট গুলো ব্যবহার করতে হবে এই ওষুধগুলো সবগুলো কবিতার কেউ খাওয়ালেও সমস্যা নেই একটা বা দুইটা কবুতর অসুস্থ হওয়ার পরে কিন্তু সবগুলো কবুতরের মাঝে রোগ ছড়িয়ে যায় তাই সব কবিতার গুলোকে খাওয়ালেও সমস্যা নেই। এই ওষুধগুলো তিন থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করবেন।
  • তৃতীয় স্টেপের ওষুধগুলো হচ্ছে এগুলোই, এই ওষুধ গুলো আপনারা যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে পেয়ে যাবেন। আর তৃতীয় স্টেপে চলে গেলে এই ওষুধ গুলো সাত থেকে দশ দিন খাওয়াবেন আশা করা যায় ঠিক হয়ে যাবে তৃতীয় স্টেপে চলে গেলে কবিতর ঠিক না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কবুতর এর কৃমির ওষুধের নাম

কৃমির ওষুধ প্রয়োগ করার আগে কবিতরকে লাইসোভিট স্যালাইন খাওয়াতে পারেন বা Avinex কৃমির ওষুধ কি ব্যবহার করতে পারেন এই ওষুধটা ব্যবহার করলে কবিতার বমি করে দেয় কৃমির কোষ টা তিন মাস থেকে ছয় মাস পর পর করালে ভালো হয় কৃমির কোর্স কিভাবে করবেন সেটি হচ্ছে যে প্রথমে আপনারা এক লিটার।

পানি নিবেন Acimec 1℅oral ওষুধটি পানিতে দুই এমএল থেকে তিন এমএল এর বেশি দিবেন না বেশি পরিমাণে দিলে আপনার কবুতরের সমস্যা হতে পারে এই ওষুধটা কবুতরের গা থেকে উকুন তাড়িয়ে দেয় এটি হচ্ছে একটি বিষ এই ওষুধটা ভেতর থেকে কৃমিগুলোকে মেরে ফেলছে এবং বাইরে থেকে পোকা গুলোকে সরিয়ে ফেলছে।

লেখকের শেষ কথা

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url