পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
প্রিয় বন্ধুরা পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানব আজকে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন লক্ষ্য স্থির করা আর করনীয় কাজগুলো হচ্ছে যে একটি পদক্ষেপ নিতে হবে যত ছোট পদক্ষেপই হোক না কেন শুরু করতে হবে কারণ হাজার মাইলের অভিযাত্রাও শুরু হয় এই ছোট্ট একটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ও শারীরিক ব্যায়াম করা ।
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে চাইলে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বা সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোকে দূরে সরিয়ে রাখা লাগবে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ফলে আমাদের মনোযোগের বিঘ্ন ঘটে।ভূমিকা
পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে আমাদের চারপাশে এখন কম্পিটিশন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে চলেছে বেড়ে চলেছে ভালো রেজাল্ট না করলে ভালো জব পাওয়া যায় না একটি সুন্দর লাইফস্টাইল পেতে গেলে একট ভালো রেজাল্ট আনতে হবে এর জন্য পড়াশোনা করা লাগবে ।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
একটি লক্ষ্য স্থির করুন যে সময় চলেগেলো তা আর আর কখনোই ফেরত আসেনা প্রায় সবাই আমরা মনে করি একটু সময় বেশি যদি পাওয়া যেত তাহলে কাজটা সুন্দরভাবে করা যেত পড়ার লক্ষ্য ঠিক করে সে অনুযায়ী পড়ার পরিকল্পনা করতে হবে তাহলে পড়াশুনায় এগিয়ে থাকা যাবে ছোট ছোট ভাগে লক্ষ্যকে ভাগ করে নিতে হবে।
স্কুলে বা কলেজে নিয়মিত যাওয়া শিক্ষকদের দেওয়া পড়াগুলো ঠিকঠাকভাবে করা প্রাইভেট বা কোচিংয়ে দেওয়া পড়াগুলো মনোযোগ সহকারে করা এভাবে এগুলো একটা ভালো রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ও শারীরিক ব্যায়াম করা ।
খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করা
খাদ্য আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায় সুস্বাস্থ্য গঠনের সাহায্য করে খাদ্য শরীরকে সুগঠিত করে ও বৃদ্ধি করে রোগমুক্ত ও সুবল জীবন যাপন করতে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম তাই একজন ছাত্রের জন্য যেসব খাবারগুলো শরীরের ক্ষতি করে সেগুলো না খাওয়া অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করার জন্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চা ও খেলাধুলা।
করাটা জরুরী কারণ এগুলো করলে মন ভালো থাকবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে। তেলে ভাজা খাবার কম খেতে হবে সিঙ্গারা সমুচা পরোটা ফাস্টফুড এগুলো বেশি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীর খারাপ হয়ে পড়ে তাই এগুলো পরিমাণে বেশি না খাওয়া টায় ভালো।
প্রয়োজনীয় সব কিছু হাতের কাছে রাখা
পড়তে বসার আগে জরুরী কাজগুলো শেষ করে নিতে হবে যেমন বাইরে যদি যাওয়ার থাকে কোন কিছু কিনতে বা কোন কিছুই দিতে তাহলে সেগুলো কাজ সেরে তারপর পড়াশোনায় বুঝতে হবে তা না হলে কি হবে পড়তে বসার সময় সেগুলো কাজের জন্য যদি বাইরে যাওয়া লাগে বলা হয় তাহলে পড়তে বসলে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে শেষে পড়াটি কমপ্লিট হবেনা।
তার জন্য সব কাজ সেরে পড়তে বসা ফোকাস মনোযোগ দুটোই ভালো থাকবে এবং পড়াতে সুবিধা হবে থাকবে পড়ার টেবিল টা কে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা লাগবে বই খাতা পেন্সিল কলম সব গুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখলে এতে মনোযোগ বাড়বে ঠিকভাবে গুছিয়ে রাখলে আপনাকে বারবার উঠে এটা নিয়ে আসা লাগবে ওইটা নিয়ে আসা লাগবে এরকমটা হবে না এবং মনোযোগে বিঘ্ন ঘটবে না।
