বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা বিড়াল সম্পর্কে আলোচনা করব বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী এই প্রাণীটি আমাদের অনেকেরই পছন্দের প্রাণী সেই কারণে আমরা অনেকেই বাসায় পালন করি এই পোষা বিড়াল যদি আচর বা কামড় দেয় তাহলে আমাদের বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয় ও বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় সেই সম্পর্কে জেনে নিব
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে অনেক রকমের রোগে সংক্রমণ হতে পারে বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড় দিলে রেবিস নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সেই কারণে বিড়ালের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরী।

ভূমিকা

কাবিড়াল কামড়ালে সে কামড়ানো স্থানে যদি রক্ত বের হলে বিড়াল কামড়ালে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানো সম্ভাবনা থাকে ও জলাতঙ্ক রোগ হয় আক্রান্ত হওয়ার আগেই আমাদের উচিত টিকা দিতে হবে কারণ বিড়াল বা অন্য কোন পোষা প্রাণীর কামড়ের কারণে জলাতঙ্কের সম্ভাবনা থেকে থাকে এই কথা বলতেই

বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়

বিড়াল আঁচর দিলে বা কামর দিলে সে ক্ষেএে ক্ষতস্থানের খাম বা গত হয়,যদি রক্ত বের হয় তাহলে সংক্রমণ ছড়ায় ।এক্ষেএে টিক নেওয়া এবং চিকিৎসা গ্রহণ করাটা জরুরী বিড়াল কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা দিতে হবে কারণ এসব প্রাণীগুলো কামড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন দিতে হবে।

বিড়ালের কামড় অনেকেই কিছু মনে করেনা এর ফলে যথাযথভাবে চিকিৎসা না নিলে গুরুতরও কোন রোগের সমস্যা হতে পারে এর ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে শরীরের সংক্রমণ ঘটায় এর জন্য আপনার কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতলে গিয়ে জলাতঙ্কের টিকা দিতে হবে এই টিকা আপনি যদি আগে না দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে চারটি ডোজ কমপ্লিট করতে হবে।

আর এই টিকাটি যদি আগে দিয়া থাকলে আপনাকে দুইটি ডোজ কমপ্লিট করতে লাগতো বিড়াল বা অন্য কোন পোষা প্রাণী কামরানোর সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চারটি ডোজ দিতে হবে ।
            ডোজ                                                   দিন 
        প্রথম ডোজ                             বিড়াল কামড়ের দিন দিতে হয় 
       দ্বিতীয় ডোজ                           প্রথম ডোজ দেওয়ার 3দিন পর দিতে হয় 
       তৃতীয় ডোজ                         প্রথম ডোজ দেওয়ার 7 দিন পর দিতে হয়   
       চতুর্থ ডোজ                          প্রথম ডোজ দেওয়ার 14দিন পর দিতে হয়

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

বিড়াল কামড়ানোর সাথে সাথে খেয়াল করতে হবে ক্ষতস্থানে রক্তপাত হচ্ছে কিনা বা গর্ত হয়ে গিয়েছে কিনা যদি গর্ত না হয়ে সাধারণত আঁচর লেগে থাকে তাহলে আমাদের করণীয় কি আসুন জেনে নেওয়া যাক, বিড়াল কামড়ানোর পর সেই স্থানে সাবান পানি বা স্যাভলন ডেটল দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

তারপরে স্পিড বা মলম দিতে হবে তারপর পরিষ্কার কিছু ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ক্ষতস্থান টি তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্য সেবা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষতস্থানের জন্য টিকা বা ওষুধ প্রয়োগ করা। বিড়াল কামড় দিলে কোন কারনে টিকা না নেওয়া হয় তাহলে রোগ হতে পারে।

যেমন ফোঁড়া বা চুলকানি ও জলতাঙ্ক ও বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা থাকে আর বিশেষ করে জলাতঙ্ক লক্ষণ দেখা দিতে পারে আর এই রোগ খুবই ভয়াবহ। ও জ্বর হতে পারে বেশিরভাগ সময়ই বিড়ালের আঁচড়ের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের কিছু না হলে ছোটদের সংক্রমণ হতে পারে জ্বর আসা ফোসকা পড়া পেট ও পিট ব্যথা এইসব লক্ষণ দেখা দিলে যথাসম্ভব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা।

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

জলাতঙ্ক রোগ বিড়াল সহ আরো প্রাণীদের হয়ে থাকে যেমন ইঁদুর বাদুর শিয়াল ও কুকুর ও আরো প্রাণীদের হয়ে থাকে। এইসব প্রাণীগুলোর আঁচড়ে বা কামড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় জলাতঙ্কে আক্রান্ত বিড়ালের কামড়ে অথবা আঁচড়ে মানুষের এবং অন্য প্রাণীদের ও এই রোগ ছড়ায়। এই ভাইরাসটি শরীরের ভেতরে যাওয়ার।

