চিরতা ভেজানো জল খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক চিরতা হচ্ছে একটি ভেষজ উদ্ভিদ আজকে আমরা চিরতা ভেজানো জল খেলে কি হয় এবং চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানব আমাদের শরীরকে যে কোন ব্যাকটেরিয়া সমস্যা থেকে বাঁচাতে রক্ষা করে চিরতার চিরতা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পানি খাওয়া উপকারী।
আমাদের অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং লিভারের সমস্যার নানা গুনাগুন রয়েছে চিরতাতে চিরতা পানি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করলে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে ।
ভূমিকা
চিরতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আমাদের মাথার চুল পড়া সমস্যা থেকে শুরু করে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপকারিতা ডায়াবেটিস সমস্যা থাকলে চিরতার পানি খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় চিরতার পাতা তিতর কারণে অনেকেই খেতে চাই না সেই জন্য মধু বা চিনি মিস করে খেতে পারেন। চিরতা হচ্ছে একটি ভেষজ উদ্ভিদ এর গুনাগুন উপকারীতা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বিট রুটের উপকারিতা
চিরতা ভেজানো জল খেলে কি হয়
চিরতা নামটা শুনিনি এরকম মানুষ খুবই কমই আছে চিরতাকে মানুষ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার করে আসছে ওষুধ হিসেবে আবার অনেকেই চিরতার গাছকে ঔষুধি গাছ বলে ডাকে আমাদের শরীরের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য চিরতাকে ওষুধ হিসেবে আমরা খাই এর চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে অনেক শরীরের প্রায় সব ধরনের।
রোগেরই কাজ করে থাকে রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতা বাড়াই। যেমন রাতে একটা গ্লাসে চিরতার পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে খালি পেটে খেলে আমাদের শরীরের রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এতে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আবার রক্তশূন্যতার পূরণ করে।
আমাদের যাদের শরীরের রক্তশূন্যতা রোগ আছে তারা নিয়মিত চিরতার পানি খেতে পারেন কারন চিরতা রক্তস্বল্পতা পূরণের কাজে বেশ উপকার করে এবং শরীরের নতুন রক্ত কোষ বন্টন করে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে নিয়মিত সকালে চিরতার পানি খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। আর তাছাড়া এলার্জি সমস্যা দূর করে আপনারা যারা।
- এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন ওষুধ খেয়েও উপকার পাচ্ছেন না তারা নিয়মিত চিরতার পানি খেতে পারেন খুব কার্যকারী। আমাদের অনেকেরই শরীরে এলার্জির কারণে শরীর লাল হয়ে যায় এবং শরীর ফুলে যায়, তার জন্য চিরতার গুড়ো বা চিরতার পাতা পরিমাণ মতো নিয়ে এক গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে দিন এবং পরের দিন সকালে পান করুন এতে করে এলার্জি সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
চিরতা আমাদের শরীরকে যে কোন ব্যাকটেরিয়া সমস্যা থেকে বাঁচাতে রক্ষা করে চিরতার তেতো আর যেকোনো তেতো খাবার কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে সংক্রমণ মন হতে দেয় না তাই নিয়মিত পানি পান করলে সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। আর লিভার পরিষ্কার রাখে বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য চিরতা খুবই কার্যকরী লিভার কে পরিষ্কার রাখতে খুবই সাহায্য করে।
- আপনারা যারা লিভারের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন আপনারা নিয়মিত চিরতার পানি পান করুন এতে করে লিভারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং লিভার সুরক্ষিত থাকবে।
- আর বমি ভাব দূর করে বিশেষ করে মেয়েদের বমি বমি ভাব বেশি দেখা দেয় কোন কিছু খেলে কারণ ছাড়াই অনেক সময় বমি হয়ে থাকে যাদের তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন যেমন পাঁচগ্রাম চিরতার গুড়া নিয়ে পানিকে গরম করে ফুটিয়ে নিয়ে দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিন তারপর সে পানিতে ছেঁকে নিয়ে তারপরে পান করতে পারেনএতে করে দ্রুত এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- হজমের সমস্যা দূর করতে চিরতার উপকারিতা সব থেকে বেশি যাদের হজমের সমস্যা আছে যে কোন খাবার ঠিকমতো হজম না হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন এসিডিটি বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ব্যথার মতো নানা সমস্যা হতে পারে তাই হজম জনিত সকল ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চিরতরে পানি পান করুন।
