সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জেনে নিন আমরা আলোচনা করব এবং সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায় কি ভাবে যেতে হবে ও থাকা খাওয়া ইত্যাদি সাজেক ভ্যালিতে গেলে মেঘের রাজ্য দেখতে পারবেন গেলে সাজেক ভালো ও উপযুক্ত সময় বর্ষাকালে গেলে সবচেয়ে ভালো অথবা শীতকালে ও শরৎকাল ।
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ ঢাকার গাবতলী থেকে কলাবাগান, কল্যাণপু ও সায়দাবাদ বাস ট্রেন থেকে। সৌদিয়া, শ্যামলী, শান্তি, সেন্ট মার্টিন,ও বিআরটিসি মতো বাস সার্ভিসগুলো সরাসরি খাগড়াছড়ি পথে রওনা দেয়।
ভূমিকা
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জেনে নিন
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে গেলে সাজেকের প্রতিটি মৌসুমে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বে। সাজেক ভ্যালিতে গেলে মেঘের রাজ্য দেখতে পারবেন গেলে সাজেক ভালো ও উপযুক্ত সময় কেউ কেউ মনে করেন যে বর্ষাকালে গেলে সবচেয়ে ভালো অথবা শীতকালে ও শরৎকাল সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত।বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি পর্যটক কেন্দ্র এখানে আপনি বছরে যেকোনো সময় যেতে পারেন। সাজেক যেহেতু মেঘের রাজ্য সবাই মেঘ দেখার জন্য ওখানে ঘুরতে যাই সে ক্ষেত্রে বর্ষাকালে সময়টা ভালো উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি বর্ষাকালে যান তাহলে বৃষ্টি পাবেন মেঘে কিন্তু সাজেকের অন্যান্য যে দর্শন স্থানগুলো আছে ।
যেমন কংলাক পাহাড়, রিসাং ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা,হর্টিকালচার পার্ক, বৃষ্টির কারণে এইসব দর্শনীয় স্থানগুলোতে আপনি যেতে পারবেন না এখানে গেলেও খুবই রিক্স হয়ে যাবে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন না বৃষ্টির জন্য আর অতি বৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়ি সাজেক রোড চন্দন গাড়ি ভ্রমণ বন্ধ থাকতে পারে তাই এক্ষেত্রে বর্ষাকালে ভ্রমনে না যাওয়াটাই ভালোভাবে।
আবার অনেকেই বলে শরৎকাল কি উপযুক্ত সময় শরৎকালের শরতের মেঘের মেলা দেখা যায় শরৎকালে গেলে ওই সময়টা হচ্ছে গরমের সময় গরমের সময় আপনি গেলে ঘুরে অনেক মজা পাবেন না অনেক বিরক্ত লাগবে গরমের কারণে। সেজন্য সাজেক ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল কারণ এ সময় গরম ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না।
শীত শীত থাকবে মেঘে দেখা পাবেন এবং সাজেকে যে অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো আছে সেখানে ঘুরে দেখতে পারবেন উপভোগ করতে পারবেন।
সাজেক গিয়ে কি দেখবেন
সাজে হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালির নামশুনেনি বাংলাদেশে এমন লোকের সংখ্যা প্রায় নাই বললেই চলে সাজেকের জনপ্রিয় স্থান রুইলুই পাড়া, হ্যালিপ্যাড, স্টল গার্ডেন, লুসাইগ্রাম পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান কংলাক পাড়া। কংলাক হলো সাজেকে সবচেয়ে উঁচু স্থান কংলাকে চুড়াই থেকে ।সাজেকের ভ্যালির সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় এই সৌন্দর্য দেখার জন্য আপনাকে কংলাক পাহাড়ের উঠতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগবে কংলাক পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়ের দৃশ্যটা খুবই সুন্দর ভাবে দেখা যায় এবং সন্ধ্যার পর আকাশ ভরা নক্ষত্র দেখতে পাবেন আর সাজেকের মেঘ তো প্রায় সব সময় দেখা যায় কিন্তু সকালের দিকে বেশি দেখা যায় ভোর বেলার দিকে।
আর সাজেকে গেলে ভোর বেলার সূর্যোদয় একদমই মিস করা যাবে না ভোরের দৃশ্যটা খুবই সুন্দর দেখায় পাহাড়ের বুক চিরে সূর্যের আলো উঠে আসে মেঘের পেছন থেকে এই দৃশ্য খুবই সুন্দর।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায়