পড়ার পরিবেশ তৈরি করা
পড়ার জন্য সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন লাক্সারি পরিবেশ লাগবে এমনটা নয়। পড়ার জন্য মন স্থির করতে হবে একটা সময় ভাগ করে নিতে হবে এ সময় আমি পড়বো আর অন্য কোন কাজ করবনা ঠিক করা তারপরে পড়া শুরু করা আমাদের প্রায় অনেকেরই এটা স্বভাব রয়েছেযে আজ ভালো লাগছে না কালকে পড়ব। কালকে কাজ থাকবেন।
আমার কালকে সুন্দরভাবে পড়তে পারব। দিয়ে যখন কাল আসে তখন সে সময় অন্য কোন একটা কাজ লেগে থাকে আমাদের আমরা কাল যে সময়টা ভেবে রেখেছিলাম ঠিক সে সময় পড়া হয়ে ওঠেনা এরকম অলসতা আমাদের প্রায় সকলের মাঝেই রয়েছে এরকম অভ্যাসটা পরিবর্তন করতে হবে যখনই সময় পাওয়া যাবে তখনই পড়তে বসে যেতে হবে।
এভাবে করে কিছুদিন পড়তে বসলে আমাদের মনে অলসতা আস্তে আস্তে কেটে যাবে আজকের পড়া কালকে পড়বো, কালকের পড়া এরকম অভ্যাসটা তাহলে কেটে যাবে। পড়ার স্থানটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো রাখা টিভি মোবাইল ফোন ল্যাপটপ বা পিসি থেকে একটু দূরে পড়তে বসাটাই ভালো কারণ সেগুলো কাছে থাকলে আপনার মনোযোগের বিনিয় ঘটবে আপনার পড়ার টেবিলটি যদি ঠিকঠাকভাবে গোছানো থাকে তাহলে পড়ায় মনোযোগ বাড়বে।
পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ও শারীরিক ব্যায়াম করা
চিকিৎশকদের মতে জানা যায় যে আমাদের শরীরের জন্য দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন বর্তমানে ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার বেশির কারণে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয় না আমরা সময় পেলেই আমাদের হাতে থাকা সেল ফোন বা ল্যাপটপ বা পিসি নিয়ে সময় কাটায় বেশি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল সাইট গুলোতে সময় বেশি কাটাই।
ফেসবুক মেসেজ ফ্রেন্ডেদের সঙ্গে বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে রাত বা দিনভর আমরা চ্যাট করে থাকি বা ফোনে কথা বলে থাকি বা ভিডিও কলে ইউটিউবে বা টিকটকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে অনেকটা সময় পার করে ফেলি ফলে রাতে ঠিকভাবে ঘুমোনোর সময় টা পূরণ হয় না আমাদের কারণ সকাল হলেই তো স্কুল কলেজ ভার্সিটি বা প্রাইভেট বা কোথাও জব।
এর জন্য এর জন্য বের হতে হয় আর শারীরিক ব্যায়াম একজন মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন কারণ এক্সারসাইজ করলে শরীরকে ফিট রাখা যায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের চর্বি বা মেদ শরীর ফুলে গেলে তা কমাতে এক্সারসাইজ মাধ্যমে শরীরকে ফির রাখা যায় মনও ভালো থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকলে মনোযোগ বাড়ে তাই রোজ কম করে এক্সারসাইজ দরকার।
আর যদি খেলাধুলা করার সুযোগ থাকে সুযোগ থাকে তাহলে মিস করা একদমই ঠিক হবে না কারণ বর্তমান সময়ে খেলার জন্য মাঠের খুবই অভাব আমাদের চারপাশে যেসব ফাঁকা মাট গুলো ছিল সেগুলো আস্তে আস্তে বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাচ্ছে ফলে আমাদের খেলার জায়গা থাকছে না। ফলে খেলাধুলার জন্য ইলেকট্রিক ডিভাইসের ব্যবহার।
বেড়ে চলেছে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে এখন সময় পার করছে খেলাধুলার বদলে খেলাধুলা করলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে পড়ায় মনোযোগী বাড়ে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ও শারীরিক ব্যায়াম করা ।
অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করা একটি অভ্যাসের ব্যাপার এই অভ্যাসটা আপনি একদিন মধ্যে করতে পারবেন না এর জন্য কিছুদিন সময় লাগবে মনস্থির করতে হবে এবং নতুন অভ্যাস অনুযায়ী কাজ করতে হবে যেমন হতে পারে আপনার আজ পড়তে ভালো লাগছে না আপনি পড়ার টেবিলে গিয়ে বসুন আপনি নতুন অভ্যাস নিয়ম বানিয়েছিলেন কতক্ষণ পর্যন্ত পড়বেন।
সেই রুটিন অনুযায়ী পড়তে ভালো না লাগলেও পড়ার টেবিলে বসে থাকুন এর ফলে কি হবে দেখবেন আপনার পড়তে ভালো লাগছে না এই অভ্যাসটি কেটে যাবে। কারণ যেমন আপনার কালকে একটি এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে বা স্কুলে বা কলেজে বা ভার্সিটিতে সার বা ম্যাডামের বাসার হোমওয়ার্ক কাজ দিয়েছে। আপনার পড়তে ভালো লাগছে না।
আপনি সেটি কাজ করলেন না পরের দিন কিন্তু আপনাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে ।তখন মনে হবে এর থেকে ভালো হতো আমি যদি বাসায় অমর কাজটা করে আসতাম। সেই জন্য প্রতিদিন এর পড়া প্রতিদিনই কমপ্লিট করা ভালো কারণ ভালো একটি রেজাল্ট নিয়ে আসতে হলে পড়াশোনা বেশি পরিমাণ করা লাগবে।
একটি স্টাডি গ্রুপ তৈরি করা
পড়াশোনায় মনোযোগী বৃদ্ধির জন্য আরেকটি উপায় হল দল বেঁধে পড়াশোনা করা। এতে করে অন্যের যে বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা জ্ঞানগুলো রয়েছে তা বুঝতে পারা। একজন খারাপ ছাত্রও যদি ভালো ছাত্রদের সঙ্গে লেখাপড়া করে। দলবেঁধে তাহলে তাদের যেসব পড়াশোনা করার টেকনিক বা ধরন গুলো রয়েছে অন্যদের তা দেখে তখন সে নিজেও চেষ্টা করবে।
একটা ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসার জন্য কারণ সেখানে সবাই চেষ্টা করবে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসার জন্য প্রতিযোগিতায় থাকবে তাদের ভেতর ভালো রেজাল্ট আনার ফলে একজন খারাপ ছাত্র আসতে আসতে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসবে, ভালো পয়েন্ট না নিয়ে আসতে পারলে অন্তত পাস করতে পারবে।
পড়ার সময় যেসব ডিভাইস গুলো দূরে রাখবেন
বর্তমান সময় শিশু থেকে যুবক ও বৃদ্ধ পর্যন্ত মোবাইল ল্যাপটপ, পিসি,ট্যা, ফোন ডিভাইসড ব্যবহার করে থাকে এই ডিভাইস গুলো আমাদের দিন দৈনিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে এর ফলে আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছে পড়তে বসার সময় যদি মোবাইল ফোন পাশে নিয়ে বসেন তাহলে পড়তে পড়তে হঠাৎ আপনার ফোনে মেসেজ আসতে পারে।
আর মেসেজ আসলে আপনি চাইবে মেসেজটা অন করে দেখতে ফলে আপনার পড়ার মনোযোগের আরেক দিকে চলে যাবে। আবার টিভির রুমে পড়তে বসলে পড়তে পড়তে হঠাৎ আপনার টিভির আওয়াজে খেয়াল অন্যদিকে থাকবে ফলে আপনার মনোযোগ ঠিকভাবে পড়তে পারবেন না আর পড়া বুঝে পড়া হবে না যদিও পড়েন তাহলে।
সে পড়া বেশি খন মাথায় থাকবেনা ভুলে যাবেন তাই পড়ার সময় এসব জিনিস আপনার হাতের নাগালে বাইরে রাখুন এইসবের প্রভাব পড়াশোনাতে বিঘ্ন ঘটায় এইসব ব্যবহার করতে আপনার অনেকটা সময় চলে যায় ফলে পড়ার মনোযোগ হারিয়ে যায়।
পড়াশোনা মনোযোগ বৃদ্ধির দোয়া
رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
দোয়া =রাব্বি জিদনী ইলমা
অনুবাদ = হে আল্লাহ আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
আল্লাহ রহমান ও রাহিম তিনি নিশ্চয় জ্ঞান বুদ্ধি দাম করেন, তাছাড়া জিকির বা আল্লাহর স্মরণ্য ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
লেখকের শেষ কথা
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url