পরে মস্তিষ্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে বিড়ালের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং আস্তে আস্তে এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাই এইসব লক্ষণ গুলো দেখলেই বিড়ালটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই রোগে আক্রান্ত বিড়াল খুব বেশি দিন বেঁচে থাকে না বিড়ালের এই রোগ হলে।

তার কোন চিকিৎসা নেই কিন্তু প্রতিষেধক আছে বিড়াল কে ভ্যাকসিন প্রতিষেধক দেওয়ার মাধ্যমে এ রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই সমস্যা গুলি নির্দেশ করতে পারে যেমন আপনি যদি সন্দেহ করেন।

যে একটি বিড়াল জলাতঙ্কের রোগের স্পর্শে এসেছে এইসব লক্ষনগুলি যদি বুঝতে পারেন তাহলে যত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে জলাতঙ্ক রোগ একটি মারাত্মক এই রোগের স্পর্শে থাকা প্রাণী বা মানুষের উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
লক্ষণগুলো হচ্ছে 
  1. জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া।
  2. হঠাৎ আচরণে পরিবর্তন হওয়া অথবা অস্বাভাবিক পাগলের মতো আচরণ করা। 
  3. হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা বা কামড় বা আঁচর দিতে চাওয়া।
  4. অন্যরকম ভাবে তাকানো।
  5. মুখ দিয়ে লালা ঝরে।
  6. ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া।
  7. ভয় পাওয়া এবং পানি পান করা বন্ধ করে দেওয়া
জলাতঙ্কের প্রতিষেধক
শুধুমাত্র জলাতঙ্কের টিকার মাধ্যমে এই রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব বর্তমানে সব পশু চিকিৎসকদের কাছ থেকে এই রোগের টিকা পাওয়া যায়
জল আতঙ্ক যেভাবে হয়
  • rabies virus ঘটিত একটি মারাত্মক রোগ জলাতঙ্ক আমাদের দেশে জলাতঙ্ক রোগে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায় জলাতঙ্কের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার প্রায় শতভাগ এই রোগের লক্ষণ একবার প্রকাশ পেলে রোগীকে বাঁচানোর প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়
  • জলাতঙ্কের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা জরুরি জলাতঙ্ক যেভাবে ছড়ায় যেমন কুকুর শিয়াল বিড়াল বানুর বানর ইত্যাদ rabies জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে ওই পানি মানুষকে কামড় দিলে মানুষেরও এই রোগ ছড়ায়।
  • এসব আক্রান্ত প্রাণীর মুখের লালায় rabies virus থাকে। এই লালা পুরনো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া সামান্য আঁচড়ে মাধ্যমে রক্তের স্পর্শে এলে রক্তের রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়

সন্দেহজনক প্রাণী কামড় বা আঁচড় দিলে যা করবেন।

সন্দেহভাজনপানি কামড়ানোর বা আঁচড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতস্থানটি ১০ থেকে ২০ মিনিট ধরে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর স্পিড বা মহলম দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এরপর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মত Rabies vaccine দিতে হবে সাধারণত প্রথম দিন দেওয়ার পর দিন ৩,৭,১৪, ও ২৮ দিনে মোট ৪টি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয়
ক্ষতস্থানে যা করা যাবে না
ক্ষতস্থানে কোন স্যালাইন বরফ চিনি লবন ইত্যাদি এইসব পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না বাটি পরা, পান বড়, চিনি পড়া, ঝাড় ফুঁক জলাতঙ্কের হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে পারে না ক্ষতস্থানে কখনোইব অন্য কিছু দিয়ে কাটা যাবেনা কারণ এতে করে ইনফেকশন হতে পারে ক্ষতস্থানে বরফ বা হাত-পা বাঁধা যাবে না

যেসব প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই

যেমন ইঁদুর খরগোশ কাঠবিড়ালি গুইসাপ ইত্যাদি এইসব প্রাণী কামড় দিলে rabies vaccine নেওয়ার প্রয়োজন নেই তবে টিটেনাস আশিক ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।বিশেষ অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা হবে কি গর্ভ অবস্থায় মায়ের স্তন্যদানকালে অন্য যে কোন অসুস্থতায় ছোট বাচ্চা বা বৃদ্ধ ব্যক্তির এরকম কোন বিশেষ অবস্থায় জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে কোন সমস্যা নেই ।

লেখকের শেষ কথা

বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয় বিষয়ে যে সকল প্রকারের তথ্য খুজছিলেন তা ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার এবং লাইক করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url