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ তাই আপনি দেশে যেখান থেকে যান না কেন আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাহনে দীঘিনালা উপজেলা হয়ে প্রায় সত্তর ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাজেক। ঢাকার গাবতলী থেকে কলাবাগান, কল্যাণপু ও সায়দাবাদ বাস ট্রেন থেকে।সৌদিয়া, শ্যামলী, শান্তি, সেন্ট মার্টিন,ও বিআরটিসি মতো বাস সার্ভিসগুলো সরাসরি খাগড়াছড়ি পথে রওনা দেয়। নন এসির ভাড়া ৫২০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত এবং এসি বাসের ভাড়া নয় শত টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে ছয় থেকে সাত ঘন্টা সময় লাগে এবং ছুটির দিনগুলোতে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখাই ভালো হবে।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায় খাগড়াছড়ি যাওয়ার রাতের বাস গুলো রাত ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে ঢাকা ছেড়ে যাই এবং ভোরের দিকে শাপলা চত্বরে নামিয়ে দেয়। খাগড়াছড়ি শহরে শাপলা চত্বর থেকে সাজেক যাওয়ার চন্দন গাড়ি জিপ সিএনজি এবং মোটরসাইকেল ভাড়া করতে পারবেন এবং চান্দেন গাড়িতে ১৫ জন যেতে পারবেন এবং জিভে 12 জন সিএনজিতে ৩ জন এবং বাইকে দুইজন যেতে পারবেন ৷১ খাগড়াছড়ি জিপ সমিতির ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা
খাগড়াছড়ির অন্যান্য দর্শনীয় স্থান দেখতে চাইলে আরো 600 টাকা থেকে ৮০০ টাকা দিতে হবে এছাড়া সিজিন ও সময় অনুযায়ী গাড়ি ভাড়া কম বেশি হতে পারে। আর যদি আপনারা অল্প কয়েকজন হয়ে থাকেন তাহলে সাজেকের গাড়ি ঠিক করার আগে চেষ্টা করবেন অন্য কোন গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে চান্দেন গাড়ি বা জীব রিজার্ভ করতে তাহলে ।
সাজেক যাওয়া আসার ভাড়া অনেকটাই কমে যাবে। খাগড়াছড়ি থেকে গাড়ি ২০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাবে দীঘিনালা উপজেলায় দীঘিনালা যেতে সময় লাগবে প্রায় এক ঘন্টা সেখানে আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিতে হয।সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায় প্রতিদিন দীঘিনালা আর্মি ক্যাম্প থেকে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ।
সাজেক যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে কোন কারণে সকালে যাওয়া মিস হয়ে গেলে তাহলে দুপুরে যেতে হবে আর নাহলে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক
চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি খাগড়াছড়িতে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায় ভাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর চট্টগ্রাম অক্সিজেন মোড থেকে শান্তি পরিবহনে বাস এবং লোকাল বাস পাবেন এসি নন এসি দুই ধরনেরই বাস পাওয়া যায়। শান্তি পরিবহনের নন এসে বাসের ভাড়া ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।আর এসি বাসের ভাড়া ৩৫০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে বাসে ঘাগড়াছড়ি যেতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে খাগড়াছড়ি পৌঁছে চন্দন গাড়ি কিংবা সিএনজিতে করে সাজেক যেতে পারবেন।
সাজেক ভ্যালি হোটেল ও রিসোর্ট লিস্ট
সাজেকে ভাড়া ছোট-বড় সব মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের একশোর মত রিসোর্ট রয়েছে।
এসব রিসোর্টের ভাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ১৫.০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে যেতে চাইলে আগে থেকে বুকিং করে রাখাটা ভালো না হলে ভালো রিসোর্ট এর রুম পাওয়া যায় না।
লেখকের শেষ কথা
সাজেক ভ্রমণ গাইড - যাতায়াত হোটেল রিসোর্ট ও খরচ বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url