- এছাড়া ত্বকের যত্নে চিরতরে বেশ কার্যকরী যেমন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ব্রণ কালো দাগ ঘা ক্ষত বা ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে নিয়মিত চিরতার পানি পান করতে পারেন তাতে করে আপনার ত্বক আকর্ষণীয় ও উজ্জ্বল হবে আর নিয়মিত চিরোদার পানি পান করলে বয়সের ছাপ দূর করে তবে তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চিরতা হচ্ছে একটি ভেষজ উদ্ভিদ ফুল থাকা অবস্থায় পুরো গাছকে তুলে নিয়ে রোদে শুকিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে চিরতা খেলে কি হয় ডায়াবেটিস নিয়ন্তনে রাখে বর্তমানে সময়ের ডায়াবেটিস সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে ছোট থেকে বয়স্কদেরও ডায়াবেটিস হতে পারি। বিশেষ করে বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় বেশি।
চিরতা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে। সেই জন্য চিরতা খাওয়া উপকারী আপনারা যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চান তাহলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি গ্লাসে চিরতার পাতা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন।আবার চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেরই মাথার চুল পড়ে অল্প বয়সে।
চুল পড়ে যাচ্ছে সবারই কম বেশি চুল পড়ে চুল পড়া জনিত সমস্যায় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকে তবে চুল গজানো তুলনায় যদি চুল বেশি পড়ে তাহলে সমস্যা চুল পড়া শুরু করলে মাথা টাক হতে বেশি সময় লাগে না যদিও টাক পড়া হরমোন জনিত কারণেই বেশি হয়ে থাকে হঠাৎ যদি মাথার চুল পড়া শুরু হয় তাহলে ঘুমানোর আগে।
আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরার ক্ষতির দিক
- এক কাপ পরিমাণ পানিতে ১০ গ্রাম চিরতার পাতা ভিজিয়ে রাখে সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসলের সময় সেই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে মেসেজ করতে হবে।
- জ্বর সারাতে চিরতা বেশি কাজ করে থাকে সিজিন পরিবর্তনের কারণে আমাদের সকলেরই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি জ্বরে আবার আমাদের মধ্যে অনেকেরই সকালে জ্বর থাকেনা কিন্তু রাতে জ্বর আসে এরকম সমস্যা হলে চিরতা কে গরম পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি কে ছেকে সকালে দুপুরে এবং রাতে খেতে হবে তাহলে জ্বর সেরে যাবে চিরতার পাতা তিতর কারণে অনেকেই খেতে চাই না সেই জন্য মধু বা চিনি মিস করে খেতে পারেন। আর হচ্ছে যে প্রেগনেন্সি মহিলা ও ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত হবে
- কাঁটা স্থান বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে আমাদের শরীরে কোথাও আঁচড় লাগলে বা কোথাও কেটেকুটে গেলে অনেকেরই সহজে ঘা শুকায় না সেক্ষেত্রে হচ্ছে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পানিকে গরম করে ফুটিয়ে পাঁচগ্রাম চিরতা পাতাকে রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে তার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই পানি দিয়ে কাটা ঘা ধুয়ে ফেলুন এভাবে করে তিন থেকে চার দিন ধুয়ে ফেলুন তাহলে আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন।
হাঁপানি দূর করতে সাহায্য করে আমাদের আশেপাশে পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের অনেকেরই হাঁপানি সমস্যা দেখা যায় সে ক্ষেত্রে আপনার বা আপনার পরিবারের বা আপনার পরিচিত কারো যদি হাঁপানির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিরতার পাতার খেতে বলতে পারেন হাঁপানের চিকিৎসায় চিরতা খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে যে চিরতার।
পাতা গুড়ো পাঁচগ্রাম নিয়ে সাথে মধু মিস করে খেলে থেকে সাত দিন খেলে ভালো একটা ফলাফল পাবেন। ৬শরীরে চুলকানি জনিত সমস্যা থাকলে বিশ গ্রাম চিরতা নিয়ে পানি মিস করে খেতে হবে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিন্তু অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত।
পানি পান না করাই ঠিক হবে না চিরতার পানি তিতো হয় তাই খেতে অরুচি লাগে তাই জোরকরে খেলে বমি ও পেটের সমস্যা হতে পারে আর প্রেগনেন্সি মহিলা ও ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
আশা করছি চিরতার বিষয়ে সকল প্রকারের ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url